নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখতে পারি না, তাই পড়তে এসেছি।

মুখ ও মুখোস

সত্য নিরপেক্ষ নয়, সে সব সময় এক পক্ষেই থাকে।

মুখ ও মুখোস › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফেসবুক বন্ধ - সমর্থনে আমার ব্যক্তিগত মতামত এবং এক প্রপাগান্ডার ডাস্টবিন।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩০

ফেসবুক বর্তমানে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের এক অপরিহার্য অংশ। নিরাপত্তার স্বার্থে যখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ ঘোষনা করা হয় তখন তা দুইটা জিনিস প্রমান করে।
এক, দেশের আইন শৃংখলা বাহিনী এখনও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে নাই।
দুই, দেশের অনেক মানুষ এখনও ফেসবুক ব্যবহারের মানসিক যোগ্যতা অর্জন করে নাই।

বিশ্লেষনঃ
অনেকেই বলবেন পুলিশের কথা বাদ দেন, পুলিশ পারে না, পুলিশ করছে না বাট বিশ্বাস করেন কাছ থেকে পুলিশের কার্যক্রম দেখার সুযোগ হয়েছে। তারা দক্ষ জনবল , সীমিত সম্পদ নিয়েও তারা কাজ করছেন। তবে সমস্যা হচ্ছে ক্ষেত্র বিশেষে রাজনৈতিক দূর্বৃত্তায়ন পুলিশের সকল চেষ্টায় জল ঢেলে দিচ্ছে। আপনি পুলিশকে প্রভাব মুক্ত করেন। ১ মাসের মধ্যে পুলিশ সব ঠিক করে ফেলার ক্ষমতা রাখে। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনৈতিক কালচারে এটা পুলিশ পারছে না। ফলে তারা হারাচ্ছে মোরালিটি ও ইন্সপারেশন। সাম্প্রতিক সময়ে ফেসবুকে যেভাবে প্রপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে এবং ধর্মকে ব্যবহার করে উম্মাদনা সৃষ্টি করা হচ্ছে সেটা খুব বিপদজনক পরিনতির দিকেই যাচ্ছিলো।

ফেসবুক একটা উন্মুক্ত মাধ্যম। এখানে একজনের পাবলিক মতামতগুলো ক্ষেত্র বিশেষে অন্যদের উপর প্রভাব বিস্তার করে। যিনি রাজনীতির অ ও বুঝেন না, তিনিও বিশাল বিশাল বক্তব্য দেন হাসিনা খালেদার কি করা দরকার। আবার গত বছর তো একটি রাজনৈতিক দলের নেতারা পুরো সময় ফেসবুকেই আন্দোলন করে কাটাইলো। মরল গিয়ে সাধারন নেতাকর্মীরা। সে বাদ দেন, আমার এলাকার সেলুনের লোকটার ফেসবুক একাউন্ট আছে, আমার অফিসের পিয়নের ফেসবুক একাউন্ট আছে। এমন না যে তারা জামাত শিবির সমর্থন করে, বা ব্লগ সম্পর্কে কোন ধারনা রাখে, বা পলেটিক্স সম্পর্কেও কোন বাস্তব ধারনা রাখে। এরা আমাকে এ্যাড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছিলো। আমি কৌতুহল নিয়ে তাদের পেইজে ঘুরতে দেখিছি তারা দুনিয়ার সব নাখাস্তা চটি ও ধর্মীয় পেইজে লাইক দিয়ে রেখেছে। একই সাথে এরা দুই ধরনের পোস্টই লাইক ও শেয়ার করছে। এরা না বুঝে শেয়ার করছে ব্লগার মানেই নাস্তিক, ইত্যাদি বিভিন্ন জাল হাদিস যেমন স্বামীর পায়ের তলে স্ত্রীর বেহেসত, ছোট খাটো হাদিস যা শেয়ার করলে আপনার মনের ইচ্ছা পূর্ন হবে টাইপের লেখা। মেয়েদের সম্পর্কে এদের মন্তব্য ও চিন্তাধারা অত্যন্ত অশালীন। উনারা সব কিছু লাইক দেন, বুঝে না বুঝে লাইক দেন।

