নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুক্তা নীল

মুক্তা নীল › বিস্তারিত পোস্টঃ

দায়িত্বহীনতা

০৬ ই মে, ২০২২ রাত ৯:১৯




জীবন বাজি রেখে রোজ রোজ কেউ মানুষের জীবন বাঁচানোর খেলায় নামেন না ।
প্রতিদিন এমনি করে নিজের জীবনের নিরাপত্তার কথা না ভেবে নিরলস ভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছে মহান চিকিৎসারা । কিছু চিকিৎসক দের সহানুভূতি ও ভালো ব্যবহার এবং হাসিমাখা মুখের কথায় জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত রোগীরা মনোবল সহকারে আশাবাদী করে তোলে রোগ-যন্ত্রণা ভুলিয়ে দেয় । আমি বলবো কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা অনেকটাই সৌভাগ্যবান' যদি কাঙ্খিত বা অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে ভালো একজন চিকিৎসকের দেখা পাই । কিছু চিকিৎসকদের প্রতি আমার যথেষ্ট সম্মান ও আস্থা আছে । ব্যক্তিগতভাবে আমি কখনো একজনকে দিয়ে বাকি দশ জনের মূল্যায়ন করি না । তাই এই লেখাটি কেউ এক পক্ষ ভাবে নেবেন না ।
লেখার মূল প্রসঙ্গে আসছি এখন , ফেব্রুয়ারি চতুর্থ সপ্তাহে আমার আম্মাকে নিয়ে ল্যাবএইড হাসপাতালে ডাক্তার লায়লা আরজুমান্দ বানু 'র শরণাপন্ন হই । তিনি আম্মাকে সার্জারির পরামর্শ দেন এবং আমরা প্রস্তুত ছিলাম ও জানতাম যে এটা সার্জারি করতেই হবে । সার্জারির প্রিপারেশনের জন্য যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা এর মধ্যে সব শেষ হলো । মার্চ মাসের ১৫ তারিখ সোমবার সকালে সার্জারি তারিখ ঠিক হয় । এবং সার্জারির দুইদিন আগে ডাক্তার পরামর্শ অনুযায়ী দুই ব্যাগ ব্লাড রেডি রাখতে বলেন। ব্লাড এর ডোনার দুইজন সহ ল্যাবএইড হাসপাতালে যাওয়ার পর জানতে পারি সার্জারি বাতিল করা হয়েছে কারণ ডাক্তার হঠাৎ করেই দেশের বাহিরে গিয়েছেন । ডাক্তার লায়লা বানু অন্য কারো কাছে রেফার করে যান নাই যার কারণে খুব আফসেট হয়ে পড়ি । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বললো ডাক্তার আসবেন এক মাস পর । ডাক্তারের এই উদাসীনতা ও অনৈতিকতা নিয়ে কিভাবে কি লিখবো তা আমার জানা নেই । ডাক্তারের দায়িত্ব ও রোগীর অধিকার এই দুইয়ের মধ্যে তাহলে কি শুধু ডাক্তারের খামখেয়ালী ও দায়িত্বহীনতা প্রাধান্য পাবে ? একজন রোগীর ইমারজেন্সি সার্জারির তিন দিন আগে বিদেশে চলে গেলেন একটা সেমিনারে যোগ দিতে । কথা হচ্ছে উনি যেহেতু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তাই দেশের বাইরে যখন তখন যেতে পারেন কিন্তু এ বিষয়ে রোগীকে আগে অবহিত করা উচিত ছিলো । ডাক্তারদের উপর নির্ভরতা বেশি বলেই হয়তো আস্থার সংকটের মুখোমুখি হতে হয় রোগীর । এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে জবাবদিহিতার মুখোমুখি হতে হয় না বলেই হয়তো এখনো এত অনিয়ম ।
ডাক্তারের এই দায়িত্বহীনতায় খুব কষ্ট পেলাম । মনে মনে ভাবলাম না এখানে আর দেখাবো না । আর এ বিষয়ে কাউকে কিছু বলেও লাভ নেই কারণ ডাক্তার লায়লা আরজুমান্দ বানু কে একজন ব্রান্ড মনে হলো । এমনিতেই ডাক্তারের সিরিয়াল পেতে বেশ দেরী হয়েছিল তাই আর উনার অপেক্ষা না করে আম্মা এভারকেয়ার হাসপাতালে ডাক্তার মনোয়ারা বেগমে কে দেখান এবং এই ডাক্তার নতুন করে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন ।
আম্মা এভারকেয়ার হাসপাতাল পাঁচদিন অবস্থান করে এবং ডাক্তার মনোয়ারা বেগমের নেতৃত্বে সার্জারি সম্পন্ন করে সুস্থ শরীর নিয়ে বাসায় ফেরেন । এখানে এক ব্যাগ ব্লাড রেডি রাখতে বলা হয়েছিল যদিও কোন ব্লাড আর লাগে নাই । যাই হোক শেষ পর্যন্ত আমি মনে করি যা হয়েছে হয়তো ভালোর জন্যই হয়েছে । তবে সহানুভূতিশীল ও দায়বদ্ধ ডাক্তারই পারেন দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেকটা পাল্টে দিতে

ছবি - নিজে তুলেছি

মন্তব্য ৫৩ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৫৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মে, ২০২২ রাত ৯:২৯

সোনাগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশের কোন ডাক্তারের উপর আস্হা রাখা সম্ভব নয়।

০৬ ই মে, ২০২২ রাত ১১:৩১

মুক্তা নীল বলেছেন:
অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় দেশে একটি বড় সংখ্যার চিকিৎসক আছেন যারা নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ ।

২| ০৬ ই মে, ২০২২ রাত ৯:৩১

ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: হয়তো ডক্টর লায়লার কোন ইমারজেন্সি ছিল। তবুও বলতে হয় উনি দায়িত্ব-জ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছেন।

