নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুখ ও মুখোশ ব্লগ

মুখ ও মুখোশ

প্রতিটি মানুষের মনে কষ্ট রয়েছে, শধু সেই কষ্টগুলো চেপে রাখার ধরন ভিন্ন ।। বোকা মানুষ কান্নার মাধ্যমে চেপে রাখে , আর বুদ্ধিমানেরা হাসি দিয়ে............

মুখ ও মুখোশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা এখন ছম্মাক ছলো ছম্মাক ছলো বলিতেছি আর আপন পশ্চাতদেশ চাটিতেছি, জয় হিন্দ!!!!

১৪ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৩৯

সারাদিন ঘরেই ছিলাম। টিভির রিমোট ঘুরাতে ঘুরাতে হঠাৎ দেখলাম টি-২০ র উদ্বোধনী অনুষ্টান হচ্ছে। কিছুক্ষন দেখার পর হিন্দি গানের ভীরে মিনমিনে গলায় কিছু বাংলা গানও দেললাম। কিন্তু দর্শকদের হিন্দি প্রেমে বাঙ্গালী শিল্পীদের অসহায়ই মনে হল। যাহোক শেষপর্যন্ত সেই রাগ আর ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ নাকি বাচ্চু ভাই খানিক দেখালেনও বটে। এটা আমাদের শিল্পীদের প্রাপ্যই ছিল। এদের জন্য মায়া হল না করুনা হল ঠিক ঠাহর করেতে পারলাম না। যাহোক এখন পর্যন্ত তো উনারা কয়েকটা বাংলা গান গাইতে পেরেছেন, কিছুদিন পর হয়ত স্টেইজেই উঠতে পারবেন না, সেদিন আর বেশী দুরে নেই ...................



_________________________________________

একবার এক বিজ্ঞ ব্যক্তি তার শিষ্যদের ডেকে বলিলেন, এ নাও কাচাঁমরিচ। একটা বিড়ালের দিকে আঙ্গুল দেখাইয়া বলিলেন, উহাকে কাচঁমরিচ খাওয়াইতে হবে।



গুরুর আদেশ শিরোধার্য। প্রথম শিষ্য বিড়ালকে ধরিয়া তাহার মুখে কাচাঁমরিচ ঠাসিয়া দিতে লাগিল কিন্তু কিছুতেই কিছু হল না। সেই উহাতে ব্যর্থ হইল। বিড়ালের নখের আঘাতে খনিকটা আহতও হইল। পরের শিষ্য অতি চালাকি করিয়া এক বাটি দুধ আনিয়া তাহাতে কাচাঁমরিচ মিশাইয়া দিল। বিড়ালকে জোর করিয়া বাটির কাছে আনাও হইল। কিন্তু দুষ্ট বিড়াল খানিক কয়েকবার গন্ধ শুকিয়া ভেংচি কাটিয়া চলিয়া গেল। এভাবেই প্রত্যেক শিষ্যই ভিন্ন ভিন্ন পন্হা অবলম্বন করিয়াও ব্যর্থ হইল।



অবশেষে বিজ্ঞ ব্যক্তি বলিলেন, আমাকে একটি কাচাঁমরিচ দাও। তিনি উহা নিয়া বিড়ালের পশ্চাতদেশে ঢলিয়া লাগাইয়া দিলেন। এবার সকলে অবাক হইয়া দেখিলেন, বিড়াল নিজে থেকেই আপন পশ্চাদদেশ চাটিয়া চাটিয়া কাচাঁমরিচ খাইতেছে....................................



__________________________________________

__________________________________________

পাকিস্হানীরা আমাদের জোর করিয়া উর্দু খাওয়াইতে চাহিয়াছিল, পারে নাই। ব্যর্থ হইয়াছে। এখন ভারতীয়রা আমাদের পশ্চাতদেশে হিন্দি ডলিয়া দিয়াছে। জ্বলিতেছে বটে! কিন্ত আপন পশ্চাতদেশ চাটিয়া হিন্দিও খাইতেছি আর ছম্মাক ছলো ছম্মাক ছলো বলে নেংটো হয়ে ধেই ধেই করে নাচিতেছি, জয় হিন্দ!!!!



মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৫৭

কালীদাস বলেছেন: কিছু মনে কইরেন না, ইন্ডিয়ানরা যতটা না আমাদের পশ্চাদ্দেশে দিছে, তারচেয়ে বেশি আমরা পাইতা দিছি।

অনেক বাসাবাড়িতে দেখবেন, ডিশে সব চ্যানেল পইড়া থাকে, নিজেরাই সারাদিন বালের সিরিয়ালডি চালায়া বইসা থাকে।

একেকটা জাতীয় বা ধর্মীয় উৎসব আসে, মনে হয় ইন্ডিয়ান গানবাজনা ধুমসে না চললে উৎসব পুরা হইব না। ২১শে ফেব্রুয়ারি টেকা তুলে ভাষা দিবসের সিন্নির নামে, বাজায় হইল হিন্দি গান।

এই বালেগর গান যখন ফোকাস করব ঠিকই করছিল- কেন তাইলে আমাদের এবিরে দাওয়াত দিয়া অপমান করল? এই দোষ কার? আমাদের নিজেদের।


এবির মত সেলফ লার্ণড গীটারিস্ট কয়টা আছে দুনিয়ায়? এই বালের একন আমেরিকার রাস্তায় শয়ে শয়ে পাওয়া যাইব...আমরা কেন নিজেদের মেরিটরে অপমান করুম কয়টা ইন্ডিয়ান কালচার ভক্ত আবালরে খুশি করতে যায়া? আমটা টেকা খরচ কইরা দাওয়াত দিয়া আনছি বইলা হেরা পারছে োয়া ঘুরায়া নাচতে, নাইলে নিজের গরজে আইত??

১৪ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:০৭

মুখ ও মুখোশ বলেছেন: সহমত............ধন্যবাদ আপনাকে

২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৫৯

নুসরাতসুলতানা বলেছেন: কালীদাস বলেছেন:

'অনেক বাসাবাড়িতে দেখবেন, ডিশে সব চ্যানেল পইড়া থাকে, নিজেরাই সারাদিন বালের সিরিয়ালডি চালায়া বইসা থাকে।'------- এটিই আসল সমস্যা ।

১৫ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:২৩

মুখ ও মুখোশ বলেছেন: এটা এখন সব বাসাবাড়ির জন্য প্রযোজ্য এবং তা হতে আমি নিজেও মুক্ত নই। তবে নিজে যতক্ষন বাসায় থাকি জোরে বা কৌশলে বউ ছেলে মেয়েকে খানিক হিন্দি মু্ক্ত রাখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে মন চায় ডিশ লাইনটাই কেটে দেই ........................ঠিক মাথা ব্যাথার কারনে পুরো মাথাটাই কেটে ফেলার মত!!!!


যাহোক, আমাদের সবাইকে যার যার অবস্হান থেকে একটু একটু করে এর থেকে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করতে হবে নতুবা সামনে আর বড় অপমান ও বিপদ অপেক্ষা করছে।

কোন জাতিকে ধ্বংস বা জয় কারার জন্য প্রথমেই নাকি তার সংস্কৃতিকে ধ্বংস করতে হয়........................অন্তরালে এরকমই কিছু হচ্ছে কিনা তা ই বা কে জানে

আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুক, আমীন।

ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকবেন নুসরাত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.