নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শেরপা

দেখতে চাই ধরনী

মুনতাসির

আমি পাহাড়ে চড়ি,সাগরে ডুবি, পৃথিবী আমার প্রেম

মুনতাসির › বিস্তারিত পোস্টঃ

এখানে ওপেনহাইমার থাকতেন?

২২ শে জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৭

না, আমরা পথ ভুলে অন্য কোথাও যাইনি। পথ হারানোর সম্ভাবনাই নেই। আমেরিকায় গুগল ম্যাপ এখন এতটাই নিখুঁত যে ট্রাফিক লাইটগুলোও দেখা যায়। ওপেনহাইমারের বাড়ির সামনেই আমরা আছি। ঠিক সামনে। হাতছোঁয়া দূরত্বে। তারপরও মনে সন্দেহ। এই কি ওপেনহাইমারের বাড়ি? কী করে হয়! এত সাদাসিধে? কোনো ফটক, নামফলক, আলোকবাতি, পথ দেখানো সাইন—কিছুই তো পেলাম না। তাহলে কি অন্য কোথাও এসে পড়েছি? মনের এই প্রশ্ন মুখ ফুটে যে কাউকে বলব, আশপাশে তেমন কেউও নেই। উপায়?
আলবুকার্কি, নিউ মেক্সিকো

আলবুকার্কি, নিউ মেক্সিকো

নিউ মেক্সিকো আমেরিকার অঙ্গরাজ্য আর আলবুকার্কি তার সবচেয়ে বড় শহর। এ শহরের নাম অন্য আর দশটি বড় শহরের মতো প্রচলিত নয়। কিন্তু ‘ব্রেকিং ব্যাড’ সিরিজ আর ‘ওপেনহাইমার’ সিনেমার বদৌলতে এই নাম এখন আগের থেকে অনেক বেশি শোনা যায়। আমেরিকার অন্য সব রাজ্যের মতো এই রাজ্যেরও একটা স্লোগান আছে—ল্যান্ড অব এনচ্যান্টমেন্ট যাকে ‘মোহিত করা রাজ্য’ বললেও ভুল হবে না। আগে আসা হয়নি, তাই উত্তেজনা কাজ করছিল।

নর্থ ক্যারোলাইনার শান্ত, স্নিগ্ধ, সবুজে ভরা রোলি শহর থেকে যাত্রা শুরু করে শিকাগোয় ঘণ্টাখানেকের বিরতি দিয়ে আলবুকার্কি ইন্টারন্যাশনাল সানপোর্টে অবতরণ করল বিমান। না, ঠিকই পড়েছেন; এই এয়ারপোর্টকে আদর করে এরা ডাকে সানপোর্ট। আলবুকার্কিতে সারা বছর প্রচুর রোদ থাকে। বিমানবন্দরটির নাম সেই রোদেলা আবহকেই ধারণ করে আছে। দক্ষিণ-পশ্চিম আমেরিকার উষ্ণতা আর উন্মুক্ততাকেও মনে করিয়ে দেয় এই নাম। এই দুই অনুভূতির কোনোটাই অবশ্য তখনো আমার হয়নি। জানালার পাশের সিট না হওয়ায় দিগন্তের ব্যাপ্তি বা বিস্তার কোনোটাই বুঝতে পারলাম না। সেটাও ভালো। কী আছে নিচে নেমে একবারে দেখাই ভালো।

আমাকে নিতে এসেছে আমার বড় বোন আর তার সদ্য বিশ্ববিদ্যালয় পাস করা ছেলে ওমর। যান্ত্রিক সিঁড়ির মাঝামাঝি থাকতেই তাদের দেখা গেল। উচ্ছ্বসিত হয়ে আলিঙ্গন। অনেক দিন পর তা-ও আবার এত দূরে দেখা! শীতাতপনিয়ন্ত্রিত এয়ারপোর্টের বাইরে বেরিয়ে লু হাওয়ার দমকায় থমকাতে হলো। এই এয়ারপোর্টে অনেক অনেক যাত্রী চলাচল করে না। তাই সবকিছু একটু বেশিই ফাঁকা ফাঁকা। এতে দমকা হাওয়াটাকে আরও জোরালো মনে হলো, সঙ্গে গরমের তেজও। নাম কেন সানপোর্ট, এবার একটু করে হলেও ধরতে পারলাম। বাতাস তো নয়, যেন কামারের হাপরের হাঁপ। ফস ফস করে গায়ে এসে লাগছে।

