![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধর্মীয় বন্ধনে বার্ষিক মাহফিল, নব্য ব্যবসা
আজকের নিবন্ধনের শিরনামে আমাকে হয়তো ধর্ম বিরোধী হিসাবে আখ্যায়িত করা হবে ( যতি তারা আমার বক্তব্যর বিষয় না বুঝে) । কিন্তু সত্য প্রকাশে আমি বন্দিু মাত্র পিছপা হবো না।
যুগ যুগ ধরে চলে আসা আমাদের ইসলাম ধর্মে ধর্মীয় বার্ষিক মাহফিল হচ্ছে। দেশ খ্যত বিখ্যাত মুফতি মুহাদ্দিস, মাওলানা এনে তাদেরকে দিয়ে ইসলামিক বিভিন্ন বিষয়ে নসিয়ত করতে বলা হয়। এবং তারাও বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। প্রতি বছর মাদ্রাসায়,মসজিদ, যুবসমাজ আয়োজিত অনেক মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু তার সুফল আম জনতা পাচ্ছেনা। কেন পাচ্ছেনা সেটার ও অনেক কারণ আছে।
অনেক সময় দেখা যায় ধর্মীয় ইতিহাসের কোন বিষয়ে কথা উঠলে মুখে এক শব্দ বলার পর আকি অংশ নিজে বলা লাগেনা পাশে বসা অর্ধশিক্ষিত বা শিক্ষিত ব্যক্তি ঐ ইতিহাসকে নিজে হুবাহুব বা বিকৃত ভাবে ইতিহাস উপস্থাপন করেন। কিন্তু এটার একমাত্র কারন তারা প্রতি বছর মাহফিলে ওয়ায়েজ শুনেন ,এতে করে তাদের এ বিষয় মুখস্ত হয়ে গছে কিন্তু তাকে যদি জিজ্ঞাস করা হয় ফরজ গোসল করছেন বা কি করে ফরজ গোসল করতে হয় ?
তখন মুখের দিকে হা করে থাকে, আর মুখের থেকে কোন কথা বের হয়না। তা হলে মাহফিল তাদের কে কি দিল ?
ইতিহাস জেনে কি পবিত্র হওয়া যায় ?
আমি বলতে পারব শত করা ৯০ ভাগ মাহফিলে ইতিহাস ব্যতিত অন্য কিছু আলোচনা হয়না। মধুর কণ্ঠে প্রাচীন ইতিহাস শুনতে কতইনা ভাল লাগে। ইতিহাস শুনে আমি পরিপূর্ন ইসলামে প্রবেশ করব, ইসলামের পথে চলব এমন তাৎক্ষনিক ভবে মন ভাব পাল্টে যায় ,কিন্তু ফজরের পর সব ভাবনা ঘুমের সাথে সাথে নিশ্বেষ হয়ে যায়। আরে বেটা তুই যদি বা ফরজ গোসল করতে না পারস তা হলে কি করে বা ইসলামের ফরজ কাজ গুলো পালন করবে ?
ওয়ায়েজের শিক্ষা কি ভাবে বাস্তবায়ন করবেন ?
কিন্তু আমাদের আলেমরা তাদের আলোচনার মধ্যে একবারও বলেন না গোসলের ফরজ, অজুর ফরজ, নামাজের সঠিক নিয়ম ইত্যাদি। কি করে বা বলেব ?
এসব বলতে তো আর মধুর কণ্ঠে বলতে পারবেনা যে ভাবে ইতিহাস বলাযায়। আর কন্ঠ মধুর না হলে তার ভবিষ্যৎ ধান্দা বন্ধ হয়ে যাবে। বর্তমানে দেখা যায় ওয়াজের নামে আমাদের সম্মানিত মেহেমান,রা ১০ থেকে শুরু করে ৫০ হাজার এমনকি এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত নিয়ে যায়। আরে ভাই আপনারা ইসলাম প্রচারের জন্য এত আগ্রহ থকে তা হলে কেন আপনি ২ / ৩ ঘন্টা মধুর কণ্ঠ ছড়িয়ে এত টাকা নিয়ে যাবেন ?
রাসুল (সা.) ইসলাম প্রচার করতে শুধু শ্রম দিয়েছেন কিছু নেন নি এটা কি আপনি জানেন না!! জানলেও আপনি বলবেন না। ধান্দ বলে একটা কথা আছে! টাকা গুলো যে নিচ্ছেন আর যে সব ইতিহাস বলছেন এ সব সবারই জানা আছে । তাই ভাল কিছু বলে টাকা গুলো হালাল করে নিলে ভাল হয় না!!