০৬ ই মে, ২০২২ রাত ১১:৩৩

মুক্তা নীল বলেছেন:
উনার কাছে যাওয়াটাই ভুল হয়েছে ।
এরকম সমস্যা যেন আর কাউকে ফেস করতে না হয় ।

৩| ০৬ ই মে, ২০২২ রাত ৯:৪০

ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: এতোক্ষণে দেখা যাচ্ছে মে বি নেট এরর ছিল দুঃখিত।

৪| ০৬ ই মে, ২০২২ রাত ৯:৫০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ডাক্তার আনজুমান্দ তার দায়িত্বহীনতা্র পরিচয় দিয়েছেন নিঃসন্দেহে। তবে, প্রতিষ্ঠানই প্রধানত এর জন্য দায়ী। ডাক্তারের বেশ কয়েকজন পারসোনাল স্টাফ ও কানেকটেড জুনিয়র ডাক্তার থাকেন। তাদের কাছে সব রোগীর শিডিউল লিপিবদ্ধ থাকে। তাদের উচিত ছিল সময়মতো ডাক্তার আনজুমান্দের বিদেশে চলে যাওয়ার বিষয়টি অবহিত করা। একটা হাসপাতালের নিয়মনীতির মধ্যেই এটা থাকার কথা, আর ল্যাব এইডে এটা থাকবে না তা হতে পারে না।

আমি এ জীবনে প্রচুর অসুস্থতার ভেতর দিয়ে এসেছি, দেশ-বিদেশে ডাক্তার-হাসপাতাল দেখেছি। আমাদের বেশির ভাগ ডাক্তারই ভালো ও দায়িত্বশীল, তবে, কিছু কিছু ডাক্তারের নির্মমতা, দুর্ব্যবহার, অতিমাত্রায় ব্যবসায়িক আচরণ, দায়িত্বহীনতা রোগীদের ভোগান্তি ও দুর্দশা বাড়ায়। মূলত তাদের জন্যই ডাক্তারদের বদনামটা বাড়ে।

যাই হোক, আলহামদুলিল্লাহ। শেষ পর্যন্ত আপনার আম্মুর সার্জারি হয়েছে। তার সুস্থ জীবন কামনা করছি।

০৬ ই মে, ২০২২ রাত ১১:৫৮

মুক্তা নীল বলেছেন:
ভাই ,
ডাক্তার লায়লা আরজুমান্দ বানু'র সাথে আরো দুজন এসিস্টেন্ট ডাক্তার থাকেন সর্বক্ষণ কিন্তু উনারাও আমাদের এ বিষয় কিছু জানাননি আর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া পাইনি । এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বারবার বলল এটা ওনাদের দায়িত্ব না এটা ডাক্তারের দায়িত্ব । আসলে এই ডাক্তারের কিছু ক্ষমতার দাপট ছিল অন্যরকম কারণ উনি এক সময় মেজর এবং জাতীয় সংসদের নারী সংরক্ষিত আসনের সংসদের সদস্য পদে ছিলেন ।
যাই হোক , আম্মা সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন এটাই বড় কথা । আপনিও সব সময় ভালো ও সুস্থ থাকুন এই দোয়া করি ।

৫| ০৬ ই মে, ২০২২ রাত ১০:০৬

শাহ আজিজ বলেছেন: এসব ব্যাপার অহরহ ঘটছে । আমরাও ভুক্তভোগী ।


আপনার আম্মা ভাল থাকুক এই কামনা করি ।

০৭ ই মে, ২০২২ রাত ১২:৩০

মুক্তা নীল বলেছেন:
রোগীর অধিকার ও চিকিৎসকের দায়িত্ব দুটোই সমান গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু দেখেন এরকম একটা সার্জারির শেষ ধাপে এসে এই আচরণে খুবই মনঃক্ষুণ্ণ হলাম । আপনিও ভালো থাকুন সবসময়।

৬| ০৬ ই মে, ২০২২ রাত ১০:৫৬

মিরোরডডল বলেছেন:




মূল সমস্যা হচ্ছে কোনও জবাবদিহিতা নেই ।
তাই অনেক অনিয়ম হয়, শুধু মেডিক্যাল সেক্টরে না, সব জায়গাতেই ।
ভালো ডাক্তারও আছে বলেই মায়ের সার্জারি ভালোভাবে শেষ হয়েছে ।
আশা করি উনি সম্পূর্ণরূপে সুস্থ হয়ে উঠবেন ।





০৭ ই মে, ২০২২ রাত ১:২২

মুক্তা নীল বলেছেন:
বিএমডিসি সহ ডাক্তার সমাজ ও স্বাস্থ্য প্রশাসন এদের কি কোনো দায়দায়িত্ব নেই কোথায় কি নিয়ম ও অনিয়ম হচ্ছে তা দেখার ? হ্যাঁ এটা তো ঠিক ভালো ও দায়িত্বশীল ডাক্তার অবশ্যই আছেন ।
তুমিও ভালো থেকো , শুভরাত্রি ।

৭| ০৬ ই মে, ২০২২ রাত ১১:০২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: অল্প কিছু ব্যতিক্রম বাদে বাংলাদেশের ডাক্তাররা সব কসাই। বড় ধরনের অসুখ-বিসুখে সক্ষমতা থাকলে কেউ দেশে চিকিৎসা করায় না সাধারনতঃ। আমাদের রাজনীতিবিদ আর ধনী ব্যক্তিদের অভ্যাস দেখলেই বুঝতে পারবেন। এরা বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করায়, কিন্তু দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার কোন উন্নতি করে না।

বহুদিন পরে আপনার একটা লেখা দেখলাম। নিয়মিত লিখেন। :)

০৭ ই মে, ২০২২ রাত ২:১৮

মুক্তা নীল বলেছেন:
ভাই ,
অনেকদিন পরে আপনার দেখা পেলাম যা নিঃসন্দেহে আমার জন্য আনন্দের ।

