![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পাশে নেই তাতে কি হয়েছে, কথা গুলোর স্পর্শ পাচ্ছি- এই তো জরুরি খবর!!
; কী ব্যাপার এতো রেগে আছো কেনো?
_ কই না-তো। কেনো রেগে থাকবো।
; না ভেতরের পুড়ার গন্ধ পাচ্ছি তো তাই বললাম।
_ প্রাক্তন বালুকাবেলায় নামখানি ফের লিখলাম____
; হুম! তারপর......
_ আবারো ঢেউ এসে নির্মম শিকার করলো আনন্দ আমার!
; মূঢ় মানুষ! লাভ কী এসব ব্যর্থ প্রচেষ্টার?
_ মানে কী? বসন্তর শেষ গোলাপ ফুটে কি নিঃসঙ্গ হয়ে ঝরে যাবে?
; কে বললো! তোমাকে রেখে আমি তো যাবোইনা নিঃসঙ্গ শোকাহত করে!
_ তুমি তো মুখ দিয়েই বলতে পারো!
; কিন্তু ভেতরে একটা কথাই হচ্ছে যা তুমি জানো না!
_ কী?
; আমাদের ভালোবাসা বেঁচে রবে, মৃত্যুর পরেও জীবিত।
স্বর্গের অভ্যাগত ওর প্রেমসহ ওই আমার প্রেমিকা! পাঁচ বছর আগে চিত্রলেখা-কে ভাবতাম এমন।
ভালোবাসলে যে সেই ভালোবাসা পেতেই হবে তা কোথাও নির্দিষ্ট করে উল্লেখ নেই।
চিত্রলেখাই আমাকে বুঝিয়েছে।
আজ চিত্রলেখার সাথে হঠাৎ দেখা হয়ে গেলো মোড়ের চায়ের দোকানে। সঙ্গে ওর মেয়েও আছে।
বেশ মায়াবী। চিত্রলেখার মতো। খুব বৃষ্টি হচ্ছে রাস্তাঘাটে গাড়িঘোড়ার কোনো চিহ্ন নেই।
; কেমন আছো?
_ অংক পতনের শূন্যতার কেন্দ্র হয়ে!
; কেনো?
_ ব্যথার উৎসমূল নির্ণয়ে কতোই আকেজো খোঁচাখুঁচি। বাসের পোস্টারে লেখা পড়েছো নিশ্চয়;
“আমার রক্তপাত আপাতত নিয়ন্ত্রিত”।
; সবাই তো একটি অন্তিম চেষ্টা করে- তুমিও করোনা!
_ আমার নিজের মতো খুব সাধারণ কিছুই এখন আমার অভীষ্ট।
; মৃত্যুর আগে সিদ্ধান্ত কেমন যেন উল্টেপাল্টে গেছে?
_ তুমি হচ্ছো আদিঅন্তহীন এক রসিক রমণী। তোমাকে ধারণ করা স্থায়ী শত্রুর মতো!
; এতোই ঘৃণা। অবশ্য স্বাভাবিক!
চিত্রলেখা ভুলেই গিয়েছে মাত্র কয়েক বছরে যে, আমার ভালোবাসার কোনো কিছুইকে আমি ঘৃণা করতে পারি না।
হাজার চেষ্টা করলেই।
চিত্রলেখার চোখে পানি জমে টলমল করতেছে। এতো শক্ত হয়ে গিয়েছে ও।
গাল বেঁয়ে চোখের জল নামতেই পারছে না।
একদিন বলেছিলাম চিত্রলেখাকে।
তুমি আমার কে?
সেটা বলার পর কি যে কান্না শুরু করেছিলো বাচ্চাদের মতো।
চোখের জল মুছে দিতে বললাম তাকাও এদিকে, তখন ও বলেছিলো-
মেয়েদের চোখের জল দেখতে হয় বুঝি!
আমি সরি বললাম।
উত্তরে বললো- তাহলে কাঁদাও কেনো!
আজ এইরকম বলার মতো কোনো অধিকার নেই। তবুও ওকে কিছু বলতে ইচ্ছে করতেছে।
ওর মুখের হাসি দেখতে......
_ আচ্ছা আমার ভবঘুরে মেজাজকে কিঞ্চিৎ কান মলে দাও তো।
; কেনো? (চোখের কোণে জমে থাকা এক ফোটা কান্নার জল মুছতে মুছতে)
_ দেয়ালে পেরেকবিদ্ধ আমার দিন গুলো খুজবো।
; কী পেলে? (সেই পুরনো অভ্যাস জেনে নেবার আগ্রহ নিয়ে বললো)
_ অতীত সুখে তোমার কাছে আমি ঋণী।
; আমাদের শূন্যতার দেহ ভরে নাও তুমি।
_ আমি নিজেই তো এখন পৃথিবীতে শূন্যগর্ভর মতো। ভেতরে জখম, বাহিরে পূর্ণতা!
; এভাবে আর কতো দিন?
_ যতদিন না তোমাকে খুঁজে পাই। (কথাটা শুনে চোখ জোড়া কপালে উঠে গেলো ওর)
; মানে?
_ আরে তোমার মতো কাউকে বুঝাচ্ছি।
; তুমি আসলেও একটু বদলাও নি। (হাসতে হাসতে বললো)
_ আচ্ছা চলি। বৃষ্টি থেমে গেছে।
সিগারেটটা ধরিয়ে হাঁটতে হাঁটতে বারবার মনে হচ্ছিলো। যন্ত্রণার ওজনটা বড্ড ভারী হয়ে গেলো।
আবারও............
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২৯
মাহির মুনিম বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন
২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:২৭
নিয়াম বলেছেন: অদ্ভুত সৃষ্টি! বেশ মুগ্ধতা
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:০১
মাহির মুনিম বলেছেন: আপনার মুগ্ধতা প্রকাশে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা
৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৪
জেড আই অর্ণব বলেছেন: বেশ লাগলো
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৬
মাহির মুনিম বলেছেন: ভালো লাগা প্রকাশের জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা জানাই। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪১
কালীদাস বলেছেন: সুন্দর এক্সপেরিমেন্ট। কাহিনীর ধারাবাহিকতার মাঝে শব্দের খেলা পড়লাম।
চালিয়ে যান