![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পাশে নেই তাতে কি হয়েছে, কথা গুলোর স্পর্শ পাচ্ছি- এই তো জরুরি খবর!!
আজ কোর্টে হেয়ারিং আকিবের।
আজকে তিন নাম্বার তারিখ হেয়ারিং এর। দ্বিতীয় হেয়ারিং-এর পর দেড় মাস পর আসলো তিন নাম্বার হেয়ারিং। আমি সহ বাকি আরো চার জন আসামী। তবে আসামীর প্রথম তালিকায় আমি।
আজ বাকি চার আসামীকে গ্রেফতার করে আনা হয়েছে। এতো দিন ওরা পলাতক ছিলো।
আকিব ভাবছে মনে মনে আন্নির কথা।
তুমি যদি হাজিরা খাতা নিয়ে বসে থাকতে তাহলে আমি প্রতিদিনই হাজিরা দিতাম। কিন্তু এখন তোমার জন্য হাজিরা দিতে হয় মাসের পর মাস অন্য কারো কাছে। এসব ভালো লাগে না। তোমাকে গড়তে গড়তে যখন বলতে চাই- আমার ভাবনার শাখাপ্রশাখা এখন শুধুই তোমার দখলে। ঠিক তখন শুলনাম......
-আকিব আপনি আন্নি কে খুন কেনো করলেন?
-আমি আন্নিকে ভালোবাসি তাই খুন করেছি।
-ভালোবেসেছেন ভালো কথা। ভালোবেসে খুন করলেন কেনো বলেন?
-ও আমাকে ভালোবাসে নি তাই আমি ওকে খুন করেছি!
-আপনি বলছেন “আমি খুন করেছি” তাহলে বাকি চার জনের নাম বললেন কেনো?
-আমি ওদের দিয়ে খুন করিয়েছি। যেহেতু আমি ওদের দিয়ে খুন করিয়েছি সেহেতু আমিও খুন করেছি।
তাছাড়া ওরাও আন্নিকে ভালোবাসতো। কিন্তু তাদের ভালোবাসা অন্যরকম ছিলো। তাই আমরা ঐক্য হয়ে আন্নিকে খুন করেছি।
প্রথম আসামিঃ
স্যার ও মিথ্যা বলতেছে।
দ্বিতীয় আসামিঃ
ও এগুলো বানিয়ে বলতেছে। আমরা খুন করিনি আন্নিকে।
তৃতীয় আসামিঃ
স্যার ও নিজেই খুন করে আমাদের কে ফাঁসাচ্ছে।
চতুর্থ আসামীঃ
স্যার ও সব মিথ্যা বলতেছে। আমরা ওকে চিনিই নাহ। তাছাড়া আন্নি আমাদের বন্ধু ছিলো। আমরা ওকে খুন করবো কেনো?
-আকিব আপনি বলতেছেন যে, আপনি সহ ওরা মিলে আন্নিকে খুন করেছেন। কিন্তু ওরা বলতেছে আপনাকে ওরা চিনেই না।
-স্যার খুন করে কি কেউ বলবে। আমি খুন করেছি পাগলে মতো।
-তার মানে আপনি পাগল?
-হে আন্নিকে ভালোবেসে আমি পাগল হয়ে গিয়েছি।
-আচ্ছা আপনি যখন খুন করেছেন তাহলে প্রথম হেয়ারিং এ এদের নাম না নিয়ে দ্বিতীয় হেয়ারিং এ নিলেন কেনো?