আমি লেখার শুরুতেই বলেছি আমি একজনক কে দিয়ে বাকি দশজনের মূল্যায়ন করি না । এখনো আমাদের দেশে অবশ্যই কিছু সংখ্যক মানবিক চিকিৎসক আছেন । আমাদের দেশে চিকিৎসা ক্ষেত্রে আরেকটি নেগেটিভ দিক হচ্ছে সঠিক রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হয়না কিছু কিছু জটিল রোগের ক্ষেত্রে ।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

৮| ০৬ ই মে, ২০২২ রাত ১১:০৩

ঢুকিচেপা বলেছেন: আপনাদের সাথে যেটা হয়েছে সেটা অবশ্যই দায়িত্বহীনতা এবং নিন্দনীয় কাজ।
মানুষের প্রয়োজনীয় কাজ থাকতেই পারে কিন্তু যেহেতু উনি এক মাসের জন্য বাইরে যাচ্ছেন তাই উচিৎ ছিল একটা ব্যবস্থা করে যাওয়া।

আমাদের এখানে একজন সরকারী ডাক্তার আছেন, ওনার নাম হয়ে গেছে গরীবের ডাক্তার। রাস্তা-ঘাটে যেকোন সময় রোগী দেখেন। মূলতঃ বাইরের এই রোগী হলো ভিক্ষুক, চা বিক্রেতা, বাদাম বিক্রেতা এই ধরনের। ওনার বাবাও ছিলেন ডাক্তার, তিনি গরীব রোগীদের প্রেসক্রিপশন করে ঔষধ কেনার টাকাও দিতেন।

আপনার আম্মা সুস্থ্য থাকুক এই কামনা করছি।

০৭ ই মে, ২০২২ রাত ২:২১

মুক্তা নীল বলেছেন:
ভাই,
শুনেছি শুধু আমাদের সাথে নয় অন্য পেশেন্টের লোকেরাও এটা নিয়ে ভুক্তভোগী । সার্জারির এক সপ্তাহ আগেও উনাকে দেখানো হয়েছে কিন্তু তখনও আমাদেরকে জানানো হয়নি । আসলে ভাই, এটা মানবিকতার প্রশ্ন আর কিছু না।
প্রায়ই দেখা যায় রোগীরা আইন হাতে তুলে নেয় তা তো বুঝলাম এবার ।

তুমি অধম তাই বলে আমি উত্তম হইবো না কেন -- এই কথাটা আপনাদের সেই ডাক্তারের উদ্দেশ্যে বলা
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

৯| ০৬ ই মে, ২০২২ রাত ১১:২৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আপনার আম্মার জন্য শুভকামনা রইলো।
এমন শতশত ঘটনা ঘটে অহরহ। আমরা অসহায় এবং জিম্মি হাসপাতাল ও ডাক্তারদের কাছে।

০৭ ই মে, ২০২২ রাত ২:২৪

মুক্তা নীল বলেছেন:
ভাই ,
আমরা চাইলেও অভদ্রতা ও অমানবিকতার আচরণ করতে পারিনা । আর এদের সাথে প্রতিবাদ করে কোন লাভ নেই ।
ভালো থাকুন সব সময় আপনিও এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

১০| ০৭ ই মে, ২০২২ রাত ১:৪৬

নিমো বলেছেন: সোনাগাজী বলেছেন:বাংলাদেশের কোন ডাক্তারের উপর আস্হা রাখা সম্ভব নয়।
এক তরফা একটা বক্তব্য দিয়ে দিলেন। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের বিবেচনায় রোগী মাথাপিছু ডাক্তারের সংখ্যায় আমাদের অবস্থান কোথায় ? আমাদের সেবাখাতগুলো আমরা বানিয়েছি ডাকাতি খাত, সেখানেতো চাইলেও কেউ সেবা দিতে পারবে না।

@মুক্তা, খালাম্মা দ্রুত সুস্থ্য হয়ে উঠুন।

০৭ ই মে, ২০২২ রাত ২:৩৬

মুক্তা নীল বলেছেন:

নিমো ,
আলহামদুলিল্লাহ আম্মা ভালো আছেন । মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।






১১| ০৭ ই মে, ২০২২ ভোর ৬:৩১

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: বাংলাদেশের বেশীরভাগ নামধারী ডাক্তারগুলো আসলে সার্টিফাইড কসাই। রোগী ভালো করার চেয়ে তাদের পকেট খসানোই থাকে তাদের মূল ধান্দা। আপনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।

০৭ ই মে, ২০২২ দুপুর ২:১১

মুক্তা নীল বলেছেন: ভাই,
ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকদের ব্যবসা জমানোর জন্য কমিশন প্রথা চালু করার জন্য আজ এই অবস্থা ।
কিছু চিকিৎসক সৎ আছেন আর কিছু লোভী আছেন আর আমরা হচ্ছি পরিস্থিতির শিকার ।
ধন্যবাদ আপনাকে ।

১২| ০৭ ই মে, ২০২২ সকাল ১১:৩৫

বিজন রয় বলেছেন: খুবই দুঃখজনক।
আরো দুঃখজনক আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের একটা অংশ এভাবে গড়ে উঠছে।

আমাদের এখনই এসব দুর করার ব্যবস্থা নিতে হবে।

০৭ ই মে, ২০২২ দুপুর ২:১২

মুক্তা নীল বলেছেন:
বিজন দা ,
এই যে অবস্থা চলছে এটা চলতেই থাকবে । ভবিষ্যতে কি হবে জানিনাতবে এটা এখন অনেকটাই স্টাবলিশ সিস্টেম হয়ে
দাঁড়িয়েছে ।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে ।

১৩| ০৭ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:১২

শায়মা বলেছেন: ডাক্তারদের উপর আমার কোনোই আস্থা নেই।

জানি ডাক্তাররা শুনলে রাগ করবে।

কিন্তু সত্যিই নেই।

তাই আমি ডাক্তারের কাছে যাই না।

মূর্মুষ হলে অন্য কেউ ধরে নিয়ে না গেলে যাবোও না।

কি হবে অন্যের হাতে জীবন দিয়ে?