আমার ফেসবুকে ইংরেজীতে দেয়া ৫/৬ টি স্ট্যাটাসে তাদের লাইক দেখলাম, যা তাদের বিন্দুমাত্র বুঝার কথা না। বিভিন্ন পরিচিত কয়েজনক ফেসবুক সেলিব্রেটির একাউন্টেও এদের লাইক দেখেছি। এরা সবাইকে গনহারে ফলো করে। আর কোন ছবিতে বা কোন স্ট্যাটাসে যদি নাস্তিক, সরকারের দালাল, দাজ্জাল জাতীয় শব্দ থাকে, সেখানে সাথে সাথে লাইক ও শেয়ার। ধর্ম ভেদে যার যার ক্যাটাগরীর যেমন হাদিস বা হিন্দু ধর্মের কোন কোটেশন এরা নিজ নিজ ওয়ালে শেয়ার করে। দুনিয়ার আজগুবি সব বিষয়ে এদের বিশ্বাস। যেমন একটা ছবি দেখলাম ফটোশপ দিয়ে বানানো হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে দুইজন পাইলট যুদ্ধ বিমানের ডানায় বসে ইফতার করছেন। আমার সাবেক অফিসের পিয়ন শেয়ার দিয়ে বলেছে 'subanlla seyar kara'

আবার দেখলাম কোন একটা চটি পেইজে কোন এক মেয়ের ছবি ফেইকভাবে আপলোড করছে, যেখানে মেয়ে লিখছে তারে মিসকল দেয়া হোক, সে কলব্যাক করবে। সে তা শেয়ার করে, নিজের নাম্বার দিয়া আসছে। আমি খুব আতংকিত ফিল করি যখন দেখি এরা বিভিন্ন অশ্লীল ছবিতে লাইক দিচ্ছেন আবার ধর্মীয় প্রচারনায় অংশ নিচ্ছেন। আর এদের এই মানসিক ও শিক্ষার দুর্বলতাকে পুঁজি করেই শিক্ষিত একটি অংশ যারা রাজনৈতিকভাবে কোন একটি দলের সাথে সম্পৃক্ত তারা এই মানুষগুলোকে টার্গেট করে প্রপাগান্ডা তৈরী করছেন। সৃষ্টি হচ্ছে অস্থিরতা। তাছাড়া এই দেশের মানুষের মধ্যে ধর্মীয় প্রপাগান্ডা ছড়ানো খুব সহজ কারন,
ক) আমাদের দেশের মানুষ খুবই ধর্মভীরু
খ) আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে ধর্ম সম্পর্কে প্রকৃত জ্ঞান খুবই কম।
গ) আমাদের দেশের মানুষ জাতিগতভাবে কিছুটা দুর্নীতিপ্রবন। এরা মনে করেন সারাজীবন যতই দুই নাম্বার উপায়ে টাকা কামাক না কেন, শেষ জীবনে একটা মাদ্রাসা, মসজিদ বা ধর্মীয় অন্যান্য ক্ষেত্রে কিছু টাকা দান করে পূন্য কামানো যাবে। এই কারনেই লক্ষ্য করে দেখবেন, বড় বড় ক্ষমতাশীনরাই সাধারনত মসজিদ বা মন্দিরের সভাপতি বা সদস্য হোন। আল্লাহ বা সৃষ্টিকর্তাকে ভালোবেসে খুব কম মানুষই এই সব কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করে। ফলে যখনই ধর্মীয় কোন পূন্য কামাবার সহজ উপায় তারা পান, সেটার সত্য মিথ্যা যাচাই না করেই তা তারা লুফে নেন। এই আচরনের প্রভাব পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও।

ফলে অল্প শিক্ষিত মানুষরা যখন এই জাতীয় কিছু দেখে তখন তাদের ঈমানী জোস বা ধর্মীয় আদর্শ মাথা চাড়া দিয়ে উঠে। তারা নিজেদের অলক্ষ্যেই জড়িয়ে পড়ছে ভয়ংকর ধর্মীয়-রাজনৈতিক প্রপাগান্ডায়। যেমন রামুতে হামলা এবং রাজাকার খ্যাত দেলোয়ার হোসেন সাঈদিকে চাঁদে দেখার বিষয়টি। আফসোস হচ্ছে, এই দেশে মানুষ আযান শুনলে মসজিদে যেতে দ্বিধা করলেও, নায়েরে তকবীর শুনলে জিহাদী জোসে লাফালাফি শুরু করে।

