নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুক্ত মানব

যা দেখি যেভাবে দেখি (কহিলো সে ফিরে দেখো, দেখিলাম থামি , সম্মুখে ঠেলিছে মোরে পশ্চাতের আমি...) [email protected]

মুক্ত মানব › বিস্তারিত পোস্টঃ

আষাঢ়ে (মধুমাসের) গল্প (হলেও সত্যি)!

১২ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:২৭



আষাঢ়ে (মধুমাসের) গল্প (হলেও সত্যি)!
---------------------------------------------
প্রতারণার কোন পূর্ব-পশ্চিম নেই, মওকা পেলে সবখানেই হ'তে পারে। আপাতত: ফল সংক্রান্ত দু'টো ধরা খাওয়ার ঘটনা শেয়ার করছি।

ঘটনা এক: আসা যাওয়ার পথের ধারে, চৌরাস্তার মোড়ে একটা ছোটা পিকাপ ট্রাকে তরমুজের বিশাল পসরা । সেখানে সাইন বোর্ডে লেখা আছে 'খুব মিষ্টি, বিচি ছাড়া তরমুজ' (seedless water melon)। আগ্রহ ভরে কিনে নিয়ে বাসায় গেলাম এবং তক্ষুনি তরমুজটি কাটার পরে দেখলাম ভেতরে কমপক্ষে কয়েক মিলিয়ন বিচি। ত্বরিত গতিতে গাড়ী চালিয়ে ফের সেই চৌরাস্তায় এসে দেখলাম পিকাপ ট্রাক হাওয়া।

ঘটনা দুই: বিচিঅলা তরমুজে ধরা খাওয়ার কিছুদিন পরে কচি নারকেল খাওয়ার সাধ হলো। এক দোকান থেকে "baby coconut" কিনে আনলাম। জানতাম কচি নারকেলের গায়ের রং ঝুনা নারকেলের চেয়ে উজ্জ্বলতর হয়। তো সেই রং মিলিয়ে কেনা নারকেল যখন বাসার কিচেনের কাটিং বোর্ডের ওপরে রাখলাম, গায়ের সেই উজ্জ্বল রং ঝুর ঝুর করে কা টিং বোর্ডের উপরে পড়তে লাগলো। সেই রংয়ের আড়াল থেকে প্রকৃত ঝুনা নারকেলের খোলের গায়ের রং উঁকি দিতে লাগলো। আমার হাতও সেই রংয়ে রংগীন হয়ে উঠলো। আর ভেতরের নারকেল খেয়ে দেখলাম ঝুনার চেয়েও ঝুনা, মহা শক্ত। এই দু'ই ঘটনার পরে ভাবছি আগামীতে বিচি ছাড়া তরমুজ কিনতে হলে দোকানেই কেটে দেখার চেস্টা করবো আর কচি নারকেল কিনতে হলে দোকানেই পানিতে ধুয়ে দেখার চেষ্টা করবো, (যেমনটা বাংলাদেশের নানী-দাদীরা একদা হবু নাত-বৌয়ের চুল ধুয়ে দেখার চেষ্টা করতো পারসোনা থেকে কলপ দিয়ে শুভ্রতা ঢেকেছে কিনা )।



মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:২৭

নয়া পাঠক বলেছেন: আপনার আষাঢ়ে গল্প খুবই ভাল লাগল, সেই সাথে এই অভিজ্ঞতা শেয়ার করে অনেকের উপকার করেলেন।

২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫১

এসো চিন্তা করি বলেছেন: আমি নতুন আমার লেখা পড়বেন আর সাপোর্ট করবেন ভাই ধন্যবাদ।☺️

৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:১০

শায়মা বলেছেন: এত বড় জালিয়াতি!!!
কেমন আছো ভাইয়া ?

৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৫৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার মনে হয়, বাংলাদেশের মত পৃথিবীর আর কোনও দেশে এতটা ভেজালযুক্ত খাদ্যদ্রব্য, শাকসব্জী, ফলমূল ও মাছ মাংস নির্বিচারে বিক্রয় হয় না। এ প্রবণতা রোধের জন্য আইন এবং আইন প্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে, কিন্তু তাদের দুর্নীতি ও কর্তব্যে অবহেলার কারণে আইনের যথাযথ প্রয়োগ কখনোই সম্ভব হচ্ছে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.