যাদের কাছে অন্যের জীবনের দামই নাই।

০৭ ই মে, ২০২২ রাত ১১:৩২

মুক্তা নীল বলেছেন:
কি হবে অন্যের হাতে জীবন দিয়ে? -- হা হা হা
আমার মনে হয় কোন ডাক্তার যদি তোমার এই রান্নাবান্নার আয়োজন দেখে ও ডাক্তারকে তুমি দাওয়াত খাওয়াও, সে ডাক্তার তোমাকে বাঁচিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করবে।
আর ভোজন রসিক ডাক্তার হলে তো কথাই নেই ।
তোমার মন্তব্য পড়ে এখনো হাসছি

১৪| ০৭ ই মে, ২০২২ রাত ৯:২৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: মুক্তা নীল,




এমনটা প্রায়ই ঘটে থাকে । ব্রান্ডেড ডাক্তারদের বেলাতেই বেশী। তারা বাইরে যান সেমিনার এ্যাটেন্ড করতে। খরচ কিন্তু তাদের পকেট থেকে যায়না। এমন মুফতে পাওয়া সুযোগ কি ছাড়া যায় !!!!!!! তাই তাদের রোগীরা পড়ে থাকেন অসহায় হয়ে। অমানবিক বলেই এমনটা তারা করে থাকেন এবং পারেনও!

স্বস্তি পেলুম যে আপনার মা সুস্থ্য হয়ে ফিরে এসেছেন জেনে।
ভালো থাকুন।

০৭ ই মে, ২০২২ রাত ১১:৪৩

মুক্তা নীল বলেছেন:
ভাই ,
চিকিৎসকদের মাঝে নীতিনিষ্ঠা , কর্তব্যপরায়ণতা এসব গুণের বেশি পূজারী হওয়ার কথা । সমাজের চিকিৎসা একটি শিক্ষিত ও সম্মানিত পেশা । চিকিৎসকরাও সমাজ পরিবার ও সংসারের বাইরে নন ।
তাঁদের জীবনেও আকর্ষিক সমস্যার কারণে যেকোনো শিডিউল পরিবর্তন হতে পারে এবং সেটা মানা যায় ।

আপনার এমন আন্তরিক মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো । যদিও আমি আপনাকে নিয়ে খুব ভয়ে ভয়ে ছিলাম ।

১৫| ০৭ ই মে, ২০২২ রাত ১১:৩৭

শায়মা বলেছেন: হইসে উনি ডাক্তার হয়ে মানুষের জীবনকে পাত্তা দেবেন না আর আমি উনাকে খাওয়াবো না???

ঠিক ঠিক সুকুমার রায়ের কবিতার মত খাওয়াতে পারি-

খাওয়াবো এমন খাওয়া ভোজ কয় যাহারে...... :P

০৮ ই মে, ২০২২ রাত ১২:৩৬

মুক্তা নীল বলেছেন:
আচ্ছা যদি খাওয়াও তাহলে সেই মিশনে আমাকেও সঙ্গে নিও ...

১৬| ০৯ ই মে, ২০২২ রাত ৮:৪৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: মুক্তা নীল,




প্রতিমন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
আমাকে নিয়ে ভয়ে ভয়ে ছিলেন, লিখেছেন। কেন? আমি ডাক্তার বলে ? না মুক্তা নীল! আমি সেরকম ডাক্তার হতে পারিনি যে ডাক্তারদের অপকর্মগুলোর সাফাই গেয়ে চিকিৎসা পেশাটির মান সমুন্নত রাখবো! "ইথিকস" বলে একটা কথা থাকে সকল পেশাতেই। মানুষের জীবন মরনের প্রশ্ন জড়িত বলেই চিকিৎসা পেশায় এই "ইথিকস"কে এড়িয়ে চলার কোনও সুযোগ নেই। তার বিচ্যুতি হলে অবশ্যই তা নিন্দনীয়।

১১ ই মে, ২০২২ রাত ৮:৩১

মুক্তা নীল বলেছেন:
ভাই ,
এখনো কিছু সংখ্যক আপনাদের মত নীতি নৈতিকতা সম্পন্ন স্বাস্থ্যসুহৃদেরা চিকিৎসক আছেন বলেই হয়তো আমরা কিছুটা স্বস্তি ও ভরসা পাই । এইতো কিছুদিন আগেই করোনাকালে অনেক চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এবং পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে অনেকেই মানুষদের সেবা দিয়ে গেছেন । যেটা ভালো দিক সেটা তো অস্বীকার করার উপায় নেই । আসলে , লায়লা আরজুমান্দ
এর কাছে আমরা যে ভোগান্তিতে পড়েছি এরকম যেন আর কারো না হয় ‌এটাই আমি বলতে চেয়েছি ।

পুনরায় মন্তব্য করার জন্য বিশেষ করে আমাকে ভুল না বুঝার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ।

