![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধর্ষণ বলতে আমরা সাধারনত বুঝি জোড় পূর্বক কোন নারীর সাথে সঙ্গম করা বা তার যৌবনের মুখে কলঙ্কের কালি মেখে দেওয়া।
আর আমার মতে জোড় পূর্বক বা ইচ্ছাকৃতভাবে অনৈতিক যৌন সম্পর্ককে ধর্ষণ বলে।
ইসলামিক দৃষ্টিতে ধর্ষণ বা নারীর সাঙ্গে যৌন সঙ্গম যেমন হারাম তেমনি তার দিকে ধারালো দৃষ্টি দেওয়াও হারাম।অপর পক্ষে একজন নারীও অন্য(মহরম ব্যতিত) পরুষের দিকে দৃষ্টি দেওয়া হারাম।
তা হলে কি আমরা দরালো দৃষ্টি দর্শনে ধর্ষণের মুখামুখি হচ্ছি বা করছিনা!! আর যদি এমন হয়ে থাকে যে জোর পূর্বক যদি ধর্ষণ হয়ে থাকে তা হলে ইচ্ছাকৃত অনৈতিক যৌন সঙ্গম কি শারীরিক ব্যায়াম¬¬?
চোখে চোখ ধরলে ভাব আর না ধরলে কি পাপ? বিচিত্রময় আমাদের সমাজ ব্যবস্থা। ধর্ষণে নারী কষ্ট পাই আর অনৈতিক সঙ্গমে কি সুখের ঠিকানা পায়? পুরুষের মনে ধরলে পাপ আর নারীর মনে ধরলে লাভ!! বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা প্রাই এমনি।ধর্ষণের উদ্ভদ্ধ নারী সমাজ ব্যবস্থাই দায়ী আর পুরুষ সে দায়ীর সঙ্গদাতা। নয়তো কেনই বা যৌনপল্লিতে নারী খদ্দরের মাধ্যমে স্বল্প কিছু অর্থের বিনিময়ে নারীর সম্মানিত দেহ এক নারী অন্যর হাতে তুলে দেয়? এটা কি ধর্ষণ নই??
অন্য দিকে একজন নারী কেনই বা অর্থের জন্য নিজেকে অন্যের হাতে তুলে দেয়! যা কিনা নিজেকে নিজের উপর ধর্ষণের অপরাধ শামিল।
আর কেনই বা রাষ্ট্র এসব যৌনপল্লির গোপন স্বীকৃতি দিচ্ছে!তা হলে কি রাষ্টও ধর্ষণের অপরাধে অপরাধী হচ্ছে??প্রশ্ন অনেক কিন্তু উত্তর অত্যান্ত সীমিত।
পার্কগুলোতে যাইলে বুঝা যায় ধর্ষণের এক কারখানা। শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় দেখাযায় ভি.আই.পি. রেস্টুরেন্ট যার প্রধান বিশেষত্ব হল ছোট ছোট আর আলোহীন অন্ধকার কামরা। এ সব কামরায় বসতে গুনতে হয় দুশ থেকে শুরু করে দুই হাজেরের অধিক টাকা, খাওয়া না হয় বাদ-ই দলিাম।এরই পর শুরু হয় রঙ্গনীল…।এখন কি বলব না! এসব কামরা ধর্ষনের গুরুত্বপূর্ণ স্থান!
একজনের মনের আকাঙক্ষা ধর্ষণ হয়ে থাকে কিন্তু দুই জনের মনের আকাঙক্ষা কেন ডাবল ধর্ষণ হবেনা??নাকি শুধু হস্তের উপর হস্ত ফেলিয়া মুভমেন্ট কে ধর্ষণ বলবেন? আর কেন তারা বুক ফুলিয়ে বন্ধুদের মাঝে তাদের অপকর্মের কথা বলে তাদের কে অন্যায় কাজে উৎসাহ যোগাবে!
