নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার একাকি ই ভালো লাগে! অবরুদ্ধ বসবাসেও সারা দুনিয়াকে স্পর্শ করতে ভালো লাগে! আমি আমার খোলস হতে বের হতে পারি না! বের হলেও সে মুক্তি আমাকে যন্ত্রনা দেয়!অন্ধকারের নিস্তবদ্ধ,দীপ্তিহিন নক্ষত্র আমি!অতঃপর,নতুন পরিচয় প্রাপ্তির অপেক্ষায়..........

অন্ধকারের নক্ষত্র

অন্ধকারের নক্ষত্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিছু ফাঁসিতে মৃত্যু হয়না;জন্ম হয় গণ বিদ্রোহের!!

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৬


গাজি ইলমুদ্দিন শহীদ!!অবিভক্ত ভারতে ১৯২৯ সালের ৩১ শে অক্টোবর ব্রিটিশ ইন্ডিয়ায় ফাঁসি দেওয়া হয় ২১ বছর বয়সী ইলমুদ্দিনকে।ইলমুদ্দিন ছিলেন অবিভক্ত ভারতের একজন মুসলিম।তার পিতা একজন ছুতার মিস্ত্রী ছিলেন। ইলমুদ্দিন 'রঙ্গিলা রসূল' নামক বইয়ের প্রকাশক রাজপালকে হত্যা করেন।এই বইয়ে রাসূল (সাঃ) নিয়ে কুৎসা রটনা করা হয়েছিল।মুসলিমরা এটিকে তাদের ধর্মবিশ্বাসের উপর আক্রমণ হিসেবে দেখেন।ভারতীয় মুসলিমরা বইটি নিষিদ্ধের দাবি জানায়। কিন্তু ব্রিটিশ সরকার মুসলিমদের দাবির প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেনি।ইলমুদ্দিন রাজপালকে হত্যার সংকল্প করে বাজার থেকে এক রুপি দিয়ে একটি ছুরি কিনেন।ছুরিটি প্যান্টের ভেতর নিয়ে তিনি রাজপালের দোকানে গিয়ে তাকে হত্যা করে।
পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। ইলমুদ্দিনের আইনজীবী তাকে বলেছিল যে, "তুমি বল যে তোমার মানসিক অবস্থা ভাল ছিল না।তুমি অবচেতন মনে হত্যা করেছ।তাহলে হয়ত তোমাকে ফাঁসি থেকে বাঁচানো যাবে"।ইলমুদ্দিন একথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেছিল " আমি আমার কাজের জন্য গর্বিত"। দন্ডবিধি অনুসারে তাকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করা হয়।
১৯২৯ সালের ৩১ শে অক্টোবর তার ফাঁসি হয়।তার মৃতদেহ জানাজা ছাড়াই কারাগারে দাফন করা হয়।কিন্তু ড আল্লামা মুহাম্মদ ইকবাল, মিয়া আমিরুদ্দিন এবং আবদুল আজিজের মত মুসলিম নেতাদের হস্তক্ষেপে লাশ কবর থেকে বের করা হয়।ইলমুদ্দিনের পিতা আল্লামা ইকবালকে জানাজার নামাজের ইমামতির জন্য অনুরোধ করেন। ইকবাল উত্তর দেন এই বলে, “এই মহান যোদ্ধার জানাজা পড়ানোর তুলনায় আমি একজন পাপী ব্যক্তি”। তিনি লাহোরের হিযবুল আহনাফের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ দিদার আলি শাহকে জানাজা পড়ানোর প্রস্তাব করেন।ইলমুদ্দিনের জানাজায় প্রায় ২ লাখেরও বেশী মানুষ উপস্থিত হয়েছিল।
মাওলানা জাফর আলী খান লাশের সামনে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন,"হায়!আমি যদি তার মত উচ্চ মর্যাদা অর্জন করতে পারতাম!" আল্লামা ইকবাল ইলমুদ্দিনের লাশ কবরে রাখতে রাখতে বলেন,'এই নিরক্ষর যুবক ছেলেটি আমাদের আমাদের শিক্ষিতদের চেয়েও এগিয়ে গিয়েছে।' তার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য মিয়ানওয়ালি কারাগারে গাজি ইলমুদ্দিন শহীদ মসজিদ নামে একটি মসজিদ তৈরী করা হয়।

ইলমুদ্দিনের জানাজায় ছবি যেখানে আল্লামা ইকবাল উপস্থিত আছেন।
সূত্র:উইকিপিডিয়া

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২২

নতুন বলেছেন: ইলমুদ্দিন 'রঙ্গিলা রসূল' নামক বইয়ের প্রকাশক রাজপালকে হত্যা করেন।এই বইয়ে রাসূল (সাঃ) নিয়ে কুৎসা রটনা করা হয়েছিল।

রাসুল সা: কি তার নামে বাজে কথা বলার জন্য কাউকে হত্যার হুকুম দিয়েছিলেন? তিনি কি এই হত্যাকে সমথ`ন করতেন?

এবং লেখক কে হত্যা করা হয়নি হয়েছে বইয়ের প্রকাশকে...

লেখাটি কিন্তু মুসলমানদের শীতা কে নিয়ে একটা লেখার বিপরিতে লেখা হয়েছিলো...

২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০১

অন্ধকারের নক্ষত্র বলেছেন: ভাল করে তথ্য যাচাই করুন!
এই অজুহাতে আর কত?
সেদিন যদি ব্রিটিশরা 'রঙ্গিলা রাসূল ' নিষিদ্ধ কফত তাহলে ইলমুদ্দিন কে শহীদ হতে হতো না!মুসলমান দের তো একটাই অপরাধ, তারা তাদের রাসূল (স) কে জীবনের চেয়েও বেশি ভালবাসে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.