নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আস্ সালামু আলাইকুম্

আনাড়ী রন্ধন শিল্পীর ব্লগ B-)। ব্লগের বাজে-মানহীন লেখাগুলোর মাস্টার পিস দেখতে চাইলে এই ব্লগারের পোষ্ট গুলো পড়ে দেখতে পারেন। কথা দিচ্ছি, নিরাশ হবেন না। B-)

নীল-দর্পণ

নগণ্য একজন মানুষ। পছন্দ করি গল্পের বই পড়তে, রান্না করতে। খুব ইচ্ছে করে ঘুরে বেড়াতে। ইচ্ছে আছে সারা বাংলাদেশ চষে বেড়ানোর।

নীল-দর্পণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রেসিপ্পো= রেসিপি with গপ্পো! B-)

২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৭

অনেক অনেক অনেক কাল আগে ব্লগে রান্না-বান্নার অনেক পোষ্ট আসতো। আমি অনেক রান্না শিখেছি ব্লগের একেক জনের পোষ্ট দেখে। আজকাল মনে হয় আর কেউ সেরকম পোষ্ট দেয় না। সবাই খুব সিরিয়াস সিরিয়াস পোস্ট, গল্প, কবিতা আর উপন্যাস লেখে। আমি পুরনো আমলের মানুষ, পান চিবুনোর মত করে স্মৃতি চিবুতেই ভালবাসি। তাই আজ একটি থুক্কু দুটি অতি সাধারন রেসিপি নিয়ে এসেছি । রেসিপি সাধারন হলেও ভাব ধরেছি সেটা অসাধারন। দূর্মূল্যের বাজারে ভাব না নিলে আজকাল কেউ দাম দিতেই চায় না, কী করার বলেন?

আম্মা আব্বা গ্রামে গেছেন মেলা দিন হল। তো রান্না ঘরের একচ্ছত্র আধিপত্য আমার, তাই সেটার মোটামুটি পূর্ণ ব্যবহার করি। তাই তো আমি নীল-দর্পণ ওরফে আপনাদের নীলু হাজির হয়েছি রান্না-বাটি নিয়ে। B-)

আমি আজ যেই রান্নাটার গল্পো করবো সেটার প্রস্তুতি আগের রাত থেকে চলেছে। ধাপে ধাপেই বর্ণনা করি তাহলে। ;)

রান্নার আগের রাত:

একদিন ছোট্টবেলার বান্ধবী বলল বাসায় আসবে। খাবে গরুর তিহারী। রাতের বেলা খাবারের পরে মাংস নামায় রাখলাম যাতে সারারাত বরফ ছুটে নরমাল হয় আর সকালে কাজ করতে সুবিধা হয়। রাতে দেখি সে মেসেজ দিয়েছে মেয়ের পরীক্ষা আছে সেটা মনে ছিল না, তাই আসতে পারবে না। জানে যে আমি রেগে মানবিক থুক্কু পারমানবিক বোমা হয়ে যাবো তাই সুন্দর করে সরি বলেছে কয়েক বার। কীসের কী সরি-তে কী আর রাগ কমে! কাউকে খাওয়াবো মনে করে রাখলে না খাওয়াতে পারলে খুব-ই খারাপ লাগে। যাক মেয়ের পরীক্ষা, কী আর করা। বান্ধবীকে আচ্ছা মতন বকে-টকে (বকা খেয়ে হাসে, পাত্তাই দিল না) /:) মাংস উঠাতে গিয়ে দেখি ফ্রীজে ঢোকে না। ফ্রীজের হচ্ছে এই এক ধর্ম! ফ্রোজেন জিনিস বের করলে সেটা আগের জায়গায় ঠিক ঠাক যেতে চায় না। তাই সেভাবেই রেখে দিলাম। ভাবলাম কিছু সকালে তুলে রাখবো আর কিছু রান্না করবো।

