নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুক্তা নীল

মুক্তা নীল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিয়ের লৌকিকতা

১৫ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:০৮



বিয়ে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। একজন নারী ও পুরুষ উভয়েই একসাথে বৈধভাবে জীবন যাপন করার জন্য বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের মাধ্যমে জীবনে প্রবেশ করে সম্পূর্ণ নতুন একটি পর্যায় এবং পরিবর্তন যা আমাদের অনেককেই মেনে নিতে হয়। একটি প্রবাদ বাক্য আছে, স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক জন্ম-জন্মান্তরের। কিন্তু আসলেই কি তা জন্ম-জন্মান্তরের? ইদানিং যেভাবে মানুষের ঘটা করে বিয়ে অনুষ্ঠান কার্যাদি সম্পন্ন করেন কিন্তু তা টিকে থাকে ক'জনার?

বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান দেশ হলেও বিয়ে-শাদীতে আধুনিকতার নামে যে অপচয় ও অশ্লীলতায় যেনো কিছু কিছু মানুষ অনেক এগিয়ে। আবার আরেকটি বিষয় হচ্ছে বিলাসিতা ও অপচয়। যাইহোক, যে যাই করুক না কেন সাধ্যমতো এটা তার অবশ্যই আপন আপন ব্যক্তিগত ব্যাপার।

দেনমোহর মুসলিমদের বিয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ শর্ত। আইন অনুসারে পাত্রপক্ষের আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী নির্ধারণ হওয়ার কথা। রীতিমতো অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে আমাদের সমাজের অধিকাংশ। যার ফলে বাড়ছে পারিবারিক অশান্তি, ভাঙছে সংসার ও নানা অপ্রীতিকর ঘটনা। অতিরিক্ত দেনমোহর আদায় সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। ইসলামিক দৃষ্টিতে দেনমোহর নির্ধারণ হতে হবে পাত্রের আর্থিক সামর্থ্য, যা শুরুতে বা পরবর্তীতে আদায়যোগ্য। কিন্তু পারিবারিক সমঝোতা, বিশেষ করে বরের আর্থিক সামর্থ্য ও উভয় পক্ষের সম্মতি এসবের ঊর্ধ্বে হচ্ছে লৌকিকতা। আজকাল আমাদের দেশে কাবিন যেন একটা লোক দেখানো ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের বিয়েতে কাবিন এর সাথে বরের অর্থনৈতিক সামঞ্জস্য একেবারেই খাপছাড়া। বরের পরিবারের সামাজিক অবস্থান ও লোক দেখানোকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়। আর ইসলামের বিধিমালা ও ক'জন মেনে চলে? অবশ্যই দেনমোহর হল স্ত্রীর প্রতি সম্মান সূচক স্বামীর একটি আবশ্যিক দেনা। দেনমোহর স্ত্রীর অধিকার সংরক্ষণ ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দেওয়া হয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় এটা বরপক্ষের জন্য না হয় সহনীয় আর কনে পক্ষের জন্য না হয় শোভনীয়!

ছোট একটি ঘটনা বলি, কিছুদিন আগেই আমার নিকট আত্মীয়র (বরপক্ষ) বিয়ের মাত্র এক বছরের মধ্যে ডিভোর্স হলো। এবং ডিভোর্সটা এসেছিল কনেপক্ষের তরফ থেকে। মা বাবার প্রথম সন্তান হওয়াতে অনেকটা শখের বশেই বিবিএ ও এমবিএ শেষ করার পর পরই বিয়ে হয়। যদিও বরের একদম নতুন চাকরি তারপরও খুব ঘটা করে বিয়ের সমস্ত অনুষ্ঠান, এনগেজমেন্ট, গায়ে হলুদ, বিয়ে, বৌভাতের আয়োজন করেন বরের বাবা মা। বরের অর্থনৈতিক অবস্থানের চেয়ে সামাজিক অবস্থান ও পারিবারিক সম্মান রক্ষার্থে বেশ মোটা অংকের কাবিন হয়। দুঃখজনক হচ্ছে বিয়ের কাবিন নামায় অলংকারের কোন উসুল দেখানো না হওয়াতে সামাজিক ও লোকলজ্জার ভয়ে ডিভোর্সের পর পর কোন কিস্তি ছাড়াই বরের বাবা এক চেকের মাধ্যমে সেই টাকা প্রদান করেন।

অনেক মেয়ের পরিবার মনে করেন বিয়েতে দেনমোহরের টাকা যদি বেশি হয় তাহলে তালাক হলে মেয়ে ওই টাকা দিয়ে কিছু করবে। অদ্ভুৎ ব্যাপার সংসারই যদি না টিকে তাহলে দেনমোহরের টাকা দিয়ে কি হবে? আগেকার দিনের বিয়েতে দেনমোহরের পরিমাণ কম ছিলো, লোক দেখানো চাকচিক্য এসব কিছুই ছিল না কিন্তু বিয়েটা টিকে থাকতো আমরণ। দেনমোহর নিয়ে ভাবতে অবাক লাগে এই যদি হয় জীবন মরনের সঙ্গীর সাথে চুক্তির নমুনা তাহলে যেকোনো পক্ষই প্রতিপদে হেস্তনেস্ত হবে। এই আধুনিক যুগে বিবাহ নিবন্ধনের চুক্তিটি সময়োপযোগী করে তৈরি করতে হবে। নইলে এতো আয়োজন সবই হবে বৃথা।

মন্তব্য ৬১ টি রেটিং +১৯/-০

মন্তব্য (৬১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৩১

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: ইদানীং দেনমোহর বড় ধরণের ধান্ধা হয়েছে। বিয়ের মাস কয়েক পর বিবাহবিচ্ছেদ এবং বর ফতুর। দেনমোহরেও ধর্মকে ব্যবহার করা হয়।


