নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলার সদা জাগ্রত মুক্তিসেনা,ামাদের সংগ্রাম চলবেই

জেড সৈনিক

৭১ এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার

জেড সৈনিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

অভিশপ্ত আওয়ামী লীগের ইতিহাস

১৭ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:০৮

~~আওয়ামী ট্রাজেডির উপাখ্যান~~~

[১] ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন যে আওয়ামী লীগ

রোজগার্ডেনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তার

প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন মওলানা আবদুল হামিদ খান

ভাসানী। দুঃখজনক হলেও সত্য,

মওলানা ভাসানী আওয়ামী লীগ করে মরতে পারেননি।

[২] আওয়ামী লীগের যে সাধারণ সম্পাদক বঙ্গবন্ধুর

অবর্তমানে দলের দুঃসময়ে কাজ করেছেন,

মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন, স্বাধীন বাংলার প্রথম

প্রধানমন্ত্রী শহীদ তাজউদ্দীন আহমদও আওয়ামী লীগ

করে মরতে পারেননি।

[৩] ছয় দফা ঘোষণার পর বঙ্গবন্ধুসহ নেতারা যখন

জেলে তখন যে নেত্রী দলের হাল ধরেছিলেন, ছয় দফার

প্রচার চালিয়েছিলেন সেই আমেনা বেগমও আওয়ামী লীগ

করে মরতে পারেননি।

[৪]সিলেটের কৃতী সন্তান জেনারেল এম এ

জি ওসমানী সেনাবাহিনী থেকে অবসর

নিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছিলেন। '৭০ সালে জাতীয়

পরিষদ সদস্য হয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে প্রধান সেনাপতির

দায়িত্ব পালন করেছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশে তিনিও

আওয়ামী লীগ করে মরতে পারেননি।

[৫] ষাটের ছাত্রলীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের

মধ্যে '৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের নায়ক তোফায়েল আহমেদ

অনাদর-অবহেলায়

কোনো রকমে আওয়ামী লীগে বেঁচে আছেন।

[৬] ষাটের আরেক ছাত্রলীগ নেতা আওয়ামী লীগের

একসময়ের প্রভাবশালী নেতা আমির হোসেন আমুও একই

অবস্থায় আছেন। সিলেটের বন্দরবাজারে পচা আলু-

পটলের মূল্য থাকলেও আওয়ামী লীগ আজ এতটাই

অভিশপ্ত দল যে, সেখানে আমু-তোফায়েলের কোনো মূল্য

নেই।

[৭] ষাটের ছাত্রলীগ নেতা আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের

কা-ারি আবদুর রাজ্জাক কাঁদতে কাঁদতে দুনিয়া থেকে বিদায়

নিয়েছেন। বুকভরা বেদনা নিয়ে এই দলের সাবেক সাধারণ

সম্পাদক আবদুল জলিলও ইন্তেকাল করেছেন। তাদের

কাউকেই আওয়ামী লীগ সম্মান নিয়ে মরতে দেয়নি।

[৮] ষাটের ছাত্রলীগের পুনঃজন্মকালে ছাত্রলীগের

সভাপতি শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন এই দল

করতে পারেননি।

[৯] কে এম ওবায়দুর রহমান আওয়ামী লীগ

করে মরতে পারেননি। মাজহারুল হক বাকী, আবদুর রউফ,

আওয়ামী লীগ করে মরতে পারেননি।

[১০] ফেরদৌস আহম্মেদ কোরেশীও আওয়ামী লীগ

করতে পারেননি। পারেননি খালেদ মোহাম্মদ আলী।

[১১] ষাটের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক যিনি স্বাধীন

বাংলার রূপকার, ইকবাল হলের পুকুরঘাটে যাকে আমার

হাতের অনামিকা আঙ্গুল কেটে রক্ত

দিয়ে মাতৃভূমি স্বাধীন করার শপথ নিয়েছিলাম সেই

সিরাজুল আলম খান আওয়ামী লীগ করতে পারেননি।

[১২] আওয়ামী লীগ করতে পারেননি আসম আবদুর রব,

শাজাহান সিরাজ।

[১৩] স্বাধীন বাংলা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের নেতা '৭০-