রান্নার দিন:
সকালে নাস্তার পরে মাংস ধুয়ে কেবল লবন মেখে ঢেকে নরমাল ফ্রীজে রেখে দিলাম রান্না অনেক দেরি তাই।
ভেবেছিলাম ভুনা করবো, পরে ঠিক করলাম গরুর মাংসের কোরমা রান্না করিনাই কখনো, সেটাই দেখি। ইউটিউব ঘেটে-ঘুটে এক রেসিপি দেখলাম। আমি আবার হুবহু রেসিপি অনুসরণ করি খুব কম। ধারনা নিয়েই নেমে গেলাম।

চুলায় কড়াই চাপিয়ে তাতে তেল গরম করে ৪টা এলাচ, একটুকরা দারচিনি, দুইটা তেজপাতা (অযথা একটা জিনিস, আমি এর ঘ্রান পাইনা কিছুতে। দিতে হয় তাই দেই আরকি) দিয়ে একটু নেড়ে হাফ কাপের কম পেঁয়াজ বাটা দিয়ে দিয়ে হালকা ভাজলাম (লাল করা যাবে না) । এবার তাতে দুই কিউব রসুন আর আদা দিয়ে দিলাম (আমাদের আদা, রসুন বাটা বরফের কিউব বক্সে রাখে) । কোরমায় নাকি জিরা দেয় না (এটা কিছু হইল! সব মশলা দিতে না পারলে কেম্নে কী) :| । যাক একদিন না দিলে কেমন লাগে তাই দেখতে জিরা দিলাম না। দিলাম আধা চামচের মত ধনিয়া গুড়া। সব সুন্দর মত কষিয়ে (অবশ্যই পানি দিয়ে দিয়ে, নয়ত লাল হয়ে যাবে) মাংস দিলাম। লবন দেইনি কারন আগেই মাংসে লবন ছিল। ৩-৪টা কাঁচা মরিচ মাঝখান থেকে ২/৩ টুকরা করে (চিরে না, ভেংগে) মাংসে দিয়ে দিলাম। আতিপাতি করে জায়ফল খুজেও না পেয়ে রাগ উঠি উঠি করছিল! আম্মাকে ফোন দিবো দিবো করছি এমন সময় ভাবলাম আম্মা বাড়ী যাবার সময় যে একটা ডিব্বায় মশলা নিয়ে যায় সেটা নাই, তার মানে হয়ত বাড়ী চলে গেছে। কী করা যায় ভাবতে ভাবতে এবার একটা জড়িবুটি মশলার কথা মনে হল। মশলার ডিব্বায় প্যাকেট ছিড়ে কাবাব চিনি, গোল মরিচ, লবঙ্গ, জয়ত্রী সব মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছিল। আমার আম্মা সেগুলোকে আলাদা করার ঝামেলায় না গিয়ে সামান্য গরম করে এক সাথে গুড়া করে রেখেছেন। নাকের কাছে নিয়ে দেখলাম জয়ত্রীর সুন্দর ঘ্রান সেটায়। জায়ফলের কথা ভুলে সেই জড়িবুটি মশলাই দিলাম। মশলাটা করার সময় ঝাড়ি দিয়েছিলাম যে, সব খাবারে সব মশলা যায় নাকি এগুলা কী করতাছো, কীসে দিবা...হ্যাতত্যান বলে! কাজে লেগে গেল এখন ।

যাই হোক মাংস মাঝে মাঝে নাড়াচাড়া চলছে। মাঝে দুধ একটু কম ছিল বলে এক চামচের মত কনডেন্স মিল্ক দিয়েছি। এরপর পানিও দিয়েছি মাংস সেদ্ধ হবার জন্যে। সেদ্ধ হয়ে এলে তাতে এককাপ পরিমান আগে জ্বাল দিয়ে রাখা ঘন দুধে সামান্য হাকিমপুরী জর্দা সরি জর্দা রং অর্থাৎ জাফরান রং গুলে দুধটা ঢেলে দিয়েছি। আবার জ্বাল হতে থাকল। এবার পছন্দ মত একটু বেশি ঝোল রেখে নামিয়ে নিলাম। নামানোর আগে একটা এলাচি লেবুর অর্ধেকটা রস দিলাম, চিনি চেখে একটু চিনি দিলাম, আর দুইটা কাচা মরিচ ফালি করে দিলাম। আমি কোরমা বা তেহারিতে একটু মিষ্টি, একটু টক আর অনেক ঝাল পছন্দ করি। আমি একটা ভুল করে ফেলেছিলাম যেটা প্রায় রান্নাতেই একটা না একটা ভুল থাকেই। এবার যেটা হয়েছে সেটা হচ্ছে নামানোর আগে একটু ঘি দিতে ভুলে গেছিলাম। খাওয়া দাওয়ার শেষে (মনে হয় একদিন পরে) মনে পড়েছিল যে আমি তো ঘি দেইনি!
যাগ্গে কিচ্ছু আসে যায় না। খাওয়া হয়ে গেছে। ঘি বেঁচে গেছে। B-))
এই হচ্ছে আমার রান্না করা কোরমা :


