নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পারুল আপা আমাদের সকলের একজন প্রিয় আপা। তিনি সকল ছোটদের খুবই স্নেহ আদর ও আবদার পূরণে একধাপ এগিয়ে থাকতেন। অতি নম্র ও ভদ্র তার কারণে বাড়ির গুরুজনদের কাছে এই আপার অবস্থান ছিল উচ্চাসনে। তিনি খুবই নিম্নস্বরে কথা বলতেন এবং কখনো উচ্চস্বরে হাসতেন না। সময় মত পড়াশুনা, ধর্মীয় কাজ এবং গৃহস্থালি কাজে মা'কে সাহায্য করা সহ সবদিক থেকে তিনি ছিলেন পারদর্শী ও বুদ্ধিমতী।
১৯৯৫ সালে এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষ পড়ার সময় উনার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে বিয়ের প্রস্তাব আসে। বলে রাখা ভালো, বরপক্ষ উনাদের পূর্ব পরিচিত এবং দূরসম্পর্কের আত্মীয়। যেদিন বরপক্ষ পারুল আপাকে দেখতে আসেন সেদিনই আকদ বিয়ে হয়। এবং আক্দ বিয়ের পরেই তিনি প্রথম বরকে (সেলিম ভাইকে) দেখেন। আকদ এর রাতেই বর ও বরপক্ষ সকলেই চলে গেলেন কারণ সেলিম ভাইয়ের চাকরিস্থল ঢাকায় উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হবে। এদিকে পারুল আপা সকাল থেকেই নিখোঁজ হয়ে অন্য চাচার বাড়ি গিয়ে উঠলেন কাউকে কোন কিছু না বলে। পারুল আপার এহেন আচরণে সবাই হতভম্ব কারণ উনার অনুমতি নিয়েই বিয়ের আয়োজন হয়েছে।
পারুল আপার বক্তব্য হচ্ছে আকদ এর আগে পারুল আপা পাত্রকে একবারও দেখেন নি, পুরো পরিবারের সবার উপর ভরসা করে মতামত দিয়েছেন। কিন্তু তাই বলে এই ১৮ বছর বয়সের ব্যবধানের লোকের সাথে সারাজীবন কাটাতে হবে! অসম্ভব পারুল আপা এটা কোনোভাবেই মানতে পারছেন না। বিশেষ করে কিশোরী মনে যে প্রভাব পড়েছিল সেই থেকে এতদিনের পারুল আপার এই আচার-আচরণের সাথে একদম বিপরীত একটা পারুল সৃষ্টি হলো।
যেহেতু শুধু কাবিন হয়েছে তাই পারুল আপা তালাক দিতে চান। এই কথা কোনোভাবেই ববা-মাকে মুখোমুখি বলতে পারবেন না এবং বাড়িও আর ফিরে যাবেন না। চাচার বাসায় থেকে চাচা চাচির সাথে এ বিষয়ে কথা বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন। পারুল আপাকে চাচী জিজ্ঞাসা করেন -
-তোমার কি কারো সাথে সম্পর্ক আছে?
-না
-এখন কেন বয়সের অজুহাত দেখাচ্ছো?
-শুনেছিলাম ১৫ বছরের বড় কিন্তু দেখতে তো ২০ বছরেরও বেশি লাগছে
-ঠিক আছে পারুল, তুমি সেলিমের সার্টিফিকেট দেখে নিও
-সার্টিফিকেট দেখে কি হবে, আমি উনাকে আর গ্রহণ করতে পারবোনা
- দেখো পারুল , বিয়েটা তো ছেলেখেলা নয় আজ গ্রহণ করলাম, কাল বর্জন করলাম এটা সারা জীবনের বন্ধন। পারস্পরিক বোঝাপড়া থাকলে দাম্পত্য জীবনে বয়স কোনো বড় কথা নয়। বয়স ব্যবধান অনেক কিন্তু দাম্পত্য জীবন সুখের - এমন উদাহরণও কম নেই। স্বামীর সার্বক্ষণিক সহযোগিতা অনুপ্রেরণা আধুনিকতা বা উদারতা এসব গুণ বয়স দিয়ে বিচার করা যায় না।
পারুল আপনাকে যথেষ্ট বোঝানো হলো কিন্তু পারুল আপা নাছোড়বান্দা হয় পারুল আপা মরবে অথবা তালাক দিবে। সাত দিনের মধ্যেই পারুল আপার বর সেলিম ভাইয়ের কাছে খবরটা জানানো হল। মজার ব্যাপার হলো সেলিম ভাই বলছেন “আমাকে শুধু একবার পারুলের মুখোমুখি কথা বলার ব্যবস্থা করে দিন। সেলিম ভাই খোঁজ নিয়ে জেনেছেন এই মেয়ের কারো সাথে কোন সম্পর্ক নেই, তাহলে কেন এমন করছে? সেলিম ভাইয়ের কথা হল পারুল অন্তত একবার মুখোমুখি বসে সেলিম ভাইকে সরাসরি সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিক যে “এই বিয়ে পারুল আপা স্বীকার করেন না, তাহলে সব সম্পর্ক শেষ করতে আর বাধা থাকবে না।
পারুল আপাও সরাসরি জানিয়ে দিলেন সেলিম ভাইয়ের সাথে যেখানে সংসারই করবেন না সেখানে কথা বাড়িয়ে আর কি হবে। তিনি নিজের সমস্ত দোষ স্বীকার করেন কিন্তু একই কথা তিনি এত বয়স্ক স্বামীর সাথে মরে গেলেও সংসার করবেন না। এদিকে পারুল আপা দেড় মাস যাবৎ বড় চাচার বাসায় আছেন কারণ উনার আব্বা বলেছেন এই বিয়ে না মানলে তিনি উনাকে আর বাসায় জায়গা দিবেন না। উনার আম্মা লুকিয়ে লুকিয়ে মেয়ের সাথে দেখা করে আসেন। হঠাৎ একদিন সেলিম ভাই আপার চাচার বাসায় গিয়েছেন মুখোমুখি দেখা করার জন্য কিন্তু সেদিনও আপা অন্যরুমে লুকিয়ে চাচিকে দিয়ে আপ্যায়ন করে সেলিম ভাইকে বিদায় করে দেন।
অনেক নাটকীয় ঘটনার পর এবার এলো সিদ্ধান্তের পালা। সেলিম ভাই স্পষ্ট জানালো উনি নিজেও এই সম্পর্কের বিষয়ে আর আগ্রহী নন। তালাকের দিন তারিখ ধার্য হলো । আপাকে তালাক নামায় স্বাক্ষর করার পূর্বে আপার হাত ধরে উনার আব্বা আব্বা কাঁদতে কাঁদতে বললেন "তুমি আমার অতি আদরের ছোট মেয়ে। সেলিম সম্পর্কে অনেক খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পেরেছি ওর স্বভাব ও চরিত্র ভালো ধার্মিক ধুমপান করেনা। সেলিমের বাবা মারা যাওয়ার পর সেলিমের ভাই বোনের ও মায়ের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পূর্ণরূপে পালন করে আসছে। সংসারে কিছুটা অভাব থাকলেও সেলিমের যে যোগ্যতা আছে তাতে করে সে একদিন নিজেকে ভালো অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত করবে। তোমাকে হয়তো আরো সুদর্শন কম বয়সী পাত্র দেখে আবার বিয়ে দিতে পারবো কিন্তু তুমি সুখী হবে তো? কারও অভিশাপ নিয়ে কখনোই ভালো থাকা যায় না - - - -
পারুল আপা হঠাৎ করে সেদিন আর তালাকনামায় সই করলেন না। পারুল আপা বাবা মায়ের কথা মেনে নিয়ে সেলিম ভাইয়ের কাছে কাছে ক্ষমা চাইলেন।
আজ দীর্ঘ ২৬ বছর একই সাথে পারুল আপা ও সেলিম ভাই একে অপরের পথ চলার সাথী, সুখ দুঃখের সাথী। পারুল আপা ও সেলিম ভাই দম্পত্তির এক মেয়ে এক ছেলে। মেয়ে এমবিবিএস ডাক্তার আর ছেলে ইউনিভার্সিটিত পড়ছে।
গল্প: পারুল আপা ও সেলিম ভাই আমার অতি নিকট আত্মীয়। গল্পের প্রয়োজনে ছদ্মনাম ব্যবহার করা হয়েছে।
ছবি: গুগল হতে সংগ্রহ করা।
১২ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৭
মুক্তা নীল বলেছেন:
পারুল আপার প্রথমদিকে মানিয়ে নিতে একটু সমস্যা হয়েছিল,
কিন্তু পরবর্তী থেকে এখন পর্যন্ত উনারা দুজনেই সুখী ।
ধন্যবাদ আপনাকে ।
২| ১২ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৮
মৃন্ময়ী শবনম বলেছেন: বিয়ে আসলেই কোনো ছেলেখেলা নয়, তবে পারস্পরিক সমঝোতায় জীবন সুন্দর হয়। আর যেখানে সমঝোতার লেশ মাত্র নেই তা হচ্ছে নাটক সিনেমার নায়ক নায়িকাদের বাস্তব জীবন। নাটক সিনেমার অন্যান্য কলাকুশলী যারা আছেন তাদের জীবনতো নরকে গুলজার।
আপনার গল্প খু্বই ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ।
গল্পে +++
১২ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৪
মুক্তা নীল বলেছেন:
আপা ,
বিয়ে আসলেই কোনো ছেলেখেলা নয়, তবে পারস্পরিক
সমঝোতায় জীবন সুন্দর হয় --মূল্যবান কথা বলেছেন।
