![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি শখের বসে মাঝে মাঝে লিখি যা মনে চায় তাই লিখি আমার জ্ঞান অতি সীমিত। তাই জ্ঞান বিতরণ করতে আসি নি বা সম্ভব না আমার দ্বারা। নিছক ডায়েরী লিখছি বলা চলে। মনের কথাগুলা শেয়ার করতে চাই।
পর্ব ০১ঃ
সালমান (ছদ্মনাম) ভালোবাসে মাহীকে(ছদ্মনাম)। পারস্পারিক কথা বলার একপর্যায়ে জানতে পারে মাহীর নিক নাম ময়না। অর্থাত ফ্যামিলিতে ময়না নামে ডাকে।
ময়নার শখ আহ্লাদ সব জেনে নেয় সালমান। জানা গেলো ময়নার প্রিয় পাখি ময়না।
বিঃদ্রঃ ময়না সালমানকে একদম পাত্তা দিতো না। সালমান ময়নার মন পেতে মরিয়া ছিলো। ময়নাও সালমানকে খুব পছন্দ করত। কিন্তু নিজের ফ্যামিলিকে খুব ভয় পেত। তাই সালমানের সংগে মিশতে তার সাহস হত না। আবার সালমানও আঠার মত লেগে ছিলো তার পিছে। সালমান তাকে ভালোবাসার প্রস্তাব দিলো। বলল, যদি সে ময়না এনে দিতে পারে তাহলে তাকে ভালবাসতে হবে।
একদিন সে মাহীকে বারবার মেসেজ দিচ্ছিলো। ময়না দেখেও উত্তর দিচ্ছিলো না। একপর্যায়ে সালমান মেসেজ দিলো ময়না পাখি পেয়েছে। এবার মাহী তা বিশ্বাস করল না। সালমান জোর গলায় বলল, আছে ময়না। মাহী বলল তাহলে পিকচার পাঠাও। সালমান বলল পিক দেবে না, হাতে হাতে দেবে। এবার মাহী বলল ঠিক আছে তাহলে একদম ভোরে দিতে হবে। কারণ তার ক্লাস শুরু নয়টায়। সালমানও বলল ঠিক আছে, ভোরেই পাবা।
সালমান জানতো ময়না (মাহী) ভোরে উঠতে পারে না। তাই নিশ্চিন্তে বলে দিলো, সকালেই পাবা।
এদিকে সালমান গত চারমাস ৯টা জেলার শতাদিক দোকান ঘুরেও একটা ময়না জোগাড় করতে সক্ষম হয়নি। সে চিন্তায় পড়ে গেলো মাহীকে কিভাবে ম্যানেজ করবে??
যাই হোক, ভোর বেলায় সে দেখল মাহীর ফোন বন্ধ+ফেসবুকেও সে নাই। ১০টার দিকে মাহী অনলাইনে এলে সে ঝাড়ি মেরে বলল, ভোরে জেগে থাকলে মাহী অবশ্যই ময়না পাইতো।
মাহী বলল, সে আজ ক্লাশে যাবে না। সে সালমানের অফিসে এসে ময়না নেবে। যে মেয়ে চারমাসে একবার রাজি হয়নি দেখা করতে, সেই মেয়ে কি না ময়নার জন্য অফিসে আসতে চাইছে!! সালমান খুব অবাক হল। তবু সালমান অনুমতি দিলোনা। কারণ ময়না থাকলে ত সে ময়না দেবে মাহীকে!!!!
সালমান বলল শোন, আজ অফিসে আসার দরকার নাই। তুমি পহেলা বৈশাখে নিও ময়না।। পাখিটা অন্য একজায়গায় রাখা আছে। সে এখন বাসায় নাই। ফিরতে ফিরতে রাত ১১টা বাজবে। যদি তুমি আসো, তাহলে রাত ১১টা পর্যন্ত থাকতে হবে। ময়না (মাহী) রেগেমেগে লাইন কেটে দিলো।
সালমান চিন্তায় পড়ে গেলো। কিভাবে ময়নার মন রক্ষা করবে?? ময়নার হাতে ময়না তুলে দেবে??
যাইহোক, একবুক আশা নিয়ে সে খোজা শুরু করল। সময় হাতে দুইদিন। সারা দিনরাত খাওয়াঘুম বাদ দিয়ে ময়না খুজতে লাগলো। অনলাইনে ৭/৮ ঘন্টায় প্রায় ৩৫০+ পেজ ঘেটেও ময়না খুজে পায়নি।হঠাত একলোক সকালে তাকে ফোন করে বলে ময়না আছে। পোষা ময়না। কিন্তু সে বিক্রি করবে না। সালমান অনেক রিকোয়েস্ট করে। এমনকি জরুরীভাবে বিমানে করে লোকটার বাড়িতে চলে যায়। অনেক বুঝিয়েশুনিয়ে উচ্চমূল্যে (প্রায় ২.৫ গুন বেশি দাম) ময়না কিনে নেয়। ফেরার পথে ১৭ ঘন্টার বাস জার্নির কস্ট সহ্য করে।
বাসায় এসে দেখে ময়না(মাহী) মোবাইল অফ। ফেসবুক ডিএক্টিভেটেড। এরপর সে পহেলা বৈশাখে সকল প্রোগ্রাম ক্যানসেল করে ফেসবুকে আর মোবাইলে তাকিয়ে থাকে। কখন মাহীকে পাবে।
বিকালে কোন কারণে হয়ত মাহী মোবাইল চালু করে। সালমান তখনি তাকে ফোন করে বলে তখনই ময়না দিতে সে রেডি।, বাইরে প্রচন্ড বৃষ্টি উপেক্ষা করে একবন্ধুকে সাথে নিয়ে মাহীকে ময়না দিয়ে আসে।
ময়নাকে পাখি দেবার আগে মাহীকে সালমানের বন্ধু বুঝিয়ে বলে সালমান মাহীকে পাগলের মতো ভালোবাসে।
যখন সালমানের বন্ধু মাহীর সাথে কথা বলছিলো, তখন মাহীর বান্ধবীর সাথে কথা বলছিলো সালমান। মাহীর বান্ধবীকে বোঝায় যদি সম্ভব হয় সে যেন মাহীকে সালমানের বেপারে উতসাহিত করে।
পরদিন বিকালে প্রথমবার মাহী নিজে থেকে সালমানকে ফোন করে। সালমান খুশিতে আত্নহারা হয়ে ওঠে। ভাবে এই বুঝি মাহী তার ডাকে সাড়া দিলো।
উপসংহারঃ মাহী কথা বলা শেষ হলে সালমান তাকে প্রথমবার মেসেজ দিলো "I love you very much"।
মাহী রিপ্লাই দিলো " আপনার উপর মেজাজ খারাপ, আপনি আমার রুমমেটের নাম্বার নিলেন কেন? ও আমার জুনিয়র, আমি সিনিয়র জুনিয়র মেনে চলি। আমি ওর সাথে ফ্রি না, সুতরাং ওকে কল দিবেন না"
এরপর মাহীর মোবাইল বন্ধ।
২| ২২ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪৩
কাইকর বলেছেন: ভাল লিখেছেন।খুব গুছিয়ে লিখেন আপনি। ধন্যবাদ আপনাকে
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:৫১
আবু আফিয়া বলেছেন: ভাল লাগল, ধন্যবাদ