নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অসমাপ্ত ছোটগল্প

তরুণদের ভাল কিছু করার আকাঙ্খা যখন তারনা দেয়, একটা দেশ তখনই অগ্রসর হয়।

অসমাপ্ত ছোটগল্প

আমি অসঙ্গায়িত। প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। আমি জোঁক। শেষ করে/ না দেখে ছাড়ি না। আমি ডিপেন্দেদ হতে ভয় পাই, ডিপেন্দেদ মানুষ আর কম্পিউটারের মধ্যে কোন পার্থক্য নাই। পছন্দ করি সব। অপছন্দ করি, কোনো কিছু অপছন্দ করা। আমার আখাঙ্খার কোনো সমাপ্তি নাই, তাই আমি অসমাপ্ত আমার মৃত্যুই সমাপ্তি না, তাই ছোটগল্প। অসমাপ্ত ছোটগল্প ।।

অসমাপ্ত ছোটগল্প › বিস্তারিত পোস্টঃ

দাড়ি টানতে না পারা আমাদের সেই ভালবাসার প্রতি ভালবাসা।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩৯

বেশি কিছু চাই নি, ভাবতামও না বেশি কিছু, আসলে ভাবার বয়েসও ছিলও না।

আমি তুমি দুইজনই তখন নিম্ন মাধ্যমিকের কোন এক শ্রেণীর স্টুডেন্ট, তোমার হাঁসি দেখলে আমার ভরা দুপুরকে দিব্যি সন্ধ্যা মনে হতো। কাঠ ফাটা রোডে তপ্ত বাতাশটা গাঁয়ে লাগলেই মনে হতো উফফফ মাতাল হয়ে যাই।

মন গাইতো গান, আর চোখে ভাসতে তুমি।

প্রেমী ও প্রেমী, কাছে এলে তুমি.।.।। B-) ;) B-) ;)

এসেম্বলি লাইনে আমি দাড়িয়ে মাথাটাকে রাডারের মতো ঘুরিয়ে তোমার খুঁজতাম, অভাক হয়ে দেখতাম, আর ভাবতাম আমাকে ভেবেই বুঝি গাইছো, জাতীয় সঙ্গীতের দ্বিতীয় লাইন।

পড়া না পাড়লে টিচার দাড় করালে আগে দেখতাম, তুমি দেখে ফেললে কিনা?

বেরসিক স্যার কান ধরতে বললে, মন কেঁদে বলে উঠত উফফ খোঁদা, তোমার পায়ে পরি এ যাত্রায় ওর সামনে আমার মান সম্মানটা বাঁচিয়ে দাও।

বস্তা আইসক্রিম না খেয়ে ওই টাকাটা দান করে দিবো, মান্নত করা বোধকরি ওই সময় থেকেই শিখা।

টং টং, টং টং ......... বেল বাজতেই খেলার মাঠে যেয়েই কিছু একটা করতে হবে, যাতে বাসায় যাবার সময়

ও অন্তত একটা বার উৎসুক দৃষ্টিতে আমার পানে চায়। তখন, বড় হয়ে খেলোয়াড় হবারও ইচ্ছা জাগতো।

তুমি যখন চলে গেলে, অনেক সবাক বন্ধুর মাঝেও নিজেকে মুরুভুমির কেন্দ্র বিন্দু মনে হতো।

নিঃসঙ্গতাকে বোধয় তখনই উপলব্ধি করতে শিখেছি।



প্রেম জিনিষটা আসলেই নৈসর্গিক, আমাদের চারপাশটাকেই পরিবর্তন করে দেয়।

আমাদের সবার মাঝের যে এক অন্য আমি থাকে, তাকে বের করতে সাহায্য করে।

মানুষ প্রেমে পড়লেই নিজেকে এক অন্য আমি হিসেবে আবিষ্কার করে।

অনেক অপছন্দের জিনিষকেও ভালোলাগাতে ভালোলাগে।

যেমন আমি পালং শাক পছন্দ করি না, কিন্তু ও খুবই পছন্দ করে, হলফ করে বলতে পারি, কিছুদিন পরে আমার কাছেও

পালং শাক অমৃত মনে হবে।

আমাদের সময়টাতে আমরা স্কুলেই প্রথম প্রেমে পরতাম, তবে এখনের কথা জানি না।

কিছুদিন আগেই আমার একটা কাজিনকে নিয়ে হসপিটালে গেলাম, ও তখনও হাঁটা শিখে নি, মায়ের কোলে,

চাচীর পাশেই বসে আছেন, আরে মহিলা আর তার কোলে একটা কিউট বাচ্চা মেয়ে, আমার কাজিনটা দেখলাম

হাত বাড়িয়ে ওইটার গাল টিপে দিচ্ছে। তাই বললাম, এখনের কাহিনীটা জানি না, এখন কি হয়।

তখন মাত্র টাইটানিক মুভিটা রিলিজ হইছে, এক ফ্রেন্ডের বড় ভাইকে একবার দেখলাম, আপুকে সামনে বসিয়ে দুইজন

দুইজনের চোখের দিকে তাকিয়ে আছেন। মুহূর্তটা আমি কক্ষনও ভুলবো না।

চট্টগ্রাম বিএন কলেজের মাটির প্রতিটা কণাতেই ভালবাসা মিশে আছে,

কলেজটার প্রতি আমাদের ভালবাসা, আমাদের বন্ধু গুলোর প্রতি আমাদের ভালবাসা,

আর দাড়ি টানতে না পারা আমাদের সেই ভালবাসার প্রতি ভালবাসা।



প্রথম প্যারার ওই কথা গুলো আসলে আমার না, ওই সময়টার কথা চিন্তা করে লিখা।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:১৬

ঘুমন্ত আমি বলেছেন: নিম্ন মাধ্যমিকের প্রেমই আসলে নির্মল প্রেম !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.