১৭| ০৯ ই মে, ২০২২ রাত ৮:৫৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বোনের লেখাটা পড়ে মনে হচ্ছিল এটা কলকাতার ঘটনা।রোগিকে অন্ধকারে রেখে যখন তখন বিদেশে না গেলে সেই ডাক্তারের সুনাম বৃদ্ধি পায় না। সাম্প্রতিক কালে আমি হাত ও পা ভেঙ্গে তিনজন ডাক্তারের পরামর্শ নেই।আড়াইজন আমার হাতের অপারেশন করার পরামর্শ দেন। অথচ এই ডাক্তাযবাবুরা সরকারি হাসপাতালে ডিউটি করার সময় আপ্রাণ চেষ্টা করেন কোন রোগীকে অপারেশন না করিয়ে সাধারণ প্লাস্টার করে দেওয়ার। আমি অবশ্য এই তিনজনের মধ্যে একজনের কাছ থেকে প্লাস্টার করিয়ে নিয়েছি।
এবার আসি ডাক্তার নামক কসাইদের একটি অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে। মায়ের সুগার ধরা পড়ার পর প্রথমবার সেন্সলেস হতেই শহরের সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। কানের কাছে সর্বদাই ভেসে আসছে সেলিব্রাল অ্যাটাক। তখনো পর্যন্ত আমাদের কোন ধারণা ছিল না যে সুগার হঠাৎ কমে গেলে যে কেউ সেন্সলেস হতে পারে। সদর হাসপাতালের জরুরী কালীন বিভাগে পাঁচ-ছয় ঘণ্টা অপেক্ষার পরেও কোন ডাক্তার না আসায় বাধ্য হয়ে বন্ড সই করে মাকে এম্বুলেন্স করে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেই। যেটুকু সন্ধান পায় তাতে হঠাৎ উপসম পেতে বাগুইআটির স্বস্তিক হাসপাতালে মাকে এডমিশন করি। ওরা জানায় মায়ের সেরিব্রাল অ্যাটাক ঘটেছে। আট দিনে 1 লাখ 16 হাজার টাকা বিল হয়। আমরা ডাক্তারবাবুকে অনেক অনুরোধ করতেই আট দিন পর মাকে ছেড়ে দেয় ঠিকই কিন্তু ততদিনে মায়ের বেডশু হয়ে গেছে। বাড়িতে এসে সেই ঘা পচন থেকে রীতিমতো যন্ত্রণাদায়ক হতে শুরু করে। যাইহোক বাড়ির সেবা-শুশ্রূষায় মা মাস খানের মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে যায়। মাকে ওরা চিকিৎসার নামে চার হাত-পা বেঁধে রেখেই এই বেডশু করিয়ে দেয়। নার্সিংহোমের চিকিৎসার নামে কি ভয়ানক কসাইখানা তখনই আমরা হাড়ে হাড়ে টের পায়।
ঘটনার ছয় মাস পর মা আবার একইভাবে অসুস্থ হলে এবার আমরা আবার সদর হাসপাতালের ইমারজেন্সিতে ভর্তি করি। তখন সদর হাসপাতালে ডাক্তার থাকায় উনি সঙ্গে সঙ্গে কলকাতার আর জি কর হসপিটালে ট্রানস্ফার করেন। সেখানে গিয়ে প্রথম জানতে পারি এটা সেলিব্রাল অ্যাটার্ক নয়,স্রেফ সুগার নেমে যাওয়া। পরে আরও চার বার মাকে আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছিল। মা 2014 সালের 14 ই সেপ্টেম্বর আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। কিন্তু বাগুইআটির স্বস্তিক হাসপাতাল এবং এই কসাইখানার কসাই ডাক্তার কিংশুক করকে আমরা আজও ভুলতে পারিনি।
আমরা এক বাল্যবন্ধু 2019 সালে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে কলকাতার ই এম বাইপাসের রুবি হসপিটালে ভর্তি হয়। ওখানে ডিপার্টমেন্টাল হেড ছিলেন ডক্টর সুবির গাঙ্গুলি। 14 লাখ টাকা অপারেশন করিয়ে ট্রিটমেন্টের নামে ডাকাতি করিয়ে অবশেষে চক্ষুলজ্জা পড়ে জীবনের শেষ এক সপ্তাহ আরজি কর হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করেন।ওর অপরাধ ছিল নেট ঘেটে বোম্বের টাটা সেন্টার বা দক্ষিণ ভারতের কোথাও না গিয়ে রুবির ইনফ্রাস্ট্রাকচার পড়ে কলকাতার কসাইদের হাতে নিজেকে সঁপে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া।

হাওড়া থেকে দক্ষিণ ভারতের চেন্নাইয়ে একটা ট্রেন যায় যার নাম করমন্ডল এক্সপ্রেস। এলাকাবাসীরা এই ট্রেনটিকে আম্বুলান্স এক্সপ্রেস নাম দিয়েছে। ভারতের মধ্যে যেটুকু চিকিৎসা পরিসেবা এখনো জীবিত আছে সেটা দক্ষিণ ভারতে। প্রতিদিন হাজার হাজার রোগী বেটার ট্রিটমেন্টের জন্য দক্ষিণ ভারতে যেতে বাধ্য হচ্ছেন কলকাতা কসাইদের হাত থেকে নিষ্কৃতি পেতে। আমি রুবি হসপিটালে গিয়ে দেখেছি বাংলাদেশ থেকে কি পরিমানে প্রেসেন্ট চিকিৎসার নামে সর্বস্বান্ত হতে কলকাতায় আসছেন তা না দেখলে বিশ্বাস করা যাবেনা। হসপিটালে আছে তা ঠিক বলে বোঝানো যাবে না। শেষ সময় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জেনেছিলাম তারা কোন ফল লাভ করেনি শুধুই সর্বস্বান্ত হয়েছে। এর জন্য আমার বাংলাদেশি বন্ধুদের কাছে পরামর্শই বৈকি, যদি ভারতে এসে চিকিৎসার নামে সর্বস্বান্ত হতে না চান তাহল সরাসরি ভেলোর বা সিএমসিতে যাওয়াই উত্তম।

আন্টির জন্য অনেক দোয়া রইলো। মার্চের পর এখন মে মাস আশাকরি অনেকটাই সুস্থ হতে পেরেছেন। আরো দ্রুত যাতে সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভ করেন কামনা করি। সঙ্গে নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় ছোট বোনকে।







