![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যা দেখি যেভাবে দেখি (কহিলো সে ফিরে দেখো, দেখিলাম থামি , সম্মুখে ঠেলিছে মোরে পশ্চাতের আমি...) [email protected]
হিচ হাইকারদেরকে (Hitchhiker) তেমন চোখেই পড়ে না এদেশে, ইদানিং। এক বয়জ্যেষ্ঠ সহকর্মী সেদিন সানন্দে স্মৃতিচারন করছিলেন, আশির দশকেও ইউরোপের এ মাথা থেকে ওমাথা তিনি ঘুরে বেড়িয়েছেন অন্যের গাড়ীতে চেপে, যখন যে শহরে বা গ্রামে রাত হয়েছে, নিশি যাপন সেখানেই। পরদিন আবার সড়কের ধারে দাঁড়িয়ে কারো গাড়িকে হাত তুলে থামানো। মানুষে-মানুষে বিশ্বাসের পারদ সত্তুর-আশির দশকেই বুঝি এখনকার চেয়ে বেশী ছিলো। এখন এক অদ্ভুত দ্বিচারী সময়ে বাস করি আমরা, প্রযুক্তির এমন কাছে টানা আর মানুষের এমন দুরে ঠ্যালার যুগপৎ সার্কাস আগে কখনো দেখিনি আমরা অনেকেই। এখন হিচহাইকারও আর মাঝি উভয়েই উভয়কে ভয় পায়, যদি মাঝনদীতে নিয়ে ডুবিয়ে দ্যায়! আবার কি আশ্চর্য পশ্চিমের অনেক শহরে অচেনা লোকের সাথে ট্যাক্সি-প্রাইভেট কার ভাগাভাগি করে যাওয়ার যে মোবাইল ফোন-ভিত্তিক ব্যবসা সেটা নাকি রমরমিয়ে বাড়ছে। তাইতো বলি,এক অদ্ভুত দ্বিচারী সময়ে বাস করি আমরা, প্রযুক্তির এমন কাছে টানা আর মানুষের এমন দুরে ঠ্যালার যুগপৎ সার্কাস আগে কখনো দেখিনি আমরা অনেকেই..। আজ সকালে দু'জন হিচহাইকারকে দেখে ছবি তোলার লোভ সামলাতে পারলাম না, কারন এই পর্যটকেরা হারিয়ে যাচ্ছে মনুষ্যসৃষ্ট অবিশ্বাস আর সন্দেহের দোলাচলে। হিচহাইকারদের জয় হো'ক, মানুষে মানুষে বিশ্বাস কমলেও আস্থা বাড়ুক শুভ্র, সুন্দর, কল্যান, এবং আনন্দের উৎকর্ষে প্রযুক্তির ব্যবহারে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:২৮
কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: হিচ হাইকারদের পুরো বিষয়টা জানতে পারলে ভাল লাগত। ++