অনেকে হয়তো বলবেন টাকা তাদের কে সম্মানি হিসাবে দেওয়া হয় তারা কিন্তু ইচ্ছা করে বলে টাকা নিচ্ছেন না। তাদের জন্য একটা প্রমাণ “যেমন আপনি এ বছর একজন ওয়ায়েজ কে দাওয়াত করে আনলেন কিন্তু যাওয়ার সময় তাকে কোন অর্থ দিলেন না, তখন হয়তো সে লজ্জায় কিছু বলবেন না। কিন্তু পরবর্তী বছর যখন ওনাকে দাওয়াত করবেন ওয়ায়েজ করার জন্য তখন ঠিকি সে আপনাকে সময়ের বাহানা দিবেন। আমি ১০০% শিউর সে আপনাদের কে ওয়ায়েজ শুনানোর জন্য সময় দিতে পারবেন না । তা হলে বাস্তবতা কি বুঝা গেল?
গত বছর টাকা দেন নি তার এফেক্ট এখন হচ্ছে এ হল আমাদের নব্য ব্যবসায়ী আলেমদের কার্যক্রম। আরে ভাই তাবলীগ যারা করে তাদের থেকে শিক্ষা নিন!! তারা নিজের অর্থে ইসলাম প্রচার করছেন । কারো কাছ থেকে কোন টাকা নিচ্ছেনা । এ ব্যতিত তারা মসজিদে, বাড়িতে, দোকানে গিয়ে ইসলামের মূল বিষয় শিক্ষা দিচ্ছেন। আর আপনি ইতিহাস বলে হাজার হাজার টাকা নিয়ে যাচ্ছেন । আপনার লজ্জা করা উচিৎ আমদের এক মাসের আয়ের টাকা ২ ঘন্টা ইতিহাস বলে নিয়ে যাচ্ছেন !! (তবে অল্প কিছু সংখ্যক ওয়ায়েজ এর ব্যতিক্রম )
আমি একটা কথাই বলব প্রতি বছর মাদ্রাসায়,এলাকায় দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা খরচ না করে এলাকার মসজিদের ইমামদের কে নিয়ে বাড়িতে গিয়ে ইসলামের মূল বিষয় গুলো শিক্ষা দেন ইনসাআল্লাহ তখন ইসলামিক সমাজ কায়েম হবে। মসজিদের ইমামদের কে শুধু মিলাদের মাধ্যে সীমাবদ্ধ রাখবেন না ।তাদের ও অনেক যোগ্যতা আছে ইসলাম প্রচার করার শুধু শুধু দূর দূরান্ত থেকে মাওলানা এনে টাকা খরচ করার কোন মানে হয়না।
আর অত সংখ্যক টাকা দিয়ে মাহফিল শেষে বিরিয়ানি মত কাকের খাদ্যের জন্য যুদ্ধ না বাধিয়ে উক্ত টাকা মাদ্রাসর কাজে, এলাকার উন্নয়ন বা গরিব দুঃখিদের কর্মসংস্থানের কাজে ব্যয় করুন ,দেখবেন ইসলাম অবশ্যয় কায়েম হবে। অবশেষে আমরা যেন সার্বিক ভাবে ইসলামারে আদর্শ অর্জন করেতে পারি আল্লাহ যে আমাদের কে তৌফিক দান করেন। আমিন!