আমাদের ভদ্র সমাজ শুধু মাত্র ধর্ষণের বিচার চায়, কিন্তু একবারো তার ধর্ষনের প্রতিকারের কোন প্রশ্ন তুলছেনা! তা হলে কি আমাদের দ্বারা ধর্ষণের স্বীকৃতি পাচ্ছেনা! অন্যদিকে আরেকজনের ফাসি!! একদিকে বলছি অন্যায় কর,আর অন্যদিকে বলছি অন্যায় করছ কেন তোমার ফাঁসি হউক।
নারী শুদু তার ধর্ষণের বিচার চাইনা বরং সাথে সাথে তার সম্মান এবং তার সম্মানিত দেহ নিয়ে সমাজে বাচতে চাই ,কিন্তু আমাদের ভদ্র সমাজ তাও দিচ্ছেনা। কে বা বিবাহ করবে এ দর্ষিতা কে?
আজ আমাদের অনৈতিক সমাজ ব্যবস্থা, রাজনৈতিক হীনতা, ক্ষমতার অপব্যবহার, রাষ্ট্রিয় আইন এবং দারিদ্রতা ধর্ষণের জন্য দায়ী।
ধর্ষণ বন্ধ করতে হলে সর্বপ্রথম রাজনৈতিক তোষামত ব্যতিরেখে যথা যোগ্য শাস্তি অর্পণ করা, যৌনপল্লি,ছোট ছোট অন্ধকার কামরা এবং পার্কের দুই দিনের ললনার ভালবাসা বন্ধ করার মাধ্যমে হয়তো ধর্ষণ এবং অপকর্ম স্তমিত হবে।
০৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:০৪
মুন্না সন্দ্বীপী বলেছেন: হুম গাজী ভাই,সত্যি বলেছেন।ধন্যবাদ
২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৫২
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমরা ধর্ষণের বিরুদ্ধে থাকি, বিপক্ষে বলি। কিন্তু কোন সরকার যদি এসব বন্ধ করতে চায় তখন আবার স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ হয়ে যায় কিংবা দেশ মৌলবাদীদের কাছে চলে গেল বলে মাতম উঠে...
০৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:০৬
মুন্না সন্দ্বীপী বলেছেন: সব ধান্দার উপর নির্ভর করে তাই এমন । ধন্যবাদ
৩| ০৫ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৭
টারজান০০০০৭ বলেছেন: এই বয়সে ধর্ষণের চিন্তা মাথায় নিলে , জাতীয় সংগীত ছাড়াই পতাকা উড্ডয়ন হইবো ! তার চাইতে আমাদের চাঁদগাজী আঙ্কেলরই দায়িত্ব দেন ! নিরাময়ের লক্ষ্যে উনারা কি উপায় অবলম্বন করেন জাতি উহা জানিতে পারিলে কৃতজ্ঞ থাকিত !রাস্তাঘাটে তেতুল দেখিলেও সবাই যেন লোল ডাস্টবিনেই ফেলে এই প্রেসক্রিপশনে কোনো কামতো হইলোনা। উনাদেরও হইতাছে না ! নতুন কোনো প্রেসক্রিপশন আছে কিনা জাতি জানতে চায় !
০৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:১১
মুন্না সন্দ্বীপী বলেছেন: এখন থেকে চিন্তা না করলে কখন আর চিন্তা করব!! যে কোন সময় গুম হয়ে মরা যেতে পারি, তথবা এমনিতে মরতে পারি ,তাই না হয় একটু আগেই চিন্তা করেনিই।। ধন্যাবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৩১
চাঁদগাজী বলেছেন:
সমাজ বিশৃংখলার মাঝ দিয়ে যাচ্ছে, সেটার একটা প্রভাব, ধর্যন; আপনার ভাবনায় সঠিক কারণ চিহ্নিত হয়নি; আপনার মতো লক্ষ লক্ষ লোক আছে যারা সঠিক কিছু জানে না, কিছুটা বুঝে, যাহা সমস্যা সমাধানের জন্য যথেস্ট নয়; ফলে, সমস্যা থেকে যাচ্ছে।