(আপনি কেমন আছেন)

১৫ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:২৬

মুক্তা নীল বলেছেন:
ভাই ,
প্রথমে আপনি আমার আন্তরিক ধন্যবাদ গ্রহন করুন। আমি ভালো আছি, আশা করি আপনিও ভালো আছেন।
দেনমোহরের এই দৌড় প্রতিযোগিতায় বর যেমন হয় তেমনি কারও জীবন ধ্বংস দিকেই এগিয়ে যায় ।
ধার্মিক চিন্তা ভাবনা থেকে বিয়ের প্রেস্টিজ ইস্যু-ই যেন বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

২| ১৫ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৩৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




বিয়ে বাড়ির ডিজে বাইজী নাচ ও খাবারের অপচয় নিয়ে কি আর বলবো? এখন বিয়ে বাড়িতে বউ নাচেন, নাচেন বর সাথে নাচেন বরের বাবা মা পাত্রীর বাবা মা সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী ও পাশের বাসার বেগানা সাদী মে আবদুল্লাহ দিওয়ানা টাইপ কোনো বেপর্দা মহিলা ও অসভ্য পুরুষ - কে কোন খুশিতে / দুঃখে নাচেন তারা নিজেরা হয়তো ভালো জানেন।

বাংলাদেশে প্রচলিত একটি কথা আছে কেনার বেলায় পাগল আর বেচতে গিয়ে ছাগল। ঠিক তেমনি বিয়ের ক্ষেত্রে পাগল হয়ে দেনমোহর ঠিক করেন পাত্রপাত্রী পক্ষ আর কোনো কারণে ডিভোর্স হলে উভয় পক্ষ ছাগলে রুপান্তরিত হোন। অহংকার গৌরবে ১০-২০ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছেন দেনমোহরের অংক। লোকলজ্জার ভয়ে টাকা পরিশোধ করতে হয় অথবা পাত্রপক্ষ যৌতুকের মিথ্যা মামলায় থানা আদালত হেস্তনেস্ত সহ আকাশ মিতুর ঘটনার মতো অহরহ ঘটে আকাশের আত্মহত্যা!

দোষ উভয়ের। পাত্রপক্ষ গুলিস্তানের ক্রেতা আর পাত্রীপক্ষ গুলিস্তানের বিক্রেতা। উভয়ে মিলে দেশের ভারসাম্য নষ্ট করে দিয়েছেন। বিয়ের আগে গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান হয় আর ডিভোর্স হচ্ছে গায়ে মরিচ অনুষ্টান। (দুটোই মসলা)

১৫ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৩৩

মুক্তা নীল বলেছেন:
ঠাকুরদা ,
সেদিন একটা গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে বর-কণের সাথে বরের বাবা ও কনের বাবাকে
নাচতে দেখে আমি হতভম্ব। দু'পক্ষের বর-কনেসহ বন্ধু-বান্ধব ও ভাই বোনেরা নাচে আর এখন
দেখছি অভিভাবক নাচছে । আপনি ঠিকই বলেছেন,
বিয়ের আগে গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান হয় আর ডিভোর্স হচ্ছে গায়ে মরিচ অনুষ্টান।
এতোটাই ভারসাম্যহীন দেনমোহর হচ্ছে যেনো সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে ।
আগের দিনের বিয়েতে দেনমোহর হতে কম , আর বিয়েটা টিকে থাকতো
এখন ঠিক তার উল্টো ।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ।

৩| ১৫ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:১২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: খুবই ভালো লাগলো।

১৫ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৩

মুক্তা নীল বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটা পড়ার জন্য ।

৪| ১৫ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৫৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: যাক, অবশেষে আপনার কলম.....থুক্কু কি-বোর্ড থেকে একটা লেখা বের হলো। সেই কোন যুগে এক সাতকরা দেখিয়ে এতোদিন ঝুলিয়ে রাখলেন!! =p~

বিয়েতে সফলতা দিন শেষে একটা ভাগ্যের ব্যাপার, সে যে যতো কথাই বলুক না কেন। তবে, বিয়ের অনুষ্ঠানের নামে দেশে যে সংস্কৃতি এখন চালু হয়েছে, তা অপচয়েরই নামান্তর। আর কে না জানে, অপচয়ীরা শয়তানের ভাই/বোন। B-)

বিয়ে টিকুক বা না টিকুক, টাকা কিন্তু সব সময়েই একটা বড় ফ্যাক্টর। :)

১৬ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:০২

মুক্তা নীল বলেছেন:
ভাই ,
শতকরা দেখিয়ে এতদিন ঝুলিয়ে রাখলাম তাও তো আপনি শতকরা খাননি। আপনার আন্তরিকতা দেখে আমি মুগ্ধ ও অভিভূত।
করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে কিছুই ভালো লাগছে না তাই লিখলাম।

বিয়ের অনুষ্ঠানে পশ্চিমা দেশের সাথে তুলনা ও কে কতো সামর্থ্যবান সেটা টেক্কা দেওয়াই বর্তমান যুগের প্রাধান্যতা ও ফ্যাশন । ইদানিং বৌভাতের অনুষ্ঠানে গানের লাইভ প্রোগ্রাম হয়। তো বুঝুন এবার কতো রং ঢং বের হয়েছে।
ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানবেন।

৫| ১৫ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: হাদীসে আছে বিয়ে কম খরচে করতে। লোকজন মনে হয় হাদীস মানে না। তারা বিয়েতে সবচেয়ে বেশি খরচ করে।