এর নির্বাচন ও মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখা ছাত্রলীগ

সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী বঙ্গবন্ধুর নাম

নিতে নিতে মারা যাচ্ছেন, তবুও আওয়ামী লীগ

করতে পারেন না।

[১৪] ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বঙ্গবন্ধুর ভাগনে শেখ

শহিদুল ইসলাম আওয়ামী লীগ করতে পারেননি।

[১৫] বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের

উত্থানে সাহসী সাংবাদিকতার পথিকৃৎ তোফাজ্জল

হোসেন মানিক মিয়ার ভূমিকা ইতিহাসে অমর অক্ষয়। কিন্তু

তার ছেলে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন তো আওয়ামী লীগ

করতে পারেনইনি, তার আরেক ছেলে ষাটের ছাত্রলীগ

নেতা আনোয়ার হোসেন মঞ্জুও নন।

[১৬] ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ রশিদ

কোথায় কেউ জানে না।

[১৭] ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মনিরুল হক

চৌধুরী এখন বিএনপি করেন। তার সাধারণ সম্পাদক

শফিউল আলম প্রধান করেন জাগপা।

[১৮] সিলেটের অলিতে-গলিতে যে ছাত্রনেতা তরুণদের

আদর্শের রাজনীতির পাঠ দিয়েছিলেন সেই সুলতান

মোহাম্মদ মনসুর আহমদ ছাত্রলীগের সভাপতি ও ডাকসু

ভিপি হয়ে সিলেটবাসীকে গৌরবান্বিত করেছিলেন। আজ

সিলেটের ভোটের ময়দানে তিনি কেন প্রচারণায় নেই?

তিনি কেন আওয়ামী লীগ করতে পারেন না?

[১৯] ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাহলুল মজনুন

চুন্নুর আওয়ামী লীগে ঠাঁই হয়নি। কোথায় আছেন কেউ

খবরও নেয় না।

[২০] সাবেক সভাপতি আবদুল মান্নান ও ডা.

মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন

কোনো রকমে দলে বেঁচে থাকলেও খ ম জাহাঙ্গীরের ঠাঁই

নাই।

[২১] এই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মুখ উজ্জ্বল

করেছিলেন বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করে তিনি বঙ্গবীর

কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম। তাকেও আওয়ামী লীগ

করতে দেওয়া হয়নি।

[২২] যে বিশ্বজিৎ নন্দী বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করত

গিয়ে ফাঁসিতে ঝুলতে গিয়েছিল ক্ষুদিরামের মতো এই দল

তাকেও ঠাঁই দেয়নি। তার খোঁজও নেয় না।

এই অভিশপ্ত আওয়ামী লীগ আপনারা কেউ করবেন না -

এটা ফজলুর রহমানের নিবেদন।

[এক সময়ের আওয়ামী লীগের রাজনীতির

সাড়াজাগানো বক্তা, সাবেক সংসদ সদস্য ফজলুর রহমান

এখনো কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও

কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত চার

সিটির নির্বাচনে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার

অনুরোধে সিলেটের বিজয়ী মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর

নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে গিয়েছিলেন। টানা ১০

দিন সিলেটে থেকে হেমিলনের বংশীবাদকের মতো তার

বক্তৃতায় ভোটারদের মুগ্ধ করেছেন একের পর এক সভায়।

প্রথম দিন বক্তৃতা দেওয়ার পর স্থানীয় আওয়ামী লীগের

দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকসহ কেউ

কেউ তার প্রতি কটাক্ষ করে তাকে আদর্শচ্যুত নীতিহীন

রাজনীতিবিদ বলে বক্তৃতা করায় দ্বিতীয় দিন

থেকে প্রচারণা শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত

জবাবে তিনি একই বক্তৃতা করেছেন আরিফুল হক

চৌধুরীর জন্য ভোট চেয়ে। মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান

'৭৫-উত্তর দুঃসময়ে ছাত্রলীগের

নেতা হিসেবে সারা দেশে শিক্ষাঙ্গন থেকে জেলা-

নগরে তার অনলবর্ষী আবেগ ও যুক্তিনির্ভর বক্তৃতায়

ছাত্রছাত্রীদের ছাত্রলীগের পতাকাতলে টেনেছিলেন।

'৮৬-এর নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে কিশোরগঞ্জ

থেকে এমপি নির্বাচিত হন। '৯৬ সালের

নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে বর্তমান

রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে লড়াই

করে দেড় হাজার ভোটে হেরেছিলেন। পরে বঙ্গবীর কাদের

সিদ্দিকীর সঙ্গে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ

সম্পাদক হয়েছিলেন। ]

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২

জামান2021 বলেছেন: এই অভিশপ্ত আওয়ামী লীগ আপনারা কেউ করবেন না -
এটা আমার নিবেদন।

১৭ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:২৬

জেড সৈনিক বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ১৭ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৬