এনিওয়ে, অনেকেই বলতে শুনি আমাদের দেশের অনেক মানুষ এখনও ফেসবুক ব্যবহার করার উপযুক্ত নয়। আমিও তাই মনে করি। আগে দেশে শিক্ষার মান বাড়ান, মানুষের মনে সত্যিকার জ্ঞানের আলো জ্বলুক, রাজনৈতিক অস্থিরতা কমুক। মানুষ সচেতন হোক, তারপর ফেসবুক ওপেন করা হোক। এটা মন্দের ভালো। তাই ফেসবুক বন্ধকে আপাতত আমি সমর্থনই করছি। তরুন প্রজন্মের উচিত সেলফি মেনিয়া থেকে মুক্ত হয়ে পড়াশোনায় মনোযোগ দেয়া। নিজেকে প্রস্তুত করা।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৫

মুহাম্মদ তারেক্ব আব্দুল্লাহ বলেছেন: হ্যাঁ ভালো লিখেছেন এবং সত্যটাই লিখেছেন । তবে কিছু স্থানে একমত হতে পারলাম না ।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫১

মুখ ও মুখোস বলেছেন: থ্যাংকস পড়ার জন্য। কোন অংশগুলোতে আপনার দ্বিমত আছে? আপনার মতও জানতে চাই।

২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫০

প্রক্ষাপন বলেছেন: হ্যাঁ ভালো লিখেছেন এবং সত্যটাই লিখেছেন । তবে আমিও কিছু স্থানে একমত হতে পারলাম না বলে দুঃখিত।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫২

মুখ ও মুখোস বলেছেন: আরে! দুঃখ প্রকাশ কেন করবেন? হাজারো মানুষ, হাজারো মত! আপনাদেরটাও আমার সাথে শেয়ার করেন।
পড়েছেন বলে থ্যাংক্স!

৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৫

মুহাম্মদ তারেক্ব আব্দুল্লাহ বলেছেন: ভাইজান দ্বিমতের স্থানগুলো উল্লেখ করতে গেলে তর্কে লিপ্ত হয়ে যাব, আর সেটা আপাদত আমি চাচ্ছি না । দুঃখিত ।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০০

মুখ ও মুখোস বলেছেন: কি আশ্চর্য!! ব্লগ মানেই তো ভাই তর্ক বিতর্কের জায়গা। মানে আমি তো এটাই জানতাম! যৌক্তিক তর্ক থেকেই তো মানুষ নতুন কিছু শিখে।

৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৬

মুহাম্মদ তারেক্ব আব্দুল্লাহ বলেছেন: ইতিমধ্যেই অনেকের সাথে তর্কে লিপ্ত হয়ে স্বৈরাচারী ব্লগার হিসাবে জিবন যাপন করছি ।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৩৪

মুখ ও মুখোস বলেছেন: আমি জানি না আপনি কি নিয়ে তর্ক করে ঐ উপাধি পেয়েছেন। যৌক্তিক বিষয়ে আলোচনা সব সময় স্বাগত।

৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৯

sunny09 বলেছেন: সমর্থন করলাম।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৩৫

মুখ ও মুখোস বলেছেন: শুভেচ্ছা জানবেন।

৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: একমত| ফেবু ব্যবহারের যোগ্যতা এখনও অনেকের হয়নি

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৩৫

মুখ ও মুখোস বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:০৪

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আমিও আপনার সাথে ৯৫ পারসেন্ট একমত।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৩৬

মুখ ও মুখোস বলেছেন: ধন্যবাদ। দ্বিমতের বাকি ৫% আমার তথা আমাদের সাথে শেয়ার করুন। ভালো একটা আলোচনা হোক, সেটাই চাই।

৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:৪০

রাফা বলেছেন: আপাতত বন্ধ রাখাতে আমি যথার্থই খুশি।

অনেক মানুষ যেমন ফেসবুকের সঠিক ব্যাবহার জানেননা।আবার অনেকেই এর মাধ্যমে জিবিকা নির্বাহ সহ ভালো ভালো কাজ করছেন।কোন কিছু বন্ধ করে রাখাটা কোন সমাধান নয়।এমনিতেই আমরা অনেক পিছিয়ে আছি উ্ন্নত বিশ্ব থেকে।শুধু সাবমেরিন কেবল গ্রহণ করি নাই বলে পার্শবর্তি অনেক দেশ থেকেই পিছিয়ে আছি আমরা প্রযুক্তিগত ভাবে।

ধন্যবাদ,আপনার যুক্তিপূর্ণ লেখার জন্য।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৫১

মুখ ও মুখোস বলেছেন: হুমম সেটা ঠিক বলেছেন। যারা আসলে ফেসবুকে ব্যবসা করছেন, তাদের জন্য ঝামেলা হয়ে গেলো। তাদের ব্যবসা বন্ধ। অবশ্যই কোন কিছু বন্ধ রাখাটা সমাধান না। তারপরও যে কারনে বন্ধ রাখা হলো, তা না পারতেই আমি সমর্থন জানালাম।

৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অনেক কাজের কথা বলেছেন। অনেক ক্ষেত্রেই নিজের অভিজ্ঞতার সাথে মিল পেলাম।

আমাদের দেশে থ্রিজি'র কল্যাণে যেভাবে যত্রতত্র ফেইসবুক ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে নিজে খুবই আতঙ্কিত বোধ করি। শেষে হয়তো নিজেই ডিএক্টিভেট করে রেখে দিতে পারি।

এই লেখাটি শেয়ার হওয়ার প্রয়োজন আছে। তাতে কিছুটা সচেতনতা সৃষ্টি হতে পারে।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২১

মুখ ও মুখোস বলেছেন: শুভেচ্ছা আপনাকে। আমার ব্লগে আপনাকে পেয়ে সত্যি খুব ভালো লাগছে। শিক্ষা ও রুচির অভাবে ফেসবুকের এই অপব্যবহার সত্যি ভয়ংকর দিকে নিয়ে যাবে আমাদের।

আমি নিয়মিত থাকতে পারি না ব্লগে। তারপরও সময় পেলেই লেখার চেষ্টা করি। জানি নতুনদের পরিচিতি পেতে কিছুটা সময় দিতে হয়, ভালো লেখার চেষ্টা করতে হয়। আমি তো ভালো লিখতেও পারছি না, সময়ও দিতে পারছি না। তাই হয়ত কেউ আমার ব্লগে আসেন না।

থ্যাংক্স। আমার ব্লগে আসার জন্য।

১০| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৫

ইকবালবিডি০৯ বলেছেন: ভাই খুব ভালো লিখেছেন, যা আমার অভিজ্ঞতা ও অনুভূতির সাথে মিলে গেছে। আপনার লেখা মানবিক ও সামগ্রীক, ‍আপনার লেখায় ২৫% আপনার পছন্দের দলের টান (যেমনঃ চলিত ভাষায কথা বলার ক্ষেত্রে অঞ্চলিকাতার টান) যাকে আমরা এক কথায় ঘেষা বলি । আমার বিশ্বাস মতে সামুতে সাধারণের পক্ষে কথা বলে । যার জন্য সামুর হেডারে লেখা আছে “বাঁধ ভাঙ্গার আওয়াজ ” বলি, তবে আপনি বাস্তব অবস্থা গুলো খুব সুন্দরভাবে লিখেছেন। কামনা করি আপনার লেখা যাতে প্রভাব মুক্ত হউক।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৪

মুখ ও মুখোস বলেছেন: দেখেন, আমি স্বাধীনতা বিরোধী কাউকে পছন্দ করি না, সমর্থন নেই। ব্লগে এসেছি এই সব দলবাজি নিয়ে যারা ব্যস্ত তাদেরকে দুইটা কথা নিশ্চিন্তে শোনানোর জন্য। সত্য কখনই নিরপেক্ষ না, সে কারো না কারো পক্ষেই যাবেই। তাই অনেক সময় হয়ত মনে হতে পারে আমি কোন দল ঘেষা কথা বলছি।

আমি সাধারনের কথাই বলতে চাই। আপনি আমার ব্লগে এসেছেন, আলোচনায় অংশি নিসেন, তার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আমি নিজেও প্রভাব মুক্ত লিখতে চাই।