-আসলে আমি আন্নিকে খুন করতে ছেয়েছিলাম ছুরি দিয়ে কুপিয়ে। কিন্তু না ওরা আমাকে বললও-
এভাবে মেরে লাভ কি। যদি ওকে ভোগ না করলাম। তারা চার জন মিলে আন্নিকে ভোগ করলো। যখন আমার বেলা এলো আমি পারলাম না। কেনো সেটা জানি না হয়তো সেই সময় অব্ধি আমার ঘৃণার মধ্যে আন্নির প্রতি আমার ভালোবাসা কোথায় একটু থেকেই গিয়েছে। তাই আমরা নিজের হাতেই আন্নিকে ছুরি দিয়ে কুপিয়েছি ইচ্ছে মতো। কিন্তু এখন আমার খুব ঘৃণা হচ্ছে নিজের কাছে নিজেকে। আমি তো খুন করতে চেয়েছিলাম। রেপ করতে নয়। কিন্তু ওরা এরকম করলো কেনো? আমার প্লান আমার মতো হবে, ওরা আমার প্লানটা তাদের মতো করে নিয়েছে। তাই ওদেরও শাস্তি হওয়া দরকার।
কোর্টের সময় শেষ হয়ে গেলো। আগামী হেয়ারিং সামনের মাসের উনত্রিশ তারিখ। জর্জ সাহেব বললেন আসামীদের সাক্ষী প্রমাণ আগামী হেয়ারিং এ হাজির করতে। আগামী উনত্রিশ তারিখ, হেয়ারিং এ এই মামলার রায় শোনানো হবে।
তিনটা মাস কেটে গেলো আন্নির সাথে কথা না বলেই। আজ যদি আন্নি থাকতো কতোবার যে দিনের মধ্যে কতো কথা হতো, ঝগড়া হতো। আবার দিন শেষে ও আমাকেই বলতো সরি আমি তখন বুঝতে পারিনি। ভুলটা আসলে আমারই। এটা ওর বরাবরের মতো অভ্যাস ছিলো। যখন ওর মাথা গরম হয়ে যেতো তখন সে নিজেই জানত না কি করতেছে বা কি বলতেছে।
একদিন আন্নিকে বললাম তোমার জন্য একটা কবিতা লিখেছি শুনবে। আহাহাহাহা করে হাসি দিয়ে উঠলো আন্নি।
কবিতাটা শোনার আগেই। ভীষণ কষ্ট লাগলো। রাত জেগে আমার কাঁচা হাতের প্রথম কবিতাটা লেখা সে না শুনেই হাসলো।
তারপর সারাদিন দুজন ঘোরাঘুরি করে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্য নেবার আগেই আন্নি বললো আচ্ছা শোনাও তো কবিতাখানি...শুনে দেখি কেমন হয়েছে!
আমি শুরু করলাম.......
তোমাকে এতো বাসি যে ভালো আমি
তোমাকে ছাড়া বাসি না ভালো কাউকে,
তোমার সঙ্গ বিমুখ করো না, দোহাই
তুমি যদি চাও মরবো পরম সুখে।
পশু ও বৃক্ষ বড়ো হয়, বাঁচে, নড়ে
এমন জীবন যে মানুষ চায় পশু,
সে মানুষ শুধু যথার্থ বেঁচে রয়
যে প্রণয়ব্যামোয় আমস্তক মুমূর্ষ।
প্রথম যে বীজ মাটিতে বোনা হয়
সে বীজ মরে কিন্তু বীজের ভ্রূণে
অসংখ্য চারা জাগে; প্রেমও তেমনি
এক মৃত্যুতে বহু প্রেমকে আনে।
তোমার চোখের ভালোবাসার বীজ
কর্ষণহীন জমিতে দিলে পুঁতে,
সে জমি এক অজানা অচেনা মন,
সে বীজের ফল ধরেছে তোমার হাতে।
তোমার আয়না যদি আচানক ভেঙে
পরিণত হয় বহু ছোট আয়নায়,
তবু দেখো, তুমি, তোমারই প্রতিবিম্ব
চমৎকার ফোটে, হোক না ক্ষুদ্রকায়।
রূপসুষমা, পরিমিতি, মুখরেখা
দামী ফ্রেমে যে মধুর প্রতিভাত,
ছোট টুকরোতে সমান নিখুঁতভাবে
রূপসীশ্রেষ্ঠার মুখখানি বিম্বিত।
আমার সকল ভাবনার ভাঙা কাঁচ
যদি জোড়া দিয়ে বিশাল আয়না গড়ি,
সে আয়নায় নয় কারো মুখচ্ছায়া
শুধু দেখবো তোমারই ছবি, আন্নি।
কবিতা শেষ করে দেখি আন্নি আমার দিকে চেয়ে আছে। কান্না ভেজা চোখে। আমি জিগ্যেস করলাম কি ব্যাপার কাঁদছো কেনো?