জামান2021 বলেছেন: ইহাতে দিনের আলোর মতো পরিস্কার এদেশে কোন সুস্থ বিবেকান নাগরিকের আওয়ামী লীগকে সমর্থন করা উচিৎ হবে না।

১৭ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:২৯

জেড সৈনিক বলেছেন: সহমত, অভিশপ্ত আওয়ামী লীগ কোন সুস্থ্য বিবেকবান মানুষ জেনে বুঝে করতে পারে না, অনেকেই হুজুগে নাচে।

৩| ১৭ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:০০

ওয়েসিস বলেছেন: তথ্য গুলো ভাল লাগল । জানতাম না এত কিছু আড়ালে রয়ে গেছে , অবহেলিত হয়েছে দিনের পর দিন মেধাবী ছাত্র নেতারা । তবে এর শেষ এখানেই নয়

১৭ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৩১

জেড সৈনিক বলেছেন: সব কালো অতীতের ঘটনা ওরা বংগবন্ধু ও স্বাধীনতার ব্যাবসার মাধ্যমে আড়াল করতে চায়।

৪| ১৭ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:০৬

সেমিবস বলেছেন: বাম নেতাদের ভীড়ে আসল আওয়ামীরা এখন আর ভাত পায় না।

১৭ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৩৫

জেড সৈনিক বলেছেন: আওয়ামী লীগের নেতা হইছে এখন মখা, খুকুমণি, কামরুল, হানিফ শিরিন শারমিন রা। আওয়ামী লীগের ঐতিহ্যে র সাথে যাদের কোনও সম্পর্ক নাই। রাজনীতি বিদ রা কেউ আওয়ামী লীগ করে না আর আজ।

৫| ১৭ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৪৮

আসফি আজাদ বলেছেন: চিন্তার যথেষ্ট খোরাক আছে।

১৭ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭

জেড সৈনিক বলেছেন: কিন্তু কয়জন চিন্তা করেন বলুনতো?

৬| ১৭ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪

নষ্ট ছেলে বলেছেন: এখন আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী মন্ত্রীদের বেশির ভাগই বাম ঘরনার। এরা কচুরি পানার মত। কারো শিকড়ই আওয়ামী লীগে নাই। আওয়ামী লীগ বিপদে পড়লে এদের একটাকেও খুজে পাওয়া যাবে না। শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের ত্যাগী প্রবীণ নেতাদের যেভাবে অপমান করছে এর ফল অবশ্যই এক সময় ভোগ করবে। মূলত হাসিনা তার ব্যক্তিগত আক্রোশ মিটানোর জন্যই এই নেতাদের সাইড বেঞ্চে রাখছে। নেক্সট টাইমে ক্ষমতায় যেতে না পারলে এই ইনু, আশরাফ, নাহিদ, আবুল মাল, দিলিপ বড়ুয়া, দীপুমনি, মখাদের খুজে পাওয়া যাবে না। রাস্তায় নামা তো দূরের কথা।
অবশ্য এগুলো শেখ হাসিনা যে বুঝে না তা কিন্তু না। আর সেজন্যই তত্ত্ববধায়ন সরকারের অধীনে নির্বাচন না দিয়ে কারচুপি করে ক্ষমতায় থাকতে চাইছে। ঐদিন তো সরাসরি বলেই দিলেন দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন না করলে নির্বাচন হবে না। সোজা আঙুলে যে ঘিঁ উঠবে না সেটা এতো দিবে বিরোধী দল বুঝে গেছে।

১৭ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:০০

জেড সৈনিক বলেছেন: এজন্যই অভিশপ্ত আওয়ামী লীগ। এসব ত্যাগী অবহেলিত নেতাদের চোখের জল হাইব্রীড আওয়ামী লীগকে চীরকাল অভিশপ্ত করে রাখবে।

৭| ১৭ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩

একাকী বাংলাদেশি বলেছেন: আমার মূল্যায়নটা ভিন্ন। এবার আওয়ামী সরকার যখন মন্ত্রীসভা গঠন করে তখন অনেকটাই চমকে দেয় সবাইকেই। সবাই খুব সাধুবাদ দেয় ক্লিন ইমেজের একটি মন্ত্রীসভা উপহার দেওয়ার জন্য যদিও সবাই ভুলে যায় অভিজ্ঞতা কত গুরুত্বপূর্ন জিনিষ।

