নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\" অগুছালো চিন্তা ধারায় কিছু অনভীজ্ঞ লিখা।\"

মোজাহিদ আলী

খুব সাধারণ পরিবারে জন্ম আর সাধারণভাবে বেড়ে উঠার এক আত্মজীবনি আছে আমার। লিখতে পারব...? সন্দেহ হয় ! অভীজ্ঞতা ছাড়া লিখা অনভীপ্রেত। সাধারণ জীবনের অনভীজ্ঞ লিখাগুলি পাঠকেরা পড়বে কি না সন্দেহ আছে...... তারপরেও লিখি, নিজের আত্ম সন্তুষ্টির জন্য না হয় একটু আধটু লিখবার চেষ্টা করলাম.........।।

মোজাহিদ আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

হতভাগা নারী

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৭



আমি দেখেছি নির্মল হাসির মাঝে ঘোর অমানিশা,
প্রদিপ্ত আলোর মাঝে অন্ধকারের কালোছায়া।
আমি শুনেছি মিষ্ট কথার মাঝে করুণ দুঃখ গাথা,
বর্ণিল সুরের মাঝে বেদনার ছবি আকা।

কোন এক অবেলায় চলেছি সেদিন শহরতলীর পথে,
অগুচালো কেশে দেহপসারিনি এক বসে আছে,
কামাতুর চোখে অশ্লিল মনে ভদ্রবেশি পথিকেরা,
তাকানোতে মজা খুঁজে ভাব যেনো ঘৃণা ভরা।
তাদের মাঝে আমি চেয়ে আছি করুণার চোখে,
মুচকি হেসে বলে সে আমায় যাবে নাকি তুমি ?
যদি যাও তবে দিতে হবে মোরে দুইশত কড়ি।
চলেছি আমি শরতলির ছিন্নদেহের ঘৃণ্য পথে;
লজ্জার পথে জিজ্ঞাসু মনে পিছু পিছু হেঁটে।
দেহখানি হেঁটে চলেছে মনখানি মোর বাঁধ সাধিছে,
মাঝপথে তার পাওনাটা দিয়ে বলিলাম বোন হে;
বলিবে কি মোরে কেনো আসিয়াছ ঘৃণাভরা পথে?
জলে ভেজা চোখে বলেছে সে মোরে ক্ষিদে মিটাবার তরে!
ভাবিলাম আমি একি সেই শ্রেষ্ট নারী জননী আমার?
সাধ জাগে মনে হতে চাই আমি দেহপসারিনী!
নিশ্চুপ আমি অনুভবিলাম সে যেন মোরে থু থু দিয়েছে।
ব্যাথাতুর মনে ভাবছি আমি, জগতের মাঝে,
এমনও কি আছে? দেহ বেচে মোখ রুচে!
জননী কি তারে বলে?

সেদিন দশজনে মিলে আনিয়াছে এক অবলা নারীরে
শকুনের দল দংশিছে তারে সারা রাত ভরে।
কিছু টাকা দিয়ে ভোরবেলা রেখে গেছে পথের কিনারে,
সর্পের বিষে ভরা দংশিত দেহে গড়ায়ে চলিছে।
দেখে মোরে বলে উঠে ছেড়ে দেন ভাই আর পারিনে।
আচমকা আমি কম্পিত দেহে বলি কি চাও তুমি?
সব বলে মোরে কান্নার সুরে অনুযোগ করে।
পথে নাকি বসে আছে সর্পের দল দংশিবে তারে।
জলে ভেজা চোখে করুণার সুরে কি বলিবো তারে?
সাধ জাগে মনে হতে চাই আমি অবলা সে নারী।
নিশ্চুপ আমি চেতনায় ভাবি সে যেন মরে থু থু দিয়েছে!
কান্নার সুরে ভাবছি আমি পৃথিবীর মাঝে ,
এমনও কি আছে পেটের দায়ে মৃত্যূতে ছুটে!
ভগ্নি কি তারে বলে?

কোন একদিন কোলাহল দেখে কৌতুহলে,
জিজ্ঞাসু মন দেখিবার চায় কি আছে হেথায়?
বেনারসি পরা চিবুকে তাহার লাল রঙ আঁকা ;
নিশ্চুপ বসে আছে চোখ দুটি জলে ভেজা।
কান্নার রঙ দেখে বুক ফেটে আসে,কহিলাম তারে,
কি কারনে বোন আজ বসিয়াছ পথে?
বলে সে আমারে সব ছেড়ে এসেছিনু প্রিয়জন ভেবে,
সব কেড়ে সে আমারে বেঁচে দিয়েছে!
বাকহীন আমি ঘৃণিতের দলে, কি বলিব তারে?
সাধ জাগে মনে হতে চাই আমি বঞ্চিতা নারী।
আচমকা কেঁপে উঠি সে যেনো মোরে থু থু দিয়েছে!
ঘৃণিত হয়ে ভাবছি আমি অবনীর মাঝে,
এমনও কি আছে সব ছেড়ে দেবে বিশ্বেস করে?

এ আমার জগদ্বিখ্যাত স্নেহময়ী মা!
একি সেই শৈশবে কোলেচড়া স্নেহময়ী ভগ্নি?
এতো সেই প্রেমময়ী দুখভাগী অর্ধাংগী!
আমি অসহায় হয়ে ঘৃণাভরে বলি!
কামুক পৃথীবিতে কামুকের দল,শকুনের দল;
বেঁচে থাক তোরা জয় হোক তোর ;
মরে যাই মোরা বিবেকের দংশনে নিপীড়িত যারা।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৬

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: ঘৃণ্য সমাজে চলছে অহরহ এসব কাহিণী । বাস্তবতায় কবিতা লিখেছেন । ভাল লেগেছে ।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৯

মোজাহিদ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.