[আমার উক্ত লিখাতে কারো মনে কষ্ট লাগলে আমাকে হৃদয় থেকে ক্ষমা করবেন । আমি আলেম দের বিরুদ্ধে লিখিনাই আমি লিখেছি কিছু সংখ্যক অনিয়মের বিরুদ্ধ। আমি অবশ্যয় চাই ইসলাম প্রচার হউক ,কিন্তু সেটা সঠিক পন্থায়। ]
২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২৪
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: যেমন আপনি এ বছর একজন ওয়ায়েজ কে দাওয়াত করে আনলেন কিন্তু যাওয়ার সময় তাকে কোন অর্থ দিলেন না, তখন হয়তো সে লজ্জায় কিছু বলবেন না।
কি যে বলেন ! একজনকে ৩০ হাজারের স্থলে ২৫ দেয়ায় তিনি যে হম্বি তম্বি শুরু করে দিলেন! পরে আরো ২ হাজার দিতে হয়েছে।
আসলে এসব ওয়াজ 'কান সুখ' ছাড়া অন্য কিছু নয়। আপনার লিখাটা ভাল লেগেছে।
৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২৯
বাবুলবাদশাগ বলেছেন: হ্যাঁ আমাদের সমাজে এমন কিছু আলেম আছে যারা সর্বদায় ধর্মব্যবসায় নিয়োজিত।
৪| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৯
আহলান বলেছেন: তাব্লীগের ভুল ভাল আক্বিদা ইসলামের ঈমানের চরম ক্ষতি করে চলেছে। অধিকাংশ ওয়াজকারী অনেক চটকদার ইতিহাস আওড়াচ্ছে ঠিকই, তারা ব্যবসা করছে কিছু দিন, তাব্লীগ করে চলেছে সারা বছর। সহিহ হাদিসে আছে তিনটি মসজিদ ছাড়া আর কোন স্থানে পূণ্যের উদ্দেশ্যে যাওয়া যাবে না। অথচ তাব্লিগ প্রত্যেকটি মসজিদকে শোবার ঘর আর রান্না ঘরে পরিণত করেছে ইস্লাম প্রচারের দোহাই দিয়ে।
৫| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১২
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: @আহলান। আপনি আমার মত তাবলীগ বিরোধী। কিন্তু আপনার সাথে এর আগে একটা পোস্টে মিলাদ নিয়ে মতপার্থক্য হয়েছিল।
৬| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৪
রাসেল ০০৭ বলেছেন: ভাই শিরোনাম ঠিক করেন, এটা নব্য ব্যবসা না পূরোন ব্যাবসা।
৭| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩০
আহলান বলেছেন: @বিচার মানি তাল গাছ আমার, মতপর্থক্য থাকবেই। মিলাদ মাহফিল ফরজ বা ওয়াজিব কিছু নয় যে আপনাকে আমাকে পালন করতেই হবে। সঠিক মনে না করলে যে কেউই এটা পালন থেকে বিরত থাকতে পারে। আর এই মিলাদ মাহফিলের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে বেড়িয়েছে স্বপ্নে পাওয়া ইলিয়াস মেওয়াতির এই তাবলিগ জামাত, যারা বিশ্ব ইজতেমাকে দ্বিতীয় হজ্জ্ব বলেও প্রচার করে থাকে (নাউজুবিল্লাহ)। যারা নিজেদের নির্দিষ্ট কিছু বইয়ের বাইরে কখনোই কোন বিষয় নিয়ে কথা বলে না। যারা ঘর সংসার ফেলে রেখে দনের পর দিন উদাস হয়ে ধর্মের নামে মসজিদে মসজিদে ঘুরে বেড়ায়। ছয় উসুল নামে নতুন এক পন্থার প্রচারক এই তাবলীগ। তাবলিগের এহেন কর্মকান্ড কোন সাহাবা, তাবেঈন বা তাবে-তাবেঈন এর যুগে না থাকলেও তাদের কাছে তাদের এই ঘুরে বেড়ানো বিদাআত (খারাপ অর্থে) বলে মনে হয় না। জিকির আজকার এর ধারের কাছেও এরা যায় না। এলমে তাসাউফ, এলমে মারেফাতের জ্ঞ্যান তো দূরের কথা এই সম্মন্ধে তাদের বিন্দু মাত্র চর্চা নেই। ইসলামের নামে দেশে দেশে ঘুরে বেড়িয়ে পূন্য কামানোই এদের এক মাত্র লক্ষ্য। না এরা সুদ ঘুষের বিরুদ্ধে কথা বলে, না এর দূর্নীতি ভেজাল খুন খারাবির বিরুদ্ধে কথা বলে। মুসলমানদের কাছে গিয়ে এর ইসলাম প্রচার করে। অমুসলিমদের ধারের কাছেও যায় না ইসলামের বার্তা নিয়ে .... তাহলে বলেন পোষ্ট দাতা যে ব্যবসার কথা বল্লেন, তুরাগ পাড়ে সহ সারা দেশে এই ব্যবসা কারা করে যাচ্ছে দিনের পর দিন? নির্দিষ্ট কিছু বই বিক্রি করেই তো কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন উর্ধতন কিছু মুরুব্বি। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে অনেকে আবার নাজেহালও হয়েছেন কিছু দিন আগে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৫
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন:
সারা জীবন আকাম কু-কাম করে তিন চিল্ল দিয়ে আসলেই যেমন ইলমে বারযাখ স্তরে সহজে যাওয়া যায়। ঠিক তেমনি শীত আসলে তাম্বুরা টানিয়ে ১৪০০ বছর কিংবা তারও আগের নবী রাসূলদের কিচ্ছা কাহিনী শুনিয়ে দু'গালে চোখের পানি ফেলতে পারলেই হলো- মাহফিলের কালেকশন ঝমজমাট।
যাওয়ার সময় বক্তার পকেট ভারি!