| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মেয়েটা ছিল খুবই সাধারন একটা মেয়ে।বাবা-মা,ভাই-বোন ছোট একটা পরিবার এবং খুব সুখেরই ছিল।ছোট বেলা থেকেই অভাব অনটন টা তাদের সঙ্গী হয়েই ছিল।এক বেলা খেতে পারলে আর দুই বেলা না খেয়ে থাকতে হত।অনেক কষ্ট করে ধার কর্জ করে ঘর ভারা দিত,পড়াশুনার খরচ চালাতো,খাবার যোগার করতো।মা অন্যের বাসায় কাজ করত আর ভাইটা পেপার বিক্রি করত মানুষের বাসায় বাসায়।এভাবে চলতে থাকে কয়েক বছর।মেয়েটা যখন ssc exam দিল তারপর ই মনে হয় অভাবটা অনেক বেশি দেখা দিল।কথায় আছে-অভাবে পরলে স্বভাব নষ্ট হয়।অভাব টা বেশি দিন কারো ই সয্য হবেনা।এত অভাব দেখে মেয়েটার মা মেয়েটাকে একটা নাচের একাডেমিতে ভর্তি করে দিল।কিন্তু কে জানতো এই নাচ ই নিয়ে আসবে মেয়েটার জীবনে অন্ধকার।মেয়েটা ওখানে নাচ শিখতো আর রাতে বিভিন্ন ক্লাবে নাচ করে টাকা উর্পাজন করত।এভাবে শুরু হয় তার টাকা উর্পাজনের পথ।তরপর থেকে তাদের পরিবারেও সুখের মুখ দেখা দেয়।পরিবারের সবার সুখ দেখে মেয়েটা তার নিজের সুখের কথাই ভুলে গেল।একবার যখন ঐ পথে গিয়েছে তখন ফিরে আসা কঠিন।ভালোই চলছিল তাদের জীবন।রাতারাতি অনেক বড়লোক হয়ে গেল।তারপর একদিন এক ক্লাবে একজন ধনী ব্যক্তি মেয়েটাকে খুব পছন্দ করল এবং খব শিগগিরি বিয়েটাও করে ফেললো।মেয়েটার ভাগ্য টা এমনই ছিল যে বিয়ের জানতে পারল ঐ লোকের বউ আর ২টা বাচ্চাও আছে।তখন আর কি করার এভাবেই চলতে থাকে।তারপর মেয়েটা সব কিছু ছেড়ে দিয়ে একটা ভালো বউ ও মেয়ে হয়ে উঠতে চেয়েছিল।কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি।একদিক থেকে মেয়ের পরিবার দূরে ঠেলে দিচ্ছিল অন্য দিকে তার স্বামী।দিনের পর দিন এত অপমান,অবহেলা সয্য করতে না পেরে সে আবার ঐ পথে চলে যায়।কিন্তু আগের মতো আর টাকা উর্পাজন করতে পারেনা।এভাবে সে নিজে ও তার পরিবার আবার সেই আগের মতো অভাবে পরে গেল।
এটা থেকে আমরা যা শিখতে পারি.....
রুপ,চেহারা,শরীর দিয়ে বেশি দিন টিকা যায় না।আর গুন দিয়ে দুনিয়ার সব কিছু আদায় করা যায়।অসত পথের টাকা বেশি দিন স্বায়ী হয় না।
©somewhere in net ltd.