কিন্তু পরে যেটা অনুধাবন করা যায় সেটা হলো এই সব মন্ত্রীরাই হলো ওয়ান টাইম নেতা। যাদেরকে দিয়ে ইচ্ছামতো অপকর্ম করানো যাবে কিন্তু প্রয়োজন পড়লে এদেরকে দল থেকে সরিয়ে দিয়ে আলীগ নিজের অপকর্ম গুলো ঢাকবে। দোষ যা হবে মন্ত্রীদের কিন্তু আলীগ'কে যতটা সম্ভব বাচিঁয়ে রাখা হবে ভবিষ্যতের জন্য।

১৭ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:০১

জেড সৈনিক বলেছেন: কিন্তুু ওই অভিজ্ঞ নেতারা কই এখন বলুন? সবাই তো সরে পড়ছে। নতুন দল গঠন করছে অন্য দলে যোগ দিচ্ছে, অথবা রাজনীতি থেকে একদম অবসর নিয়ে নিচ্ছেন, কেউবা দুনিয়া থেকে। মখা, মতিয়া, কামরুল, হানিফ, তৌফিক এলাহি, এইচটি ইমামের হাতে আওয়ামী লীগের স্টিয়ারিং। অভিজ্ঞদের অপমান করতে করতে এমন বানিয়ে ফেলা হইছে যে ডাকলেও তারা আসবেন না।

৮| ১৭ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৫৪

ভিটামিন সি বলেছেন: তলে তলে এতোকিছু!!! তাইতো বলি বঙ্গবন্ধুকে দেশের মানুষ ভালো পায়, হাসিনাকে পায় না কেন? আপনি যাদের নাম নাম্বারসহ তুলে ধরেছেন তাদের প্রত্যেকের নাম পড়ার সাথে সাথে শ্রদ্ধাবনত হয়েছি। কিন্তু বর্তমান নেতাদের নাম শুনলে কেন জানি আমি রুপসা, বাটা, হোমল্যান্ড স্যান্ডেল খুজতে ইচ্ছে করে।

আমার ধারণা যারা বেবোঝ (অবোঝ নয়) তারাই আওয়ামীলীগ করে, আরা যাদের বোধ-বুদ্ধি বা ব্যাক্তিত্ব আছে তারা বিএনপি করে।

১৭ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:০৭

জেড সৈনিক বলেছেন: এই জন্যই আওয়ামী লীগ এক অভিশাপের নাম। রাজনীতিবিদ রা কেউ আওয়ামী লীগ করে না। অসাধু আমলা, ব্যাবসায়ী, ফাটকাবাজ, চোর, গুন্ডার ভাগাড় এখন আওয়ামী লীগ। সম্মানতরা সবাই মানে মানে সরে পড়ছে।

৯| ১৭ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:০০

ভ্রমন কারী বলেছেন: এখন ছাত্রলীগ স্লগান দেয় ''প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর এই দিনে মুজিব তোমায় মনে পরে''

প্রশ্ন হলো, আওয়ামেলীগ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে মুজিবের অবদান কি ???


পোস্টে ++++++

১৭ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:০৯

জেড সৈনিক বলেছেন: যখন ভাসানী নভোথিয়েটারের নাম পরিবর্তন করে বংগবন্ধুর নামে করা হয় তখনই বোঝা হয়ে গেছে আওয়ামী লীগ কতটা নিমকহারাম অকৃতজ্ঞ।

১০| ১৭ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:০৫

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: প্রথমে বলে রাখি, আওয়ামি লিগ ছাড়া স্বাধিনতা আসত না। বিম্পির প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি জেনারেল কে ছিলেন জানি? নামটা মনে করে দেখেন। উনি কেন নাই বিম্পিতে এখন??

শহীদ জিয়ার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ কর্নেল অলি এখন কি বিম্পি করেন?

অন্যদের কথায় আর না যাই।

বিম্পিতে আসা ডীগবাজি মাস্টারদের তালিকা দেয়ার দরকার নাই। শুধু একটা কথা মনে রাখবেন, আমাদের সব দলই খারাপ। শুধু শুধু অপরের সমন্ধে খারাপ না বলে নিজেদের সামাল দেওয়াটা উত্তম। মনে রাখবেন, নিজের গু আতরের গন্ধের, আর অন্যদেরটা গুয়ের গন্ধের, এইটা ভাববেন না।