এ ঘটনাটি আমার মনে কষ্ট লেগেছিল তাই আপনাদের সাথে
শেয়ার করলাম। গল্প আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
৩| ১২ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১২
ঢুকিচেপা বলেছেন: অবশেষে তারা সুখে শান্তিতে সংসার করছে।
বেশ ভাল লাগলো গল্পটা।
শুভেচ্ছা রইল ।
১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:০৪
মুক্তা নীল বলেছেন:
আপনাকে অভিনন্দন প্রথম আমার ব্লগ বাড়িতে আসার
জন্য। দুজনের জীবন সুখী ও সার্থকতায় পরিপূর্ণ হয়েছে
গল্পটি ভালোলাগা অনুপ্রাণিত হলাম ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা ।
৪| ১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:১৭
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: প্রথমেই ধারণা করছিলাম আপনার বা নিকট পরিচিত কারো গল্প বলছেন। শেষে এসে ক্লিয়ার হলো।
তাহারা সুখে থাকুন সারা জীবন। ++++
১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩০
মুক্তা নীল বলেছেন:
মাইদুল ভাই ,
আমাদের আশপাশের অনেকের জীবনের গল্প কোন অংশে
কম নয় নাটক-সিনেমার চেয়ে । এই আপাকে একটা সময়
আমার অসহ্য লাগতো শুধুমাত্র এই ঘটনার জন্য।
যাইহোক এখন সব মিলিয়ে ভালো আছেন এটিই ভালোলাগা।
আপনাকে ধন্যবাদ ও শুভকামনা
৫| ১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অত্যন্ত চমৎকার একটা শিক্ষণীয় বাস্তব ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তবে বিয়ে হওয়ার পর শুধু বয়সের কারণে তালাক হয় এমন শুনিনি কখনও।
১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০২
মুক্তা নীল বলেছেন: ভাই ,
সামাজিকতা মেনে ভালোবাসা'সহ জীবন কাটাতে পেরেছেন
আর সেজন্য হয়তো তালাক হয়নি। কারো মনে আর কারো
জীবনে কখন যে কি ঘটে তা আগে থেকে কেউই বুঝতে
পারে না । আপনার ভাল লাগায় অনুপ্রাণিত হলাম।
অনেক ধন্যবাদ
৬| ১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: খুব কাছাকাছি বয়সেও বনিবনা হয় না। ৬৫ বছরের বৃদ্ধের সাথে ২৫ বছরের যুবতীদের বিয়ে হচ্ছে, মানিয়ে যাচ্ছে। মনের সাথে মিল হতে পারাটা গুরুত্বপূর্ণ।
তবে, একজন বরের চারিত্রিক গুণাবলি দেখার সাথে বয়সটা দেখাও জরুরি। ফিজিওলজিক্যাল কিছু ব্যাপার আছে, যেটা ম্যাচ না করলে শুরুতেই ঝামেলা হতে থাকে। এটা ভালো দিক যে পারুল আপা আর সেলিম ভাই সুখে শান্তিতে জীবন পার করছেন, এটা খুব কমন উদাহরণ না, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সংসারে অশান্তি থাকে। তাই, মা-বাবাদের অনেক ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার।
পারুল আপা দম্পতির প্রতি শুভেচ্ছা রইল।
১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১০
মুক্তা নীল বলেছেন:
ভাই ,
এই প্রথম আপনাকে আমার ব্লগ বাড়ীতে পেয়ে
অভিনন্দন ও আন্তরিক ধন্যবাদ । মনের সাথে মিল
হতে পারাটা গুরুত্বপূর্ণ --- সহমত আপনার সাথে।
আমিও ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, অসম না হোক,
সম না হোক, অন্তত মাঝামাঝি নিদৃষ্ট মানানসই একটা
বয়সের গ্যাপ যেটা মেনে নেয়া যায়। সুখী দাম্পত্য
জীবনের জন্য স্বামী স্ত্রীর বয়স ও অবস্থান বা বয়সের
ব্যবধান কখনো কখনো বিবেচ্য হতে পারে বৈকি কিন্তু
একমাত্র বিবেচ্য বিষয় নয় । অবশ্যই মা-বাবাদের
অনেক ভেবে-চিন্তে সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার। কিন্তু মজার
ব্যাপার হলো এখনকার প্রায় অনেকে বিয়ে ছেলে মেয়ে
ঠিক করে পরে মা বাবা সেটা সেটেল করে ।
আপনাকে আবারো ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।
৭| ১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১৫
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভালো লাগল।সুন্দর লিখেছেন।
১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১৪
মুক্তা নীল বলেছেন:
ভালোলাগায় অনুপ্রাণিত ও ধন্যবাদ ।
৮| ১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৫১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রথমত:- অনেক দিন পর বোনের পোস্ট পেয়ে খুশি হলাম।
দ্বিতীয়ত:- শিক্ষা সমাপনীর ও চাকরির বাকরির কারণে ছেলেদের বিয়ের বয়স অনেকটাই পিছিয়ে যায়। তার পর বহু পরিবার বিয়ের ক্ষেত্রে কচি পাত্রী পেতে চান।যারা স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মুখের উপরে রা করবে না।এর ফল অবশ্য সব ক্ষেত্রে সুখকর হয় না।কম বয়সী মেয়েটি দামি গয়নাগাটি নামিদামি শাড়ি নিয়ে মেতে থাকলেও। একটা বিশেষ বয়সের পর বুড়ো স্বামীর প্রতি আসক্তি হারিয়ে ফেলে।আর বাসার বাইরে কান খাড়া করে রাখে। স্বামী বাড়ির আত্মীয়-স্বজনরা অনেকে তখন মেয়েটির স্বভাব চরিত্র নিয়ে কটাক্ষ করলেও একটা সময় সে বেপরোয়া হয়ে ওঠে। স্বামী দেবতা এখান হয় নিরব থাকেন নতুবা পরকীয়ার সন্দেহে বিদ্ধ করেন।
আমারই এক পরিচিত বুয়েটের প্রাক্তনী।অষ্টাদর্শী মেয়েটি বার ক্লাসে উঠলেই চৌত্রিশ বছর বয়সী পাত্রের সঙ্গে বিয়ে হয়।ও যখন ফাইনাল পরীক্ষা দেয় তখন ই ফুটফুটে একটা পুত্র সন্তান চলে আসে।স্বামী দেবতা প্রচুর শাড়ি ও গয়নাগাটি দিয়ে বছর পনেরো নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারলেও বর্তমানে আর নিয়ন্ত্রণে নেই। সারাক্ষণ ফেসবুক সহ বন্ধুদেরসঙ্গে রসালো গল্পে মশগুল থাকে। আর সাপ সাপসাপান্ত করে নিজের বাবামাকে।ইতিমধ্যে স্বামী স্ত্রীর হজ্ব করাও হয়ে গেছে। কিন্তু সংসারে দারুণ অশান্তি।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা প্রিয ছোট বোনকে।
১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১:৪৮
মুক্তা নীল বলেছেন:
দাদা ,
আমার পোস্ট পেয়ে খুশি হয়েছেন তাই জেনে কৃতজ্ঞতা
প্রকাশ করছি।আপনার মন্তব্যে যা বলেছেন এতো আমাদের
সমাজের চারপাশের সাধারণ মানুষরুপি অমানুষী কিছু
মানুষদের রূপচিত্র।
আমাদের আশেপাশে ভালো ও মন্দ দুই ধরনের লোকের
বসবাস। আজ থেকে ২৫/২৬ বছর আগে যে ঘটনা ঘটেছে
তখন এরকম ঘটনা কিছুটা হলেও একটু আধটু ঘটতো।
কিন্তু এই আধুনিক যুগেও এসে এই ঘটনার বহিঃপ্রকাশ
পাওয়া যায় অন্যভাবে ও বিকৃতি রুচির ধারায়।স্বামী-স্ত্রীর
বয়সের সমতা রক্ষা আবশ্যক, ঠিক তেমনি মনের মিল
এবং একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা ভালোবাসা এবং সর্বোপরি
একে অপরকে বুঝার সক্ষমতা ।
অনেক অনেক শুভকামনা ও ধন্যবাদ জানবেন দাদা।
৯| ১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১২
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: পারুলআপা কি জোর করে মানিয়ে নিলেন?
