![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বল্প শিক্ষিত বেকারদের জন্য কৃষি-খামার। মাঝারি শিক্ষিতদের জন্য বৃহৎ খামার, কুটির শিল্প ও আউটসোর্সিং-ফ্রিল্যান্সিং। শিক্ষিতদের জন্য শিল্প স্থাপন অথবা প্রযুক্তিগত বিপণন। বাংলাদেশে বেকারত্ব দূরীকরণে এই কয়েকটি লক্ষ্যণীয় বিষয়ই যথেষ্ট। Facebook.com/M01634300300
বেকারত্ব আমাদের দেশেই নয় পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশেই একটি মৌলিক সমস্যা। পরিসংখ্যান বলে, যেসব দেশে বেকারত্ব যত বেশি সেসব দেশে দূর্নীতি, সন্ত্রাস অর্থ্যাৎ অ্নৈতিক কার্মকান্ড তত বেশি।
সাধারণ বিবেচনায় শিক্ষিত, স্বল্পশিক্ষিত সবধরণের বেকার যুবক পরিবারের সেই সাথে সমাজেরও বোঝা। কিন্তু প্রযুক্তির স্বর্নযুগে বিষয়টি ভেবে দেখার যথেষ্ট অবকাশ রাখে। পৃথিবীতে মানুষ বাড়ছে, খাদ্য-পুষ্টির চাহিদা বাড়ছে, পোশাক-পোশাকজাত পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। তাছাড়া প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বে প্রযুক্তি পণ্য, প্রযুক্তি নির্ভর কাজ (আউটসোর্সিং, ফ্রিল্যান্সিং ইত্যাদি ইত্যাদি) কাজের চাহিদা বেড়েই চলছে দিন দিন।
আমি ব্যস্ততার কারনে দীর্ঘদিন ব্লগে লেখালেখি করতে পারিনি শত মানুষের অনুরোধ স্বত্বেও। যদিও ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা পর থেকে বেকার যুবকদের নিয়ে পুরোদোমে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ায় কোন বিঘ্ন হয়নি। আমার দীর্ধ অভিজ্ঞতাগুলো হয়তো এক-দুই কথায় যে কেউ উপলব্ধি কারতে না-ও পারেন। কিন্তু গভীর পর্যবেক্ষেণে বেকারত্ব বিমোচনে আমার অভিজ্ঞতাগুলোর সাথে একমত হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। সত্য এবং বাস্তবতা এই যে, ... বেকারদের হতাশা; মূলত তাদের অজ্ঞতা।
খাদ্য-পুষ্টির প্রয়োজনে গরু, ছাগল, হাস, কোয়েল, মাশরুম, ব্রয়লার-লেয়ার মুরগি, মৌমাছি, খরগোশ ইত্যারি খামার। বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনে কফি, আগরগাছ, ওষধী গাছ ইত্যাদির চাষ। সৌখিন খামারের ক্ষেত্রে ফেন্সি কবুতর, কেস বার্ড ইত্যাদি থামার। পাশাপাশি বৈদেশিক মূদ্রা উপার্জনে কুটির শিল্প ব্যাবস্থাপনার নিয়ে আমি মূলত কাজ করছি। তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর কাজ আউটসোর্সিং-ফ্রিল্যান্সিং নিয়েও আমার ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম চালু রয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর কাজ নিয়ে আমার বর্তমান উপলব্ধি হচ্ছে, শুধুমাত্র আউটসোর্সিং-ফ্রিল্যান্সিং থেকেই শিক্ষিত বেকারদের বড় একটা অংশ সম্মানজনকভাবে বেকারত্ব থেকে বের হয়ে আসতে পারেন।
তবে উল্লেখিত প্রতিটি বিষয়ে সফল হতে হলে প্রথমেই পূর্ণ প্রশিক্ষণ নিতে হবে প্রাক্টিক্যালী দক্ষ (কমপক্ষে ৫/৭ বছর দক্ষ খামারী) কোন খামারীর কাছ থেকে। পশু সম্পদ অধিধপ্তর , যুব উন্নয়ন অধিধপ্তর, মৎস্য উন্নয়ন কর্মকর্তাগণ খামার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে বিজ্ঞ ও নির্ভরযোগ্য। কিন্তু শুধূমাত্র তাদের কথার উপরও শতভাগ নির্ভর করে খামার শুরু করলে মূলধন ক্ষতির মুখে পারবে এটা নিশ্চিত। কেননা তাদের অধিকাংশই পরামর্শ তাদের কৃষি বিষয়ক শিক্ষা থেকে (নন প্রাক্টিক্যালী)। একজন খামারীর দরকার আরএকজন দক্ষ খামারী। কৃষি ও খামার ব্যবস্থাপনায় প্রাক্টিক্যাল বিষয়টি মূল, থিওরিক্যাল ৯৫% বিষয়ই বজনীয়।
কুটির শিল্প ব্যবস্থাপনা, আউটসোর্সিং-ফ্রিল্যান্সিং ইত্যাদির ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। আমি দেখেছি, কেউ কেউ প্রাক্টিক্যালী পূর্ণতা পেতে ২ দুই মাস, আবার কারো কারো ক্ষেত্রে এক বছর সময় লেগে যেতে পারে। কৃষি ব্যাবস্থাপনা, খামার ব্যাবস্থাপনা, কৃটির শিল্প ব্যবস্থাপনা, আউটসোর্সিং-ফ্রিল্যান্সিং প্রতিটি ক্ষেত্রেই দক্ষতায় পূর্ণতা না নিয়ে শুরু করা মানেই টাকা নষ্ট করা, সময় নষ্ট করা।
আমি আমার পরবর্তী কয়েকটি পোষ্টে আলোচনা করব "বেকারদের হতাশা; মূলত তাদের অজ্ঞতা ..... " বিষয়টির উপর। একজন বেকার যুবক/যুবতী আমার পরবর্তী পোস্টগুলো থেকে তাদের ভবিষ্যত কর্মলক্ষ্য নির্ধারন করে নিতে পারবেন।
©somewhere in net ltd.