নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখতে পারি না, তাই পড়তে এসেছি।

মুখ ও মুখোস

সত্য নিরপেক্ষ নয়, সে সব সময় এক পক্ষেই থাকে।

মুখ ও মুখোস › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুইটি প্রশ্নঃ যারা জানেন, তারা উত্তর দিন। না দিতে পারলে উল্টা পাল্টা কথা বইলেন না।

২৫ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৪

কুরআনে প্রায় বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের মোট ১১৪টি সূরা রয়েছে। সকল সূরা মিলিয়ে মোট আয়াতের (আয়াত আরবি শব্দ, এর সাহিত্যিক অর্থ নিদর্শন) সংখ্যা প্রায় ৬২৩৬ (মতান্তরে ৬৩৪৮টি অথবা ৬৬৬৬টি)। প্রত্যেকটি সূরার একটি নাম রয়েছে। নামকরণ বিভিন্ন উপায়ে করা হয়েছে। অনেকেই বলেন, সূরার অভ্যন্তরে ব্যবহৃত কোনো শব্দকেই নাম হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে। কিন্তু যদি আমরা ফাতিহা সুরাটি পড়ি, সেখানে ফাতিহা শব্দটি যা সূরার অভ্যন্তরে কোথাও ব্যবহৃত হয়নি। তাহলে এই সুরাটির নামকরন কে করল?

আমরা দেখেছি যে কোরানে বর্ণিত সূরাগুলোর একটি নির্দিষ্ট সজ্জা রয়েছে। কিন্তু এই সজ্জাকরণ তাদের অবতরণের ধারাবাহিকতা অনুসারে করা হয়নি। বরং দেখা যায় অনেকটা বড় থেকে ছোট সূরা অনুযায়ী সাজানো; কিন্তু এটিও পুরোপুরি সঠিক নয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কিভাবে এই সূরাগুলোকে সজ্জিত করা হলো। এই সজ্জাকরন কি প্রফেট মোহাম্মদ (সাঃ) জীবিত থাকাকালীন সময়ে হয়েছে কিনা?

ইসলামের বেসিক কি? ব্যাসিক হচ্ছে আমাদেরকে বিশ্বাস করতে হবে আল্লাহ এক এবং অদ্বিতীয় এবং নবী মোহাম্মদ (সাঃ) তাঁর প্রেরীত রাসুল। আমরা এটাও জানি যে, মোহাম্মদ (সাঃ) শেষ নবী, তাঁর মাধ্যমে খতমে নবুয়ত হয়েছে। আমরাও এটাও জানি, কোরানের আয়াত সমুহ সম্পূর্ন অবিকৃত অবস্থায় আছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠে, কে বা কারা, কার অনুমোদনের ভিত্তিতে কোরানের এই সজ্জাকরন করেছিলেন? বা বিভিন্ন সুরা ও আয়াতের খেতাব এবং পারা হিসেবে কারা ভাগ করেছেন?

যদি এই সম্পর্কিত কোন সঠিক তথ্য আপনাদের কারো জানা থাকেন, তাহলে উপযুক্ত রেফারেন্সসহ আমার সাথে শেয়ার করবেন।

কোরান শরীফকে আয়াতের দিক দিয়ে আমরা শতভাগ অবিকৃত হিসেবে জানি, কিন্তু যদি আল্লাহ বা রাসুল (সাঃ) অনুমোদন ছাড়া এই কাজটি সম্পন্ন করা হয়, তাহলে কোরান কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছে - এই অভিযোগটি কি সত্যতা পাবে না।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝার সক্ষমতা দান করুন। দ্বিতীয় প্রশ্ন হজ্জ সম্পর্কিত। ইনশাল্লাহ সেটা আগামী পর্বে জিজ্ঞেস করব।



মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৯

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: এই প্রশ্নটা কি আপনি কোন আলেম ওলামাকে করেছেন? ব্লগতো এ ধরণের বিষয় জানার জায়গা না!

আবার বলাও যায় না, যদি কোন আলেম ব্লগে থেকে থাকেন, হয়ত জবাব পাবেন। তারপরেও ওলামাদের কাছে গিয়ে এ ধরণের জ্ঞান আহরণের চেষ্টা করা উচিত।

http://www.ahlehaqmedia.com/
এই সাইটেও সম্ভবতঃ প্রশ্ন করার সুযোগ আছে।

২৬ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:২৭

মুখ ও মুখোস বলেছেন: জী, অনেককেই করেছিলাম, অধিকাংশ আবজাব বুঝানোর চেষ্টা করে। অনেকেই স্বীকার করেছেন, তারা আসলেই জানেন এবং এই জাতীয় কোন ব্যাপার তাদের মাথায় আসে নাই। সর্বশেষে একজন আমাকে পরামর্শ দিয়েছেন এই সব অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে মনোনিবেশ না করে নামাজ কালামে মন দেয়ার জন্য। এই সব প্রশ্ন শয়তানের ধোঁকা।

২| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৫০

হানিফঢাকা বলেছেন: পিসির সামনে বসার সময় পেলে উত্তর দেবার চেস্টা করব

২৬ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:০৬

মুখ ও মুখোস বলেছেন: আমি ব্যক্তিগতভাবে আপনার কথা ভেবেছিলাম। আপনার উত্তরের জন্য অপেক্ষা করছি।

৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭

হানিফঢাকা বলেছেন: প্রথম কথা হচ্ছে কোরআনে ৬৬৬৬ আয়াত নেই, সে যে কোন মতবাদই হোক। এইটা একটা প্রচলিত ধারনা যার কোন ভিত্তি নেই।

কোরানের এই সজ্জাকরন আল্লাহর নির্দেশেই কোরআন অবতীর্ণ হবার সময় করা হয়েছিল। আজকে যে কোরআন দেখছেন, নবী মোহাম্মদের কাছেও সেই একি সজ্জা বিশিষ্ট কোরআন ছিল। কোন মানুষ এইটা করেনি। কোরআন থেকে এর ইঙ্গিত পাওয়া যায়।

“তাড়াতাড়ি শিখে নেয়ার জন্যে আপনি দ্রুত ওহী আবৃত্তি করবেন না। এর সংরক্ষণ ও পাঠ আমারই দায়িত্ব। অতঃপর আমি যখন তা পাঠ করি, তখন আপনি সেই পাঠের অনুসরণ করুন। এরপর বিশদ বর্ণনা আমারই দায়িত্ব।“(৭৫:১৬-১৯)

“হে বস্ত্রাবৃত! রাত্রিতে দন্ডায়মান হোন কিছু অংশ বাদ দিয়ে; অর্ধরাত্রি অথবা তদপেক্ষা কিছু কম অথবা তদপেক্ষা বেশী এবং কোরআন আবৃত্তি করুন সুবিন্যস্ত ভাবে ও স্পষ্টভাবে।“(৭৩:১-৪)

আপনার এই প্রশ্নটার উত্তর আরও বিশদ্ ভাবে দিতে গেলে কোরআন সংরক্ষণ নিয়ে ছোট করে হলেও কিছু বলতে হবে, যেহেতু এইটা রিলেটেড। এটা এইভাবে বলা যায়, আল্লাহ কোরআনের বিভিন্ন জায়গায় কোরআন কে কিতাব বা পুস্তক হিসাবে উল্লেখ করেছেন। সুরা বাকারার প্রথমেই বলা আছে ইহা এমন একটি কিতাব যাতে কোন সন্দেহ নেই। সুতরাং কেউ যদি ব্রেইন ওয়াশড না হয়ে থাকেন তবে বুঝবেন যে, কোরআন সেই সময়ে কিতাব বা বই হিসাবেই সংরক্ষিত ছিল। গাছের ছালে, পাথরে, পাতায় বিচ্ছিন্ন ভাবে লেখা আয়াত কে ( যা প্রচলিত ধারনা এবং সম্পূর্ণ ভুল ধারনা) কেউ কিতাব বা বই বলে না।

কোরআন নবী মুহাম্মদের সময়েই মুখস্ত করার পাশাপাশি পুস্তক আকারে সংরক্ষিত ছিল, এর প্রমান আল্লাহ কোরআনকে বিভিন্ন জায়গায় কিতাব বলেছেন এবং কোরআনের আরও বিভিন্ন আয়াতে এর প্রতিফলন দেখা যায় যেমনঃ

এটা লিখিত আছে সম্মানিত, উচ্চ পবিত্র পত্রসমূহে, লিপিকারের হস্তে, যারা মহৎ, পূত চরিত্র। (৮০:১৩-১৬)

এছাড়াও এর পক্ষে প্রচুর লজিক্যাল আর্গুমেন্ট আছে যার প্রমান কোরআন থেকেই দেওয়া যায়। আমার মনে হয় এতটুকুই যথেষ্ট।

ধন্যবাদ আপনাকে।

বিঃদ্রঃ

আপনার এই প্রশ্নটার উদ্রেক হবার পিছনে কারন সম্ভবত প্রচলিত ধারনা "কোরআন নবীর মৃত্যুর অনেক পরে কালেকশন হয়ে পুস্তক আকারে সংরক্ষিত হয়"। বিনীতভাবে বলছি, আমি কোরআন সংরক্ষণ সংক্রান্ত অনেক হাদিস অনেক আগে একসাথে পড়ে দেখেছি এবং এইগুলি সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা ছাড়া আর কিছুই না। আপনি ইচ্ছা করলে পড়ে দেখতে পারেন। এই হাদিস গুলি কোরআন কে হেয় করা ছাড়া আর কিছুই না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.