বিয়ে শাদী না করাই ভালো। সত্যি বলছি।

১৫ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৮

মুক্তা নীল বলেছেন:
রাজীব ভাই ,
বিয়ে-শাদী না করাই ভালো কথা কেন বলছেন বিয়েতে ফরজ প্রত্যেক নর-নারীর
উপর ।হাদীসে আছে বিয়ে কম খরচে করতে। লোকজন মনে হয় হাদীস মানে না --
খুব সুন্দর করে আপনি কথাটা বলেছেন ।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৬| ১৫ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:১৮

নীল আকাশ বলেছেন: মুক্তা আপু,
(আমার উপরের ম ন্তব্য ডিলিট করে দিন)
আমি এই বিষয়ে লেখার জন্য তথ্য সংগ্রহ করছিলাম। খুব সুন্দর সমসাময়িক বিষয় নিয়ে লিখেছেন।
ইসলামের দৃষ্টিতে বিয়ে হচ্ছে আল্লাহ 'কে সাক্ষী রেখে একে অপরের সাথে পরিণয় সূত্র আবদ্ধ হওয়া। নবী করীম (সাল্লালাহু আলাহিস সালাম) এর সময় এই কাজটা উনি করতেন অনেক সময় মসজিদে নববীতে বসেই। মাত্র পাঁচ থেকে দশমিনিটের কাজ। অথচ এটাকে এখন আমাদের দেশে কী বানানো হয়েছে চিন্তা করুন। পাঁচদিনে ধরে নাকি শুধু প্রোগ্রামই হয়!!!!

মাহমুদ ভাইয়ের ভাষায়ই বলিঃ বিয়ে বাড়ির ডিজে বাইজী নাচ ও খাবারের অপচয় নিয়ে কি আর বলবো? এখন বিয়ে বাড়িতে বউ নাচেন, নাচেন বর সাথে নাচেন বরের বাবা মা পাত্রীর বাবা মা সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী ও পাশের বাসার বেগানা সাদী মে আবদুল্লাহ দিওয়ানা টাইপ কোনো বেপর্দা মহিলা ও অসভ্য পুরুষ - কে কোন খুশিতে / দুঃখে নাচেন তারা নিজেরা হয়তো ভালো জানেন।

এখন বলুন এইসব জায়গায় কিভাবে ফেরেস্তারা আসবেন? নব বিবাহিত দম্পত্তির জন্য দোয়া করবেন? অথচ বলা আছে প্রতিটা বিয়েতে ফেরেস্তারা এসে দোয়া করেন। হলুদ এর অনুষ্ঠান তো সরাসরি হারাম। গাইরে মাহরাম'রা কিভাবে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে স্পর্শ করে? এইসব হারাম নিষিদ্ধ কাজ নিয়ে বিয়ে অনুষ্ঠিত হবে আর আপনারা চান সেটা বছরের পর বছর টিকে থাকবে?

আমার অবস্থা আপনার চেয়েও কোন অংশে ভালো না। গতবছর খুব কাছের এক আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে সবগুলি প্রোগ্রামেই অংশ গ্রহন করতে হয়েছে। একটু পর পর মনে হচ্ছিল এটা কী বাংলাদেশ? আমরা কী মুসলমান? আজকাল কেউ কী আসলেই ধর্ম মানে? মেয়েদের ড্রেস দেখছেন? তাদের চাল চলন হাব ভাব দেখছেন? মা আর মেয়ে একসাথে যখন পার্লার থেকে বের হয়, নাউজুবিল্লাহ কোনটা কে চিনবেন না। এইসব কোন অনুষ্ঠানে যেয়ে দেখুন মেয়েরা কী ড্রেস পরে আসে? সেখানে রহমতের ফেরেস্তারা কিভাবে আসবে বলুন? আমাদের লজ্জা শরম না থাকতে পারে কিন্তু তাদের আছে।

সাহাবীরা বাসর রাতে পবিত্র কুরআন শরীফ পড়ে শুনাতেন মোহরানা বাবদ অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে। এর এখন লাখ লাখ টাকা দিয়েও এক বছর বিয়ে টিকে থাকে না। কোটি টাকা দিয়েও টিকবে না। কারণ মোহরানা কী সেটার অর্থ কী সেটাই মানুষ জানে না।

যেই বিয়েতে আল্লাহর রহমতের ফেরেস্তারা আসতে পারবেন না? দোয়া করতে পারবেন না? সেই বিয়ে টিকবে কিভাবে? নিজেই বলুন?

ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইলো।


১৫ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৭

মুক্তা নীল বলেছেন:
নীল আকাশ ভাই ,
দেনমোহর ও বিয়ের অনুষ্ঠানে দিয়ে আপনার কাছ থেকে এত সুন্দর উত্তম
কিছুকথা পেয়ে আমার লিখাটা যেন সার্থক মনে হচ্ছে ।
আপনি যে কয়েকটি বিষয় তুলে ধরেছেন তাহলে পয়েন্টেড ।
গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে ডিজে পার্টি অবশ্যই , উঠতি বয়সের মেয়েদের লেহেঙ্গা
পরার স্টাইল সিনেমা নায়িকাদের অনুকরণীয় ।দেনমোহর বিয়েতে বা পরবর্তীতে
আদায়যোগ্য যা ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে সম্পূর্ণ বহির্ভূত , এই হলো আমাদের বর্তমান
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইলো ভাইয়ের জন্য ।

৭| ১৫ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৫৮

সাগর শরীফ বলেছেন: চুপচাপে কাজ সেরে ফেলব চিন্তা করেছি। সামাজিকতা মানতে গেলে অশ্লীলতা যেমন হবে, হয়রানিও হবে।

