নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\" অগুছালো চিন্তা ধারায় কিছু অনভীজ্ঞ লিখা।\"

মোজাহিদ আলী

খুব সাধারণ পরিবারে জন্ম আর সাধারণভাবে বেড়ে উঠার এক আত্মজীবনি আছে আমার। লিখতে পারব...? সন্দেহ হয় ! অভীজ্ঞতা ছাড়া লিখা অনভীপ্রেত। সাধারণ জীবনের অনভীজ্ঞ লিখাগুলি পাঠকেরা পড়বে কি না সন্দেহ আছে...... তারপরেও লিখি, নিজের আত্ম সন্তুষ্টির জন্য না হয় একটু আধটু লিখবার চেষ্টা করলাম.........।।

মোজাহিদ আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারী দিবস

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৫২



মাঝে মাঝে অধীকার গুলি আমার কাছে খুব হাস্যকর মনে হয়। মালিকের কাছে চাকরের অধিকার? যাত্রীর কাছে রিক্সাওালার অধীকার? ধনীর কাছে ভিখারির অধীকার? গৃহকর্তীর কাছে গৃহকর্মী্র অধীকার? ঘোষখুর চাকুরী দাতার কাছে নিরপেক্ষ চাকুরি পাওয়ার প্রত্যাশা? কসাইয়ের ধারালো ছুরির কাছে অবলা জিবের আর্তনাদ? মালিকের দুধাল গাভীর কাছে বাছুরের দুধের অধীকার? জানি সবাই হাসছেন! হাসবেন না কেনো, কথা গুলি তো হাস্যকর বটে!

মালিক,যাত্রী,ধনী,গৃহকর্তী,চাকুরিদাতা,কসাই, সবাইকে যদি তাদের ঐ সব অধীকার প্রার্থীদের আবেগি অধীকার এর কথা বলেন তারাও ঠিক সুর মেলাবে, হয়তো কাঁদবে, মুখ দিয়ে পাওনার চেয়ে বেশীটুকু দিয়ে দেবে, আপনি যা বলতে পারবেননা অধীকার সম্পর্কে তারা আর বেশি বলবে। ঐসব ব্যাপারগুলি নিয়ে যদি কোন দিবস পালনের কথা বলা হয় তারা তার অগ্রে থাকবে ঘটা করে পালন ও করবে! কথা হল বাস্তবে তাদের মন মানসিকথা শূন্যের কোটায়। বাস্তব কথা হল সভ্যতা এতো পিছিয়ে আছে মানুষগুলির বহুরুপিতার জন্য।

বলছিলাম নারী অধিকার এর কথা। আজকে ৮ই মার্চ নারী দিবস বক্তারা বলছেন তো বলছেন, যদি প্রশ্ন করা হয় স্যার আজকে সকালে ম্যাডাম কে রান্নায় সাহায্য করেছিলেন? স্যার আজকের বিশেষ দিনে আপনার গৃহকর্মিকে একজন নারী হিসেবে মর্যাদা দিয়েছেন? বিশ্বাস করেন থমকে যাবেন!

যতই দিবস পালন করা হুক না কেনো আজো নারীরা অনেক পিছিয়ে আছে। সমাজ প্রেক্ষাপট বিশ্লেষন করলে ছবির মতো ভাসবে।তাই বলে আমি বলছি না একজন নারী ঠিক পুরুষের মতো বিচরন করবে। প্রাকৃতিগতভাবেই সৃষ্টিকর্তা নারীকে দুর্বলা করে সৃষ্টি করেছেন।আমি বলছি তাদের সম্মান করতে, তাদের মর্যাদা বাড়িয়ে দিতে।বদলাতে হলে প্রত্যেকটি মানুষ মানসিকথা বদলাতে হবে।

পুরু সমাজকে জড়ো করে বুঝানো যায়, কিন্তু নির্যাতিত বউয়ের শাশুড়িকে কে বুঝাবে? নির্যাতিতা নারীর স্বামীকে কে বুঝাবে?ইভটিজারকে কে বুঝাবে?ধর্ষিতার ধর্ষককে কে বুঝাবে?কে বুঝাবে পিতৃপরিচয় না দেয়া সেই নরপিচাষ কে?কে বুঝাবে সেই সব সমাজপতিদের অবলা নারিদের বিচারই যাদের হাস্যরস!

শুধু পালন নয় কাজ করতে হবে, মানসিকথা পরিবর্তন করতে হবে। নয়তো নারী অধীকার হাস্যকর হয়েই থাকবে। সমাজ প্রেক্ষাপট বলছে আমি এমন একজন অসহায়ের কথা বলছি ছুট্ট খাটো দোষগুলি যার মহাঁপ্রলয়ে রুপ নেয়,একটু শব্দ করে হাসলে রক্ষণশীলতার বাঁধ ভাঙ্গে,কষ্টে কান্না করলে অলক্ষুনে নাম হয়,বাচ্চা না দিলে/স্বামী ছেড়ে দিলে/স্বামী মরে গেলে যার অপয়া নাম হয়,সেই বন্দিনীর জন্য আমি আর কি চাইবো?

ভালোবেসে আজ শুধু অসহায়দের মুক্তি চাইবো !!!!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪১

বিজন রয় বলেছেন: আপনি তো গদ্যও ভাল লেখেন!!

আপনাকে সত্যিই অনেক শুভকামনা।
লিখুন।

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:০৫

মোজাহিদ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা
খুব ভালো হয়নি জানি তবুও প্রেরনা পেলাম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.