নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন মুসলমান, এএকজন বাংলাদেশী। অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়াশুনা করছি। লেখে-লেখি শখের বশে করে থাকি। পড়তে ভালোলাগে। সদা সত্য ও সুন্দরের পক্ষে।

এম মুক্তাদির

একজন মুসলিম, একজন বাংলাদেশী। অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়া শুননা করছি। লেখা লেখি খুব কম, শখের বশে করি। পড়তে ভালোবাসি।

এম মুক্তাদির › বিস্তারিত পোস্টঃ

নয়দুরিয়া, নাপিতিয়া ঝর্ণা, মীরসরাই।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:২৯

ঘুরাঘুরি আমার কাছে নেশার মত। বাংলাদেশের অপরুপ সৌন্দর্য্য যতই দেখি ততই মুগ্ধ হই।
পূজার ১ সপ্তাহ ছুটি। কলেজ থেকে বাসায় ফিরছি। আর আমার মাথায় ঘুরছে, ১ সপ্তাহ কি করব??? পড়াশুনা আর ভালো লাগছে না। এরিই মধ্যে ২ দিন কেটে গেলে এদিক সেদিক করতে করতে। হঠ্যাৎ ফেইসবুকে একটা স্ট্যাটাস, একটা গ্রুপ ঘুরতে গেছে মীরসরাই খইয়াছড়ি। ব্যাস পেয়ে গেলাম কোথায় যাবো। সাথে ছিল বড় ভাই, আনছার ভাই। উনাকে বললাম ভাই খইয়াছড়ি যাবো। বলে রাখি ভাইয়ার বাড়ি সীতাকুণ্ড। ভাইয়া বলল আমি জানাবো। রাতে ৮ টার দিকে কল করে বলল খইয়াছড়ি যাবা?? আমি তো এক পায়ে খাড়া, বললাম ভাই কয়টায় বাহির হব। যাক রাতটা উত্তেজনাতেই কাটল। সকালে ব্যাগ গুছিয়ে ৮ টায় রওয়ানা হলাম।
একে খান থেকে একটা লোকাল বাসে উঠলাম, আর ভাইয়া সীতাকুণ্ড। আমরা একসাথ হব নয়দুরিয়া। যেই কথা সেই কাজ। সকাল৯.২৫ এ নয়দুরিয়া নামলাম। সেখানে আমাদের সাথে যোগ হল, ভাইয়ার ভাগিনা সজীব। মূলত আজকের ট্যুরে সে আমাদের গাইড। তার বাড়ি সেখানেই। এখন প্ল্যানে কিছু চেইঞ্জ আসলো, আমাদের গাইড বলল, খইয়াছড়িতে একটা ঝর্ণা আছে, আর সেখানে ভীড় প্রচুর। এর থেকে আমরা নাপিতিয়া ঝর্ণায় যাবো। সেখানে তিনটা ঝর্ণা দেখতে পাবো। আমরা ও সন্মতি দিলাম। ৯.৩০ এ যাত্রা শুরু করলাম। নয়দুরিয়া থেকে গ্রামের ভিতর দিয়ে হাটতে শুরু করলাম। কিন্তু বাধ সাধলো বৃষ্টি। কিছু দূর যাওয়ার পরই ঝুম বৃষ্টি শুরু হল। একটা দোকানে দাড়ালাম। বৃষ্টি থামার অপেক্ষায় আছি। ১৫ মিনিট চলে গেল, এখনো দোকানে। বৃষ্টি থামার কোন লক্ষনই নাই। সিদ্বান্ত নিলাম বৃষ্টিতে ভিজেই রওয়ানা দিব। যেই কথা সেই কাজ, একটা পলিথিনে তিন জনের মোবাইল গুলো ডুকিয়ে ব্যাগে নিয়েই ঊধ্ব শ্বাসে ছুটতে শুরু করলাম। মিনিট দশেক হাটার পরই সামনে পড়লো একটা ছোট খাটো খাল। নেমে গেলাম তিনজনই। এরি মধ্য জুতা হাতে উঠে গেছে। পানিতে জুতা নিয়ে হাটা যাচ্ছে না। যাই হোক সজীবকে (আমাদের গাইড) অনুসরণ করে পাহাড় আর খাল পেরিয়ে পৌছে গেলাম ১ম ঝর্ণায়। বৃষ্টি হওয়ার প্রচুর পানি নামছিল। যেখানে দাড়িয়ে থাকা সম্ভব না। তাই সেখানে কিছুক্ষন থেকে সামনে এগুতে থাকলাম। এতোক্ষনে অবশ্যই বৃষ্টি থেমে গেছে। আবারো একটা পাহাড় পাড়ি দিয়ে সাপ, ব্যাঙ, জোক, আর পাহাড়ের বৃষ্টির পানির ঢ্ল পার করে পৌছে গেছি দ্বিতীয় ঝর্ণায়। এটাতে কিছুক্ষন ফটোশপ আর ভিজে আরো সামনে আগালাম। এবার যাচ্ছি সবচেয়ে বড় ঝর্ণায়। ২০ মিনিট হাটার পর পৌছে গেলাম কাঙ্খিত স্থানে। অনেক ক্ষন ভিজলাম আমরা, এ যেন এক স্বর্গীয় অনূভূতি। আসতে মন চাইছিল না। কিন্তু সজীব তাড়া দিল। বৃষ্টি আসছে, পাহাড়ি ঢলল নামবে। তাই তাড়া তাড়ি যেতে হবে, নাইলে এখানেই আটকা পড়বো। কি আর করা অনিচ্ছা স্বত্তেও উঠে এলাম। এবার ফিরার পালা। তখন, ১২.৩০ বাজে। এরি মধ্যে আবার বৃষ্টি শুরু হল। বলে রাখি পাহাড়ে বৃষ্টিতে বিপদ বেশী কারণ হঠ্যাৎ করেই চার পাশে পানি বেড়ে যায়। রাস্তা হারিয়ে ফেলা, এবং পাথরের সাথে লেগে আহত হওয়ার সম্ভবনা থাকে। যাই হোক আল্লাহর রহমতে আমরা সুস্থ ভাবেই ফিরে আসলাম, যেখান থেকে পাহাড় শুরু সেখানেই একটা দোকান আছে। ঢুকলাম সেখানে। ক্ষিদায়তো আমাদের অবস্থা খারাপ। দোকানে তেমন কিছু নাই, কলা আর নাটি বিস্কুট নিলাম। তিনজনে মিলে ১৫ টা কলা আর ২ প্যাকেট নাটি খাইলাম, তারপর তিনকাপ চা খেয়ে শরীরকে চাঙ্গা করলাম। বলে রাখি, আর কোন দোকান না থাকায় সব কিছু দাম দ্বিগুন দিতে হইছে। আপনা গেলে সাথে শুকনা খাবার আর পানি নিয়ে যাইয়েন। অতিরিক্ত খরছ থেকে বেচে যাবেন। যাই হোক সেখান থেকে হেটে নয়দুরিয়া রাস্তার মাথায় গেলাম। পুরা রাস্তাতেই বৃষ্টিতে ভিজতে হইছে। সেখান থেকে আমাদের গাইডকে বিদায় জানালাম আর আমরা এক বাড়িতে মূলত ভাইয়ার আপুর বাড়িতে গেলাম, দাওয়াতে, সেই ঘটনা আরেকদিন বলব। স্থানীয়/ পরিচিত কাউকে নিয়ে গেলে সুবিধা, সময় বাঁচবে, ঝামেলা ও এড়ানো যায়। আপনি ও চাইলে ঘুরে আসতে পারেন।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৬