১৫ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০১

মুক্তা নীল বলেছেন:
হয়রানি বন্ধ করতে গিয়ে অশান্তির পরিমাণ যেন আরও বেড়ে না যায় ।

৮| ১৫ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৩২

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: এত বড় অংকের কাবিন করেও বিয়ে টিকছে না। বেশিভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, কনে পক্ষ বা কনে বিয়ের কিছুদিন পর বিভিন্ন কৌশলে ডিভোর্স নিয়ে নিচ্ছে। সাথে মোটা অংকের দেনমোহর!
এই বড় অংকের কাবিনই ডিভোর্স বাড়ার অন্যতম একটি কারণ।

১৫ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৪

মুক্তা নীল বলেছেন:
ভাই ,
যদি বিয়ের কিছুদিন পর কৌশলে কেউ ডিভোর্স না তাহলে তো এটাকে বিয়ে নয়
ব্যবসা হিসেবে দেখছে । বিয়েটাই যদি নাটিকে কাবিনের টাকা দিয়ে কি হবে ?
ভালো থাকুন ।

৯| ১৫ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৬

ইসিয়াক বলেছেন: পোষ্টে ভালো লাগা রেখে গেলাম আপু।

১৫ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৪

মুক্তা নীল বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ ভাই, ভালো থাকুন ।

১০| ১৫ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৫

সোহানী বলেছেন: জি বাংলা দেখতে দেখতে আমরা সব বদ্ধ উম্মাদ হয়ে গেছি।

ভারতীয় চ্যানেল বন্ধ হোক দেখবেন অর্ধেক ছাগলামী কমে গেছে।

১৫ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৭

মুক্তা নীল বলেছেন:
সোহানী আপা ,
এই প্রথম আমার পোস্টে , ধন্যবাদ গ্রহণ করুন।
প্রতিটি নাটকে কেন্দ্রীয় চরিত্র গুলোর দুটো করে বিয়ে ও পরকীয়া।
স্টার জলসা ও জি বাংলা বন্ধ করে দিলে আপা ছাগলামী তো কমবেই সেইসাথে
অনেকে হয়তো স্ট্রোক করে মারাও যেতে পারে ।

১১| ১৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:০৫

জোছনাস্নাত রাত্রি বলেছেন: @ সোহানীঃ এখন দেশে বিয়ের নাএ যা যা হয় সবগুলিই ভারতীয় চ্যানেলের হুবুহু অনুকরণ। বেহায়ার মতো পোষাক আশাক পড়ে অশ্লীল নাচ গান কোনটাই বাদ যায় না।

১২| ১৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৩২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট বোনের অনেক দিন পরে পোস্ট পেয়ে খুশি হয়েছি। অল্প কথায় খুবই ভালো লিখেছেন। তবে ব্যক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে বিষয়টি নিয়ে বিশেষ কিছু বলতে পারছিনা।
করোনা আতঙ্ক আমাদেরকে পেয়ে বসেছে। হোম টাউনে আইসোলেশন সেন্টার হয়েছে। বাজারে শাকসবজি ফলমূল পর্যন্ত কিনতে ভয় হচ্ছে। মাস্ক ,সেনিটাইজার বাজার থেকে উধাও। জানিনা এরপরে কপালে কি আছে।

শুভকামনা প্রিয় ছোট বোনকে।

১৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:০৭

মুক্তা নীল বলেছেন:
দাদা ,
আপনাকে পাশে পেয়ে আমি নিজেও খুশি হয়েছি । অনুপ্রেরণা বোধ করছি
পোস্টের লেখা ভালো লাগায় ।
দাদা করোনা ভাইরাস আতঙ্কে আমাদের এখানেও খারাপ অবস্থা।
নিরাপদে থাকা ও আল্লাহর উপরে ভরসা করা ছাড়া আর অন্য
কোন উপায় নেই ।আপনারাও সকলে ভালো থাকুন এই দোয়া করি।
ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানবেন ।

১৩| ১৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:১৫

আরোগ্য বলেছেন: অবশেষে প্রিয় মুক্তাআপু পোস্ট দিলেন। আশা করি ভালো আছেন। এতোসব কারণেই বিয়ের কোঠায় পারে রাখতে ভয় পাই, কে জানে কোন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়।

সে যাই হোক আমি একটু অসুস্থ, তবে গলা ব্যথা নেই আলহামদুলিল্লাহ। দোয়া করবেন।

১৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৪৭

মুক্তা নীল বলেছেন:
আরোগ্য ,
পোস্ট দিয়ে প্রিয় ছোট ভাইকে পাশে পাওয়ার আনন্দটাই
অন্যরকম ভালো আছি তবে কিছুটা আতঙ্কেও আছি ।
বিয়ের কোঠায় নির্ভয়ে পা রাখতে পারেন, বোন ভাইয়ের আবার
চিন্তা কি ? সবকিছু সময়মত সেটআপ করে দিবো ।
আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য অনেকেই সামান্য অসুস্থ হচ্ছে এতে
চিন্তার কোন কারণ নেই , ইনশাল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
দোয়া করি সবাইকে নিয়ে ভালোও নিরাপদে থাকুন ।

১৪| ১৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৩৪

শের শায়রী বলেছেন: বোন আপনি ভালো আর একটা বিষয় তুলে এনেছেন, কি আর বলব নিজের আত্মীয় স্বজনের বিয়েতে ১৫/২০ লাখ টাকা দেনমোহর এবং রাজী ও হয়ে যাচ্ছে অথচ এই দেন মোহর কি এবং কেন তা কয় জন জানে? এবং আল্লাহ না করুক খারাপ কিছু হলে ছেলেটার কি হবে কেউ ভাবছে না।