১১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৪

আরজু পনি বলেছেন:

পুরোটাই সহমত ।
তবে সুশিক্ষিত (প্রকৃতপক্ষেই সুশিক্ষিত) জনগোষ্ঠি এই ফেসবুককে খুব ভালো কাজে লাগাচ্ছে...সেগুলো মিস করবো ।
আর ফেসবুকের বিকল্প হিসেবে গুগল প্লাসেও আমি একই সমস্যা দেখেছি । যদিও তাতে মানুষের আনাগোনা ফেসবুকের মতো এতো ব্যাপক না হ্ওয়ায় নোংরামীর বিস্তার কম চোখে পড়ে ।
ফেসবুক বন্ধ থাকবে কি না সে নিয়ে আমার বলার তেমন কিছু নেই । তবে আমার নিজেরই অনেক যোগার করা তথ্য ফেসবুকে "অনলি মি" করে রাখা ছিল সেগুলোর কী হবে ? :((

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৫

মুখ ও মুখোস বলেছেন: কাজের ব্যস্ততায় দেরী হলো জবাব দিতে। আমি মনে করি ফেসবুক আর ব্লগ এখন সমাজের অংশ। জানালা বন্ধ করে আপনি সূর্যের আলো হয়ত ঠেকাতে পারবেন, কিন্তু বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেন পাবেন না। অক্সিজেন না পেলে কেউ বাঁচবে না।

১২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৯

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: ফেসবুক আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করা হইলে খুশী হইতাম। কিন্তু আপনি প্রধানত বললেন আমাদের দেশের মানুষ এখনো ফেসবুক ব্যবহারের উপযুক্ত নয়। সেই হিসেব করলেতো আমাদের দেশের মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহারেরই উপযুক্ত নয়। পর্নগ্রাফী সহ নানা হাবিজাবি জিনিস ছড়ায় এই ইন্টারনেটের কারনেই। চটিপেজ, পর্ন সাইট এইসবের অভাব নাই নেটে। যার চুলকানি আছে সসে ওইটা খুঁজে নিবেই।

কোনটা থাকা উচিত এবং কোন মাত্রায় থাকা উচিত সেটা ভালো খারাপ সবদিক বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। আর বাস্তবতা হচ্ছে এইগুলা কোনকিছু দিয়েই চেক করা সম্ভব না। চীনে এ ব্যাপারে সবচেয়ে কড়াকড়ি, সবকিছু ফিল্টার করা হয়। আর ওরা নিজেদের জনগনকে এসবের প্রভাবমুক্ত রাখতে অনেকটা সফল। ওরা নিজেদের প্ল্যাটফর্ম ইউজ করে। কিউকিউ ওইখানে ফেসবুকের চেয়ে অনেক অনেক বেশি জনপ্রিয়। আর এ নিয়ে ওদের মধ্যে কোন অসন্তোষও নাই।

এইসবকে এভাবে দুইচারদিন ব্লক করে নিয়ন্ত্রন সম্ভব না। সরকার যে উদ্দেশ্যের কথা বলে সেটা হাস্যকর। ঘোষনা দিয়ে এইসব ব্লক অরা ছেলেমানুষী কাজকারবার। এর মাধ্যমে বিকল্প পথগুলো খুঁজে নিতে উতসাহিতই করা হয়। সরকারের কোন কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রন কিংবা মনিটরিং ক্যাপাবিলিটি নাই। পর্নগ্রাফিক সাইট এবং নানা অনৈতিক অসাধু সাইট সেন্ট্রালী ব্লক করবার ব্যবস্থা থাকা উচিত। আর চটি আর উস্কানিউলক পেজ মনিটরিং এর জন্য অল্পকয়জনের একটা টীম থাকাই যথেষ্ঠ। মাসে যদি ১০-১৫ জনকেও ধরে স্বপ্লমাত্রায় বিচারের ব্যবস্থা করা যায় তাহলে সেটাও অন্যদের আরো সাবধান করবে আজেবাজে জিনিস না ঘাটতে এবং শেয়ার করতে। আর নীতিগতভাবে সেটা সঠিকও হবে।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৭

