![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যা দেখি যেভাবে দেখি (কহিলো সে ফিরে দেখো, দেখিলাম থামি , সম্মুখে ঠেলিছে মোরে পশ্চাতের আমি...) [email protected]
"জিডি (জেনারেল ডায়েরী-প্রাথমিক অভিযোগ) করতে গেলে পুলিশ তা নিতে অস্বীকৃতি জানায়"--এ কথাটা আমরা হামেশা পত্রিকার পাতায় দেখি। সম্প্রতি ব্লগার নিলয় খুন হবার পরেও একথা আবার পত্রিকার পাতায় এসেছে। আমার মতে, ডিজিটাল বাংলাদেশে যদি জিডি করার পদ্ধতিটি অন্তত: ডিজিটাল করা যায় (ই-মেইল এবং /অথবা মোবাইল ফোন এস এম এস মেসেজিং এর মাধ্যমে) তাহলে জনগণের অনেক উপকার হবে। নির্দিষ্ট ঠিকানায়/নম্বরে ই-মেইল অথবা এসএমএস-মাধ্যমে অভিযোগ করার সাথে সাথে প্রাপক কম্পিউটারে একটি জিডি নং সহ একটা প্রাপ্তি স্বীকার করা রিপ্লাই মেইল বা রিপ্লাই এসএমএস যদি অভিযোগকারীর কাছে আসে, তবে আর পরবর্তিতে পুলিশ অভিযোগের জিডি গ্রহন করেনি এ অভিযোগের অবকাশ থাকবে না। সমালোচকরা হয়তো বলবেন এই সি্স্টেমে কিছু ভুয়া বা ব্যক্তিগত হিংসামুলক কারনে মিথ্যা অভিযোগের জিডি দায়ের করা হবে। তার জবাবে বলবো ব্যক্তিগত হিংসা বশত: হয়রানিমুলক জিডি কি এখনও করা বন্ধ আছে? তাছাড়া, প্রথম প্রথম হয়তো ফেক ইমেইল আইডি খুলে সাইবার ক্যাফে থেকে বা বিকল্প সিম কার্ড ব্যবহার করে ভুয়া জিডি করা সম্ভব হবে কিছু ক্ষেত্রে, কিন্তু যতই দিন যাবে সাইবার ক্যাফে গুলোর এবং মোবাইল ফোন কোম্পানীগুলোর রেকর্ড কিপিং এবং মনিটরিং ব্যবস্থা যত উন্নত হবে এই ধরনের জালিয়াতির সুযোগ ততোই কমে আসবে, এবং কিছুদিন পরে দেখা যাবে ডিজিটাল জিডি করার কারনে বাংলাদেশে ন্যায়বিচার ব্যবস্থা বর্তমানের চেয়ে স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিমুলক হয়ে উঠবে।
©somewhere in net ltd.