অনেক দিন পর পোষ্ট দিলেন। পোষ্টে ভালো লাগা।

১৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৫৪

মুক্তা নীল বলেছেন:
ভাই ,
এই প্রথম আপনাকে আমার পোস্টে পেয়ে অভিনন্দন ।
আমার লেখায় পিনপয়েন্ট আপনার মূল্যবান মন্তব্য আমি অনুপ্রাণিত।
কিছুদিন আগে আমার এক আত্মীয়ের যখন ডিভোর্স হয় তখনই বেশ ভাবিয়ে তুললো এই বিষয়টি।
ক্ষতি তো বড় কনে পক্ষের উভয়েই।
অবশ্যই দেনমোহরের বিষয়টি বরের জন্য সহনীয় ও কনের জন্য লোভনীয় হওয়া উচিত । এই প্রতিযোগিতামূলক দেনমোহর অনায়াসেই জীবন ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে ।

ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানবেন।

১৫| ১৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৪১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




বর্তমানে বিয়ে একটি প্রতিযোগিতার নাম! প্রতিযোগিতা বরপক্ষ - কনেপক্ষের সাথে। প্রতিযোগিতা কনেপক্ষ - বরপক্ষের সাথে। প্রতিযোগিতা বরকনে পক্ষ - সমাজের সাথে। আর সবাই জানেন প্রতিযোগিতায় জয় পরাজয় আছে হচ্ছেও তাই একপক্ষ জয়ী হচ্ছেন আরেক পক্ষ পরাজয়!

আমার জীবনে অসংখ্য বিয়ের অনুষ্ঠান দেখার সুযোগ হয়েছে পশ্চিমা দেশে এই ধরণের বিয়ে ও বিয়ের অনুষ্ঠান হয় না এগুলো হতো শুধু ভারতীয় সিনেমাতে যা বর্তমানে ভারত ও বাংলাদেশের নষ্ট সমাজে বিদ্যমান। প্রতিটি বিয়েতে বাইজী নাচ, ডিজে সহ পাত্রপাত্রী পরিবার পরিজন সহ আশে পাশের বাসার মহিলাদের বেপর্দা নাচ এখন বাংলাদেশের কালচার! - আসলে বাংলাদেশের নিজস্ব কোনো কালচার কখনো ছিলো না। এই দেশের কালচার হচ্ছে ধার দেনা করা পাক-ভারতের নষ্ট কালচার!



১৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:০৬

মুক্তা নীল বলেছেন:
ঠাকুর দা ,
বর্তমানে বিয়ে একটি প্রতিযোগিতার নাম! প্রতিযোগিতা বরপক্ষ - কনেপক্ষের সাথে। প্রতিযোগিতা কনেপক্ষ - বরপক্ষের সাথে। প্রতিযোগিতা বরকনে পক্ষ - সমাজের সাথে। আর সবাই জানেন প্রতিযোগিতায় জয় পরাজয় আছে হচ্ছেও তাই একপক্ষ জয়ী হচ্ছেন আরেক পক্ষ পরাজয়! ---- সহমত প্রকাশ করছি।
আমরা পরিবর্তনের ধারায় বিশ্বাসী , তাই বলে পশ্চিমা দেশের অপসংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। পুনরায় এসে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে আবারো ধন্যবাদ।
ভালো ও নিরাপদে থাকুন।

১৬| ১৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:২৬

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: চালাকের চালাকি এবং বোকার বোকামি দেখে আমি পাগলের মত দোয়া এবং জিকির করি। মৃত্যুরাগ পর্যন্ত ইমানের সাথে বেঁচে থাকাই এখন অগ্নিপরিক্ষা।

বিয়া অনেক গুরুত্বপর্ূণ সুন্নত এবং সম্পর্ক। চিনিমিনি দেখলে সত্যি ভয় হয়ে।

১৬ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৩২

মুক্তা নীল বলেছেন:
ভাই ,আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন এবং ঈমানের সহিত যাতে আমাদের মৃত্যু হয় এই দোয়া করি ।
পুনরায় ফিরে আসার জন্য ধন্যবাদ।

১৭| ১৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:২৭

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: জি ভাইজান আমিও ভালো আছি, দোয়া করবেন। ভাতের জন্য এবং বিল পরিশোদ করার জন্য এখন টেক্সি চালাই।

১৬ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৩৩

মুক্তা নীল বলেছেন:
ভাই, দোয়া করি আপনি ও আপনার পরিবার সহ সকলে ভালো থাকুন।

১৮| ১৬ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: বিয়ে করার চেয়ে বিয়ে না করলে সুবিধা বেশি। (প্রমানিত)

১৬ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৩৬

মুক্তা নীল বলেছেন:
ভালো কথা ।তো সেদিন আপনি দ্বিতীয় বিয়ের করার ইচ্ছে প্রকাশ করলেন কেন?

১৯| ১৬ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:০৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মোহরানা নারীর অধিকার। নিরাপত্তা এবং আপদকালীন সঞ্চয়!
তবে তা হতে হবে উভয়ের উইন উইন সিচুয়েশনের। কারো উপর বোঝা না হয়ে।
আর্থিক সামর্থ, সামাজিক অবস্থান এবং এবং নারীর প্রতি ভালবাসায় কত সর্বোচ্চটুকু সে দিতে প্রস্তুত।
এবং যতটুকুতে নারী সন্তুষ্ট হয়।

এর বাইরের সামাজিকতার সো কলড স্ট্যাটাসের জন্য যা সব বাড়াবাড়ি সবই অন্যায়।
আর সংস্কৃতির বিকাশ না ঘটায় অন্ধ অনুকরনেই ভাসছে সমাজ।