১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ২:০৩
মুক্তা নীল বলেছেন:
এই প্রথম আসার জন্য অভিনন্দন !!
ভালোবাসা দিয়ে সব জয় করা সম্ভব, পারুল আপা
বেশ সুখী হয়েছিলেন ।
ধন্যবাদ।
১০| ১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:২৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ভাই ,
এই প্রথম আপনাকে আমার ব্লগ বাড়ীতে পেয়ে
অভিনন্দন ও আন্তরিক ধন্যবাদ ।
আমার তো মনে হয় এর আগেও আপনার পোস্টে আমি এসেছি। কোনো মসজিদের ব্যাপারে কি একটা পোস্ট লিখছিলেন?
যাই হোক, ভুলও হতে পারে। আসতে পেরে ভালো লাগলো।
আমি ব্যক্তিগতভাবে আমার ছেলেমেয়েদের স্বাধীনতা দিতে চাই; ওদের পছন্দই আমার পছন্দ, শুধু একটা অদৃশ্য সুতায় ওদের টেনে রাখতে চাই যাতে কোনো গ্রস রঙ না করে ফেলে।
১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ২:১৩
মুক্তা নীল বলেছেন:
ভাই ,
পুনরায় মন্তব্যে এসে আপনার ব্যক্তিগত অভিমত তুলে
ধরেছেন সেজন্য আপনাকে আবারো ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।
না ভাই আমি মসজিদ নিয়ে কখনোই কোন পোস্ট দেই নাই
আর আপনি এবারি প্রথম এসেছেন আমার পোস্টে।
আমি ব্যক্তিগতভাবে আমার ছেলেমেয়েদের স্বাধীনতা
দিতে চাই; ---ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা শেষে একটি
অবস্থানে আসার পর অবশ্যই তাদের মতামতকে গুরুত্ব
দেয়া উচিত । আপনার মত বন্ধু সুলভ পিতা যেকোনো
সন্তানের জন্য গুড লাক।
১১| ১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৫০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা হতে হবে জনম জনমের - সাত জনমের। স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসার জন্য বয়স অবস্যই অবস্যই জরুরী নয়। কাছাকাছি বয়সের কারণে আজকাল লড়াই হচ্ছে বেশী! বিশেষকরে ক্লাসমেট, কলিগ, জুনিয়র ক্লাসের ছাত্রী ঘুরে ফিরে একই ঘটনা - লড়াই! থানা - পুলিশ - আদালত।
বোন মুক্তানীল, আপনি নিজেই বলুন আপনার নানাজান আর নানীজানের বয়সের পার্থক্য কেমন ছিলো? আমার তো মনে পড়ে না আমার নানাজান নানীজানকে জীবনে তুই করে বলেছেন - না জীবনেও বলেন নি। আরা দাদাজানকে দাদীজান আপনি করে বলতেন - দাদাজানও আমার দাদীজানকে আপনি করে বলতেন।
পদাতিক চৌধুরী ভাই/সোনাবীজ ভাই, মায়া মমতা ভালোবাসার কাছে বয়স বাধা হয়ে দাড়ায় না। যেখানে বয়স বাধা হয়ে দাড়ায় সেখানে সবই বাধা হয়ে দাড়ায়। বিষয়টি সহজ মনে না হলে একবার বেড়ানোর জন্য হলেও কোর্টে গিয়ে দেখতে পারেন - আদালতে সমবয়সী স্বামী স্ত্রীর মামলা কয়টি চলছে আর অসমবয়সী কয়টি = সমাধান নিজ চোখে দেখবেন, কথায় বিস্বাস করার প্রয়োজন নেই।
ফেসবুকার ইন্সটাগ্রাম প্রিয় মেয়েদের জন্য স্বামী হিসেবে স্পাইডারম্যান হলেও তারা ফেসবুক ইন্সটাগ্রাম ত্যাগ করবেন না। - এটি মানসিক রোগ।
১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ২:২১
মুক্তা নীল বলেছেন:
ঠাকুর দা ,
স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা হতে হবে জনম জনমের - সাত
জনমের ----এই কথাটা অনাদিকালের শ্রেষ্ঠ স্বামী স্ত্রী
সম্পর্কে শ্রেষ্ঠ বাণী । এবং এটার প্রচলিত এবং যথার্থ
মূল্যায়নের মাপকাঠি বর্তমানে হারিয়ে গেছে।
আজকাল বিয়ে বছর ঘুরে আসার আগেই ডিভোর্স হয়ে
যায় । দুজনে (স্বামী-স্ত্রী) যতো খোলা মন নিয়ে এগিয়ে
আসবেন বয়সের ব্যবধান ততই তুচ্ছ হয়ে উঠবে।
বয়স তখন অসম হলেও পারস্পরিক বোঝাপড়া টা হয়ে
যায় সম ।
আগেকার দিনের দাদা-দাদী নানা-নানি গুরুজনদের
দাম্পত্য জীবনের উদাহরণ টেনেছেন , উনাদের জীবন
অনেক সুন্দর ছিলো ।
অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
১২| ১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:০১
আহমেদ জী এস বলেছেন: মুক্তা নীল,
একটা শিক্ষনীয় বিষয় নিয়ে বাস্তব কাহিনী। কিন্তু ঐ যে উপরের একটি প্রতিমন্তব্যে বললেন -" কারো মনে আর কারো জীবনে কখন যে কি ঘটে তা আগে থেকে কেউই বুঝতে পারে না ।" সেটাও কিন্তু একটা ফ্যাক্টর।
১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ২:৩১
মুক্তা নীল বলেছেন:
ভাই ,
আমার দেখা ভীষণ সংগ্রামী একজন নারী। যিনি কোথাও
গেলে শুনতে হতো তোমার স্বামী এতো বয়স্ক?
