![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যা দেখি যেভাবে দেখি (কহিলো সে ফিরে দেখো, দেখিলাম থামি , সম্মুখে ঠেলিছে মোরে পশ্চাতের আমি...) [email protected]
এটা এখন একটা নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে: বছর দুয়েক আপাত: শান্ত থাকবে, তারপর কয়েকদিন (বলা বাহুল্য বিষম অসম) সংঘাত হবে, অন্য পক্ষের দুই মরেছে অজুহাতে এই পক্ষের শয়ে শয়ে মারা হবে। তারপর আবার এই অসম নরহত্যার পুনরাবৃত্তি। এই চক্র থেকে যেন আর মুক্তি নেই। আমার মনে হয়, সব স্বাধীনতা আন্দোলনের সাফল্যের পেছনেই পরিপুরক দু'ধরনের সক্রিয়তা ছিলো। ভারত উপমহাদেশের জন্য ছিলো একটা গান্ধীবাদী ধারা , আর একটা সুভাষবাদী ধারা । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে ছিলো একটা মার্টিন লুথার কিং , এবং একটা ম্যালকম এক্স। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে মুজিব এবং তাজউদ্দীনের কথা মাথায় আসছে। গান্ধীরা, লুথার কিং-রা, মুজিবরা গ্রেপ্তার বরন ক'রে, অনশন ক'রে প্রকাশ্যে থেকে বৃহত জনগোষ্টীকে উদ্বুদ্ধ করেন। আর সুভাষরা-ম্যালকম এক্সরা-তাজউদ্দীনরা গ্রেপ্তার এড়িয়ে মুক্তান্চল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাধীনতা যে একটি অর্জনযোগ্য স্বপ্নের নাম সেই বিশ্বাসের বীজ জনমানসে পুন:প্রতিষ্ঠিত করেন। কেন জানি মনে হয়, প্যালেষ্টাইনীরা তাদের স্বাধীনতার আন্দোলনকে সাফল্যের দুয়ারে পৌছেঁ দিতে পরিপুরক এই উপরেল্লেখিত দুই তরিকার দুই নেতার স্বত:স্ফুর্ত সন্ধান আজও পান নি। এই নরহত্যা বন্ধ করতে তথাকথিত বিশ্বসম্প্রদায়ের (এমনকি ধর্ম সম্প্রদায়ের) অতীত ব্যর্থতা এটাই প্রমান করে যে স্বাধীনতা একটা জনগোষ্ঠির নিজেদের অর্জনের জিনিস, এটা পাইয়ে দেয়া যায়না।
©somewhere in net ltd.