নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি দেশ ও দেশের মানুষকে ভালবাসি। এই মানসিকতা নিয়েই প্রতিষ্ঠা করেছি এম.আর.আর. ফাউন্ডেশন। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি; বেকার যুবকরা প্রশিক্ষিত হয়ে নিজেই নিজের বেকারত্বের সমাধান করতে পারেন। বিশেষ প্রয়োজনে আমাকে ০১৬৩১৬০৬০৬০ অথবা ০১৬৩৪৫০০৫০০ নাম্বারে পাবেন।

মুহম্মদ রেজাউর রহমান

স্বল্প শিক্ষিত বেকারদের জন্য কৃষি-খামার। মাঝারি শিক্ষিতদের জন্য বৃহৎ খামার, কুটির শিল্প ও আউটসোর্সিং-ফ্রিল্যান্সিং। শিক্ষিতদের জন্য শিল্প স্থাপন অথবা প্রযুক্তিগত বিপণন। বাংলাদেশে বেকারত্ব দূরীকরণে এই কয়েকটি লক্ষ্যণীয় বিষয়ই যথেষ্ট। Facebook.com/M01634300300

মুহম্মদ রেজাউর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেসবার্ড ও ফেন্সী কবুতর পালন করে শহরের স্বল্পআয়ী যুবকরা কোন ঝামেলা ছাড়াই ঘরে বসে বাড়তি আয় করতে পারেন। (পর্ব - ১)

২২ শে মে, ২০১৪ সকাল ৯:২৭

আমার বিগত পোস্টগুলোতে আমি কোয়েল পাখি পালন, ছাগল পালন, খরগোশ পালন, মৌমাছি পালন, গাভী পালন ইত্যাদি খামার ব্যবস্থাপনার উপর ও সম্ভাব্য আয়ের উপর আলোচনা করেছিলাম। উল্লেখিত প্রতিটি খামারই মূলত গ্রাম্য বেকারদের (শিক্ষিত বা অর্ধ শিক্ষিত) উদ্দেশ্যে। শহরের স্বল্পআয়ী যুবকরা অতিরিক্ত আয়ের কিছু ধারণা পাওয়ার জন্য জন্য আমাকে একাধিকবার মেইল করেছেন, কেউ কেউ সরাসরি ফোনও করেছেন। ব্যস্ততার মাঝেও এ নিয়ে দু কলম লিখার চেস্টা করব। "কেসবার্ড ও কবুতর পালন" একটু সেনসেটিভ ফার্মিং বিধায় এই পর্বটি ধারাবিহিকভাবে চালিয়ে যাব। অন্তত ব্লগারদের একটি বেসিক ধারণা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত।



আলোচনার শুরুতেই না বললেই নয় যে, খামার ব্যবস্থাপনা (সেটা যে খামারই হোক না কেন) এমন এক জিনিস যার বেসিক জ্ঞানগুলো মনোযোগের সাথে প্রথমেই আয়ত্ত করতে হয়। একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তির কাছ থেকে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ নিতে হয়। তারপর খামার নিরাপত্তার বিষয়গুলো প্রতিষ্ঠিত করে এগুতে হয় ।

আমরা কেস বার্ড ও ফেন্সী কবুতর নিয়ে এই পোস্টে আলোচনা করব, যার মাধ্যমে একজন বেকার অনায়াসে বেকারত্ব থেকে বের হয়ে যেতে পারেন। যারা স্বল্পআয়ী তারা কোন ঝামেলা ছাড়াই বাড়তি কিছু আয় করতে পারেন।





কেস বার্ড কি -



পাখিদের মূলত দু’ভাগে ভাগ করা যায়। একটি ওয়াইল্ড বার্ড (বন্য পাখি), অন্যটি কেসবার্ড বা খাঁচার পাখি। ওয়াইল্ড বার্ড বা বন্য পাখি পালন করা/ধরা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। অপরদিকে কেসবার্ড বা খাঁচার পাখি হচ্ছে খাঁচায় পালন করার জন্য। এসব পাখি জন্মজন্মান্ত থেকে তারা খাঁচায় বসবাস করছে। খাঁচায় এসব পাখি নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যে বাস করে। কিন্তু বন্য পাখিকে যদি খাঁচায় বন্দি করা হয় তাহলে পাখি খাঁচায় ছটফট করবে, একসময় মারা যাবে। আইনগত দিক থেকেও তা অমার্জনীয়, দন্ডনীয়। শাস্তিযোগ্য অপরাধ।



কেসবার্ড বা খাঁচায় পালন করা যায় এমন কিছু পাখির বর্ণনা দেয়া হলো:



বাজরিগার -



বাজরিগার দেখতে অনেকটা টিয়া পাখির মতো, ঠোঁটও তেমন। স্পেন্জেল, সিঙ্গেল সার্কেল, ডাবল সার্কেল, বাংলিশ, এলবিনো, লুটিনো, ডেনিসপাই, ইংলিশ বাজরিগার আমাদের দেশে দেখা যায়। চিনা, ধান, কাউন, সূর্যমুখী বিচি, গুজি তিল, সরিষা বীজ এদের খাদ্য। যা বাজারে থেকে সহজেই সংগ্রহ করা যায়। সাধারণ বাজরিগার জোড়াপ্রতি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, স্পেন্জেল বাজরিগার জোড়াপ্রতি ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা, ইংলিশ বাজরিগার জোড়াপ্রতি ৩০০০ থেকে ৭০০০ টাকা বাজারে পাওয়া যায়। প্রতি জোড়া বাজরিগার বছরে ৪ বার ৪/৫ টি করে বাচ্চা দেয়।









পাখি খামারী মাজেদ সাহেবের বক্তব্য অনুযায়ী দুই লক্ষ টাকা বিনিয়োগে বাজরিগার পালনে প্রতি বছর কম-বেশি দুই লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব।





লাভবার্ড -


খাঁচায় পোষার জন্য লাভবার্ড অন্যতম। লাভবার্ডের ১০০+ প্রজাতি আছে। চলনে, শরীর রঙে আলাদা। এদের ঠোঁট টিয়া পাখির মতো হলেও শরীর গঠন ও লেজ ছোট। এরা সর্বক্ষণ নিজেদের মধ্যে কিচিরমিচির আওয়াজ করে। ধীরস্থিরভাবে এরা কখনো বসে থাকে না। চিনা, ধান, কাউন, সূর্যমুখী, কুসুম ফুলের বিচি এদের খাদ্য। যা বাজারে থেকে সহজেই সংগ্রহ করা যায়। প্রজাতি ভেদে জোড়াপ্রতি দাম ৪০০০ থেকে ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত। প্রতি জোড়া বছরে ৩/৪ টি করে ৩/৪ বার বাচ্চা দেয়।







পাখি খামারী জুনায়েদের মতে দুই লক্ষ টাকা বিনিয়োগে লাভবার্ড পালনে প্রতি বছর কমপক্ষে দুই লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব।





ককাটেল :

ককাটেলের বেশ ক’টি প্রজাতি আছে। আমাদের দেশে ৪টি প্রজাতি বেশি পাওয়া যায়। প্রজাতি ও নামের পার্থক্য অনুসারে দামেরও রকমফের হয়। ওয়াইট ফেস, গ্রে ককাটেল, লুটিনো ককাটেল, ফন ককাটেল বেশ জনপ্রিয়। প্রজাতিভেদে জোড়াপ্রতি ৪০০০ থেকে ২৫০০০ টাকা। প্রতি জোড়া বছরে ৩/৪ বার ৪/৫ টি বাচ্চা দেয়।













ডোভ



ডোভের কয়েকটি প্রজাতি দেখা যায়। ডায়মন্ড ডোভ, সিলভার ডোভ আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয়। প্রজাতি ভেদে জোড়াপ্রতি দাম ২০০০ থেকে ১৫০০০ টাকা পর্যন্ত। প্রতি জোড়া বছরে ১০ বার ২ টি বরে বাচ্চা দেয়।











পাখি খামারী রাজি এর মতে ডোভ পালন সবচেয়ে বেশি লাভজনক। দুই লক্ষ টাকা বিনিয়োগে বছরে কম-বেশি ৩ লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব।



এ পর্বে এতটুকুই।

পরবর্তী ধারাবাহিক পোস্টগুলোতে আমরা জাভা, স্ফিন্চ, রোজেলা,রেইনবো লেরিকিট, বিভিন্ন প্রজাতির কবুতর ইত্যাদি পরিচিতি ও বানিজ্যিক দিক, প্রিতিটির আলাদা আলাদা জাত, ব্যবসায়িক লাভ-লস, বিক্রয় করার স্থান, শুরু করার পূর্বে লক্ষ্যনীয় ও করনীয়, পাখি পালনের খাঁচার মাপ, পাখি পালন সম্পর্কিত বই ও সংগ্রহ করার ঠিকানা নিয়ে আলোচনা করব।

আরো বিস্তারিত জানতে আমাকে মেইল করুন।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৪৩/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মে, ২০১৪ সকাল ৯:৩২

রতন দাস বলেছেন: ভাল লাগল।

২| ২২ শে মে, ২০১৪ সকাল ৯:৪২

সবুজ হলুদ লাল বলেছেন: দ্বিতীয় পর্বের আপেক্ষায় ....... +

৩| ২২ শে মে, ২০১৪ সকাল ৯:৪৮

ডাক্তার আমি বলেছেন: আমার এক জোড়া বাজরি পাখি আছে।

৪| ২২ শে মে, ২০১৪ সকাল ৯:৫৯

সরদাররকস্‌ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাল লাগল।


https://www.facebook.com/groups/BSBangla/

৫| ২২ শে মে, ২০১৪ সকাল ১০:০৯

rafiq buet বলেছেন: কবুতর নিয়ে ফেবু তে একটি পেজ আছে
https://www.facebook.com/fancykobutor

৬| ২২ শে মে, ২০১৪ সকাল ১০:১৬

Eng. Wadud Khan বলেছেন: নাইস আইডিয়া ব্রো ....

