![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চে গুয়েভারার প্রকৃত পরিচয় জানুক বা না জানুক, স্কুল-কলেজ-ভার্সিটির ভাইয়েরা অনেকেই তার ছবিওয়ালা ব্যাগ কাঁধে নিয়ে, তার ছবিওয়ালা টিশার্ট গায়ে চাপিয়ে খুব ভাবের সাথে চলাফেরা করেন। এই লোককে কিউবার তথাকথিত বিপ্লবী হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। অথচ তার আসল পরিচয় ছিল সে একজন কট্টর কমিউনিস্ট নাস্তিক, খুনি এবং সন্ত্রাসী। কমিউনিস্টরা তার আসল পরিচয় গোপন করে মিডিয়ার সামনে তাকে হিরো হিসেবে উপস্থাপন করে। আমাদের দেশের প্রথম আলোর মতো ইসলামবিদ্বেষীরা এই শয়তানের জন্ম-মৃত্যু দিবস উপলক্ষ্যে বিশেষ বিশেষ ফিচার ছেপে তরুণদেরকে এই শয়তানের আদর্শের দিকে উৎসাহিত করে। “তার কাছ থেকে অন্যায়ের প্রতি প্রতিবাদের শিক্ষা নিলে সমস্যা কোথায়” প্রশ্ন তোলা নির্বোধরা ইসলামের শিক্ষা পায়নি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাহাবা রাদিয়াল্লাহু আনহুমদের উজ্জ্বল আদর্শ থাকার পরও একজন মুসলিম কীভাবে এই নাস্তিকের কাছ থেকে আদর্শ গ্রহণ করতে পারে? কেউ যখন সবকিছু জেনেও এই নাস্তিককে ডিফেন্ড করতে আসবে তখন বুঝবেন সেও ছুপা নাস্তিক। সকল নাস্তিক কমিউনিস্ট নয় কিন্তু সকল কমিউনিস্টই নাস্তিক। কমিউনিজমের মূলমন্ত্রই হল তথাকথিত শান্তি প্রতিষ্ঠার নামে মানুষকে হত্যা করা। মাও সে তুং, লেনিন সহ আরও কমিউনিস্টরা তাদের কমিউনিজম প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষ মেরেছে লাখ লাখ নয়, বরং কোটির চেয়েও বেশি।
চে গুয়েভারা অনেক সংগ্রামই পরিচালনা করেছেন। তার মধ্যে একটা হল কিউবা আক্রমণ। শান্তি প্রতিষ্ঠার অজুহাতে চে গুয়েভারা কিউবা আক্রমণকালে সেখানে শত শত নারী, পুরুষ, শিশু হত্যা করেন। তখন কিউবায় রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল বাতিস্তা সরকার। বাতিস্তা সরকারকে পরাজিত করে তিনি রাহুল ও ফিদেল কাস্ত্রোর সহযোগীতায় সরকার গঠন করেন। লোভী চে গুয়েভারা ঐ সরকারের বিভিন্ন পদ একাই দখল করেন। যেমন, শিল্পমন্ত্রী, জাতীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট, সামরিক বাহিনীর ডিরেক্টর। এটা নাস্তিকদের সাধারণ মনোবৃত্তি, কৌশলে ভোগদখল। যেন উপরেরটাও খেতে পারে নিচেরটাও কুঁড়োতে পারে। যেসব সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, কবি সাহিত্যিক তার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল যুদ্ধের পরে তাদের বিচারের জন্য ট্রাইবুনাল গঠন করেন আবার তার হেড পদও দখল করেন। চিন্তা করে দেখুন এরা কতটা ক্ষমতালিপ্সু। এই নাস্তিক কুকর্মা, ট্রাইবুনালের আসামিদের খুঁটির সাথে বেঁধে মাথায় খুলি গুলি করে তাদের মস্তক চূর্ণ বিচূর্ণ করার হুকুম দেন। একেবারে সহিহ নাস্তিকতার নিয়ম। ধর্ম মেনে আর লাভ কী? ধর্ম মানলেই ঝামেলা। খুন করলে গুনাহ, মিথ্যা বললে গুনাহ ইত্যাদি। তাই ধর্মই বাদ। এই লোকটার এত খুনের পিছনে উদ্দেশ্য ছিল সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। যে সমাজতন্ত্রের মূল কথাই হল সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করা যাবে না।
আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে তাহলে এই কুখ্যাত ব্যর্থ সন্ত্রাসীর এমন হিরো হিরো ইমেজ গড়ে উঠলো কেমন করে? দেখুন বর্তমান জামানার ইসলামবিদ্বেষী মালালাকে কেউ চিনত না। কিন্ত মিডিয়াগুলো তাকে এমন বীরঙ্গনা বানিয়ে ছাড়লো যে শেষে তাকে নোবেল দিয়েই ছাড়লো। গুয়েভারার বেলায়ও এমনটাই করা হয়েছিল। তার বন্ধু ফিদেল কাস্ত্রো কিছু সংবাদজীবিকে কবুতরের মত পুষেছিল যাদের সামনে টাকা ছিটালেই উড়ে এসে হাতে বসত। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিল নিউ ইয়র্ক টাইমসের হারবার্ট ম্যাথিউ, CBS এর এড ম্যুরো ও ড্যান রাদার, ABC র বারবারা ওয়াল্টার্স। এরাই গুয়েভারাকে হিরো বানাতে সাহায্য করেছিল। বর্তমান কালেও যে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে অসভ্যদের হিরো বানানো হয় তার প্রমাণ আছে। যেমন মৃত্তিক ব্যান্ড দলকে এদেশের ৫% লোকও চিনে না। অথচ তাদেরকে নিয়ে মাঝে মাঝেই প্রথম আলো বড় বড় ফিচার ছাপে। কেন জানেন? কারণ সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী এই ব্যান্ড দলকে হিরো বানাবার জন্য।
এত কিছু সত্ত্বেও এই কুখ্যাত নাস্তিক রেহাই পায়নি। আল্লাহ তাআলা গুয়েভারার কলিজায় জাহান্নমের আগুন জ্বালানোর আগে দুনিয়াতেও তাকে চূর্ণ বির্চূণ করেছেন। যুদ্ধের সময় বলিভিয়ার আর্মিরা তাকে শুধু হত্যাই করেনি পরবর্তীতে তার দুই হাত কেটেও বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল। তাই যে সমস্ত ভাইয়েরা না জেনে নাস্তিক গুয়েভারার ছবিযুক্ত ব্যাগ, শার্ট, টুপি ব্যবহার করেন তাদের সতর্ক করা দরকার। তাদের বোঝানো দরকার আমাদের মুসলিমদের শরীরে কোন নাস্তিকের ছবি থাকতে পারে না।
কমিউনিজম তথা সমাজতন্ত্রের জঘন্য ইতিহাস সম্পর্কে জানতে এই ডকুমেন্টারিটি দেখতে পারেন। ডকুমেন্টারিটি কোন মুসলিমের বানানো নয়,তাদের নিজেদেরই বানানো।ভিডিও টি দেখুন;;
https://www.youtube.com/watch?v=3pzMHD0F4yQ
২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২২
গ্রিন জোন বলেছেন: তবে চেগুয়েভারার বিপ্লবী মনোভাব নির্যাতীতদের সাহস ও উৎসাহ যুগিয়েছিল...বাঁচার প্রেরণা যুগিয়েছিল। ওই সময়ে ওই অঞ্চলের জনপদে চে'র আবির্ভাব ছিলো দেবতার মতো।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৪
তট রেখা বলেছেন: যা কিছু কালো, তার সাথে প্রথম আলো। প্রথম আলোর লোগোর (Rising sun) সাথে Iluminati দের প্রতীকের কতই না মিল। অদ্ভুত যোগাযোগ তাইনা???