সচেতনতা, ধর্মের প্রতি বিশ্বাস, আন্তরিকতা এবং স্বকীয়তা বোধ জাগ্রত হলে এ অনাচার এমনিতেই বন্ধ হবে।


১৬ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৩৯

মুক্তা নীল বলেছেন: ভাই ,
আপনার প্রথম আগমনে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন ।
দেনমোহর স্ত্রীর অধিকার ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তার স্বার্থে দেয়া হয় ।তারপরও কেনো যে এতো বাড়াবাড়ি ও লোক দেখানো অপসংস্কৃতি ছড়াচ্ছে যা থেকে ভালো করে কিছু আসছে না বরং আরো খারাপের দিকে ধাবিত হচ্ছে ।
আপনার মূল্যবান মন্তব্য আমি অনুপ্রাণিত ।
সচেতনতা, ধর্মের প্রতি বিশ্বাস, আন্তরিকতা এবং স্বকীয়তা বোধ জাগ্রত হলে এ অনাচার এমনিতেই বন্ধ হবে -- সহমত প্রকাশ করছি।
অনেক ধন্যবাদ।

২০| ১৬ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন:
ভালো কথা ।তো সেদিন আপনি দ্বিতীয় বিয়ের করার ইচ্ছে প্রকাশ করলেন কেন?

আমি অধম তাই বলে আপনারা উত্তম হইবেন না কেন??

২৩ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:০৬

মুক্তা নীল বলেছেন:
রাজিব ভাই ,
আপনি হচ্ছেন ব্লগের প্রাণ । দ্বিতীয় বিয়ের কথা আপনি মজা করে লিখেছিলেন, তাই আমিওআপনার সাথে মজা করে লিখলাম। এটা সিরিয়াসলি নিবেন না । আপনি অবশ্যই উত্তম মানুষ ।
ভাল ও নিরাপদে থাকুন।

২১| ১৬ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৪১

করুণাধারা বলেছেন: অনেকদিন পর আপনাকে দেখে খুব ভালো লাগলো মুক্তা নীল! :) ব্যস্ততার কারণে এই গুরুত্বপূর্ণ পোস্টে মন্তব্য করতে দেরি হয়ে গেল।

আমি ঠিক করেছিলাম আর কোন বিয়ের অনুষ্ঠানে যাব না, কারণ বিয়ে বাড়িতে গেলে মনে হয় সিনেমার শুটিং চলছে। হিন্দি সিনেমার নায়ক নায়িকার মত পোজ দিয়ে ছবি তুলে কিছুদিন পরেই ডিভোর্স! বিয়ে এখন আর কোন পবিত্র বন্ধন নয়, জৌলুসের প্রদর্শনী মাত্র!

অল্প কথায় বর্তমান সময়ের সমস্যা তুলে ধরেছেন, ভালো লাগলো।

২৩ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৪০

মুক্তা নীল বলেছেন:
আপা
আপনাকে পেয়ে আমারও ভালো লাগছে ।
এই আতঙ্কের ভেতর আপনার মন্তব্য পড়ে আনন্দ ও বিনোদন পেলাম।
সবকিছু এতই অনুকরণ করতে যেয়ে আমাদের সংস্কৃতির ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলেছে। এখন বিয়েতে শুধু কনের মা কাঁদে কিন্তু কনে কাঁদছে না ২০/২৫ হাজার টাকার মেকআপ নষ্ট হয়ে যাবে। বিয়ে এখন আর কোন পবিত্র বন্ধন নয়, জৌলুসের প্রদর্শনী মাত্র!---সহমত।
ভালো ও নিরাপদে থাকুন ।

২২| ১৬ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৪৪

নতুন বলেছেন: বিয়ের আগে দেন মোহরের বিষয়টা আলোচনা করেনা এবং কেন সেটা অনুস্ঠানের দিনের জন্য রেখে দেয়?

অনেক মানুষের মাঝে অনেক সময় ভাব দেখানো বা অহংকারের কারনে বেশি মোহর দাবি করে।

আর ডিভোসের ব্যাপারে মেয়েরা কিন্তু বিয়ে ভাঙ্গতে খুব একটা চায় না কারন ডিভোসের পরে একজন নারীর ২য় বিয়েতে যতটা অসুবিধা ছেলের ততটা অসুবিধা হয় না।

লোক দেখানো লৌকিকতা কমিয়ে বিয়ের আসল বিষয়গুলি গুরুত্ব দিলে অনেক সমস্যা কমবে।

২৩ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৪৩

মুক্তা নীল বলেছেন:
এই প্রথম আপনাকে আমার পোস্টে পেয়ে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
অনেক বিয়ের অনুষ্ঠানের অন্তত ছয় মাস আগেই হল বুকিং এর জন্যই বিয়ের তারিখ ও বিয়ের অন্যান্য বিষয়ে কাবিন স্বর্ণালঙ্কার
সবই ঠিক করা হয়। অনেক মানুষের মাঝে অনেক সময় ভাব দেখানো বা অহংকারের কারনে বেশি মোহর দাবি করে ---সহমত, এটাই এখন চরম সত্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ডিভোর্স একটি ভালো পরিবারের সকল সদস্য সহ এবং ভালো মন-মানসিকতার বর-কনে কোনভাবেই কেউ আশা করে না ।
আপনার মন্তব্যে অনুপ্রাণিতবোধ করছি, ভালো ও নিরাপদে থাকুন ।

২৩| ১৬ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৪০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আপা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। দেনমোহরের ব্যাপারটা কজন মানে। আসলেই বিয়ে না টিকলে দেনমোহর দিয়া কী হবে!