১১ ই মে, ২০২২ রাত ৮:৫১

মুক্তা নীল বলেছেন:
দাদা ,
আমার লেখার চেয়েও মনে হল আরও কঠিন এক হৃদয়বিদারক ঘটনা শুনলাম । আপনার আম্মার সাথে ঘটে যাওয়া ইচ্ছাকৃত ভুল চিকিৎসা আমাদের এদেশেও ঘটে । সুগার নেমে যাওয়ার জন্য অবাক লাগছে কতটা খেসারত দিতে হলো । আল্লাহ আপনার আম্মুকে জান্নাতবাসি করুক দোয়া করি । আপনার বন্ধু ও পরিচিত মহলে ঘটনায় খুব মর্মাহত হলাম । কিংশুক কর সুবির গাঙ্গুলি উনাদের মত চিকিৎসক আমাদের দেশেও অনেক আছেন । আপনার পরিবার-পরিজন এই ঘটনায় আমারও একটা বিষয় শেয়ার করছি দাদা সেটা হলো আমাদের এদেশে মৃত মানুষকে ও আই সি ইউনিটে অনায়াসে রেখে দেয় ।
করমন্ডল এক্সপ্রেস কে আম্বুলান্স এক্সপ্রেস না বলে আসলে উপায় নেই । অস্বীকার করার উপায় নেই চেন্নাই এবং ভেলোর সিএমসি তে ট্রিটমেন্ট অনেক ভালো হয় । বিশেষ কারণে চেন্নাইয়ের উপর আমার ভরসা আছে ।
আপনার প্লাস্টারের পর যদি হাড় জোড়া লেগে যায় তাহলে ভালই হতো কারণ এরপর হয়তো শুরু হবে আবার ফিজিওথেরাপীর পালা ।

ভালো থাকুন দাদা সব সময় এবং আপনাকেও অনেক অনেক শুভেচ্ছা ।

১৮| ১০ ই মে, ২০২২ রাত ১১:২৪

বলেছেন: খালার জন্য অনেক দোয়া র'লো।

১৪ ই মে, ২০২২ সকাল ৭:২৭

মুক্তা নীল বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ।

১৯| ১০ ই মে, ২০২২ রাত ১১:৩৪

ইসিয়াক বলেছেন: দুঃখজনক।
ভুক্তভোগী আমি নিজে আর তাই এসব কারণে ডাক্তারের কাছে এখন আর যাই না।
দোয়া রইলো আপু।

১৪ ই মে, ২০২২ সকাল ৭:৩৮

মুক্তা নীল বলেছেন:

হ্যাঁ ইসিয়াক ভাই ভুক্তভোগীরাই কেবল এই কষ্টটা বুঝবে । আপনিও সবসময় ভালো থাকুন এই দোয়া করি ।
তার পরেও তো ভাই অসুস্থ হলে যেতে হবে এবং যাবেন কারণ সবাই সমান না এটুকুই হয়তো সান্ত্বনা ও আশার বাণী

২০| ১০ ই মে, ২০২২ রাত ১১:৩৯

জ্যাকেল বলেছেন: ল্যাব এইডের এই আচরণের বিরুদ্ধে সাংবাদিকেরা যাতে লেখে, সেই চেস্টা করেন নি?

১৪ ই মে, ২০২২ সকাল ৭:৪০

মুক্তা নীল বলেছেন:
ভাই চেষ্টা করে কি হবে তারপরও যতটুকু যা বলার ওখানেই বলে এসেছি । ল্যাবএইডের দুর্নীতি কুকীর্তি অনেকেরই জানা আছে ।
ধন্যবাদ আপনাকে ।

২১| ১১ ই মে, ২০২২ রাত ৯:০৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমি লগ আউট করেছিলাম‌‌।বোনের প্রতিমন্তব্য পেয়ে আবার লগইন করতে বাধ্য হলাম।
পদ্মার এপার-ওপারের ডাক্তার সম্পর্কে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের কবিতার লাইনটি যথেষ্ট,
"গ্রাম থেকে শহরে এসেছিল এক লোক ডাক্তার দেখিয়ে সর্বস্বান্ত হবে বলে,
তার আগেই তাঁকে সর্বস্বান্ত করে দিলো এক পকেটমার।"
দ্বিতীয়তঃ নচিকেতার "ও ডাক্তার..." গানটিও এ প্রসঙ্গে খুবই প্রাসঙ্গিক।

১৪ ই মে, ২০২২ সকাল ৭:৪১

মুক্তা নীল বলেছেন:
দাদা ঠিকই বলেছেন আপনিও এই সম্পর্কটা যেন অনেকাংশে মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ । দাদাকে মন্তব্যে আবারও পেলাম তাই আন্তরিক ধন্যবাদ এবং দ্রুত আরোগ্য লাভ করুন এই দোয়া করি ।

২২| ০৮ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:৪২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাংলাদেশের সেবা প্রতিষ্ঠানের মান ভয়াবহ , আমরা প্রায় সবাই ভুক্তভুগি।
আপনার আম্মার জন্য শুভ কামনা।

০৯ ই জুন, ২০২২ রাত ৯:২৮

মুক্তা নীল বলেছেন:
মনিরা আপা ,
কেবল ভুক্তভোগীরাই জানে এর ভয়াবহতা কতটুক এবং কবে যে এর পরিবর্তন ঘটবে তা আমাদের জানা নেই ।
ধন্যবাদ ও শুভকামনা সবসময়ই ।

