![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পাশে নেই তাতে কি হয়েছে, কথা গুলোর স্পর্শ পাচ্ছি- এই তো জরুরি খবর!!
ধীরে ধীরে সময় অনেক চলে গেছে। চোখের অভ্র বিন্দুতে জমে গেছে প্রেমিকার এক মুক্ত বিকেলের আবছা ছায়ায় স্বপ্নবুনা মুহূর্ত। সেই বিকেলের শেষ প্রান্তে বলেছিলে, তোমার চোখ এতো লালা কেন ? তুমি তো বাল্য কাল হইতে চশমা পরতে শিখনি ? আজ তোমার চোখে চশমা।
হ্যাঁ !! চশমা পড়েছি। চারিদিক কেমন জানি অন্ধকার লাগে। আলোর সন্ধানে দ্বিতীয় চোখের প্রেমের পড়েছি।
দেখি চশমাটা আমার কাছে দাও। তুমি বলেছো তুমি আমার চোখের প্রেমে মত্ত, আমার চোখের বিপরীতে তুমি অন্য কোন চোখের প্রেমে পড়তে পারবে না। তুমি যখনি অন্ধকার অনুভব করবে তখন আমার কথা মনে করবে কেননা “ আমি তোমার ভোরের “আলো” এবং অন্ধকারের চলার পথে জোছনার “ছায়া”।।আজ থেকে এটা আমার কাছে থাকবে। (আমি অতিরিক্ত অন্ধ বিশ্বাসী বলে তুলে দিয়ে ছিলাম তোমার হাতে)।
এক যুগ পর দেখা। খুব সুন্দর লাগছে নিহা-কে আগের থেকে অনেকটা। আগের নিহা আর এখনকার নিহার মধ্যে অনেক ফারাক। সাথে একজন ভদ্র লোক আছেন। উনার চোখে চশমা আছে,অনেকটা পরিচিত লাগতেছে। নিশ্চয়ই নিহার পছন্দের ফ্রেইম । মনে হচ্ছে ওর খুব আপন কেউ হবে কিংবা ওর কল্পনার সেই রাজপুত্র।
তুমি কেমন আছ ?? কি খবর তোমার ?? চেহারার তো ভালই হাল করেছেন। আপনার উনি কি খেয়াল রাখেন না ?? ইতহস্ত গলায় জিজ্ঞেস করলো নিহা!!
এইতো আগের মত !! শেষের বিপরীতের শেষে থেকে যেমন আছি তেমন!! উত্তরে !!
হালকা মৃদু কন্ঠে ওহ !! তুমি এখনও কি সেখানে পড়ে আছ ??
আমি মুচকি হাসি মুখে এঁকে আকাশে পানে তাকিয়ে............
নাহ তো !! আমিতো পড়ে নেই, সেখানের সৃতি গুলা পড়ে আছে আমার সেই চশমায় মূর্খ গ্লাসের অগোচরে। আচ্ছা তোমার মনে আছে, আমরা যখন ক্লাস শেষ করে নদীর কিনারে বসে সুখ দুঃখ নিয়ে খেলা করতাম। তোমার সুখ আমি আমার ল্যাপটপের সবচেয়ে গোপন ফোল্ডারে লুকিয়ে রাখতাম। যাতে এন্টি ভাইরাস ছুতে না পারে। আমার এসব বোকামি দেখে ল্যাপটপ আমার দিকে তাকিয়ে হাসত। আর দুঃখ গুলো আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে ত্যাগ করে নদীর জলে স্নান করিয়ে কাগজের নৌকা বুনে ভাসিয়ে দিতাম। তুমিও আমার ল্যাপটপের মত আমার কথা শোনে হাসতে। আমাকে বলতে পাগল,বোকা তুমি !! সুখ দুঃখ কি কেউ এরকম করে রাখতে পেরেছে??