কম তেলে রান্না করার জন্যে সুনাম , দূর্নাম দুই-ই আছে আমার। নিজে খাবো তাই তেল কম-ই দিয়েছি। মেহমানের জন্যে করলে আরেকটু বেশি হতো, তখন উপরে একটু বেরেস্তাও যেতো। ;)
কোর্মা রান্না শেষ, অন্য কী এক তরকারীও শেষ। ভাত হচ্ছিল এমন সময় ইউটিউবে ঘুরতে ঘুরতে চিতই পিঠার ভিডিও দেখে মনে হল চিতই পিঠা বানাই। আমার আবার চোখের পাপ, মনের পাপ সব আছে খাবারে ব্যাপারে। কিছু খাবো মনে হলে না খাওয়া পর্যন্ত শান্তি নাই (ভাল হয়ে যাবার ট্রাই করছি আপ্রান, দোয়া করবেন সবাই আমার জন্যে)!
তো যাই হোক ফ্রিজ থেকে চালের গুড়ার পোটলা বের করলাম। এককাপ পরিমান গুড়ায় একটু লবন আর ফুটন্তু গরম পানি দিয়ে মাখা মাখা কাই বানালাম। রেখে দিলাম একটু রেস্টে। এটা হচ্ছে দুনিয়ায় ঝামেলার এক পিঠা। গ্রামের অভিজ্ঞরাই ঠিক ঠাক বানাতে পারে না আর তো আমার মত নবিশ! যাই হোক আমি চেষ্টায় আছি এটা সফল ভাবে বানানোর। একজনে রেসিপিতে পড়েছিলাম তার দাদী নাকি এই পিঠার গোলায় ভাতের মার দিতেন একটু, তাতে পিঠা নরম হয় আর ফুলে। ভাতের জ্বাল কমানোর সময় সেটা মনে হয়। ভাবলাম কী আছে জীবনে দেই একটু মাড়! দিয়ে আবার গোলালাম। এরপর ঠিক ঠাক ঘনত্ব এনে রেখে দিলাম কিছুক্ষণ। এর মাঝে ভাতের মাড় ঢেলে পিঠার ছাঁচ চুলায় দিয়ে গরম করলাম। ঠিক ঠাক গরম হলে পিঠা ভেজে নিলাম।

দেখুন কী বানিয়েছিলাম! B-))



প্লেটে ময়লা বলে যারা ছ্যা ছ্যা করে নাক কুচকাচ্ছেন তারা এক্ষুণি নাক সোজা করুন...করুন বলছি..নয়ত বাড়ি মেরে সোজা করে দেব!
ওটা পিঠার নিচের অংশের দাগ লেগেছে। =p~

বিশেষ দ্রষ্টব্য-১: এত কাজ করার শুরুতে যদি চুলাটাই না জ্বালান তবে কিন্তু কিচ্ছুটি হবে না। ;)
বিশেষ দ্রষ্টব্য-২: রান্না হোক যেমন তেমন খেতে হবে ইয়াম ইয়াম। B-)

মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১১

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: আমাকে চিতইয়ের সাথে শুটকি ভর্তা দিন। :)

২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৭

নীল-দর্পণ বলেছেন: দোকান ধরে নিয়ে এলাম আপনার জন্যে :)

২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১৩

ওমেরা বলেছেন: রান্নার মত ঝামেলায় কাজে আমি নাই প্রয়োজনে না খেয়ে থাকতে রাজী। খুব মজা করে লিখেছেন আপুমনি পড়তে ভাল মজা পেয়েছি । ধন্যবাদ আপুমনি।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪০

নীল-দর্পণ বলেছেন: আপনি তো মিষ্টি বানান ভাল। ওটা বানানো খুবই ঝামেলার কাজ। পারফেকশন একচুল এদিন সেদিক হলে মিষ্টি একদম ডিজাস্টার হয়ে যায় !