২৩| ০২ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ১:২৩

আরোগ্য বলেছেন: প্রিয় মুক্তা আপু,
এ পোস্ট আমি অনেক আগেই পড়েছি কিন্তু যেহেতু লগইন সহজে করি না তাই সেসময় মন্তব্য করা হয়নি। বাংলাদেশী ডাক্তারদের এমন কিছু মহৎ উদ্যোগের অভিজ্ঞতা আমারও আছে। ২০১৫ সালের কথা আম্মুর শরীরে পানি এসে বেশ ফুলে গেছিলো, রক্ত বমিও হয়েছিল, হিমোগ্লোবিন ৪ এ নেমে গেছিলো। পরিচিত ডাক্তার দ্বারা চিকিৎসা করে ব্লাড ইনফিউজ করা হয় এবং পেট থেকে পাইপ দিয়ে পানিও বের করে। পরে উনি এক লিভার বিশেষজ্ঞকে পরামর্শ করেন। আমার মামা বলে টাকার কোন চিন্তা করবেন না আপনি চিকিৎসা করেন। ডাক্তার বলেন লিভার সিরোসিস , লিভারের ৮০% শেষ, ট্রান্সপ্লান্ট করা লাগবে। পরে ডাক্তার বদল করি। আপনি হয়তো জানেন আম্মুর সিজোফ্রেনিয়া আছে। তাই ডাক্তাররা তেমন গুরুত্ব দিতো না। খালি কয়েক মাস পর পর যখন যেতাম টেস্ট আর টেস্ট। অবশেষে এই বছরের শুরুর দিকে অন্য ডাক্তার বলেন যে না লিভার সিরোসিস না, পর্যাপ্ত চিকিৎসায় ঠিক হয়ে যাবে।
এবার ২০১৯ এ নানুর ঘটনা বলি। এটা পুরান ঢাকার নামি-দামি প্রাইভেট হাসপাতালে।ডাক্তার বলে অবস্থা ভালো না, অবস্থা জটিল, কোন আশা নেই। হাসপাতালে কান্নাকাটি অবস্থা । দুদিন পর আমি এসিস্ট্যান্ট ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করি যে কোন রিকভারি আছে কিনা। ডাক্তার বলে আছেই তো, টেনশনের কিছু না। তবে সিনিয়র ডাক্তার যে বললে সিরিয়াস। উত্তরে বললো উনি আপনাদের উপর ক্ষিপ্ত তাই এমন বলেছেন । কি একটা অবস্থা বলেন আপু। এ হাসপাতালে নির্দিষ্ট পরিমাণ বিল না উঠা পর্যন্ত রোগী আটকে রাখে। আলহামদুলিল্লাহ আমার নানু এখনো সুস্থ আছেন। এরপরও যখন পরিচিত ডাক্তার চেক-আপ করেন বলে, নানু তার ছেলেমেয়েদের তুলনায় বেশ ভালো আছেন।
এবার আসি আমার নিজের কথায়। ২০২০ চারপাশে লকডাউন। আর আমার শরীরও বেশ খারাপ। কোন ডায়াগনস্টিক সেন্টার খোলা না পেয়ে এলাকার সরকারি হাসপাতালে যায়। কতিপয় টেস্ট করে, কিছু ওষুধ দিয়ে পর্যবেক্ষণে থাকতে বলেন। দুই দিনে কোন পরিবর্তন না দেখে এক ডাক্তার চেম্বারে যাই। দুদিন আগের ঐ রিপোর্টগুলোই পুনরায় করতে দেয় বলে এই রিপোর্ট চলবে না। আবার রিপোর্ট করি রোগ তো ধরতেই পারেনি উল্টো ভুল চিকিৎসা করে।করোনা পরীক্ষা না করেই বলপ করোনা হয়েছে, কোন চিকিৎসা নেই। তারপরও নিউমোনিয়ার ইনজেকশন আর মেডিসিন দেয়। তিনমাস পর যখন পরিচিত ডাক্তারের চেম্বারে বসার খবর পাই তখন উনি টেস্ট করে বলেন টিবি মিলিয়ারি পর্যায়ে চলে গেছে। অবস্থা খারাপ। পরে ছয় মাসের কোর্স করি। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে বেচে আছি।
মজার ব্যাপার কি জানেন গত সেপ্টেম্বরে আমাদের ঘরের তিন জনের করোনা পজিটিভ হয়, কিন্তু কোন ডাক্তারের শরণাপন্ন হইনি কেবল মন্টালুকাস্ট খেয়েছি। পরে দুসপ্তাহ পর আলহামদুলিল্লাহ আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে গেছি।
আরে বাপরে কত কথা লিখে ফোলেছি। তবে এটাই সত্যি আমি বর্তমান যুগের চিকিৎসা ব্যাবস্থা বেশ ভয় পাই। রোগী ডাক্তারদের কাছে একটা ব্যবসায়িক সামগ্রী মাত্র। আল্লাহ এদের হেদায়েত দিক অন্যথায় অকারণে রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

০২ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ২:০২

মুক্তা নীল বলেছেন:
আরোগ্য ,
আমাদের দেশে ভুল চিকিৎসা এবং সময়মতো সঠিক রোগ নির্ণয় না হওয়াটা এখন যেন কমন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে । আজকেও যমুনা টেলিভিশনে একটা নিউজে দেখলাম
১৪ বছরের একটি ছেলের ফুসফুসে
সমস্যার কারণে মিরপুরের পপুলার
শাখায় ডাক্তার দেখিয়ে বিভিন্ন টেস্ট করেছে এবং সেখানকার ডাক্তাররা বলেছে ক্যান্সার । এরপর যখন বনানীর প্রেসক্রিপশন পয়েন্টে দেখিয়েছে সেখানকার ডাক্তার ও অন্যান্য পরীক্ষা নিরীক্ষা রিপোর্টে একই কথা ক্যান্সার হয়েছে । এরপর তারা যখন পিজি হাসপাতালে যায় সেখানকার ডাক্তাররা বলল যে এটা
ক্যান্সার না , সাধারণ ফুসফুস সংক্রমণ । শেষ পর্যন্ত ভুক্তভোগীরা কলকাতার আমরি হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে কনফার্ম হয়ে এসেছে এটা ক্যান্সার না । এখন বুঝো আমরা কোন অবস্থায় আছি।
খালাম্মা ও নানু সর্বোপরি ভালো আছেন জেনে ভালো লাগছে । ভাবতে অবাক লাগছে লিভার ট্রান্সফারের কথা পর্যন্ত বলেছিলো !
তোমার আম্মা ও নানুর জন্য সব সময়ই দোয়া থাকবে । তুমিও ভালো থেকো । আর হ্যাঁ টিবি আমারও হয়েছিল কি যে যন্ত্রনা সকালে উঠে খালি পেটে এতগুলো ওষুধ খাওয়া
অসহ্য যন্ত্রণা । এখন আল্লাহর রহমতে আমিও সুস্থ আছি ।
ভালো থেকো আমি তোমার সাথে যোগাযোগ করবো ।

২৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: শেষ পর্যন্ত যেটা হয়েছে, সেটা আপনার আম্মার এবং আপনাদের জন্য ভালো হয়েছে, এটুকুতেই স্বস্তি পেলাম। তবে রোগীকে অবহেলা করে বিদেশ চলে যাওয়া ডাক্তারের পরিচয় এখানে উল্লেখ করে ভালো করেছেন, এতে অন্যরা তার সম্পর্কে সতর্ক হতে পারবে। যে কোন ভাবে একবার খ্যাতি ও প্রসার লাভ করতে পারলে আমরা ইগোর এবং আত্মম্ভরিতার কারণে এমন আচরণ করে ফেলি।
মনে হচ্ছে আপনার এ পোস্টটা আমি আগেও একবার পড়েছিলাম। মন্তব্য করেছিলাম বলেও মনে হচ্ছে, কিন্তু এখন দেখছি কোন কারণে হয়তো মন্তব্য করতে ভুলে গিয়েছিলাম।
পোস্টে একাদশ প্লাস। + +

ঢুকিচেপা তার এলাকায় থাকা যে "গরীবের ডাক্তার" এর কথা বলেছেন, তা শুনে গর্বে বুকটা ভরে উঠলো এবং শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে এলো এই ভেবে যে আমাদের দেশে এখনও বংশ পরম্পরায় এমন শ্রদ্ধেয় ডাক্তার রয়েছেন।
১৩ নং মন্তব্য এবং প্রতিমন্তব্যদুটো পড়ে হাসি থামাতে পারলাম না! :)
নিজে একজন ডাক্তার হয়েও আহমেদ জী এস যে কথাগুলো বলেছেন, তার জন্য তাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। তার উত্তরে দেয়া আপনার উত্তরের শেষ লাইনটা পড়েও আমি একটু হাসলাম এবং সেই সাথে ১৬ নং পুনঃমন্তব্যে তার ব্যাখাটা পড়ে অত্যন্ত প্রীত হ'লাম।

আমি সম্প্রতি মাকে হারিয়েছি। তার অসুস্থ থাকার দিনগুলোর কথা স্মরণ করে কান্না পায়। আপনার আম্মার সুস্থতার জন্য আন্তরিক দোয়া রইলো।

০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৩১

মুক্তা নীল বলেছেন:
প্রথমে আমি একটু দ্বিধায় ছিলাম আমি এই ঘটনা লিখব কিনা কিন্তু পরে মনে হল লিখি অন্তত কিছু মানুষ জানুক যারা অন্তত আমার মতো বিপদে না পড়ে কিছুটা সতর্ক হোক ।
আমি তেমন একটা লিখি না কিন্তু যাই লিখি না কেন সেই লেখায় আমি আপনার একটা মন্তব্য পাই এটা আমার জন্য বিরাট সৌভাগ্যের । তাই আপনার মন্তব্য দেরিতে দেখে আমার আফসোস নেই কারণ আমি জানি আপনি দেশের বাহিরে ছিলেন এবং হয়তোবা কোন কারণে ওই সময় লেখাটা পড়তে মিসিং হয়ে গিয়েছিল এই আর কি ।
আল্লাহ আপনার আম্মাকে বেহেস্ত নসিব করুন এবং আপনাদের সবাইকে ধৈর্য ধারণ করার তৌফিক দিন ।

যে আমারে করেছে সুজন,
অনুতপ্ত মনে তারই খুঁজি সারাক্ষণ।
বলেন আমায় তিনি দিয়ে বরাভয় ,
ওহে বাছা ভুল তোর যে পরিমাণে হয় ,
আমার ক্ষমার হাত তাঁর চেয়ে উঁচু ,
মায়ের আশীষ যদি থাকে তোর পিছু ।

প্রভুর ক্ষমা মায়ের আশীষ কবিতার কিছু চরণের সাথে বইয়ের পিছনে আপনার ও আপনার আম্মার ছবি আমি আজও দেখলাম ।
ভালো থাকুন এবং সব সময় দোয়া রইল আপনাদের প্রতি , আমাদের জন্য দোয়া করবেন।

২৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৩৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি সত্যি খুবই অভিভূত হলামঃ
১। আপনি আমার বইটি কিনেছিলেন বলে। অসংখ্য ধন্যবাদ।
২। আমার বইটির কথা স্মরণে রেখেছেন বলে।
৩। বইটি থেকে আলোচ্য পরিস্থিতিতে সবচেয়ে উপযুক্ত কবিতাটি চটজলদি খুঁজে পেয়েছেন বলে।
৪। কবিতাটি থেকে সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক ছয়টি পংক্তি এখানে উদ্ধৃত করেছেন বলে।
কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করলেন!

০৯ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৩৬

মুক্তা নীল বলেছেন:
আপনি এতটাই খুশি হয়েছেন যে পয়েন্ট ধরে ধরে উত্তর দিয়েছেন এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ।
আপনার কবিতার বইয়ে মায়ের সাথে এত সুন্দর একটা ছবি দিয়ে মলারবদ্ধ হয়েছেন সেটি অবশ্যই সুন্দর ও প্রশংসনীয় । যত যাই লেখা পড়ি না কেন কিন্তু আসলে মা তো মা-ই তাই মাকে নিয়ে লেখাগুলো সব সময় অন্যরকম হয় এবং তা মনে গেঁথে রয় ।

২৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ২:২৯

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: কেমন আছেন?

২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:০৭

মুক্তা নীল বলেছেন:
আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি । অনেকদিন পর আপনাকে দেখেও ভালো লাগছে ।

২৭| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:৩১

পোড়া বেগুন বলেছেন:
সুন্দর ছবি ও লেখা!
লেঝায় এতো গ্যাপ কেনো?

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:৫১

মুক্তা নীল বলেছেন:
সুস্বাগতম আপনাকে !
আপনাকে আমার সামান্য লেখায় ভীষণ আনন্দিত । একজন অভিজ্ঞ ব্লগারের পরামর্শ কাজে লাগবে ।
শুভ রাত্রি ও শুভকামনা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.