নাহ!! কেউ পারেনি তুমি পাশে থাকলে আমি পারবো। তুমি তখন জড়িয়ে বলেছিলে, “ সুখ দুঃখ যেদিকে যেতে চায় যাক। আমি শুধু আমার পাগল বোকাটাকে পেলে ওই সুখ দুঃখ আপনা আপনি নিজ হতে ধরবে আমাদের”।।
নিহা- আজ কি তুমি সত্যি সুখি ?? নাকি তোমার সুখ গুলো তোমার সাথে অভিনয় করে, তোমাকে গ্রাস করে নিয়েছে জোর করে। নাকি, সুখ গুলোকে কুঁড়িয়ে কুঁড়িয়ে তার স্বাদ বহন করছো......?? তুমিতো বলে ছিলে “ সুখ গুলো যেদিকে যেতে চায় চলে যাক আমাকে পেলে সুখ গুলো নিজ হতে ছোটে আসবে আমাদের প্রেমাচন্ন পরিবেশ দেখে”। আজ নিজেই...............।।
দ্যাখো একটা কথা আছে “ মানুষ মরে গেলে পচে যায়,বেছে থাকলে বদলায়,কারণে অকারণে বদলায়”। তখন হয়ত আমি বুঝতাম ভালবাসা ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না। পৃথিবীর সব সুন্দর্য ভালবাসার উপর নির্ভর করে। আর তখন বয়স ও কম ছিলো। আবেগের বসে কত না কথা বলেছি। এখন বুঝতে পাচ্ছি ওই গুলার কোন রুপ নেই।।
তাই!! ( না বুঝে!) মানুষ মরে গেলে পছে যায়, তুমি তো এখনও মরনি আর আমিও মরিনি। আর বলেছো “ভালবাসা ছাড়া মানুষ বাস্তে পারেনা” আমার তো মনে হচ্ছে এখন তার ক্ষেত্রে অক্সিজেনের প্রয়োজন নেই। তাহলে তোমার চেয়ে নেওয়া আমার প্রথম চশমার স্থান এখন তোমার রাজপুত্রের চোখের উপর বন্দি কেন??
হুম হ্মমহ!!( গলা আঃহা করে )তুমি কিচ্ছু বুঝবেনা। তুমি সেই আগের টাইপে রয়ে গেছো। বোকা !!
হ্যাঁ, আমি আগের টাইপের বোকাই রয়েই গেলাম। আসলে ভালবাসলে মানুষ বোকা টাইপের হয়ে যায়। তুমি বুদ্ধিমতী মেয়ে তোমার মত বুদ্ধি থাকতো যদি আমার,তাহলে আমার অনেক কিছু হতো। কিন্তু শুনেছিলাম ভালবেসে কেউ কারো কাছে ঋণী হয়ে থাকে না। আজ বুঝতে পারলাম।
আচ্ছা মাহির তুমি কি আমার জন্য কষ্ট পাও ?? (চোখে কান্নার নকশা এঁকে)
না !! পাই না...আর কষ্ট কি আমি বুঝি না, কেও একজন বলেছিল----
সবার জীবনে কষ্ট থাকে কারো কম কারো বেশি, কষ্ট চেপে রাখলে আর কষ্ট হয়। তাই এই কষ্ট কে দূর করতে ইচ্ছে হলে,খোলা আকাশের নিচে গিয়ে বৃষ্টিতে ভেঁজো। দুটো পাশে দুটো হাত রাখো। দুটি চোখ বন্দ করো। আর মনে মনে মনকে প্রশ্ন কর এই পৃথিবীতে যখন জন্ম নিলাম যখন দুটি চোখ দিয়ে পৃথিবীটা দেখলাম তখন তো আমার জীবনে কোন কষ্ট ছিল না তাহলে এখন কেন কষ্ট থাকবে।?? আর ভাবতে থাকো তোমার জীবনের সব কষ্ট এই বৃষ্টির পানি-ধুয়ে নিচ্ছে। আবার চোখ খুলো দ্যাখো নিজেকে খুব ফ্রেশ লাগতেছে!! এমন লাগতেছে যে তুমি নতুন করে আরেকবার পৃথিবীতে আসছো। তোমার জীবনে কোন কষ্ট এখন নেই......।।
(লেখাটা ২৭/০৪/২০০৯ ইং)
©somewhere in net ltd.