আমাকে মিষ্টি বানানো শেখাবেন আপুনি :)

৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সকাল সকাল দুটি রেসিপি পেয়ে খুশিতে মন ভরে গেল :D
চুলা না জ্বালিয়ে যদি রান্না করা যেত তবে এত দামি গ্যাস বেঁচে যেত।
রান্না ভাল না হলেও বাঙালী জাতি মনে হয় মজা করে খেতে জানে।ইয়াম ইয়াম।
আপনার রেসিপি উপস্থাপন ভাল লেগেছে।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৩

নীল-দর্পণ বলেছেন: আমার কথা হচ্ছে কষ্ট করে রেঁধেছি। স্বাদ যেমন-ই হোক দিল খুশ করে খেতে হবে ! :P

ধন্যবাদ আপনাকে, ভাল থাকবেন।

৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫৩

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার রেসিপি।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৪

নীল-দর্পণ বলেছেন: হা হা হা...
ধন্যবাদ মামুন ইসলাম, ভাল থাকবেন :)

৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আক্ষেপ করবেন না, একদিন রেসিপি দিয়ে পোস্ট দিব।

আমি মাঝে মাঝে আনকমন কিছু রান্না করি।

বিশাল বর্ণনা দিয়েছেন।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৬

নীল-দর্পণ বলেছেন: খুবই খুশি হবো রেসিপি পোষ্ট দিয়ে যদি আমাকে একটু জানিয়ে যান। খোজ না পেলে যদি মিস হয়ে যায়...

অপেক্ষায় রইলাম আপনার আনকমন রেসিপি পোস্টের।

ভাল থাকবেন। :)

৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২৮

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: একবার আমি আর আপু ছোট বেলায় তেহারি রান্না করতে চেয়েছিলাম । মাংস আর পোলাও চাল একসাথে দিয়েছিলাম । মাংস কাঁচা ছিল । ফলাফল পোলাও ভর্তা আর মাংস শক্ত ছিল

২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৮

নীল-দর্পণ বলেছেন: হা হা হা....ওটা কী করেছিলেন শেষে? জ্বাল দিতে দিতে পাতলা খিচুড়ি বানিয়েছিলেন নাকি পিটুনি খেয়ে ছিলেন আম্মুর হাতে ;)

৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪০

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: এরপর ঐটা আর খাওয়ার যোগ্য ছিল না । মসল্লা ও তো তেমন কিছুই ছিল না ।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০৫

নীল-দর্পণ বলেছেন: আহারে , আমার মায়া লাগছে চাল আর মাংসগুলার জন্যে। :P

৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫১

সাহসী সন্তান বলেছেন: আমি একবারও বলতে চাই নাই প্লেটে ময়লা ছিল। কিন্তু সুযোগটা যখন আপনি নিজেই কইরা দিছেন, তখন তো আর তার সৎ ব্যবহার করার লোভটা সামলানো যায় না। আফটার অল পিঠার মত একটা স্পর্শকাতর খাদ্য বইলা কথা... ;)

একচুয়ালি ব্যাপারটা হইল ঐটা যদি পিঠার নিচের কালো দাগই হইবে, তাইলে সেইটা তো পিঠা বরাবর তার নিচেই অবস্থান করার কথা। কিন্তু তার আশে-পাশে কেন ঐ দাগ দেখা যাইবে? :((

এনি ওয়ে, পোস্টের ছবি গুলো কি সেই অনেক অনেক অনেক কাল আগের উঠানো? কেমন জানি ফ্রিজে রাখা ফ্রিজে রাখা মত একটা ব্যাপার লক্ষ করা যাইতেছে! =p~

পোস্টে ভাল লাগা! শুভ কামনা জানবেন!

