নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আ\'ম এভরিথিং ইউ ক্যান ইম্যাজিন!

মাহির মুনিম

পাশে নেই তাতে কি হয়েছে, কথা গুলোর স্পর্শ পাচ্ছি- এই তো জরুরি খবর!!

মাহির মুনিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

কথোপকথন- ০৩

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১১

-কেমন আছো?
-একা হয়ে যাওয়া ধূলির কণার মতো।
-বাড়ির সবাই কেমন আছে?
-সবকিছু ছেড়ে একাকী নিরিবিলি থাকতে ভীষণ ইচ্ছে করে ইদানীং।
-কেনো? তুমি তো মানুষের ভিড়ে থাকতে চাও।
-মানুষের ভিড় এখন অসহ্য লাগে। তাই বসন্তের হাওয়ায় মিশে আছি।
-সেখানে কেনো?
-সেখানে দেখেছিলাম আমি আমার শ্রেষ্ঠতম ক্ষণ- এক পলক, এক চমক!
-তোমার বারান্দায় টবে রাখা গোলাপের কি খবর?
-সে তো একজন মালির অপেক্ষায় শুকিয়ে গেছে। মালিটা কথা রাখেনি।
-বাড়ির পাশে কদম গাছে নিশ্চয় ফুল ফোটে?
-কেটে ফেলেছি। এখন আমার আলোর প্রয়োজন হয়।
-ও আচ্ছা। ভালো থেকো! চলি।
-শেষ চলে যাওয়াটায় অনুমতি চাও নি। এখন চাইছো। খারাপ না ভালোই লাগলো।

নন্দিনী উঠে আবার বসে গেলো। চুপ করে বসে আছে। সিগারেটের ধোঁয়া ওর পছন্দ নয় তারপরও বসে আছে।
সিগারেটটা ফেলে দিতে ইচ্ছে করতেছে কিন্তু পারবো না। এখন এটাই আমার নিঃসঙ্গতার সঙ্গী।
বিচ্ছেদের যন্ত্রণা কতোটা ভয়াবহ তা আমার জানা আছে।

নন্দিনী মাথা নিছু করে বসে আছে। ওর জন্য খুব মায়া হচ্ছে। ভেতরটা কেমন যেন ভারী হয়ে আসছে অদ্ভুত অজানা অনুভূতিতে।
এখন যদি আবেগের বসে কিছু বলি তাহলে মেয়েটা অঝোরে কাঁদবে। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে ইচ্ছের বিরুদ্ধে। তারপরও-
খুব ইচ্ছে করতেছে ওকে বলতে আমি সেই কালে ফিরতে চাই।
যে চোখে আমি তাকিয়ে দেখতাম- সেই আমি এই আমি নই-
কিন্তু এটা সম্ভব না।

নন্দিনীর নীরবতা ভাঙালাম-

-নির্বাক ধৈর্যশীলে তুমি পরিণত হয়ে গিয়েছো।
-এখন আমি আনত হই ইচ্ছা মতো আপন আলোয়-আঁধারে।
-হুম। সেটাই ভালো। তোমার দৃষ্টির বৃত্তে কখনো উড়বে না শঙ্খচিল।
-তবে কি না-দেখা স্বপ্নের অবয়ব বোধের অতীত!
-থাক! তার মূল্য দিয়ে স্বপ্ন গুলো দেখলে মেঘরাজ্যের মতো ভেঙে গুঁড়ো হবে।
-এসব দৃশ্য ব্যতিরেকে আমরা কি আমরা থাকবো?
-তোমার কি মনে হয়?
-জানি না!
-হবে হয়তো সেটা অবতার, ব্যাপ্ত প্রকৃতিতে চির আয়ুষ্মান কিংবা অস্বচ্ছ, খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে যাওয়া শাশ্বত মুকুর।
-আমাকে ক্ষমা করো। কখনো জানি নি আমি কি করেছি!
-তোমার মুখের দিশা তখনই আমিই ধরতে পারি নি। এবং তখনই ক্ষমা করে দিয়েছি।
-তুমি এরকম কেনো?
-তুমি ভাবছো তোমার মতো করে। (হাসি দিয়ে)
-বিয়ে করবে কবে?
-তুমি তো জানো প্রেম করে বিয়েই করবো। (হাসি দিয়ে)
-তাহলে কারো প্রেমে পড়েছো?
-তার গায়ে এখনো প্রেমের গোলাপ ফোটে নি হয়তো নিত্য উচ্চারণে।
-কতোদিন এভাবে অপেক্ষা করবে?
-যতোদিন না আমার গোলাপ ফোটে বিমূর্ত শিলার বুক চিরে!
-কামনা করি দ্রুত যেন হয়।
-চলি...
-কোথায় যাচ্ছ?
-এখন ইচ্ছে করতেছে যেখানে মানুষেরা বীরদর্পে হেঁটে যাচ্ছে পৃথিবীর পথে...সেখানে যেতে!

সিগারেট ধরিয়ে হাঁটতে লাগলাম। নন্দিনী বসে আছে এখনো। প্রকৃতি কতোই না অদ্ভুত। তার যেন কিছুতেই কিছুই হয় না। কি প্রয়োজন দেখা হয়ে যাওয়াটার? পুরনো জখমে শুধু শুধু ঘা গুলো মনে করে দেবার জন্য।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:০২

নীরব শয়তান বলেছেন: ভালো লেগেছে।নিয়মিত লেখা চালিয়ে যান।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৪২

মাহির মুনিম বলেছেন: ভালো লাগা প্রকাশের মাধ্যমে অনুপ্রানীত করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৪

ফাহাদ জুয়েল বলেছেন: পোস্টে অনেক অনেক ভালোলাগা। :)

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৩

মাহির মুনিম বলেছেন: ভালো লাগা প্রকাশের জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা জানাই। ধন্যবাদ :)

৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪২

জেড আই অর্ণব বলেছেন: অপূর্ব এটা

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১২

মাহির মুনিম বলেছেন: বরাবরের মতোই খুব প্রেরনাদায়ক মন্তব্য, ধন্যবাদ অনিঃশেষ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.