৭| ২২ শে মে, ২০১৪ সকাল ১০:৩৮

ইসমত বলেছেন: এ পর্বে কবুতরের কথা তো কিছু লিখলেন না! আমার কাছে বাজরিগার, ডোভ আর কিছু ফেন্সী কবুতর আছে, প্রিয়তে রাখলাম।

পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম

২২ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:১৮

মুহম্মদ রেজাউর রহমান বলেছেন: আগামীতে কবুতর নিয়ে লিখব।

৮| ২২ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:৫০

রাকি২০১১ বলেছেন: Nice Post

৯| ২২ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:৫০

রাকি২০১১ বলেছেন: Nice Post

১০| ২২ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:৫৯

টেকনিসিয়ান বলেছেন: তার চাইতে ছাগুলীগ এর কিছু পোলাপাইন পেলে পুষে গুম-অপহরণ কাজে ব্যবহার করলে তো রাতারাতি কুটি কুটি টাকার মালিক বনে যাওয়া যায়.....

১১| ২২ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:১১

নিজাম বলেছেন: ভাল লাগল। আপনাকে ধন্যবাদ।

২২ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৪

মুহম্মদ রেজাউর রহমান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

১২| ২২ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:৪২

ড. জেকিল বলেছেন: পাখি খুব ভালো লাগে, কিন্তু যত্ন নেওয়া মুশকিল B:-)

২২ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:১৯

মুহম্মদ রেজাউর রহমান বলেছেন: প্রতি দুই দিন পরপর খাবার ও পানি পরিস্কার করে দিলেই হয়। খুব একটা ঝামেলা নেই।

১৩| ২২ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৪০

Dr. Rahman বলেছেন: Nice Post +++

১৪| ২২ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৩

বিজয়ী মানব বলেছেন: আরো বিস্তারিত চাই ...... পোস্টে প্লাস।

১৫| ২২ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৫২

সাংবাদিক মানেই সাংঘাতিক বলেছেন: টেকনিসিয়ান বলেছেন: তার চাইতে ছাগুলীগ এর কিছু পোলাপাইন পেলে পুষে গুম-অপহরণ কাজে ব্যবহার করলে তো রাতারাতি কুটি কুটি টাকার মালিক বনে যাওয়া যায়.....


=p~ =p~ =p~ =p~ =p~

১৬| ২২ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯

কৃষিবিদ আহমদ মুকুল বলেছেন: এই আর্টিকেলটি নির্বাচিত পাতায় গেল না !!!


আজিব :(

১৭| ২২ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯

মদন বলেছেন: Add to favorite :)

১৮| ২২ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:৩৪

অরণ্যতা বলেছেন: যদি কেউ পাখি বেচতে চান এই সাইটে বেচতে পারেন (ইবের মত বাংলাদেশী সাইট) http://www.bdbids.com

পোস্ট প্রিয়তে নিলাম, তারাতারি পরের লেখাটা চাই

১৯| ২২ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:৪২

ময়নামতি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

২০| ২৩ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৫২

সুবর্ণা রহমান বলেছেন: প্রিয়তে।

২১| ২৩ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৮

রিফাত উকিল বলেছেন: আমার কিছু পাখি ছিল। বাজরিগার তিন জোড়া, লার্ভ বার্ড এক জোড়া। কিন্তু কোনগুলোইতো ডিম-বাচ্চা করল না। দোকানদার তো বলেছিল কেনার ৭ দিন পর থেকেই ডিম দিবে এবং বাচ্চা ফুটাবে।

২৫ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:২০

মুহম্মদ রেজাউর রহমান বলেছেন: দোকান থেকে না কিনে সরাসরি ভাল ব্রীডারের কাছ থেকে কিনবেন। দাম একটু বেশি নিতে পারে হয়তো। দোকানে সাধারণত নন-এডাল্ট বাচ্চা পাখি ও রিজেক্ট পাখি সেল করা হয়।

২২| ২৩ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:০০

রিফাত উকিল বলেছেন: পোস্ট প্রিয়তে রাখলাম। আপনাকে অনুসরনে রাখলাম। ধন্যবাদ।

২৩| ২৩ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:০১

মৃদুল সাংহাই বলেছেন: ভাল লাগল পোস্টটি। আরো লেখা চাই ভাই।

২৪| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৩৫

বাকের ভাই রিটার্ন বলেছেন: আচ্ছা ভাই পাখি বা কবুতর কোনটা পালনে লাভ বেশি ?

১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৪০

মুহম্মদ রেজাউর রহমান বলেছেন: ইনভেস্টমেন্টের দিক বিবেচনায় পাখি পালন বেশি লাভজনক।

২৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:২১

প্রামানিক বলেছেন: পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.