২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০১

নীল-দর্পণ বলেছেন: আপনি তো আচ্ছা বদ , আর আসলেই সাহসী সন্তান! এত্ত করে হুমকি ধমকি দিলাম তাও কাজ হল না! /:)
পিঠা তুলে আগে প্লেটে নিয়েছি । এর পর আপনাদের দেখানোর জন্যে সাজিয়ে ছবি তুলেছি। তর সামলাতে পারছিলাম না তাই অন্য প্লেটে নিয়ে তুলিনি ।
ছবিটা নরমাল ফ্রিজে রাখা ছিল (গত শনি বার এর) ।

সাহসী কমেন্ট করার জন্যে সাব্বাশ দিলা যান। ;)
ভাল থাকবেন । :)

৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৫

শায়মা বলেছেন: তুমি ব্লের একজনের রান্না দেখে দেখে অনেক রান্না শিখেছিলে!!!!!


তার নাম বললে না কেনো!!!!!! :(


নিশ্চয়ই সেটা আমার নাম তাই না!!!!!! :)


যাইহোক আমি রান্নার জন্য একদা রীতা মুজিবের দ্বারস্ত হয়েছিলাম মানে কুকিং কোর্স। তবে এখন আমি ইউটিউবে উম্মে আপা ছাড়া কিছুই করিনা! :) সি ইজ এক্সসেলেন্টো!!!!!! :)

২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৭

নীল-দর্পণ বলেছেন: অবশ্যই তুমি আপুনি । একবার লিখতে গিয়েছিলাম আবার কী মনে করে লিখলাম না… :(
উম্মে আপা মানে কি উম্মাহ মোস্তফা? সাবস্ক্রাইব করা আছে আমার।

১০| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৩

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: নাকের বারিটা আস্তেই দিতেন তাইলেত পিঠাটা খেয়ে যেতে পারতাম কিন্তু যে জুরে বারি দিলেন পিঠা খাওয়ার স্বাধ মিটে গেছে।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৯

নীল-দর্পণ বলেছেন: আহা! আপনে তো নাক কুঁচকান নাই তাই পিঠা খেয়ে যান। নাকি কুঁচকাইছেন? তইলে পিঠা থাক, বাড়িই খান। B-))

১১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বীফ কোর্মা কিমুন হইছিলো !!!!
নাহ খামু না বয়স বাড়তাছে বিফ না খাওন ই ভালো ;দেখি দুইটা চিতুই পিঠাই খাই মরিচ ভর্তা দিয়া :)


গপ্পে ভালোলাগা নীলুমনি ।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৯

নীল-দর্পণ বলেছেন: ভাল-ই হইছিল কোরমা। অক্কে আপু যা ভাল লাগে খান নিজের মনে করে নিয়ে নিয়ে খান। একদম লজ্জা করবেন না। ;)

১২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩২

মিথী_মারজান বলেছেন: চিতই পিঠাগুলো গরুর কোরমা দিয়ে মজা করে (মনে মনে) খেয়ে নিলাম।
ঝোলটা খুব মজা হয়েছে।
যদিও ঝালটা একটু বেশি।
তবে একদম ইয়াম ইয়াম।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:১২

নীল-দর্পণ বলেছেন: : থ্যাংক্যু আপু থ্যাংক্যু । আবার অন্যদিন অন্য কিছু খাওয়াবোনে । তখন ঝাল কম দিবো। ততদিন আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুন, সুস্থ রাখুন। :)

১৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫৭

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: একা থাকি বলে, আমার ভাবনাও এমনই।।। খেতে মন চাচ্ছে অথচ কিনতে পাওয়া যায় না, এমন খাবারই নিজে বানাতে চেষ্টা করি।।
চিতই পিঠার অপারেশন ব্যর্থ।। দুবার "রোগী" ( চালের গুড়ি ফেলে দেয়ার পর) মারা যাবার পর চিতই পিঠা খাওয়া ভাল না বলে ক্ষ্যান্ত দিয়েছি।।
আজকে আবার কেন যেন মনে হচ্ছে নাহ্ অতটা বোধহয় খারাপ না।। আরেকবার চেষ্টা করতে দোষ কি!! তবে ভাজার জন্য মাাটির খোড়াটোরা কি বাধ্যতাামূলক??