ভাগ্যের লিখন না যায় খন্ডন--
এরপরেও ভাগ্যটাকে গড়ে নিতে হয় এটাই হয়তো নিয়ম
ও নিয়তি ।ভালো লাগলো আপনাকে পাশে পেয়ে ।
ধন্যবাদ সহ শুভেচ্ছা জানবেন ।
১৩| ১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: বিয়ে জীবনের অনেক বড় একটা ব্যাপার। খুব হিসাব নিকাশ করে বিয়ে করা উচিত। আমাদের সমাজে বেশির ভাগ নারী পুরুষ নিজেকে প্রস্তুত করার আগেই বিয়ে করে ফেলে। আর তখনই বিপত্তি ঘটে।
পারুল আপার জন্য শুভ কামনা।
১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ২:৪৫
মুক্তা নীল বলেছেন:
রাজীব ভাই ,
এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য আমার পক্ষ থেকে
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আমাদের সমাজে বেশির ভাগ নারী পুরুষ নিজেকে প্রস্তুত
করার আগেই বিয়ে করে ফেলে। আর তখনই বিপত্তি ঘটে
---আমারও একই কথা।
একটা পাত্র আর্থিকভাবে একটু প্রতিষ্ঠিত হলে এবং নিজের
পছন্দে বিয়ে না করলে সেই বিয়ের বন্ধন মজবুত হয়।
আপনার জন্যও শুভকামনা ।
১৪| ১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:২৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আসলে বিয়ে সুখ সংসার বিষয়গুলো অনেক সময় গাণিতিক নিয়ম মানে না । আপনার বাস্তব ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতা সে কথা বলছে নায়কের নাম আমার নামে বেশতো মন্দনা ।
১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ২:৪৯
মুক্তা নীল বলেছেন:
সেলিম ভাই ,
আসলে বিয়ে সুখ সংসার বিষয়গুলো অনেক সময়
গাণিতিক নিয়ম মানে না ---আপনার মতো জ্ঞানী
মানুষের এত বড়ো কমপ্লিমেন্ট এটা আমার জন্য
অনেক বড় পাওয়া। অনেক কিছুই আমাদের হাতে
থাকে না এবং উপরওয়ালার হাতেই সবকিছু ।
আমার তো খেয়ালই ছিল না আপনার নামে গল্পের
ফেরেশতার মতো নায়কের নামে নাম মিলে যেতে
পারে (হা হা) । তবে এটুকু বলতে পারি এমন
ফেরেশতার মতো মানুষ মনে হয় আর পাওয়া যাবেনা
ধন্যবাদ ও ভালো থাকুন।
১৫| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৩০
আরোগ্য বলেছেন: শুনেছি, অনেক সময় বয়সের মিল না থাকলেও মনের মিল হয়ে যায়। আবার অনেক সময় সব মিলে গেলেও মনের মিল হয় না।। দাম্পত্য জীবনে মনের মিলটাই মনে হয় অধিক দরকার। আর কম বেশি উনিশ বিশ সব সম্পর্কেই তো মানিয়ে নিতে হয়।
প্রিয় মুক্তাআপু আশা করি ভালো আছেন। অনভিজ্ঞ মতামত প্রকাশ করলাম পোস্ট সম্পর্কে।
ভালো থাকবেন। দোয়া করবেন আপু।
১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৩:০৫
মুক্তা নীল বলেছেন:
আরোগ্য ,
অনভিজ্ঞ হয়েও যে মন্তব্য আপনি এই পোস্টে করলেন
তা যে আমার কাছে সেরা মন্তব্য হয়ে রইলো । এবং এই
অল্প কিছু কথায় গল্পের পেছনে থাকা মানুষ দুজনে সুখে
থাকার মূলমন্ত্র টা বলে দিলেন।
পারুল আপা ও সেলিম ভাই আমার দেখা সবচেয়ে সুখী
দম্পতি। উনাদের মেয়ে আজ এমবিবিএস (সরকারি
মেডিকেল) থেকে পাশ করেছে এবং ছেলেটা ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে।
আমি আছি ভালো । আজও মনে মনে ভাবছিলাম আরোগ্য
শরীরটা না জানি কেমন ? অনেকদিন ব্লগে আসে না নতুন
পোস্ট দেয় না আজ আমার পোস্টে ছোট ভাইটাকে পেয়ে
ভীষণ ভালো লাগছে। আশারাখি বাসার সকলকে নিয়ে
ভালো আছেন । সব সময় ভালো থাকুন এই দোয়া করি ।
প্রিয় ভাই এটার জন্য অনেক শুভকামনা ।
১৬| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ২:১৬
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আপনাকে প্রথম দেখেই তো প্রথম এলাম। তারপর একটা লেখা দিলাম।
১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৩:০৭
মুক্তা নীল বলেছেন:
ধন্যবাদ , আপনার লেখা পড়বো ।
১৭| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ ভোর ৬:২৬
ইসিয়াক বলেছেন: ভালো লাগলো। পারুল আপা ও সেলিম ভায়ের জন্য শুভকামনা।
১৩ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৫৬
মুক্তা নীল বলেছেন:
ইসিয়াক ভাই ,
ভালোলাগায় কৃতজ্ঞতা রইলো এবং গল্পটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
১৮| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য আপানকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। ভালো থাকুন।
১৩ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০০
মুক্তা নীল বলেছেন:
রাজীব ভাই ,
আপনি খুবই চমৎকার গঠনমূলক মন্তব্য করেছেন ।
আপনার আন্তরিক ধন্যবাদ আমি গ্রহন করলাম এবং
আপনিও ভালো ও নিরাপদে থাকুন।
১৯| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:১৮
মিরোরডডল বলেছেন:
নীলাপু,
যেকোনো সম্পর্কে রেস্পেক্ট আর আন্ডারস্ট্যান্ডিং থাকলে সেটা ওয়ার্ক আউট করে । ম্যারেড লাইফেও তাই । সেক্ষেত্রে এজ গ্যাপ বা অন্যকিছু ম্যাটার করে না । Love has its own charisma.
কিন্তু আমি ভাবছি এই যে এভাবে বিয়ে হয়, কেউ কাউকে দেখেনি, জানেও না, বিয়ে করে প্রথম দেখা, এগুলোতো ঠিক না । ইটস লাইক গ্যাম্বলিং
১৩ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৬
মুক্তা নীল বলেছেন:
যেকোনো সম্পর্কে রেস্পেক্ট আর আন্ডারস্ট্যান্ডিং
থাকলে সেটা ওয়ার্ক আউট করে --- হ্যাঁ সেটাই এ
ক্ষেত্রে হয়েছে যেটা আমি বুঝাতে চেয়েছি ।
যুগের বিবর্তন ধারায় কতো রকমের যে বিয়ের
রীতিনীতি আমরা পালন করে আসছি তাই হয়তো
এমনটি না দেখে বিয়ে হয়েছিল ।
মন্তব্যে ভালোলাগা রইলো সাথে অনেক ধন্যবাদ।
অ,ট:
প্রোফাইল পিকচারটা খুবই সুন্দর হয়েছে ।
২০| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২০
আকিব ইজাজ বলেছেন: বিয়ের পর মানিয়ে নেবার ব্যাপারটা খুব জটিল একটা ব্যাপার। এক ছাদের নিচে অনেকগুলি বছর পার করে বেশ কয়েকটি ছেলে-মেয়ে নিয়েও শেষ পর্যন্ত অনেকে সংসারটা টিকিয়ে রাখতে পারে না। কোন ভাবে দায়বদ্ধতা থেকে সংসার করে গেলেও সেটি থাকে চরম বিশৃঙ্খল। আবার কারও কারও নিজেদের মাঝে হাজার অসংঙ্গতি থাকবার পরেও বেশ দারুণ ভাবে নিজেদের মাঝে একটা সুন্দর বোঝাপড়া তৈরী করে নেয়। এটা আসলে নির্ভর করে দুজনের মন-মানসিকতা আর নিজেদের মধ্যকার ছাড় দেবার মনোভাবের উপর।
পারুল আপা ও সেলিম ভাই এর জন্যে শুভকামনা রইলো। আরও সুন্দর হোক তাদের পথচলা।
১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:১৯
মুক্তা নীল বলেছেন: আপনাকে অভিনন্দন এই প্রথম আমার ব্লগ বাড়িতে
আসার জন্য।তুই প্রজন্মের দুজন মানুষ পরস্পরকে
বুঝতে পেরে একসাথে পথ চলা কোন কঠিন কাজ
নয় যদি সেখানে ভালোবাসা থাকে।একটি দায়বদ্ধতা
থাকলে যেকোন উপায়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব তৈরি
হবেই। সে ক্ষেত্রে সামাজিকতা মেনে অনেকেই হয়তো
এক ছাদের নিচে ভালবাসাহীন সম্পর্ক টেনে বের হন
আবার কেউ সম্পর্কের ইতি টানেন।
এটা আসলে নির্ভর করে দুজনের মন-মানসিকতা
আর নিজেদের মধ্যকার ছাড় দেবার মনোভাবের
উপর --গুরুত্বপূর্ণ কথার সাথে সহমত।আপনার প্রতি
অনেক শুভকামনা রইলো এবং এত চমৎকারভাবে
মন্তব্য করার জন্য কৃতজ্ঞ।
২১| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৪৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পারুল আপাকে বিয়ের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আরও সময় দেয়া উচিত ছিল। মেয়ে দেখতে এসেই বিয়ে করে ফেলা আসলে মনে হয় অনেক সময় সমস্যার সৃষ্টি করে। বিয়ের ক্ষেত্রে এত তাড়াহুড়া করা ঠিক না (আত্মীয়র মধ্যে হলেও)। যাই হোক ওনারা সুখে আছেন এইটাই বড় কথা।
