![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক গ্রামের এক কৃষক তিন মাস রোদ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে কঠিন পরিশ্রম করে জমিতে ধান ফলাল। ভাল
ধান হল। সেই ধান চাল হয়ে বাজার ঘুরে চলে গেল মানুষের ঘরে ঘরে। আরেক চাষি আলু ফলাত। আড়াই মাস
কঠিন পরিশ্রম করে আলু ফলাল। ফলন ভালো হল। সেই আলু জমি থেকে তোলা হল। এরপর বাজার
ঘুরে চলে গেল মানুষের ঘরে ঘরে। এক খামারির ছিল মোরগের খামার। এক মাস কঠিন পরিশ্রম করে ডিম
ফোটানো বাচ্চাগুলোকে খাওয়ার উপযোগী করে তুলল। বিভিন্ন বাজার দোকান ঘুরে চলে গেল মানুষের
ঘরে ঘরে। ঘরে ঘরে রান্নাঘরে রান্না হর। চাল ধুয়ে ভাত হল। আলুর খোসা ছাড়ানো হল। সেই আলুগুলো টুকরো করে রাখা হলো মোরগের মাংসে দেওয়ার জন্য। মোরগ জবাই হল।
চামড়া থেকে পালক বাছা হল। ছোট ছোট টুকরো করা হল। ধুয়ে মসলা মাখিয়ে আলুসহ স্বাদ
করে রান্না করা হল। এরপর খাওয়ার পালা। টেবিলে খাবার দেওয়া হল। মজা করে ঝরঝরা ভাত আর মাংস
দিয়ে তৃপ্তি নিযে খেল। সব মিলিয়ে সময় লাগল ২৫ মিনিটের মতো। এর পরের অংশটি আরো সংক্ষিপ্ত। এত দিনের পরিশ্রমের ফলাফলটা এত অল্পতেই শেষ হয়ে যায়
তাহলে কি লাভ এত পরিশ্রম করে? কি মূল্য আছে তিন মাস ধরে ধান চাষ করে চাল উৎপাদনের। কি লাভ
দুই আড়াই মাস খেটে আলু ফলানোর, কি লাভ এত যত্ন করে মোরগের বাচ্চাগুলোকে বড় করার,
যদি স্থায়িত্ব এত অল্প হবে! যথাযথ স্বীকৃতির অভাবে এভাবেই আমাদের কৃষকেরা আস্তে আস্তে উৎপাদনবিমুখ হয়ে পড়ছে।
ফলে জিনিষের দাম বেড়েই চলেছে। কৃষকদের কাজের স্বীকৃতি দিতে হবে আমাদের। ওরাই দেশের জ্বালানি,
ওদের ছাড়া দেশ অচল। নেতা তার বক্তব্যটি শেষ করলেন। আর এভাবেই তিন মাস রোদ-বৃষ্টি মাথাই নিয়ে এলাকা ঘুরে ঘুরে এই
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যটি ব্যক্ত করে করে আগামী পাচঁ বছরের ফলাফলটি নিশ্চিত করবেন তিনি!
©somewhere in net ltd.