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:০৮

নীল-দর্পণ বলেছেন: হায় আল্লাহ! গুড়ি না ফেলে দিয়ে ওটা একটু পাতলা করে গুলে ছিটা রুটি বানাতে পারতেন!
যাগ্গে, মাটির খোড়াটোরা বাধ্যতামূলক নয়। আমি যে ছাঁচটায় বানিয়েছি সেটা লোহার। আপনি একদম ছোট সাইজের লোহার কড়াইতে ভাজতে পারেন।
গুড়িটা গরম পানি দিয়ে মাখামাখা করে মেখে ঢেকে ১/২ ঘন্টা রাখবেন। এর পর পাতলা পিঠা ভাজার মত যখন গোলাবেন তখনও কুসম গরম পানি দেবেন (গ্রামে দেখি এরকম করে) । এরপর বিসমিল্লাহ বলে ভাজবেন।

একটা জরুরী টিপস: গোলা কতটুকু ঘন হবে সেটা খুবই জরুরী। না জানলে ইউটিউবে অনেক ভিডিও আছে একটু খেয়াল করবেন, আর রাস্তার পিঠা ওয়ালাদেরটাও চামে চিকনে দেখবেন।
মা, নানী-দাদীর হাতের মত ফোলা তুলতুলে হয়ত হবে না, তবে ছবিতে যা দেখছেন আমি মোটামুটি এই রকম আসলেই খুশি (আরো ভালর চেষ্টায় আছি)

আরো একটা জরুরী টিপস: কেউ হয়ত বলবে বেকিং পাউডার বা সোডা দিলে ফুলবে। ঐটা চেষ্টা করবেন না দিতে। আসল স্বাদ নষ্ট হয়ে যায় এতে।

সফল ভাবে পিঠা বানান, মজা করে খান। শুভ কামনা রইল। :)

১৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৫২

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: শিখলাম বিফ কোর্মা আর চিতই পিঠা বানানো।

ট্রাই করবো।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:১১

নীল-দর্পণ বলেছেন: আমাকে দাওয়াত দিতে হবে না আপু। রান্না মজা না হলে শেষে হাপুশ হুপুষ খাওয়ার বদলে ঘাপুর ঘুপুর আমার পিঠে কিল পড়বে। =p~

চেষ্টা সফল হোক। হ্যাপি কুকিং। :)

১৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:১৬

মলাসইলমুইনা বলেছেন: বন্ধু : সেদিন রাত তখন প্রায় দুইটা বা তিনটা | তখনও ল্যাপটপে নিজের কিছু কাজ করছি | হঠাৎ ব্লগে আপনার লেখাটা চোখে পড়লো | আপনার রেসিপির রসালো ফটো আর গল্প পড়ে, মনে হয়ে গেলো রাতের সিরিয়াল দিয়ে ডিনারের কথা | আর তাতেই ক্ষিধের ঘুমন্ত গডজিলার মতো আড় ভেঙে যেন জেগে উঠলো পিটার ভিতর |আপনার ওই অতি সুখাদ্য রেসিপি রান্নার সুযোগ কোথায় অতো রাতে ? একটা সিরিয়াল বার বের করে চিবুতে থাকলাম | তাতে যে কি আর আমার বাঙালি রসনা তৃপ্ত হয় ! বন্ধু, কি যে যন্ত্রণার সূচনা করলেন সেই অতো রাতে এই অতি সুখাদ্য রেসিপি দেখিয়ে | আর একটা কথা দয়া করে আবার ওমরার সাথে জুটি বাঁধবেন না মিষ্টি বানাতে | আপানার রেসিপির যন্ত্রনা সইতেই ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা আবার মিষ্টি বানাতে শুরু করলে দুজন মিলে কি যে হবে সেটা ভাবতেই পারছি না | টেলিপোর্টেশন করে খাবার দূরদেশে পাঠানোর টেকনোলজি আবিষ্কার হবার আগে পর্যন্ত এই পোস্টগুলো স্থগিত রাখলে হয় না ? কিছু অতৃপ্ত আত্মার পরম শান্তি হয় তাহলে |