১৪ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:১২
মুক্তা নীল বলেছেন:
ভাই ,
আপনার মূল্যায়ন সঠিক কিন্তু বর্তমানে এখন আর
এমনটি হচ্ছে না। পুনরায় এসে মতামত জানানোর
জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
২২| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৩:২৫
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: মতাদর্শের মিলেরও প্রয়োজন।দুইজন দুই মেরুর বাসিন্দা হলে অনেক কষ্ট করে থাকতে হবে।এখন সবাই সচেতন এবং মতামত দেবার ক্ষমতা রাখে।তাই বিয়ের আগে জানাশুনা থাকাটা জরুরি।
১৪ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:১৬
মুক্তা নীল বলেছেন:
মতাদর্শনে অমিল থাকলেও দুজনেরই ভালো থাকার
প্রয়োজনে ব্যালেন্স করে নিতেই হয়। একটা পজিটিভ
কথা বলেছেন, সবাই সচেতন এবং মতামত দেয়ার ক্ষমতা
রাখে। সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
২৩| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:২১
নীল আকাশ বলেছেন: আপনার লেখা আমি আগেই পড়েছিলাম। লাইকও দিয়ে গিয়েছিলাম। দেখতে চেয়েছিলাম বাকিরা কে কী বলে মন্তব্যে।
লেখিকাঃ আমাদের আশপাশের অনেকের জীবনের গল্প কোন অংশে কম নয় নাটক-সিনেমার চেয়ে। ৫০০% স হ ম ত।
বড় ভাই ঠাকুরমাহমুদ যা বলেছেন তারপর আর আসলে কিছু বলার থাকে না। ফেসবুকার ইন্সটাগ্রাম প্রিয় মেয়েদের জন্য স্বামী হিসেবে স্পাইডারম্যান হলেও তারা ফেসবুক ইন্সটাগ্রাম ত্যাগ করবেন না। - এটি মানসিক রোগ। - ১০০% স হ ম ত।
দাম্পত্য সর্ম্পকে বয়স জানা দরকারী তবে সেটা ম্যান্ডেটরি নয়। আমার কাছে সমবয়সি বিয়ের চাইতে অসম বয়সিদের বিয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য। দাম্পত্য সর্ম্পকে কিছু সময় হিটলার টাইপের সিদ্ধান্ত নিতে হয় যেটা সমবয়সি হলে আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব না। আরেকট কথা, সমবয়সি হলেও একটা মেয়ের ম্যাচুরুটি একটা ছেলের চাইতে অনেক বেশি থাকে। তবে সমবয়সিদেরও খুব ভালো দাম্পত্য সর্ম্প হতে পারে। আমার বেশি কিছু ক্লাসমেটই তার সাক্ষী।
আসলে সুন্দর দাম্পত্য সর্ম্পকের জন্য বয়স নয়। পাষ্পপরিক সমঝতার মানসিকতা থাকলেই হয়।
লেখা ভালো হয়েছে। খুব ভাল করেছেন লেখার নিচে আপনার কোন সিদ্ধান্ত না দিয়ে। পাঠক পড়ে নিজেই নিজের সিদ্ধান্ত নেবে। এই ধরণের বাস্তবিক ঘটনা নিয়ে আরো লিখুন।
ভালো থাকুন এবং নিরাপদে থাকুন।
১৪ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:২৮
মুক্তা নীল বলেছেন:
নীল আকাশ ভাই,
আজ থেকে পঁচিশ ত্রিশ বছর আগে মফস্বল এলাকায়
অল্প বয়সী মেয়েদের ১৫/১৬ বছর পার্থক্যের মোটামুটি
ভালোই বিয়ে হতো। যেটা এ যুগে একদম নেই বললেও
চলে বর্তমান যুগের চেয়ে আগের দিনের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে
বোঝাপড়া ও দাম্পত্যে পরিবারের সবাইকে নিয়ে সুসম্পর্ক
ছিলো । একজন পাত্রের আর্থিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার
সাথে যে ম্যাচুরিটি আসে সেখানে অনেক কিছুই মানিয়ে
নেওয়ার ক্যাপাসিটি থাকে । তারপরও সম/অসম বয়সে
দু'জনকেই জীবন চলার পথে অনেক ছাড় দিতে হয়ে থাকে।
আসলে সুন্দর দাম্পত্য সর্ম্পকের জন্য বয়স নয়। পাষ্পপরিক
সমঝতার মানসিকতা থাকলেই হয় ---ঠিক সুনিশ্চিত এ
কথাটি এই গল্পের মূল ম্যাসেজ তাই লিখেছিলাম।
পারুল আপা ও সেলিম ভাই সফল দম্পতি আজ ছেলেমেয়েকে
উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন । সমবয়সী দু'জনে বেশ মানিয়ে
নিচ্ছে, তাহলে দেখেন সেইম এইজে/ক্লাসমেটদের মধ্যে
আগেকার দিনে যেটা ভাবাই যেত না এখন সেটা হচ্ছে এবং
কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভালোও হচ্ছে একেবারে মন্দ তা নয়।
কারণ ওই যে বললেন পারস্পরিক বোঝাপড়া টাই আসল ।
এমন গঠনমূলক মন্তব্য আমার জন্য অনুপ্রেরণা ও আশীর্বাদ ।
ভালো থাকুন সবসময় এবং অনেক ধন্যবাদ।
২৪| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৪৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
নীল আকাশ ভাই, দাম্পত্য জীবনে স্বামী স্ত্রী বয়সে পার্থক্য তাদের নিজেদের মধ্য যতোটাকু সমস্যা করে তারচেয়ে কয়েকশত গুণ বেশী সমস্যা করে আত্মীয় পরিজন ও পাড়া প্রতিবেশীদের মধ্য - বয়সের পার্থক্যতে তাদের রিতিমতো ঘুম হারাম হয়ে যায় আর গসিপ করার জন্য তারা উন্মাদ হয়ে উঠেন। বয়স আসলে খুব জরুরী বিষয় নয়। স্বামী স্ত্রী বয়স ১০-১৫ বছর পার্থক্যদের সাধারণত সুখী হতে দেখা যায় সমবয়সিদের চেয়ে। (ব্যতিক্রম ব্যতিত)
***
সাধারণভাবে আমাদের দেশে স্বামী স্ত্রী দাম্পত্য জীবন সময়কাল ৩০-৪৫ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে। বার্ধক্যজনিত কারণে স্বামীকে আগেই বিদায় নিতে হয়। তবে এ কথাও ঠিক স্বামী স্ত্রীর বয়সের পার্থক্যতে স্বামীর প্রস্থানের পর স্ত্রী তার সন্তানের কাছে গ্রহণযোগ্যতা কতোটুকু ধরে রাখতে পারবেন তা চিন্তার কারণে পরিণত হয়। সে ক্ষেত্রে স্বামী বিয়োগে স্ত্রী রিতিমতো সন্তানদের কাছে বোঝায় পরিণত হোন। স্বামী স্ত্রীর সুখ জীবনের সময় সব সময় বড় বিষয় নয় - বার্ধক্য সময়ে সন্তানদের কাছে মূল্যয়নও যথেষ্ট ভূমিকা রাখে জীবন যাপনের জন্য। একজন স্ত্রীর কাছে এক সময়ে স্বামীর চেয়েও মূল্যবান হয়ে পরে সন্তান, আর তিনি যদি তা না করেন তাহলে বার্ধক্য সময়ে পস্তাতে হয়।
স্বামী স্ত্রী উভয়ের কাছে নিজেদের সম্পর্কের চেয়ে সন্তানের গুরুত্ব বেশী হওয়া চাই - নয়তো এর ফলাফল কখনো ভালো আসে না। কখনো ভালো আসেনি।
বোন মুক্তানীল আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ধন্যবাদ নীল আকাশ ভাই।
১৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১:৪৫
মুক্তা নীল বলেছেন:
ঠাকুর দা ,
আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য আমার পোস্টটির গুরুত্ব বাড়িয়েছে। আপনাদের সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
২৫| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৪৪
নীল আকাশ বলেছেন: বড় ভাই ঠাকুরমাহমুদঃ আপনাকেও ধন্যবাদ।
আমার কাছেও এটা মনে হয়। আপনার আমার বাবা মা কিংবা এর আগের জেনারেশনরা কিন্তু দাম্পত্য জীবনে সুখি ছিল।
এদের মধ্য অন্তরঙ্গতাও বেশি ছিল।
কিভাবে কিভাবে যেই সুন্দর সর্ম্পকগুলি এখন পাতলা হালকা হয়ে যাচ্ছে।
১৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১:৪৭
মুক্তা নীল বলেছেন:
নীল আকাশ ভাই ,
আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য আমার পোস্টটির গুরুত্ব বাড়িয়েছে। আপনাদের সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
২৬| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৪৪
করুণাধারা বলেছেন: মুক্তা নীল, এই কাহিনীর নাম "ব্যবধান" এর চাইতে উপযুক্ত আর কিছু হতে পারেনা। বয়সের ব্যবধান স্বামী স্ত্রীর মানসিকতায় ব্যবধান গড়ে দিতে পারে, কিন্তু ভালবাসার জোরে সেই ব্যবধান কাটিয়ে ওঠা যায়। গল্পে সুন্দর ভাবে সেটা তুলে ধরেছেন। গল্পের ভাষাও খুব সাবলীল, পড়তে ভালো লেগেছে।
গল্পে দেয়া মেসেজটি যেন আমরা ধরতে পারি। ++++
২৪ নম্বর মন্তব্যেও লাইক। স্বামী স্ত্রী উভয়ের কাছে নিজেদের সম্পর্কের চেয়ে সন্তানের গুরুত্ব বেশী হওয়া চাই - নয়তো এর ফলাফল কখনো ভালো আসে না। কখনো ভালো আসেনি।
পরম সত্যি!!
১৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১:১৮
মুক্তা নীল বলেছেন: আপা ,
গল্পের কাহিনীর নামের এত সুন্দর করে বিশ্লেষণ করলেন মনে হলো যেন পুরো ঘটনাটা লিখা আমার জন্যে সার্থক হলো। আমরা যে কোনো ঘটনা ঘটলে একটা ইস্যু খুঁজি । কিন্তু উনাদের এই সার্থক জীবন পেছনের অনেক লোকো কথা কে দূরে ঠেলে দিয়ে জীবনকে নিজেদের মত সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। বয়সের ব্যবধান স্বামী স্ত্রীর মানসিকতায় ব্যবধান গড়ে দিতে পারে, কিন্তু ভালবাসার জোরে সেই ব্যবধান কাটিয়ে ওঠা যায় --- এক কথায় জীবনের মূলমন্ত্র প্রকাশ করলেন । ভালোবাসার জোর আর মানসিক মিল কখনোই ক্ষণস্থায়ী নয় দীর্ঘস্থায়ী ।
আপনাকে পাশে পাওয়া আমার অনেক বড় অনুপ্রেরণা ।
গল্পটি ভালোলাগায় কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ ।
২৭| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ঠাকুর মাহমুদ ভাই, নীল আকাশ ভাই@
পারুল আপা এবং সেলিম ভাই কিন্তু আগে একে-অপরকে দেখেননি। এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। এর মধ্য থেকে তাদের মিল হয়েছে সেটা খুব সাধারণ ঘটনা হিসাবে ভাবা যাবে না। এটার পরিণতি খুবই ভয়াবহ হতে পারতো। ৭৫ বয়সের এক পুরুষের সাথে ২০/২৫ বছরের এক মেয়ের প্রেম ও বিয়ে হচ্ছে, কিন্তু সেটা হঠাৎ করে নয়। তাদের মধ্যে আগে পরিচয়, ঘনিষ্ঠতা, ইত্যাদির পরই প্রেম বা বিয়ে হয়ে থাকে। পারুল আপা ও সেলিম ভাইয়ের ক্ষেত্রে তার কোনোটাই ঘটে নি। এখানে পারুল আপা যদি সেলিম ভাইয়ের চাইতে উল্টো ১৮ বছরের বড়োও হতো, মনের মিল হতে পারতো।
তো, এই অসম বিয়ের ব্যাপারটা প্রোমোট করা উচিত না আমাদের। কারণ নানাবিধ। আমাদের নানি-দাদিদের সময়ে যে সমাজব্যবস্থা ছিল, তখন মেয়েরা আগে থেকেই ওভাবে প্রস্তুত থাকতেন। নারীরা তখন 'কুড়িতেই বুড়ি হয়ে যেতেন।' একটা সময়ে নানা/দাদা লাঠি ভর দিয়ে হাঁটতেন, জোয়ান দাদি/নানি তাদের নাতি-নাতনি নিয়ে মশগুল থাকতেন, ধর্ম-কর্মে মনোনিবেশ করতেন। যুগ তো পাল্টেছে। সমাজ ব্যবস্থাও অনেক বদলে গেছে। বয়সে ২০ বছরের বড়ো পুরুষটা স্বাভাবিকভাবে যখন প্রৌঢ়ত্বে পৌঁছুবেন, তখন হয়ত নারীর জৈবিক চাহিদা থাকবে তুঙ্গে। একজন বুড়োর পাশে এ স্ত্রীর শরীর তখন যে অভিশাপ দিতে থাকবে, তার কোনো প্রায়শ্চিত্ত হবে না। আমরা যে যতই বলি, যৌবন জ্বালা কোনোদিন ভাতকাপড় বা সান্ত্বনা দিয়ে পূরণ করা যায় না। ঠাকুর ভাই আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। স্বামী হয়ত আগেই পৃথিবী থেকে বিদায় নেবেন। অসহায় বিধবাকে দীর্ঘ সময় একাকী পার করতে হবে। সেই অসহায়ত্ব আমাদের অনুধাবন করতে হবে। আর ডিভোর্সের জন্য কোর্ট কাচারিতে যে ভিড় দেখছেন, এটাকে পজিটিভলিই নেয়া যায়। তারা স্বাধীন জীবন বেছে নিচ্ছেন নতুন সুন্দর ও সুখী জীবনের জন্য। আমাদের নানী/দাদীরা এমনকি শাশুড়িরা নীরবে নিভৃতে পুড়ে গেছেন, মুখ বুজে সয়ে গেছেন। তাদের ভেতরের দহন আমরা দেখি নি, শুধু অনুভব করতে পারি। এই দুঃসহ দুর্বিষহ কষ্ট যাতে নারীকে না পোহাতে হয়, সেজন্যই আমাদের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুযায়ী স্বামী-স্ত্রীর বয়সের ব্যবধান যত কম হয় তত ভালো।
আমার মতের সাথে আপনাদের মিলবে তা বলছি না, কিন্তু আমি ব্যাপারটা এভাবেই দেখি, আমার অভিজ্ঞতা থেকে আমি এটাই বুঝতে পেরেছি।
ধন্যবাদ ঠাকুরমাহমুদ ভাই।
১৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১:৪৮
মুক্তা নীল বলেছেন:
আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য আমার পোস্টটির গুরুত্ব বাড়িয়েছে। আপনাদের সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
২৮| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: গল্পে বেশী কিছু বলার নাই। আমার মতে, বয়সের ব্যবধান কোন বড় বিষয় না। আমার দাদা-দাদি, নানা-নানির বয়সের ব্যবধান আরো বেশী ছিল। আমার আব্বা-আম্মার বয়সের ব্যবধানও এরকমই। উনারা আজীবন সংসার করেছেন। অত্যন্ত ভালোভাবে করেছেন। বরং এখন সমবয়সী বা প্রায় সমবয়সী বিয়ের ফলে সমাজে ভাঙ্গনের শব্দ অনেক বেশী শোনা যায়। উনারা সাংসারিকভাবে ভালো আছেন.....এটাই বড় কথা।
এবার অন্য কথায় আসি। একটা বহুল প্রচলিত কৌতুক আছে। নয়টার ট্রেন কয়টায় আসে। জানেন নিশ্চয়ই। তেমনিভাবে প্রশ্ন করা দরকার, আপনার দশদিন কয়দিনে হয়? আপাততঃ জানলাম, প্রায় তিরিশ দিনে হয়!!
১৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১:২৭
মুক্তা নীল বলেছেন:
ভাই ,
যাক অতঃপর এলেন তাহলে !!
