![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯২৯ সালের একটি ছবি!
কি ভাবছেন ?
পানি................
পানি নয়, জানালা দিয়ে যা ফেলে দেয়া হচ্ছে সেটা মদ বা এলকোহল।
আমেরিকা ১৯২০ সালে Eighteenth Amendment to the U.S. Constitution এর মাধ্যমে medical এবং religious কারণে মদ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
সুবহানাল্লাহ, মুসলিম-অমুসলিম সকলেই বুঝতে পারে মদ খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মাধ্যমে আমেরিকার সরকার এই আইনটি বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ নিল। এই ঘটনার পর প্রায় ৫ লক্ষ লোক জেলে গেল, মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ব্যয় হল এই আইন বাস্তবায়নে,খুন হল হাজার হাজার লোক। ... মজার ব্যাপার হল, মদ খাওয়ার পরিমাণে কম বেশ হলই না, উপরন্তু লোকজন নিজের ঘরে মদের তৈরি করতে শুরু করল। মদ উৎপাদনের প্রক্রিয়া বেশ অস্বাস্থ্যকর হওয়ায় অসুখ-বিসুখ ছড়িয়ে পড়ল। অবশেষে ১৯৩৩ সালে Twenty-first Amendment. এর মাধ্যমে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়েছিল।আমেরিকার সরকার এই আইন বাতি করল। তথাকথিত পরাক্রমশালী আমেরিকা এই আইন প্রয়োগ করতে পারল না,বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী জাতি মদ নিষিদ্ধ করতে ব্যর্থ হল।
.
এবার আসুন আমরা ১৪০০ বছর আগে ফিরে যাই। জিবরীল (আঃ) রাসূল (সাঃ) এর কাছে আয়াত নিয়ে হাজির হলেন,
“হে মুমিনগণ,এই যে মদ,জুয়া, প্রতিমা এবং ভাগ্য-নির্ধারক শরসমূহ এসব শয়তানের অপবিত্র কাজ ছাড়া আর কিছুই নয়। অতএব,এগুলো থেকে বেঁচে থাক-যাতে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হও।[সূরা মায়িদাঃ৯০]মদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে এই আয়াতটি আল্লাহর পক্ষে থেকে রাসূল (সাঃ) এর কাছে নাযিল হল। রাসূল (সাঃ) কোন পুলিশবাহিনী, সেনাবাহনী কিংবা ন্যাশনাল গার্ডের সাহায্য ছাড়া সাহাবাদের কাছে এই আয়াতটি পড়ে শুনালেন। সাহাবারা এটা শোনামাত্র রাস্তায় বেড়িয়ে পড়ে ঘোষণা করলেন, মদ খাওয়ার আর কোন বৈধতা ইসলামে নেই।
.
আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) বলেন, “আমি কয়জন সাহাবাকে মদ পরিবেশন করছিলাম এবং আমরা তখন শুনলাম রাস্তায় ঘোষণা দেয়া হচ্ছে ‘মদ খাওয়া এখন থেকে হারাম’, তৎক্ষণাৎ আমি হাত থেকে মদের জগ ছুড়ে ফেললাম এবং সাহাবারা সকলে হাত থেকে মদের গ্লাস ফেলে দিলেন। যাদের মুখে মদ লেগে ছিল, তারা সেটা মুখ থেকে থু থু দিয়ে ফেলে দিলেন।তাদের মধ্যে এমন অনেকে ছিলেন যারা মদ গিলে ফেলেছেন বিধায় বমি করে পেট থেকে মদটুকু উগলে দিতে চেষ্টা করলেন।
.
বলা হয়ে থাকে, মদীনার রাস্তায় মদের বন্যা বয়ে গিয়েছিল। মদ হারাম এই খবর শোনামাত্র সকলের তৎক্ষণাৎভাবে সে আদেশ পালন করল, কোন পুলিশের ভয় ছাড়া, US কংগ্রেস কিংবা ন্যাশনাল গার্ডের হস্তক্ষেপ ছাড়া। প্রয়োজন হল না কোন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা লক্ষ ডলারের। কাউকে জেলে ছোড়ার প্রয়োজনও পড়ল না, বাস্তবায়িত হল আল্লাহর হুকুম, কেন ? কিভাবে একই আদেশ মদীনায় কাজ করল কিন্তু আমেরিকায় নয় ? পার্থক্যটা ঈমানে, তাক্বওয়ায়।
.