মুখ ও মুখোস বলেছেন: ঠিক বলেছেন। আমাদের দেশের মানুষ সহজ সরল এবং ধর্মভীরু। এই কম্বিনেশনগুলো খুব চিন্তার। ফলে দেশে গিয়ে কয়েক মাসের পরিচয়ে আমার সেলুনের ছেলেটা আমাকে ফেসবুকে এ্যাড পাঠিয়েছিলো।

উপরে একজন ব্লগারকে আমি মন্তব্য দিয়েছিলাম যে, জানালা বন্ধ করে আপনি সূর্যের আলো হয়ত ঠেকাতে পারবেন, কিন্তু বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেন পাবেন না। অক্সিজেন না পেলে কেউ বাঁচবে না। এটা আমি সরকারকে উৎসর্গ করলাম।

১৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৩

প্রামানিক বলেছেন: অনেক কাজের কথা বলেছেন। ভাল লাগল। ধন্যবাদ

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২০

মুখ ও মুখোস বলেছেন: আপনাকে তো অধিকাংশ সময়ে দেখি পোস্ট পড়ার আগেই মন্তব্য ফাস্ট হবার জন্য মন্তব্য করেন। পুরো পোস্ট অনেক সময় ঠিক মত হয়ত এই কারনে পড়াও হয় না। আমি আশা করি আপনি আমার পোস্ট পড়েছেন, অনুধাবন করেছেন।

একটা মজার বিষয় বলি, আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ব্রাজিলের ভদ্রলোক পিএইচডি করছেন। তিনি দেখতে প্রায় আপনার মত। একদিন দেখে বেশ অবাক হয়েছিলাম।

১৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫১

মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন পারবেজ বলেছেন: সহমত!!

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২১

মুখ ও মুখোস বলেছেন: থ্যাংক্স :)

১৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৮

সালাহউদ্দীন আহমদ বলেছেন:
একমত হতে পারলাম না। ফেসবুক, মাইস্পেস, লিংকডইন, গুগলপ্লাস এগুলো যখন ছিলোনা তখন কি বাংলাদেশ অচল ছিলো? যখন হলমার্ক আর আর্চির কার্ডের দোকান ছিলোনা, বাংলাদেশের জনগণ ভ্যালেন্টাইন ডে কি জানতো না তখন কি ভালবাসা ছিলোনা। ফেসবুক বন্ধ হওয়ায় কিছু বিরক্ত লেগেছে, এই পর্যন্তই। কিন্তু আপনারা যেভাবে ফেসবুককে একটা পূজোনীয় আইডলে পরিণত করছেন, সেটা হাস্যকর। "দেশের অনেক মানুষ এখনও ফেসবুক ব্যবহারের মানসিক যোগ্যতা অর্জন করে নাই।"
বহুদিন আগে ব্লগার জেরী একটা চমৎকার কথা বলেছিলেন - "ব্লগকে এত্তো সিরিয়াসলি নেবার কিচ্ছু নেই"। তখনও একদল লোক সিন্ডিকেটেড ব্লগিং, পেইড ব্লগিং, দলাদলি নিয়ে খুব মাতামাতি করতো। নাহয় গ্রাম বাংলার প্রত্যন্ত এলাকায় একদল হাম্বা ফেসবুকে লাইক দিয়ে "লাইফ এনজয়" করছে। থাকুক না সে তার এই সামান্য সুখটা নিয়ে। ফেসবুক ব্যবহারের জন্য কি মানসিক যোগ্যতার দরকার? এম.আই.টির পি.এইচ.ডি?

যাহোক, গায়ে পড়ে ঝগড়া করার জন্য দুঃখিত। আপনাকে একটু অন্যরকম ভাবতাম।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০১

মুখ ও মুখোস বলেছেন: হা হা হা! নাহ! আপনাকে স্বাগতম সালাউদ্দিন ভাই। আমি ঝগড়া হিসেবে দেখছি না। আমি আলোচনা হিসেবেই দেখছি। আসলে টোটাল বিষয়টা হচ্ছে একটা বিরক্তির বহিঃপ্রকাশ। মাঝে মাঝে কিছু বিষয় দেখলে আসলে সহ্য হয় না। আপাতত ব্যস্ত আছি সালাউদ্দিন ভাই। পরে আলোচনায় অংশ নেব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.