আমাদের গুরুজন উনাদের সোনালী শান্তির জীবনের সাথে আমাদের বর্তমান যুগের তুলনায় চলে না। একটা কথা আছে না তেলে জলে কখনোই মিশে না । ঠিক তেমনি, পারস্পরিক অনুভূতি এবং শ্রদ্ধা সহমর্মিতা সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বয়সের ব্যবধান কিছুই না। ভালো লাগলো আপনার চমৎকার উদাহরণে ।আমাদের গুরুজন আমাদের আদর্শ কিন্তু এটা আমরাই হয়তো ভুলে যাই মাঝে মধ্যে।
নয়টার ট্রেন কয়টায় ছাড়ে -- জানতাম বাঘের চোঁখকে ফাঁকি দেওয়া অতো সহজ নয় । আমার ঘড়িতে এখন নয়টা বাজেনি কারণ আমার ঘড়ির ব্যাটারি সবসময়ই স্লো । যাকগে , তাও এটা ভেবে নিজেকে ভীষণ ভালো লাগছে আমার পোস্ট দেওয়ার কথা কেউ মনে রেখেছে ।
অনেক ধন্যবাদ ও আন্তরিক ভালোলাগা রইলো এমন আন্তরিক মন্তব্যে । ভালো থাকুন।
২৯| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
নীল আকাশ ভাই, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার লেখাগুলো আপনি বুঝতে পেরেছেন। জীবনে অনেক ডিসিশনের প্রয়োজন পরে যাকে আপনি হিটলারি ডিসিশন বলেছেন - আমিও তাই বলছি। অন্তত স্বামী স্ত্রীর বয়সের ব্যবধানের কারণে স্বামী হিটলারি ডিসিশন নিতে পারেন। উদাহরণ: - জীবনে অর্থনৈতিক মুক্তি কি হতে পারে, একমাত্র তিনিই জানেন যিনি জীবনে অভাব দেখেছেন - দুঃখ দুর্দশা দেখেছেন। স্বামী হিটলারি ডিসিশন নিয়ে চাকরি ছেড়ে ব্যবসা করছেন / দেশে ছেড়ে প্রবাসে পাড়ি দিচ্ছেন আর তাতে করে পরিবার ও সংসার অর্থনৈতিক মুক্তি পাচ্ছে। - সমবয়সি স্বামী স্ত্রীদের ক্ষেত্রে স্বামী সারা জীবন গরু গাধার খাটনি খেটে যান - হিটলারি ডিসিশন তার পক্ষে নেওয়া কখনো সম্ভব হয় না, কারণ স্ত্রীকে বোঝোতে বোঝাতে তার জীবনের সময় পার হয়ে যায় - কোনো একদিন বেচারা স্বামী হয়তো আয়নার দিকে তাকান, তখন দেখেন মাথার চুল নেই, দাঁত নেই চারটি, আর চেহারা হয়ে গেছে পোড়া মাটির মতো পোড়া মাটির পাতিল। - কারণ কি? কারণ: স্বামী স্ত্রী সমবয়সি / স্বামীর চেয়ে স্ত্রী বেশী শিক্ষিত / স্বামীর চেয়ে উচ্চ বংশ - আর স্বামী বেচারা সেই স্ত্রীর কাছে কাবিন নামের কাগজে কেনা সাহেব নামের এক গোলাম মাত্র!
স্বামী যতোবড় চৌধুরী অথবা জমিদার পরিবারের আখেরি জমিদার হোক! আর তার স্ত্রী যদি কামের বেটি রহিমাও হয় স্বামী কখনো তার স্ত্রীকে ডমিনেট করেন না। কিন্তু স্ত্রী যদি চৌধুরী হোন আর স্বামী বেচারা আবদুল হাই তাহলে আমরা সবাই জানি বেচারা স্বামীর জীবন ভারতীয় বাংলা ছবির যতীনবাবুর মতো ফর্দাফাই হয়ে যায়। - একদম।
করুণাধারা আপা, আপনি আমার মন্তব্যর মাখন পর্বটি তুলে ধরেছেন - বুঝতে পারছি সংসার সম্পর্কে আপনি ভালো জানেন এবং বুঝেন। স্বামী স্ত্রীর প্রেম ভালোবাসা সুখ গুনতে গুনতে সংসারের কপালে জুটে ডিভোর্স মামলা মোকাদ্দমা তাতে হয়তো নারী স্বাধীনতা অগ্রগামী হয় আপা, কিন্তু সন্তানের কি হয় বলতে পারেন? সন্তানের জীবন তো শেষ। ফুল ফোটার আগেই তাদের ধ্বংস করা হয় পিতামাতার তথাকথিত প্রেম ভালোবাসা সুখের নামে - আজ যেসব মাতাপিতা বৃদ্ধ পুনর্বাসন কেন্দ্রে তারা সন্তানের চেয়ে নিজেদের জীবনের পরোয়া করেছেন বেশী - এক মাঘে শীত যায় না। আমি জীবন দেখা মানুষ।
সোনাবীজ ভাই, আমি আপনার মন্তব্যকে সম্মান করে একটি কথা শুধু বলবো, স্ত্রীর চেয়ে স্বামীকে বড় হতে হবে, এর অর্থ এই নয় ২৫ বছরের নারী আর পুরুষের বয়ষ ৭৫। - না তা নয়। তবে অবস্যই ২৫ বছরের স্ত্রীর সাথে কমপক্ষে ৩২ বছরের স্বামী। আমার মন্তব্য যদি ব্লগ এডমিন কাল্পনিক ভালোবাসা ভাই পড়েন তাহলে তিনি হাসবেন - তাই আবারো বলছি স্ত্রীর চেয়ে স্বামীকে বড় হতে হবে - বয়সের দিক দিয়ে, জ্ঞান বুদ্ধিতে, অর্থনৈতিক ভাবে এমনকি উচ্চতায়ও। নয়তো আব্দুল হাই স্বামীর খবর আছে। এই খবর চলতেই থাকবে - চলতেই থাকবে।
ধন্যবাদ নীল আকাশ ভাই, ধন্যবাদ করুণাধারা আপা, ধন্যবাদ সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই ভাই।
***
বিশষে দ্রষ্টব্য: বিয়ের আগে স্বামী স্ত্রী একে অপরের সম্পর্কে যতো কম জানবেন ততো ভালো, বিয়ের পর জীবন চলে যায় একে অপরকে জানতে জানতে বুঝতে বুঝতে ভালোবাসতে বাসতে। আর বিয়ের আগে সব জানাশোনা হয়ে গেলে বিয়ের পর আর কারো কাছে কারো কোনো রহস্য থাকে না। থাকে না নতুন করে কিছু জানার আগ্রহ! দুজনেই পুরাতন! তাই নতুনের খোঁজে দুজন আবার নতুন করে নেমে পরেন! বাদবাকী গল্প ব্লগের সবাই জানেন তাই আর লিখছি না।
ক্রস চেক: আমি মন্তব্য করেছি দেশের আবহ সমাজ ও পরিবারের মেজর পার্সেন্ট নিয়ে, ব্যতিক্রম আছে তবে ব্যতিক্রম সব সময় ব্যতিক্রম হয়ে থাকে।
সর্বশেষ: স্বামী স্ত্রীর নিজেদের গুরুত্ব বোঝার চেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ সময়ের গুরুত্ব বুঝতে পারা, আরো বেশী গুরুত্বপূর্ণ সন্তানের গুরুত্ব বুঝতে পারা। তরতাজা প্রাণ ২৫ বছরের নারী আর ২৭ বছরের যুবক স্বামীকে দেখেছি বয়স চল্লিশ পেরুবার আগেই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন। আর এমনও প্রচুর হচ্ছে স্ত্রীর বয়স ২৫ আর স্বামীর বয়স ৪০ তারা হেসে খেলে ত্রিশ বছর দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করে ভালোই আছেন - বেঁচে আছেন সুখেও আছেন হয়তো।
১৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১:৫৭
মুক্তা নীল বলেছেন:
ঠাকুর দা,
আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য আমার পোস্টটির গুরুত্ব বাড়িয়েছে। আপনাদের সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
৩০| ১৮ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:২৬
নীল আকাশ বলেছেন: বড় ভাই লিখেছেনঃ বিশষে দ্রষ্টব্য: বিয়ের আগে স্বামী স্ত্রী একে অপরের সম্পর্কে যতো কম জানবেন ততো ভালো, বিয়ের পর জীবন চলে যায় একে অপরকে জানতে জানতে বুঝতে বুঝতে ভালোবাসতে বাসতে। আর বিয়ের আগে সব জানাশোনা হয়ে গেলে বিয়ের পর আর কারো কাছে কারো কোনো রহস্য থাকে না। থাকে না নতুন করে কিছু জানার আগ্রহ! দুজনেই পুরাতন! তাই নতুনের খোঁজে দুজন আবার নতুন করে নেমে পরেন! বাদবাকী গল্প ব্লগের সবাই জানেন তাই আর লিখছি না।
১০০% সত্য। এখন বেশি জানাশুনা হয়, দেখা সাক্ষাত হয়। যার ফলে সিটি কর্পোরেশনে ডির্ভোস কেসের ফাইলও হাজারগুন বেড়ে গেছে। পারস্পরিক সহমর্মমিতা, শ্রদ্ধাবোধ, স্লেক্সাথে সারাজীবন থাকার আকাংখা ভোঁজবাজির মতো দিন দিন উধাও হয়ে যাচ্ছে।