ধন্যবাদ আপনাকে। যেন আমার মনের কথাগুলোই
জাজাকিল্লাহ খাইরান আপি

২৩ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৪৪

মুক্তা নীল বলেছেন:
ছবি আপা,
খুব ভালো লাগলো আপনাকে দেখে। যেকোনো বিয়েতে দেনমোহর বিবেচনা করে দেওয়াই উচিত।এই পোস্টে আমি আমার এক নিকট আত্মীয়র কথা সে জন্যই বলেছি।ওরা ভীষণ লুজার হয়ে গিয়েছিল ,শুধু দেনমোহর এর জন্য নয় মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত।
এ পোষ্টের লেখাগুলো আপনার ভালো লাগছে জেনে কৃতজ্ঞতা।
ভালো ও নিরাপদে থাকুন ।

২৪| ১৬ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৫৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক মেয়ের পরিবার মনে করেন বিয়েতে দেনমোহরের টাকা যদি বেশি হয় তাহলে তালাক হলে মেয়ে ওই টাকা দিয়ে কিছু করবে। অদ্ভুৎ ব্যাপার সংসারই যদি না টিকে তাহলে দেনমোহরের টাকা দিয়ে কি হবে? আগেকার দিনের বিয়েতে দেনমোহরের পরিমাণ কম ছিলো, লোক দেখানো চাকচিক্য এসব কিছুই ছিল না কিন্তু বিয়েটা টিকে থাকতো আমরণ। দেনমোহর নিয়ে ভাবতে অবাক লাগে এই যদি হয় জীবন মরনের সঙ্গীর সাথে চুক্তির নমুনা তাহলে যেকোনো পক্ষই প্রতিপদে হেস্তনেস্ত হবে। এই আধুনিক যুগে বিবাহ নিবন্ধনের চুক্তিটি সময়োপযোগী করে তৈরি করতে হবে। নইলে এতো আয়োজন সবই হবে বৃথা।
সহমত ।

২৩ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৪৫

মুক্তা নীল বলেছেন:
প্রিয় মুনিরা আপার উপস্থিতি সবসময়ই আমার কাছে আনন্দের।এ লাইনগুলো বোল্ড আকারে দিয়েছেন সেজন্য অনেক কৃতজ্ঞতা
প্রকাশ করছি । ভালো ও নিরাপদে থাকুন।

২৫| ১৬ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের অবতারণা করেছেন, এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আজকাল বিয়েটা সত্যিই এক লোক দেখানো প্রতিযোগিতায় পরিণত হয়েছে। এটাকে লৌকিকতা ছাড়া আর কীই বা বলা যায়! আমার ছেলের এক বন্ধুর বিয়ের অনুষ্ঠান চলছে গত প্রায় এক মাস ধরে। সেখানে এ পর্যন্ত মোট ৮/৯ টি অনুষ্ঠান হয়ে মাত্র গতকাল বর পক্ষের রিসেপশন দিয়ে শেষ হলো। প্রতিটি অনুষ্ঠানে প্রচুর টাকা খরচ হয়েছে। আর ছিল হিন্দী নাচ গানের আসর এবং আতশবাজি। দুঃখজনক হলেও সত্য, এগুলোই আজ সমাজের সম্মান লাভের মাপকাঠি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ব্লগার সোহানী তার মন্তব্যে সম্ভবতঃ আসল কারণটি চিহ্নিত করেছেন এবং যথাযথ সুপারিশও পেশ করেছেন। এজন্য তাকেও ধন্যবাদ।

২৩ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৪৮

মুক্তা নীল বলেছেন: শ্রদ্ধেয়,
অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আপনার মূল্যবান মন্তব্য পেয়ে।
আজকাল বিয়েটা সত্যিই এক লোক দেখানো প্রতিযোগিতায় পরিণত হয়েছে। এটাকে লৌকিকতা ছাড়া আর কীই বা বলা যায়! ---সহমত।
যে যত বেশি নিজেকে উপস্থাপন করতে পারবে সে যেনো ততটাই সম্মানী ব্যক্তি এসব প্রতিযোগিতা দেখানোর অনুকরণে আমরা শতভাগ বিশ্বাসী । পশ্চিমা দেশের সংস্কৃতির দখলে চলে গেছে আমাদের বিয়ের ঐতিহ্য, নষ্ট হয়ে গেছে পবিত্রতা। আপনার মতো সোহানী আপা র সাথে আমিও একমত।
ভালো ও নিরাপদে থাকুন।

২৬| ০২ রা এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৪০

মিরোরডডল বলেছেন: নীলাপু শুধু বিয়েনা, এখন চারদিকে সবকিছুতেই মানুষের শুধুই শো অফ আর কম্পিটিশান ।
এর বাইরেও যে একটা সুস্থ সুন্দর জীবন হতে পারে , এ মানুষগুলোর সেই বোধটা নেই ।
I feel pity for them.

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:২৭

মুক্তা নীল বলেছেন:
এই প্রথম আপনাকে আমার পোস্টে পেয়ে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। একদম ঠিক বলেছেন, একটা সুন্দর জীবন নষ্ট হচ্ছে শুধুমাত্র লোক দেখানো প্রতিযোগিতার জন্য ।
But they don’t know showoff is nothing in a relationship... Everything depends on understanding...

২৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:০৫

জুন বলেছেন: আমি এক গায়ে হলুদে গিয়েছিলাম সেখানে দেখলাম বৌ নিজেই হিন্দী গানের সাথে তুমুল নাচছে বন্ধু বান্ধব নিয়ে , খানিক পরে বরের হাত ধরেও টেনে নিল নাচার জন্য । কি এক হুলুস্থুল অবস্থা । ভাবলাম কই আসলাম এই কি আমাদের কালচার !