-আমি এখন যেটা বলবো যদি তুমি সত্যি ভাবো তাহলে মিথ্যা আর যদি মিথ্যা ভাবো তাহলে সত্য।
-কি বলবে?
-আমি তোমাকে অনেক অনেক ভালোবাসি।
কথাটার কোনো আগামাথা কিছুই বুঝলাম না। জানতে যখন চাইলাম এর মানে কি? বললো একদিন বুঝবে সময় আসুক।
কয়েকদিন পর আমি আমি চলে গেলাম দেশের বাহিরে এমবিএ টা শেষ করার উদ্দেশ্য নিয়ে। মাস খানিক গেলো। হঠাৎ একদিন আন্নি বললো ওর ইদানিং খুব ভয় ভয় হয়। জানতে চাইলে বলতো কিছুই জানে না। ভয়টা যে কীসের জন্য হয়।
দেশে ফেরার সাত দিন আগে আন্নির সাথে কথা হয়েছিলো। আমার ফিরে আসা শুনে মেয়েটা এতো খুশি ওর প্রত্যেক কথায় সেই খুশির ব্যাখ্যা আমার কানে ফোটছিলো। সেই কলেজ জীবন থেকে আমাদের বছরের পর বছর ভরা ভালোবাসার চাষ করেই যাচ্ছি। হঠাৎ করে আন্নি আমাদের সেই পুরনো কথা শুরু করলো। আর হাসতে লাগলো।
আমি যখন আন্নিকে প্রোপজ করি তখন শুধু দুইটা লাইনই বলেছিলাম-
আমি তোমাকে ভালোবাসি
অতএব ভালোবাসি ভালোবাসো।
এতো স্পীডে বলেছি তারপর দৌড় দিয়ে চলে এসেছিলাম। পেছনে আর তাকাই নি। আর কলেজে যাইও নি। ফাইনাল পরিক্ষায় এক্সাম হলে ঢুকলাম। ঢুকা মাত্রই আন্নি এসো বললো-
আমিও তোমাকে ভালোবাসি
অতএব ভালোবাসি ভালোবাসো।
এটা শোনার পর থেকেই ফেবুতে রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস সিঙ্গেল মনে হওয়াতে কেমন যেন লজ্জা লাগতে শুরু করলো। বদলেই দিলাম। তারপর থেকেই চলতেছে আমাদের অতএব ভালোবাসি ভালোবাসো।
আন্নি আসার কথা ছিলো এয়ারপোর্টে। ও বলেছিলো আসবেই। কিন্তু আসেনি। ফোনও বন্ধ। কেনো আসেনি জানি না হয়তো কোনো সারপ্রাইজ দেবে। মেয়েটা এখনো পাল্টায় নি!
দুই দিন হয়ে গেলো। কোনো খবর নেই। এরকম ফাইলামি মেনে নেওয়া যায় না। ওর বাড়িতে গেলাম।
ইচ্ছে করছিলো ওর সাথে দেখা হলেই কষিয়ে টাস করে একটা চড় দেবো। কিন্তু মনে হয় পারবো না। ওর চোখ কুঁচকানো আর সমস্ত মুখভর্তি এবং গালে হাঁটা আমার জন্য ওর ভালোবাসা দেখলে। ও জানে না এটা কিন্তু আমিও বলিনি ওকে।
আন্নি মা-বাবা দুজনই ছিলেন বাসায়।
জামাই আদর করতেছেন। অবশ্য উনারা জানেন আমাদের ব্যাপার। আন্নির মা কে বললাম...