@খলিল ভাই, আমি কিছুটা বয়সের পার্থক্য থাকতে বলেছে। তারমানে এই নয় যে ২০ বা ২৫ বছর পার্থক্য হবে। এত বেশি হলে অবশ্যই সমস্যা।
২১ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:২২
মুক্তা নীল বলেছেন:
ধন্যবাদ নীল আকাশ ভাই ।
আপনাদের আলোচনা এবং যৌক্তিক মন্তব্যে পোস্টটিতে আরো গুরুত্ব বাড়িয়ে দিলো ।
শুভকামনা ও কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
৩১| ২১ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৪৫
নিঃশব্দ অভিযাত্রী বলেছেন: আপনার এই পোস্টের মন্তব্যগুলি নিয়ে সারমর্ম বানিয়ে একটা পোস্ট দেবো এখানে। আগেই অনুমতি নিলাম।
২১ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৩৪
মুক্তা নীল বলেছেন:
পোস্টের মন্তব্যগুলি নিয়ে সারমর্ম বানিয়ে একটা পোস্ট দেবো এখানে। আগেই অনুমতি নিলাম ---
এটা তো ভীষণ আনন্দের কথা এবং অনুমতি দেওয়া হলো।
আমার পক্ষ থেকে এজন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
৩২| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:১৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: পরিচিতজনদের বাস্তব জীবন কাহিনী থেকে পাত্রপাত্রীদের নাম বদলে গল্প লিখেছেন, তাই এটি গল্প হলেও এর সত্যতা সম্বন্ধে সন্দেহ নেই। শেষকথা, পাত্রপাত্রীগণ সুখে আছেন, সফল জীবন যাপন করে সন্তানদেরকে সঠিকভাবে 'মানুষ' করেছেন- এটাই বড় কথা।
আমার ব্যক্তিগত ধারণা, স্ত্রীর চেয়ে স্বামীর বয়স অন্ততঃ ৫/৬ বছরের বেশী হওয়া উচিত। পরস্পরের প্রতি ভালবাসা, সম্মান ও ভক্তি সুখী দাম্পত্য জীবনের মূল মন্ত্র। এ তিনটে জিনিস থাকলে একে অপরের দুর্বলতাগুলোকে সহজেই ক্ষমা করে দিতে পারবে।
পোস্টে অনেকেই চমৎকার মন্তব্য রেখেছেন। একজন তো পাঠকদের মন্তব্য নিয়ে আলাদা একটি পোস্টই লিখে ফেলতে চেয়েছেন। এগুলোই একটি সুন্দর গল্প থেকে বড় পাওয়া।
গল্পে ভাল লাগা + +।
২৪ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:২৭
মুক্তা নীল বলেছেন:
ভাই ,
জীবনে কিছু কিছু মানুষের সংগ্রামের ধরন চলন সম্পূর্ণ ভিন্ন।
সত্য কাহিনী এবং পারুল আপা নিজের মনের সাথে যুদ্ধ করে পরিশেষে সফলভাবে সংসার জীবনে ব্যর্থ হননি তাই লিখলাম ।
পরস্পরের প্রতি ভালবাসা, সম্মান ও ভক্তি সুখী দাম্পত্য জীবনের মূল মন্ত্র। এ তিনটে জিনিস থাকলে একে অপরের দুর্বলতাগুলোকে সহজেই ক্ষমা করে দিতে পারবে --- আপনিও চমৎকার ও মূল্যবান মন্তব্য উপস্থাপন করে লেখার পুরো বিষয়টাকে তুলে ধরলেন ।
আমার জন্য অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা ।
৩৩| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২১
সোহানাজোহা বলেছেন:
ইতিহাসে ভালোবাসার দৃষ্টান্ত খোঁজতে গেলে দেখা যাবে স্বামী স্ত্রী একজনের বয়সও কাছাকাছি নয়। আমাদের দেশের উপন্যাস রুপবান, বেহুলা লক্ষিন্দর। পারস্য উপন্যাস শিরি ফরহাদ, লাইলী মজনু। এমনকি আদি মাতাপিতা আদম ও হাওয়া। এমন হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ উদাহরণ আছে। একজন আরেকজনের জন্য যেই ত্যাগ স্বীকার করেছেন এই কারণে আজো তারা গল্প উপন্যাসে বেঁচে আছেন। বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল।
স্বামী স্ত্রী একজন আরেকজনের ভালোবাসা বুঝবেন, দুঃখ কষ্ট বুঝবেন। সময়কে মূল্য দেবেন - এটিই জীবন। দুজন সমান সমান হলে দা-কুমড়া সম্পর্ক হবে এছাড়া আর কিছু না।
২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৩৫
মুক্তা নীল বলেছেন:
আপা ,
স্বামী স্ত্রী একজন আরেকজনের ভালোবাসা বুঝবেন, দুঃখ কষ্ট বুঝবেন। সময়কে মূল্য দেবেন - এটিই জীবন --- এতো চমৎকার ও মূল্যবান একটি কথা বলেছেন এরপর আমার আর বলার কিছুই নাই । ইতিহাস অনেক কিছুরই সাক্ষী হয়ে আছে আজও ভালোবাসার ক্ষেত্রে আর বর্তমানে কি হচ্ছে দেখুন আজকে বিয়ে আবার ছয় মাস যেতে না যেতেই সেটার ভাঙ্গন ।
অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা রইলো ।
৩৪| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৩৯
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আহা কি মধুর সুন্দর ঘটনা
কখন যে পোস্ট চলে গেলো দেখতেই পেলাম না।
সুখে থাকুক উনারা দোয়া করি
২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৫০
মুক্তা নীল বলেছেন:
ছবি আপা ,
আসলেই উনাদের সম্পর্কটা ভীষণ মধুর এবং সার্থক জীবন।
আমি মনে মনে আপনার অপেক্ষা করছিলাম এবং আপনি এলেন তাই আমি আনন্দিত ।
অনেক ভালোবাসা ও ধন্যবাদ রইলো আপু।
৩৫| ০১ লা আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১৬
ইসিয়াক বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা রইলো আপু।
ঈদ মোবারক ।
নিরন্তর শুভকামনা।
৩৬| ০১ লা আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৫৬
মুক্তা নীল বলেছেন:
ইসিয়াক ভাই ,
আপনাকেও ঈদ মোবারক ।
খুব খুশি হলাম আপনার কাছ থেকে শুভেচ্ছা পেয়ে।
আন্তরিক ধন্যবাদ রইলো ও ভালো থাকুন ।
৩৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৫৫
ওমেরা বলেছেন: নীল মুক্তা আপু আমার ধারনা , স্বামী, স্ত্রীর সম্পর্কটা , বিস্বাস , ত্যাগ, রেসপেক্ট এই তিনটার উপর নির্ভর করে, এই তিনটা যদি থাকে তাহলে পরস্পরের মাঝে ভালোবাসা থাকবে জীবনটা সুন্দর হবে বয়সের ব্যাবধান একটু বেশী হলেও ।
আর এই তিনটা যদি না থাকে সমবয়সী বা স্বামী যদি বয়সে ছোটও হয় তবু জীবন সুন্দর হবে না।
অনেক ধন্যবাদ নীল মুক্তা আপু।
০৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৩৪
মুক্তা নীল বলেছেন:
ওমেরা আপা ,
অনেকদিন পর আপনার আগমনে আমার ব্লগ বাড়ি যেন ক্রিস্টালের মতোই ঝকঝক করছে আপনার আগমনে । এবার অনেকদিন পর এলেন ।
স্বামী, স্ত্রীর সম্পর্কটা , বিস্বাস , ত্যাগ, রেসপেক্ট এই তিনটার উপর নির্ভর করে, এই তিনটা যদি থাকে তাহলে পরস্পরের মাঝে ভালোবাসা থাকবে জীবনটা সুন্দর হবে বয়সের ব্যাবধান একটু বেশী হলেও --- জীবনের বাস্তব
ব্যাখ্যা ও চমৎকার বিশ্লেষণ দিয়েছেন । বর্তমানে বয়সের গ্রহণযোগ্যতা এত সামঞ্জস্য মেনটেন করেও এবং এতো বছরের প্রেমের বিয়েও টিকছেনা ,কিসের অভাবে ?
আপনাকে আমার অনেক ধন্যবাদ এবং ঈদ মোবারক।
৩৮| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: সম্পর্ক সবসময়ে পারস্পারিক বোঝাপড়ায় চলে। তবে যেহেতু পারিবারিক বিয়ে চোখের দেখা ও ফ্যাক্ট।
উনাদের জন্য শুভ কামনা।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
পারুল কি সুখী, নাকি অসুখী, সেটা তো জানা হলো না।