![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ রাত এ ঘুম আসছে নাহ কেন !! কোন কাজ ও নেই যে করব । একটা girlfriend থাকলে নাহয় তারে একটা ফোন দিতাম । দিয়ে বলতাম যে আমার আজ তোমার সাথে কথা বলতে ইচ্ছা করতেছে একটু বেশি , তুমি কি আমার এই নিঃসঙ্গ সময়ের একটু সাথি হবে ?? তোমার কি একটু সময় হবে আমার কাউকে না বলা কথা গুলো শোনার ?? হয়ত তার কাছে আই আবদার করলে সে শুনতো আশা করি । কিন্তু যেহেতু তেমন কেউ নাই ই সেখানে আবদার করার তো কোন প্রশ্ন ই আসে নাহ ।
আসলে সব দোষ এই বুয়েট এর । এতদিন ছুটি দেওয়ার কি কোন দরকার আছে !! আমাদের কষ্টটা ও বোঝে নাহ , জানে নাহ যে কতটা মন কাদে ঐ আঊলা ৪১৫ নাম্বার রুম এ যাওয়ার জন্য । যেখানে আমি স্বাধীন , যেখানে আমাকে কেউ বলবে নাহ যে আমি কেন সময় মত খাওয়া-দাওয়া করি নাই , কেন আমি চুল কাটাইনি , কেন আমি আমার জিনিস গুলো ঠিক মত গুছিয়ে রাখি নাই , কেন আমি জামাটা ঐভাবে ফেলে রাখলাম বিছানার এক কোনে , কেন আমি আমার laptop এ বসে game খেলতে খেলতে আর ফেসবুক এ বসে ভুলে গেছি এই দুনিয়ার সব কাজ যা আমার ই সাহায্যের অপেক্ষায় অপূর্ণ রয়ে যাচ্ছে , কেন আমি ঘুমাতে ঘুমাতে ভুলে গেছি যে আজ সকাল ৮ টায় ক্লাস এ যাওয়া টা হয়ত জরুরি ছিল একটু , রাত এর বেলা বন্ধু আর বড় ভাইয়া দের সাথে আড্ডা দিতে দিতে ভুলে গেছি হয়ত যে কাল সকাল এ ক্লাস আছে । ছুটি দিলে খুশি হই তো ঠিক ই , অনেকদিন পর বাবা-মা আর ছোট বোন কে দেখার ইচ্ছায় ছুটে চলে আসি । কিন্তু এতকিছুর মাঝেও কেন জানি এক অপূর্ণতা , কোন এক হাহাকার । নিজেকে নিজের খুঁজে না পাওয়া ।
রাত ৩/৪ টায় পলাশীর মোড় এ গিয়া খাওয়া দাওয়া । কখনো কখনো penang অথবা নাজিরাবাজার ঐ রাত এর নিস্তব্ধ পরিবেশ এ হেটে চলে যাওয়া। বন্ধুদের সাথে অথবা বড় ভাই এর সাথে গল্প দিতে দিতে অনেক দুরের পথ টাও অনেক কাছের মনে হওয়া । সারা রাত বন্ধুদের সাথে মিলে বুয়েট এর গেট এর পাশে বসে card খেলতে খেলতে ভোর হয়ে যাওয়া । কখনও কখনও রাত ৩ টার সময় কারো জন্মদিন পালন করতে বেরিয়ে পড়া । এসবের মাঝে নিজেকেই ভুলে থাকা । এগুলা মনে হয় মিস করার মতই কিছু ।
এত কিছুর পর ও মাঝে মাঝে ছুটি গুলো অনেক আনন্দময় হয়ে ওঠে যখন এখানে এসে কিছু পুরান বন্ধুদের সাথে দেখা হয়ে যায় , যাদের ফেলে চলে গেছি নিজের সপ্ন পুরনের তাগিদে , কিছু বন্ধু তো সাথেই গেছে কারন সপ্ন টা একই ছিল । কারও একই ছিল নাহ আর কারও একই থাকা সত্তেও সুযোগ হইনি। সবাই মিলে যখন সন্ধার আড্ডা টা জমাই তখন সময় গুলো কেটে যায় নিজের অজান্তেই ।
তাই বলে এমন নয় যে আমি বাসা তে থাকলে ভাল থাকি নাহ , যদি এমন বলি তাহলে সবাই আবার বলে বসবে " ২ দিন এর বাঙালি , ভাত এ রে বলে অন্ন " হা হা হা । বাসায় সময় কাটানোর মজা আলাদা। মা এর হাতের খাবার এর কোন তুলনা হয়না যা বলাই বাহুল্য হয়ত । বাবার উপদেশ আর ছোট বোন এর নানান আবদার বড় ভাই এর কাছে । এগুলোর ও মুল্য অনেক যা হয়ত প্রকাশ করাই যায় নাহ । কিন্তু তারপর ও নিজের স্বাধিন জীবন কে উপভোগ করার মজাই হয়ত আলাদা । হল এর জীবন অনেক কষ্টের হয়ত । তবে জীবন কে চিনতে চাইলে আর নিজের মধ্যে responsibility জিনিস টা আনতে হলে হয়ত মানুষ কে হল এ থাকা উচিত ।