সাহাবারা নিজেদেরকে এভাবেই আল্লাহর দেয়া আদেশগুলো মানতে নিজেদের প্রস্তুত করেছিলেন, আমাদেরকেও তা করতে হবে। আর এটা সম্ভব হবে তখনই যখন আমরা আখিরাতের ব্যাপারে চিন্তা করব, আখিরাত সম্পর্কে জানব এবং কথা বলব।
--বার বার শুধু একটি কথাই ভাবি; যে জীবন ফড়িঙের, যে জীবন জোনাকি পোকার, সে জীবন যেন আমার না হয়!
২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৪
প্রামানিক বলেছেন: মদ সম্পর্কে চমৎকার ঘটনা জানা হলো। ধন্যবাদ।
৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫
অন্ধকারের নক্ষত্র বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই!
৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৫
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ভাল চিন্তাশীল লেখা!
৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১১
আরব বেদুঈন বলেছেন: আনেক কিছু জানলাম ধন্যবাদ
৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৮
জনম দাসী বলেছেন: শুধু মদ নয়, যে ব্যাক্তি আল্লাহ কে সত্যিকার ভাবে ভয় করে সে কোন পাপ কর্ম করতে পারেনা। এমনকি তার মুখ থেকে একটি মিথ্যা কথাও বের হবে না। আমি আল্লাহপাক কে ভয় করিনা ভালোবাসি, আর সে ভালবাসার কথা বোঝাতে পারবোনা । আমার আল্লাহ দয়ালু, তার মমতার কথা স্মরণ করে করে তাঁর মমতার কাছে এতোটাই নিজেকে সপে দিয়েছি যে তাঁর নিদর্শন আমি অনেক পেয়েছি। এবং আজও পাই। যিনি প্রতি শেষ রাতে তার বান্দাহদের ডেকে ডেকে যান, কে আছো, কার কি সমস্যা আমাকে বলো,আমি তোমাদের সব রকম অভাব দূর করিবো। যিনি তার বান্দাহদের এত ভালবাসেন, জাঁকে কেউ একবার ডাকলে সাতবার জবাব দেন, কেউ এক কদম এগিয়ে এলে তিনি আল্লাহপাক সাত কদম এগিয়ে আসেন এর চেয়ে বড় মমতার মর্তবা আর কি হতে পারে। ভাল থাকুন সব সময়, বরকতি দোয়া রেখে গেলাম ভাই বা বোন।
৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৯
জনম দাসী বলেছেন: আর হ্যাঁ বলুন যে জীবন পাপের সে জীবন যেন আমার আমাদের কারো না হয়। গরু ছাগল ফড়িং ওরা নিষ্পাপ, একমাত্র মানুষ আর জীন ছাড়া সবাই আল্লহর আদেশ যথাযথ ভাবে পালন করেন। বরং চেষ্টা করে দেখুন ওই গরু ছাগলের মত নিস্পাপ হতে পারেন কিনা। আপনি যে নাম চারটির উল্লখ্য করে বললেন ওদের মত হতে চান না। আমি তার ব্যতিক্রম... আমি ওদের মত হতে চাই, সেই মানুষ হতে চাইনা, পাপি মিথ্যা কথা বলা মানুষ হতে চাইনা।
৮| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৪
অন্ধকারের নক্ষত্র বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য!অবশ্যই যে জীবন পাপের সে জীবন আমরা চাই না!এই শিরোনাম টি আমি অবশ্যই ব্যাবহার করতে পারতাম!কিন্তু করিনি একটি কারনে!যারা আল্লাহতে বিশ্বাসী তাহার পাপ এবং পাপের ফলেও বিশ্বাসী! কিন্তু যাহারা স্রষ্ঠায় বিশ্বাস স্থাপন করেনা তাহারা তো পাপ বলে কিছু মানেন তা!তাদের ধারনা অনুযায়ী পাপের জন্য কোন শাস্তিও নেই!তাদের বস্তুগত ধ্যান ধারনার সাথে গরু, ছাগল,বা বিভিন্ন নাদান প্রানীর সাময্যশ্য বিদ্যমান! একটা গরুর যেমন কর্মের কোন জবাবদিহিতা নেই তেমনি নাস্তকেরো!তাই আমার এই শীরোনাম!
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৪
গ্রিন জোন বলেছেন: সেই সমাজ তৈরি করা আজও সম্ভব...শুধু কুরআন আর হাদিসকে মানতে হবে.......