-আন্নি কোথায়?
উত্তর দিলেন না। বললেন বসো। আসছি আমি।
উনি চলে যাবার সাথে সাথে আন্নির বাবা কেমন যেন অদ্ভুত একটা কথা বললেন।
তুমি কেমন শক্ত টাইপের মানুষ সেটা আন্নির মুখ থেকে শুনেছি। তোমাকে অনেক শক্ত হতে হবে।
-জ্বী বুঝি নাই আঙ্কেল।
-হুম। আচ্ছা বসো।
এসব হচ্ছে কী কিছুই বুঝতে পাচ্ছি না। মেজাজটা খুব খুব খারাপ হচ্ছে আন্নির ওপর।
আন্নির মা এসে একটা চিঠি হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললেন তুমি চলে যাও। আর এসো না।
আমি চিঠিটা নিয়ে বেরিয়ে আসলাম। আন্নির মায়ের কথা কিছুই বুঝলাম না। সবাই কি পাগল হয়ে যাচ্ছে। নাকি আমি পাগদের সাথে আছি। অদ্ভুত কথাবার্তা সবার।
চিঠিটা খুললাম......
প্রিয়
অতএব ভালোবাসি ভালোবাসো, কেমন আছো? নিশ্চয় ভালো আছো আর আমার উপর রেগেও আছো। কি করবো বলো এই লুকোচুরি খেলা আমারও ভালো লাগতেছে না। কিন্তু আমি তোমার সামনে আসবো সেই ক্ষমতা আমার নেই। জগত থেকে একবার হারিয়ে গেলে আর ফেরা যায় না। নিজেকে শক্ত করো। তুমি যে নরম মনের তোমাকে এগুলো জানাতেও আমার কোনো ইচ্ছা ছিলো না। কিন্তু তোমাকে না বললে তুমি অভিমান করে বসে থাকবে! আমাকেও অপরাধী ভাব্বে।
আমি কিন্তু এখন পৃথিবীতে নেই। তোমার জন্য নিজেকে রক্ষা করতে পারি নি। কি করবো বলো, আমার অপরাধ কি ছিলো আমি নিজেই জানি না। ওরা আমাকে মাঝ পথ থেকে হুট করে গাড়িতে তুলে নিলো। আমি চিৎকার করলাম হেল্প প্লিজ হেল্প মি, কেউ আমাকে বাঁচান। আমার আশপাশের সবাই আমার চিৎকার শুনতে ছিলো কিন্তু কেউ এগিয়ে আসলো না। কেউ যখন আমার চিৎকার শুনেও শোনলো না তখন মনে হলো ওই মানুষের ভিড়ে আমি মনে হয় মানুষ না।
ওরা আমাকে ইচ্ছে মতো আঘাত করলো। আমি ওদের কিছুই বলিনি। শুধু বলেছি আমি কি করেছি?
ওরা উত্তর দিলো না।
ওরা আমার ওড়না সরিয়ে নিলো। আমি ওদের বললাম আমাকে ছেড়ে দাও।
ছাড়তে চাইলো না বরং দানবের মতো হাসি দিলো।
তারপর আমি ওদের বললাম তোমার কথা। দয়া করে আমাকে ছেড়ে দাও। আমার একটা প্রাণ আছে। আমি ছাড়া কিচ্ছু বোঝেনা। আমি একটু আড়াল হলে ও সহ্য করতে পারে না। ওর জন্যে আমাকে বাঁচতে দাও।
কেউ শোনলো না। আমি তোমার জন্যে আমার নিজের কিছুই রক্ষা করতে পারলাম না। কিভাবে পারবো ওরা চার জন আর আমি একাই।
হসপিটালে আসার পর যখন জ্ঞান ফিরলো। তখনই মনে হলো এই দুনিয়া আমার জন্য না।
আমি চলে গেলাম। তুমি ভালো থেকো। আর শোনো আমাদের অতীতের কাছে কিন্তু আমি তোমার কাছেই ঋণী।
ইতি
আমিও...... অতএব ভালোবাসি ভালোবাসো।
কিংবা,
মানুষের ভিড়ে থাকা এক অন্য মানুষ।
আজ হেয়ারিং এর শেষ তারিখ আজকে আমাদের রায় হবে। কিন্তু ওরা যে চার জন আসামী যে আন্নিকে আমার সাথে হত্যা করেছে তার প্রমাণ কী? আমার কাছে আছে নাকি সেটা জানতে চাইলেন উকিল সাহেব।
-ওরা যে আন্নিকে ভোগ করেছে রিপোর্টে কি কিচ্ছু পাননি?