১৭ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৩০

জেড সৈনিক বলেছেন: আগে বলেন উপরে যাদের কথা আলোচনা হয়েছে এবং তাদের করুন পরিনতির কথা বলা হচ্ছে তা সত্য কিনা?
এই পোস্টে বিএনপি বিষয়ে কোন আলোচনাই হচ্ছে না কিন্তুু আপনি অযাচিত ভাবে টেনে আনলেন। ১/১১ এর পর বিএনপি তে আওয়ামী ও মইনুদ্দীন ফখরুদ্দীন সরকারের ষড়যন্ত্রে ভাঙ্গন হয়েছে বটে কিন্তুু আলহামদুলিল্লাহ সবাই একে একে ব্যাক করতেছে। কর্নেল অলির এলডিপি বহু আগেই ১৮ দলে এসেছে। বদরুদ্দোজাও তার বিকল্পধারা নিয়ে বিএনপির সাথে জোট করেছে। যেহেতু তারা ভিন্ন দল গঠন করেই ফেলেছে তাই দল বিলুপ্ত হয়তো করতে পারছে না কিন্তুু শরিক দল হিসাবে বি এন পির সাথেই থাকছে।


শেষ কথা আপনার গু আপনার কাছেই রাখেন আর আতর মনে করে সুঘ্রান নিতে থাকুন, তাতে আমাদের কিছুই যায় আসবে না।

১১| ১৭ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:১৪

রিয়াজ৩৬ বলেছেন: কিছু বাম আর হাইব্রিড পাকনা মন্ত্রীদের জন্য আজ আ'লীগের এই দশা। এরা হাসিনার ব্রেন ওয়াশড করে চলছে প্রতিনিয়ত। ৯৬ তে এতটা খারাপ ছিলনা আ'লীগ।

১৭ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৯

জেড সৈনিক বলেছেন: আপনি ভুল বলেননি। আওয়ামী লীগ আজ রাজনীতি বিবর্জিত হয়ে ভয়াবহ পরিনতির দিকে হেটে চলেছে।

১২| ১৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:১৭

বৈরাম খাঁ বলেছেন: দারুন পোষ্ট, এরা নিমকহারামি ছাড়া আর কি পারে!

১৮ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:২১

জেড সৈনিক বলেছেন: ফ্যাসিস্ট বাকশালী আওয়ামী লীগ তার রাজনীতি ঐতিহ্য হারিয়ে এখন চরমপন্থীদের ভাগাড়

১৩| ২৩ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:১৬

ম্রিয়মাণ বলেছেন: "প্রথমে বলে রাখি, আওয়ামি লিগ ছাড়া স্বাধিনতা আসত না।"-কথাটা মানতে পারছি না। শোষণ আর বঞ্চনার বিরুদ্ধে জাগ্রত মানুষের শক্তি আর আর যুদ্ধে আত্নত্যাগই বাংলাদেশের অভ্যৃদ্যয় ঘটিয়েছে।

আওয়ামী লীগ সে সময়ের বড় রাজনৈতিক দল। কিন্তু শেখ মুজিব আর আওয়ামী লীগ না থাকলেও অন্য দল ঠিকই শূন্যস্থান দখল করে নিত।

সে সময় আওয়ামী লীগ ছাড়াও ছোট কয়েকটি দল মুক্তিযুদ্ধে পক্ষে কাজ করেছে।

যা কিছু হওয়ার মানুষের অংশগ্রহণের ফলেই হয়েছে। সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল জনতা এবং সৈনিকদের।

৭১-এ আওয়ামী লীগের সাথে ছিলেন, কিন্তু পরে দূরে সরে গেছেন এমন অনেকেই আছেন। কারণ তারা আওয়ামী লীগকে ভালোবেসে যুদ্ধে যান নি। দেশকে ভালোবেসে যুদ্ধে গেছেন।

আওয়ামী লীগ মানুষের ক্ষোভকে ব্যবহার করেছে। মনে রাখতে হবে মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষুব্ধ হয়েছিল ৭০-এর নির্বাচনে ক্ষমতা না দেয়ায়। তখন আলাদা রাষ্ট্রের ধারনাটি জোরালো হয়।

কিন্তু এর আগেই আগরতলায় বসে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সাহায্যে সশস্ত্র অভ্যুত্থান চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সেটা করেছিল আওয়ামী লীগই।

আজকের বাংলাদেশ এ পর্যন্ত এসেছে সাধারণ মানুষের পরিশ্রম আর সংগ্রামের ফলে। এখানে রাজনীতিবিদদের কোন ভূমিকা নেই।

রাজনীতিবিদরা বরং সাধারণ মানুষের আবেগকে পুঁজি করে স্বার্খসিদ্ধির চেষ্টা করেছেন। তাই আওয়ামী লীগ বা বিএনপি কারো পাশেই এখন মানুষ নেই। বিকল্প নেই বলেই দলদুটো ভোট পাচ্ছে।


২৩ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:২০

জেড সৈনিক বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.