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:৩৬

নীল-দর্পণ বলেছেন: ওমেরা আপু তো সর্বনাশ টাইপ মিষ্টি বানান। আমি ফেইল-টেইল মেরে মিষ্টির প্রজেক্ট আপাতত অফ রেখেছি। ভাল ওস্তাদের হাত ধরে আবার শুরু করতে চাই। ভাবছি আপুকেই ওস্তাদ মানবো। আমি আর আপু মিলে আপনাকে মিষ্টি না পাঠাতে পারি রেসিপি তো পাঠাতে পারবো । :P
ততদিন ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন। :)

১৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৪

জাহিদ অনিক বলেছেন:

প্লেট এবং পিঠার দাগ বুঝতে পারলাম

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৪

নীল-দর্পণ বলেছেন: যাক কেউ একজন বুঝল!
বুঝতে পারার জন্যে ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন। :)

১৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: গুড রেসিপি, মসলায় মসলাময়। +++

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:১৮

নীল-দর্পণ বলেছেন: খেতে কিন্তু অত মশলাদার লাগেনি :D

১৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৩১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আপনি ভালো রাঁধুনি বুঝা যাচ্ছে। শুভকামনা রইলো।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৪০

নীল-দর্পণ বলেছেন: হা হা হা……আমি এমন-ই রাঁধুনী যার টানা কয়দিন নিজের হাতের রান্না খাওয়ার পর আর ভাল লাগনা। যেমন এখন ত্যাক্ত বিরক্ত হয়ে গেছি। =p~ কেবল দিন গুনছি কবে আব্বা আম্মা ফিরবেন।

১৯| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৪২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: রেগুলার রান্না আর শখের রান্নায় পার্থক্য আছে বটে। তবুও রান্নাও এক রকম শিল্প।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৪৮

নীল-দর্পণ বলেছেন: ঠিক বলেছেন রান্নাটা শিল্পই বটে।
আমার কাছে রেগুলার রান্নার চাইতে ভিন্ন কিছু রান্না বা নতুন কোন এক্সপেতিমেন্টাল বেশি ভাল লাগে। কিন্তু রোজ ত আর সেসব হয় না।

২০| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৫

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: কিউট পোস্ট :)

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৮

নীল-দর্পণ বলেছেন: হা হা…তাই? মিষ্টি ধন্যবাদ জানবেন আপু। :)

২১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: রান্না হোক যেমন তেমন খেতে হবে ইয়াম ইয়াম। B-) মানিনা , আমাদের নিরিহ পেয়ে স্যাম্পল প্রোডাক্ট খাইয়ে দেবেন, রান্না যেমন হোক খেতেই হবে এইসব মানিনা। =p~
http://m.somewhereinblog.net/mobile/blog/Giasliton007/30105922

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৫

নীল-দর্পণ বলেছেন: আপনাদের নিরিহ পেয়ে গিনিপিগ বানাই আমরা। :P এতে দুঃখ পাবার কিছু নেই। ভাল কিছুর আশায় নিজেদের উত্সর্গ করছেন । ;)

২২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: লিংকটি এখানে --

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৯

নীল-দর্পণ বলেছেন: খুবই মজার একটি পোস্টের লিংক দেওয়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ। :)

২৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৫

জুন বলেছেন: আমিও মনিরার মত দুটো চিতই পিঠা খেয়ে গেলাম নীল- দর্পন :P রসে ভিজানো হলে বেশি ভালো হতো না ?
আমি কিন্ত প্লেটের কালো ময়লা দেখিনি বলে দিলাম ;)
গরুর মাংস নিষেধ হাই কোলস্টেরল :(
গল্পের ছলে দুটি রেসিপির বিবরন খুব ভালোলাগলো কিন্ত ।
+