জর্জ সাহেব রায় দিলেন সমস্ত প্রমাণ দেখে এবং বুঝে। যতো দ্রত সম্ভব চার জন সহ আমার ফাঁসির আদেশ।
আন্নি জেনে খুব খুশি হবে এবং মানুষের ভিড়ে যে সে এক অন্য মানুষ ছিলো তার চিৎকার শুনেছে ওর ধারণা টাও ভুল হবে।
যদি ভাগ্য আমাদের মিলায় তাহলে ওকে বলবো ওই মানুষের ভিড়ে সেই মানুষটার কথা। এটা শুনে প্রথমে রাগ করবে, তারপর আমাকে জড়িয়ে কাঁদবে, তারপর ওকে আমি হাসিয়ে ফেলবো। হিহিহিহিহিহিহিহি।
দেখা করতে কারা যেন এসেছেন। আমার নাম ধরে জেলার কর্মীরা ডাকলো। আকিব আহমদ, দেখা আসছে ঠিকানা অজ্ঞাত।
আমি গেলাম গিয়ে দেখি আন্নির বাবা মা।
-এটা তুমি করলে বাবা?
-কি আর করবো বলুন। যার নেই তার হারানোর ভয় কিসের।
-আন্নি বলেছিলো তোমার কেউ নেই। তোমাকে আমাদের ছেলের মতো দেখতে।
আমি ওনাদের চোখে চোখ একটা মুচকি হাসি দিয় চলে আসলাম।
ভাবলাম বেশিক্ষণ থাকলে বিচারের রায় হয়তো বদলে যেতে পারে। পৃথিবীতে মানুষ হয়ে মানুষ চেনা বড়ো দায়।
আন্নিকে একটা কথা বলতে ইচ্ছে করতেছে-
-আমি এখন যেটা বলবো যদি তুমি সত্যি ভাবো তাহলে মিথ্যা আর যদি মিথ্যা ভাবো তাহলে সত্য।
“আমি এখানে যতোটুকু তোমাকে ভালোবাসি, সেখানেও তার চেয়ে বেশিই ভালোবাসবো”।
বলেছিলাম না, পৃথিবীতে মানুষ হয়ে মানুষ চেনা বড়ো দায়।
আবার ডাক এলো। অজ্ঞাত ঠিকানায়।
জর্জ সাহেব এসেছেন। সঙ্গে একজন উকিল। অবাক হলাম দেখে। কিছুক্ষণ পর ব্যাপারটা বুঝলাম।
আন্নির বাবা-মা সব কিছুই বলে দিয়েছেন। মামলাটা জর্জ সাহেবই লড়বেন।
জর্জ সাহেব বললেন অদ্ভুত মানুষ আপনি। উকিল সাহেব-কে বললেন জর্জ সাহেব আমার একটা সিগনেচার নিতে নীল রঙের কাগজে।
আমি দেবো কি দেবো না ভাবছি,
তার সাথে এটাও ভাবছি অতীতবোধের যন্ত্রণায় বেঁচে থাকবো নাকি বাকি জীবন............
©somewhere in net ltd.