নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

citizen journalist

মনোনেশ দাস নাগরিক

মনোনেশ দাস নাগরিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তাগাছার গোপালের মন্ডা

০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:২৭


মনোনেশ দাস : মুক্তাগাছার গোপাল পালের মন্ডা বাংলাদেশীদের মধ্যে এক
অতি জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি । বাংলাদেশের
ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা
উপজেলা নামক স্থানে এই বিশেষ প্রকৃতির গোপালের
মন্ডা প্রথম তৈরি হয় বলেই এই মিষ্টি মুক্তাগাছার মন্ডা
নামে প্রসিদ্ধ। এটি ছানার তৈরি একপ্রকার মিষ্টি
জাতীয় খাবার।
জানা যায়, গোপল পাল স্বপ্নাদৃষ্ট হয়ে দুইশ বছর আগে
আঠারোশ চব্বিশ সালে এই মিষ্টি প্রথম তৈরি করেন।
দুই হাজার চব্বিশ সালের বার ফেব্ধসঢ়;রুয়ারি এটি
বাংলাদেশের ভৌগলিক নির্দেশক পণ্য জিআই পণ্য
হিসাবে অনুমোদন জার্নাল প্রকাশিত হয় যার লক্ষ্য
বিশ^ব্যাপি ব্ধসঢ়;রান্ডিং । গোপাল মন্ডা তৈরি করে প্রথমেই
নিকটবর্তী জমিদার বীরেন্দ্র কিশোর আচার্য চৌধুরী
যিনি শশীকান্ত আচার্য চৌধুরী নামে পরিচিত তার
বাড়িতে নিয়ে যান। উনিশশো বিশ সালে বাংলার গভর্ণর
রোনাল কর্তৃক মহারাজা উপাধিপ্রাপ্ত শশীকান্ত এই মন্ডা
খেয়ে তৃপ্তি পান। সেই থেকে মন্ডা জমিদারদের দেশী
বিদেশী অতিথি আপ্যায়নে জনপ্রিয়তা লাভ করতে শুরু
করে।

গোপাল পাল বিষয়ে জানা যায়, বাংলা বারোশ ছয় সালে
তদানিন্তন ভারতবর্ষের মুর্শিদাবাদে জন্মগ্রহন করেন।
নবাব সিরাজদৌলার মৃত্যুর পর মাতৃভূমি রাজশাহী এরপর
বারোশ ত্রিশ সালে মুক্তাগাছায় এসে বসত গড়েন। মন্ডা
মিঠাই তৈরির শিল্পী গোপাল জন্মগ্রহন করেন, বাংলা
বারোশ ছয় ইংরেজি সতেরশ নিরানব্বই সালে এবং
মৃত্যুবরণ করেন বাংলা তেরশ চৌদ্দ ইংরেজি উনিশ সাত
সালে।
মুক্তাগাছার মন্ডা তৈরির প্রধান উপাদান হল দুধের ছানা,
চিনির রস ও খেজুর গুড়ের রসে কড়াপাক। মুক্তাগাছার
গোপালের মন্ডা বাংলাদেশের সর্বত্রই জনপ্রিয়। এই মন্ডাই
মুক্তাগাছার অন্যতম পরিচিতি। মুক্তাগাছার জনপ্রিয়
হওয়ার কারণে কোন কোন মিষ্টি বিক্রেতা গোপালের
মন্ডাকে মুক্তাগাছার মন্ডা হিসাবে বিক্রি করেন।
মুক্তাগাছায়, ময়মনসিংহ এবং শেরপুরে বিভিন্ন মিষ্টির
দোকানে মুক্তাগাছার মন্ডা হিসাবে পাওয়া যায়। এসব
দোকানে গোপাল পালের আসল মন্ডা না হলেও মুক্তাগাছার
মন্ডা হিসাবে বিক্রি হয়। দেশী বিদেশী বহু পর্যটক
মুক্তাগাছার ঐতিহ্যবাহী মুক্তাগাছার জমিদারি স্থাপনা
প্রতœতত্ত্ব নিদর্শন দেখতে এসে মুক্তাগাছার গোপাল
পালের মন্ডার স্বাদ নেন ও আতœীয়- স্বজনের জন্য কিনে
নিয়ে যান। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র প্রধান থেকে শুরু করে
গুরুত্বপূর্ণ মানুষ এই মন্ডা খেয়ে এর গুণগ্রাহী।

চলতি বছর গোপাল পালের মুক্তাগাছার মন্ডা জিআই
স্বীকৃত পাওয়ার পর মন্ডা প্রস্তুতের সাথে জড়িত গোপাল
পালের বংশধর ও শ্রমিকরা জিআই স্বীকৃতির ব্যাপারে
আশাবাদী হন। এদিকে বিগত দেড় যুগ আগে মন্ডার
চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মন্ডা তৈরির প্রধান উপাদান স্থানীয়
দুধে সংকুলান না হওয়ায় উত্তরবঙ্গ থেকে আমদানি শুরু হয়।
যা এখনও অব্যাহত আছে। এই সময়ের মধ্যেই গোপাল
নির্মিত মন্ডা বিক্রির পুরনো ভবন ভেঙে নতুন করে
আধুনিক ভবন নির্মাণ করেন তার বংশধরগণ। বর্তমানে
বিশ পিস মন্ডা যা এক কেজি বিক্রি হয় সাতশ টাকায় ।
প্রতিটি মন্ডার দাম পয়ত্রিশ টাকা।
সাধারণ নাগরিকরা জানান, গোপাল পালের মন্ডার দাম
অত্যাধিক বেশি। তারপরও সিরিয়াল দিয়ে মন্ডা কিনতে হয়।
গোপাল পালের বংশধর মন্ডা প্রস্তুতকারক রবীন্দ্র নাথ পাল
জানান, সাম্প্রতিক সময়ে ব্যবসা লোকসানের মুখে
পড়েছে। মন্ডা উৎপাদন ও বিক্রি করে কর্মচারি খরচ
উঠছেনা ।
মুক্তগাছা (ময়মনসিংহ) মুক্তাগাছার মন্ডা , গোপাল
ভাষ্কর্য ও দোকান

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৩৯

মনোনেশ দাস নাগরিক বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.