আর হ্যাঁ , প্রথম এ যে কথা দিয়ে সুরু করছিলাম লেখা টা । রাত অনেক হল লিখছি এখন ও । লেখা শেষ ও হয়ে গেলো কিন্তু ঘুম কিন্তু এলো নাহ আর এখনো মনের মধ্যে অপূর্ণতা টা রয়ে গেল girlfriend এর জন্য । সামনে ১৪ ফেব্রুয়ারী , চিন্তা করলে দুঃখ লাগে বটে যে জীবনের ২১ তম বছরে এসেও ১৪ ফেব্রুয়ারি একাই পালন করে যাচ্ছি । এখানে আমার দোষ আছে কিনা জানিনা , তবে আমি চেষ্টা করেছিলাম সাথে কাউকে নিয়ে ই পালন করার এইবারের টা । হয়ত সে আমাকে বুঝলো নাহ অথবা আমার ই তাকে বোঝার ভুল ছিল । তবে শেষ করে দিলাম জীবনের নাটকের একটা অঙ্ক । আমার মতে , " গাছের ফল ঝুলে থাকলে দেখতে হয়ত ভাল লাগে কিন্তু সেটা না পড়লে , মানুষ সেটা না খাওয়া পর্যন্ত কেমন করে বুঝবে যে খালি কি পরিবেশের শোভা ই বৃদ্ধি করে জিনিস টা নাকি আসলেও সেটা অন্য কোন উপকারেও দিবে । " তাই বলে অবশ্যই কেউ ধুতরার ফুল এর মত বিষধর কিছু খেয়ে দেখতে যাবেন নাহ , মৃত্যু ও হতে পারে ।
এত কিছু ভেবে তো আর লাভ নাই । জীবন ত চলবেই । ১৪ ফেব্রুয়ারী জীবন এ আবার আসবে যদি বেঁচে থাকি । তাই বলে নিজেকে বলতে চাই নাহ যে ''better luck next time".....কারণ luck এর কোন ভরসা নেই ।
দেখতে দেখতে ছুটির দিন গুলি শেষ হয়ে ই এল । হঠাত করেই মনের মধ্যে কেমন যেন করে উটল । চলে যেতে হবে আবার । আই যাওয়া যেন সবসময় ই মনে হয় প্রথম বার বাড়ি ছেড়ে যাচ্ছি এমন । বাবা-মা এর স্নেহের বট গাছের ছায়া ছেড়ে অনেক দূর চলে যাব । হয়ত আমার দেখার অজান্তেই তারা কাদবে । দেখাবে নাহ কারন আমি কষ্ট পাব তাই । কিন্তু আমার মন ও কাঁদবে । আমার চোখের পানি একটু কম ই বের হয় । কিন্তু কখনও কখনও হয়ত সিনেমা দেখতে গিয়া ও চোখের এক কোণে পানি চলে আসে । আসলে নিজেকেই নিজে চিনলাম নাহ আজ ও ঠিক মত । যাই হোক , দুঃখ হবে হয়ত কয়েকদিন , মায়ের হাতের রান্না মিস করব । তারপর হয়ত আস্তে আস্তে বুয়েট এর যান্ত্রিক জীবনের সাথে আবার ও মিলিয়ে যাবে আমার সব চাওয়া পাওয়া । অফুরন্ত বাশ এর চাপায় নিজেকে আবার ও হারিয়ে ফেলব । হয়ত কত কিছুই যা এই ছুটিতে কষ্টের কারন হয়েছে আমার সেগুলো ও নিতান্তই তুচ্ছ মনে হবে । আমিও এমনটি ই চাই । জানি যে জিবনে কিছু জিনিস কখন ও ভলা যায় নাহ , তবুও কিছু জিনিস ভুলে যাওয়া ই ভাল।
আমি emotional হয়ে নিজের লেখার উদ্দেস্য থেকে দূরে চলে গেলাম যে !!! ফিরে আসি আবার সেই বুয়েট এর ছুটি আর বুয়েট জীবন নিয়ে । নাহ , আজ মনে হয় অনেক হল । পরে একদিন অন্ইয় বেপার গুলো ও আলাপ হবে ।
যারা কষ্ট করে পড়লেন তাদের ধন্যবাদ যে আপনারা মুল্যহীন বালক এর কথা শুনলেন । আবার কখনো কোন এক নির্ঘুম রাত এর লেখা নিয়ে দেখা হবে আশা করি ।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:১৮
মূল্যহীন বালক ...বেস্ট বলেছেন: ধন্যবাদ বন্ধু ।
২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:২৯
নীল ত্রিস্তান বলেছেন: পচা বুয়েট,সুন্দর লেখা।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:৩৯
মূল্যহীন বালক ...বেস্ট বলেছেন: হা হা হা । আসলেই । ধন্যবাদ
৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:৪১
রাষ্ট্রপ্রধান বলেছেন: বাহ বাহরে
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:২২
মূল্যহীন বালক ...বেস্ট বলেছেন:
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:২০
মূল্যহীন বালক ...বেস্ট বলেছেন: ধন্যবাদ
৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:০১
নষ্টছেলে বলেছেন:
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:২৪
মূল্যহীন বালক ...বেস্ট বলেছেন:
৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:৪৩
আসিফ মুভি পাগলা বলেছেন: সুন্দর বুয়েট সুন্দর লেখা ।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:২৬
মূল্যহীন বালক ...বেস্ট বলেছেন:
ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:১৩
আজন্ম ভবঘুরে রনি বলেছেন: ভাল লাগল । সুন্দ র হয়েছ