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২০

নীল-দর্পণ বলেছেন: আহা রসে ভেজানো চিতই! কী মনে করিয়ে দিলেন। আমার সব চাইতে প্রিয় পিঠা। শীতের সকালে গ্রামে সবাই যখন শীতে কাঁপতে থাকে আমি সেই অন্ধকার সকলেই হাত দিয়ে গাপুস গুপুস করে খেতাম।
আরেকটু শীত পড়ুক তার পর না হয় গুড়ের রসে (খেজুর রসে নয়) ডুবানো পিঠার কথা ভাব যাবে। ;)
আপনারা আমাকে ভালবাসেন বলেই আমার পোষ্ট , রেসিপি ভাল লাগে আপনাদের কাছে।
ভাল থাকবেন, নিজের খেয়াল রাখবেন। মা'রা তো সবার খেয়াল রাখলেও নিজের বেলায় বেখেয়ালী! অনেক অনেক ধন্যবাদ । :)

২৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:৪০

খায়রুল আহসান বলেছেন: পড়লাম, খানিক রম্য ধাঁচে লেখা আপনার গপ্পো তথা রেসিপ্পো। ছবিগুলো তেমন নজর কাড়া না হলেও, আশাকরি কোর্মা আর চিতই পিঠার স্বাদ ঠিকই ইয়াম্মি হয়েছিল। :)

মলাসইলমুইনা এর মজার মন্তব্যটা ভালো লেগেছে। ওনাকে ব্লগে মিস করি বেশ।

২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:০৬

নীল-দর্পণ বলেছেন: আপনার কমেন্টে উছিলায় আমিও লেখাটা আবার পড়লাম, হাসলাম কিছুক্ষণ কী সব লিখতাম! সব বয়সের দোষ আমার কোন দোষ নাই!! :`>

মলাসইলমুইনা বন্ধু ব্লগে আসা ছেড়েই দিয়েছেন মনে হয়, সত্যিই মিস করি উনাকে।

ব্লগের কী এক সমস্যার কারনে প্রায় সময়ই ফুল ভার্শনে আমার ব্লগে ঢুকতে পারিনা ফলে কমেন্ট দেখতে পারিনা, আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত এত দেরিতে রিপ্লাই দেবার জন্যে। আপনাকে ধন্যবাদ আমার পুরনো আবজাব লেখা পড়ে সুন্দর মন্তব্য পড়ার জন্যে।

২৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:১৮

মিরোরডডল বলেছেন:




আমি কোরমা বা তেহারিতে একটু মিষ্টি, একটু টক আর অনেক ঝাল পছন্দ করি।

আমিও তাই করি। রান্নায় এই তিনটা ঠিক থাকলে মজা হবেই।

একজনে রেসিপিতে পড়েছিলাম তার দাদী নাকি এই পিঠার গোলায় ভাতের মার দিতেন একটু, তাতে পিঠা নরম হয় আর ফুলে।

জীবনে শুনিনি, আজ প্রথম জানলাম #:-S

অনেক মজার পোষ্ট।
চিতই পিঠা, সাথে বিফ একটা অসাধারণ মজার খাবার।
থ্যাংকস নীলাপু।


২৭ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ২:৫২

নীল-দর্পণ বলেছেন: চিতই পিঠায় ভাতের মাড় বা ভাত বেটে/ব্লেন্ড করে দিতে আমি পরে আরো দেখেছি। এর মূল কারন হল গ্লুটিন ভালোমত ছড়িয়ে গেলে পিঠা ফোলে এবং নরম হয়। তবে আমি আমাদের গ্রামে দেখি গরম পানি দিয়ে আগে চালের গুড়ি মাখা মাখা করে গুলে রাখে এরপরে গরম পানি দিয়ে তা আবার গুলে। এতেই সুন্দর ফুলে ওঠে। তবে এত কিছুর পরেও দক্ষতা, চুলায় লাকড়ীর ধরন এবং আঁচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আমার খুব পছন্দ এই পিঠা মাংসের ঝোল কিংবা দুধ চিতই সব রকমই। ।

অনেক ধন্যবাদ আপু আমার এত পুরনো পোস্টে কমেন্ট করার জন্যে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.