![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনুমতি ব্যতিত কোনো লেখা বা লেখার অংশ কপি করবেন না। এই নিন্দনীয় কাজটা আমিও করি না, আশা করবো আপনিও করবেন না।
পারস্পারিক শ্রদ্ধা, সম্মান ব্যাপারটা আজকাল খুব একটা দেখা যায় না। একটা মানুষকে কি করে অপমান করা যায়, কি করে তাকে হেনস্তা করা যায়, তার চেষ্টায় সবাই ব্যস্ত। একজন মানুষকে অপমান করে, তাকে চরমভাবে বিব্রত করে অপরজন বিমলানন্দ লাভ করে।
সমালোচনা এক ব্যাপার, আর অপমান করা অন্য ব্যাপার। মানুষ ভুল করবেই, তার গঠনমূলক সমালোচনা করা যায়, কিন্তু তাকে চরমভাবে অপমান ও বিব্রত করা কোনোভাবেই গ্রহনযোগ্য নয় ( আমি নিজেও অবশ্য এই কাজ মাঝে মাঝে করি এবং বিমলানন্দ লাভ করি)।
নটরডেমের প্রথম ক্লাসে জহরলাল স্যার আমাদের বলেছিলেন –আপনারা সবাই তো এ+। আপনাদের কিছু প্রশ্ন করি। বলেন তো অংক কাকে বলে?
আমরা বললাম –স্যার ০-৯ পর্যন্ত হচ্ছে অংক।
স্যার হেসে মাথা নাড়লেন। হয় নাই। বলেন তো কোণ কাকে বলে?
আমরা বললাম –দুটি সরলরেখা যখন পরস্পর ছেদ করে তখন কোণ উৎপন্ন হয়।
স্যার এবারো হেসে বললেন –হয় নাই।
স্যারের এই প্রশ্নটা আমরা এক জুনিয়র ম্যাথ টিচার আওকাত আলীকে জিজ্ঞেস করলাম ম্যাথ ল্যাব ক্লাসে। স্যার প্রশ্ন শুনেই মেজাজ গরম করলেন এবং আমরা জহরলাল স্যারকে যা বলেছি তাই হুবুহু বললেন। আমরা আর কিছু বললাম না।
জহরলাল স্যারের কানে কথাটা গেলো। তিনি একদিন ক্লাসে বললেন –খবরদার, আমার কোনো প্রশ্ন অন্য কোনো স্যারকে করবা না। স্যারদের অপমান করতে খুব মজা লাগে, তাইনা? খবরদার, আর যেন এরকম না শুনি। অন্য স্যারের প্রশ্ন আমাকে করবা। আমি পারলে জবাব দিবো, না পারলে জেনে এসে তোমাদের জানাবো। কিন্তু আমার কোনো প্রশ্ন অন্য স্যারদের করবা না।
স্যারের এই মনোভাবের অভাব আজ আমাদের পুরো সমাজে। আমরা অন্য মানুষদের অপমান করতে খুব মজা পাই। আমরা ভুলে যাই মানুষকে অপমান করাতে কোনো ক্রেডিট নেই। বরং একজন মানুষকে কিভাবে বিব্রত অবস্থা থেকে বাঁচানো যায়, অপমানের হাত থেকে রক্ষা করা যায়, তার মধ্যেই ক্রেডিট।
যে ব্যাক্তি কোনো মুসলমান ভাইয়ের দোষ গোপন করবে, আল্লাহ্ তা’আলা কিয়ামতের দিন তার দোষ গোপন করবেন - এ কথাটা আমাদের মনে থাকে না।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:২৩
মুহিত আলম বলেছেন: হেঁহেঁ, ভালই বলছেন। সত্য কথা
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:২৬
রিমন রনবীর বলেছেন: জেনেশুনে কাউকে অপমান করা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করি ভাই। আসলে অনেককেই দেখি জঘন্য ভাষায় পরষ্পরকে গালাগালি করতে। আমি নিজেও মাঝেমধ্যে দু একটা যে দেইনা তা না।
বিশেষত বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় এ জিনিসটা বেড়ে গেছে, শ্রদ্ধাবোধ কমে গেছে। গালি না দিলে পুলাপাইনের পেটের ভাত হজম হয়না।
আমরা দেশের শান্তির জন্য দুই বেগমরে ঐক্যমত্যের আহবান জানাই অথচ তার আগে ছাড়াছাড়া ভাবে। নিজেদের ভেতরেই নাই।
ব্যাপক জ্জানী কথা বইলা ফেললাম। নিজেরে সুশীল সুশীল লাগতেছে।