মানবী বলেছেন: অদ্ভুত সুন্দর!

শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ এম মুক্তাদির।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৬

এম মুক্তাদির বলেছেন: ধনবাদ

২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৮

ডা. অমিতাভ অরণ্য বলেছেন: প্রথম আর শেষ দুই টা ছবি অনন্য!

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৮

এম মুক্তাদির বলেছেন: দেখার জন্য ধন্যবাদ

৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৫০

অন্তু নীল বলেছেন: ছবিগুলো সুন্দর।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৪৩

এম মুক্তাদির বলেছেন: দেখার জন্য ধন্যবাদ

৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৮

সুমন কর বলেছেন: একটু বর্ণনা হলে ভালো হতো।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৪৬

এম মুক্তাদির বলেছেন: পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ

৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:২১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অদ্ভুত সুন্দর

B-)

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:৩৯

এম মুক্তাদির বলেছেন: আসলেই সুন্দর

৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৫:৩৮

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
প্রথম ছবিটাই বেশি ভাল লাগলো।

পরের গুলো আসলে ওভাবে প্রকৃতিকে ফুঁটিয়ে তুলতে পারেনি। বর্ণনা না থাকায় কিছুটা মলিনও লেগেছে।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৩

এম মুক্তাদির বলেছেন: মন্ত্যবের জন্য ধন্যবাদ। বর্ণনা সংযুক্ত করেছি।

৭| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:২৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: যেতে হবে

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৪

এম মুক্তাদির বলেছেন: যেতে পারেন। আশা করি ভালো লাগবে।

৮| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:৩৭

মাদিহা মৌ বলেছেন: ডিটেইলে লিখতেন? কীভাবে গেলেন, কী কী দেখলেন - লিখতেন। অন্যরাও যাওয়ার উপায় সম্পর্কে ধারনা পেত।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৬

এম মুক্তাদির বলেছেন: ডিটেইল দিয়েছি। দেখে নিন। আর কিছু জানতে চাইলে বলবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.