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪২

মুক্তা নীল বলেছেন:
জুন আপা ,
আমরাতো আমাদের দেশে বাস করে সম্পূর্ণ পশ্চিমা দেশের সংস্কৃতি ধারায় নকল করে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করি ।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে একটা বিয়ের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে মেয়ের বাবা ও ছেলের বাবাও নাচছে। কি অবস্থা বুঝুন !!
অনেক দেরিতে হলেও আপনাকে আমার পোস্টে পেয়ে ভালো লাগছে ।
নিরাপদে ও ভালো থাকুন পরিবারের সকলকে নিয়ে ।

২৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৪৭

ওমেরা বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ লিখা।
দেশে যেয়ে বিয়ের অনুষ্টান দেখার সুযোগ হয়নি তবে আমার আপুর কাছে আত্বীয় স্বজনদের বিয়ের গল্প শুনি।কে কত খরচ করল সেসব নিয়ে প্রতিযোগিতা , কার মেয়ের দেন মোহর বেশী দিতে পারলো সেটা নিয়েও প্রতিযোগিতা ।

ধন্যবাদ আপু।


২১ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৫

মুক্তা নীল বলেছেন:
আপনার আপার কাছ থেকে ঠিকই শুনেছেন । বিয়েতে এখন শুধু প্রতিযোগিতা আর লোকদেখানো নিয়ম কানুন চলছে কে
কার থেকে কোন দিক দিয়ে এগিয়ে থাকবে সেই এক অসুস্থ প্রতিযোগিতা । ওমেরা আপাকে আমার পোস্টে পেয়ে ভীষণ
খুশি হলাম । ভালো ও নিরাপদে থাকুন ।

২৯| ০৯ ই মে, ২০২০ রাত ২:৫৪

অনল চৌধুরী বলেছেন: আপনি অনেকদিন নতুন কিছু লিখছেন না।
কারণ কি?

০১ লা জুন, ২০২০ রাত ১২:৩৮

মুক্তা নীল বলেছেন:
দাদা ,
ব্লগে আমি এখন অনিয়মিত তাছাড়া আমি আগে থেকেই লিখিও কম।
আপনি এসে আমায় খোঁজ করেছেন সেজন্য অনেক ভালো লাগলো এবং
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
দাদা দুঃখিত মন্তব্যটি আমি এতদিন খেয়াল করিনি তাই দেরি হলো ।

৩০| ২৫ শে মে, ২০২০ ভোর ৬:৫০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


মুল্যবান কথামালা সমৃদ্ধ পোষ্ট ।

আপনার প্রতি রইল

০১ লা জুন, ২০২০ রাত ১২:৫০

মুক্তা নীল বলেছেন:
ভাই ,
আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনি ও আপনার পরিবার করোনা মুক্ত হয়েছেন
সেজন্য অশেষ শুকরিয়া মহান আল্লাহর দরবারে। অনেক কঠিনতম আবস্থা থেকে
আপনারা সকলেই সুন্দরভাবে মুক্ত হয়েছেন। কিন্তু আল্লাহ মাফ করুক আমাদের যে কি হবে
সে নিয়ে ভীষণ চিন্তায় আছি । আজ শুনলাম আমাদের দেশে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও
ভেন্টিলেশন খালি নেই। একমাত্র নিরাপদ থেকে এবং আল্লাহর উপর ভরসা করা ছাড়া দ্বিতীয়
কোন উপায় নেই আমাদের । ভীষণ আতঙ্কে আছি স্যার দোয়া করবেন ।
আপনাকেও ঈদ মোবারক এবং আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ।

৩১| ০১ লা জুন, ২০২০ রাত ১:০০

রাকু হাসান বলেছেন:

মুক্তা আপনাকে ব্লগে সক্রিয় দেখে আসলাম আপনার লেখায় । লেখাটি মিস করেছি আমি । আপনি নতুন বিষয় তুলে এনেছেন । যদিও নতুন না একেবাড়ে তবে ব্লগে লেখা দেখি নি এমন লেখা । ব্যতিক্রমধর্মী লেখার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে । আমি দেখেছি এমন অনেক পরিবার যারা ঋণ করে বিয়ের দুমদাম আয়োজন করেছে । বিয়ের পরই এসেবের চাপ পড়ছে। এইসব লোক দেখানো ভালো লাগে । ব্যক্তিগতভাবে খুব বেশি আয়োজন করাটা পছন্দনীয় নয় । খেয়াল করে দেখবেন এখন ভাবাই হয় কত লোক সমাগম হলো ,কয়টা গরু জবাই হলো,আইটেম কি কি ইত্যাদি , আছে পার্টি । লোক দেখানো লৌকিকতা পরিহার করা উচিত । ধন্যবাদ আপনাকে।

০৩ রা জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৪০

মুক্তা নীল বলেছেন:
এত সুন্দর অনুপ্রেরণামূলক মন্তব্যের জন্য আমার কৃতজ্ঞতা জানবেন।
জ্বী ভাই আমি এটাই বুঝাতে চেয়েছি কারণ আমার নিকটাত্মীয় কাছ থেকে যেটা দেখেছি
আমাকে খুবই ভাবিয়েছে বিষয়টা বিশেষ করে সামর্থের বাইরে গিয়ে পাত্রের আর্থিকদিক
বিবেচনা না করে পরিবারের স্ট্যাটাস অনুযায়ী যে কাবিন দেওয়া হয় সেটার যে মারাত্মক
ভুল আর কিছুই হতে পারে না কারন আজকালকাতো ৮/১০বছর প্রেম করেও বিয়ে টিকে
না । আমার পোস্টে আপনাকে পেয়ে অশেষ ভালো লাগা ধন্যবাদ জানিয়ে গেলাম।
ভালো ও নিরাপদে থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.