গাড়িতে লটবহর তুলে বের হয়ে পুরোটা বুঝতে পারা গেল। এ তো রীতিমতো বিভীষিকা! খোলা জানালা দিয়ে তাপপ্রবাহ এফোঁড়-ওফোঁড় করে বেরিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমার বোন আর ওমর দিব্যি আমার সঙ্গে কথা বলে যাচ্ছে। রাস্তার অন্য গাড়িগুলোর অনেকেরই জানালা খোলা। বাতাসটা নাকি ভালো। অনেক গাড়ির জানালা তোলা। তাদের হয়তো আমার দশা। এ আবহাওয়ায় প্রথম ধাক্কা কাটিয়ে আশপাশ দেখে অবাক না হয়ে পারলাম না। এ–ও আমেরিকা? একেবারে আলাদা। মনে হয় বাড়িগুলো সব মাটি দিয়ে গড়া। বেশির ভাগ একতলা, নিচু। দোকানপাট যা দেখলাম, প্রায় সবই একতলা। দু-একটা, কদাচিৎ উঁচু বিল্ডিং, তা-ও ছয়তলার বেশি হবে না। হাতে গোনা যাবে। বাকি সব একতলা বা বেশি হলে দোতলা আর মেটে রং। এতে করে উষ্ণতার তীব্রতার সঙ্গে যোগ হয়েছে রুক্ষতার মাত্রা। মোহিত করা এই রাজ্যকে স্নায়বিক আর মানসিক দুইভাবেই অনুভব করা যাচ্ছে। তবে সবার দশা যে আমার মতো না, তা মূল সড়কের পাশের হাঁটা কিংবা দৌড়ানোর জন্য যে লেনগুলো আছে, তাতে এই ভরদুপুরেও কাউকে দৌড়াতে, কুকুর নিয়ে, বাচ্চাদের স্ট্রলার নিয়ে হাঁটতে দেখলাম। তবে কি এটাই স্বাভাবিক?

আলবুকার্কি থেকে লস আলামোস

কদিনের বিরতি দিয়ে বোনের পরিবারের সঙ্গে লস আলামোসের উদ্দেশে যাত্রা করা গেল। একেবারেই কাছে। ঘণ্টা দুয়েকের ড্রাইভ। নিউ মেক্সিকোতে দুই ঘণ্টার দূরত্ব কাছের দূরত্ব বলেই মনে হলো। এত ফাঁকা কোনো শহর আগে দেখা হয়নি। এত বিরান, ছাড়া ছাড়া আর দিগন্ত ফোঁড়া রাস্তাগুলো অমানবিক রকম বৈচিত্র্যহীন মনে হলেও তার মধ্যে মাধুর্য আছে। কোথাও কেউ নেইর মতো একটা ব্যাপার। বড় কোনো গাছ নেই। সুউচ্চ কাচঘেরা দালান নেই। শুধু নেই আর নেই।

লস আলামোসের দিকে যাওয়া শুরু করে অবশ্য ভিন্ন অভিজ্ঞতা হলো। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে তাপমাত্রা কমতে শুরু করল। রওনা দেওয়ার আগে আমার বোন পই পই করে বলে দিয়েছিল যেন জ্যাকেট আর গরম কাপড় নিয়ে নেই। প্রথমে মনে হয়েছিল ঠাট্টা। ভেবেছিলাম সপরিবার আমাকে হয়তো বোকা বানাতে চাচ্ছে। কিন্তু না। সান্তা-ফে দিয়ে না গিয়ে আমরা খানিকটা ঘুরে পাহাড়ি সিনিক রোড ধরেছি। যে কারণে উচ্চতা বাড়বে আর তাতে করে তাপমাত্রা কমে যাবে। এখানে বলে রাখা ভালো আলবুকার্কি সমুদ্র সমতল থেকে প্রায় ৫ হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত। আর এই উচ্চতার তারতম্য আমার শরীর ঠিকই ধরতে পারল। পাহাড়ি পথে যত এগিয়ে যাওয়া হয়েছে, এই উচ্চতা আরও বেড়ে গেছে। এরই মধ্যে হঠাৎ করেই ঝুম বৃষ্টি। আমি তো খুশি। গাড়ির জানালা একটু ফাঁক রেখে বৃষ্টিটা উপভোগ করা যাচ্ছে। তবে ঠান্ডাও বেশ। বেশ মানে বেশ। আমাদের শীতের থেকে অনেক অনেক ঠান্ডা। একটা সময় বৃষ্টির বদলে হালকা তুষারপাত শুরু হলো। পেঁজা তুলার মতো মিহি, হালকা, আবছায়া হয়ে গলে পড়ছে চারপাশে। এদিকে প্রচুর গাছ। সরু সর্পিল রাস্তা। মাঝেমধ্যে নদীর আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে বলেও মনে হলো। ভুলও হতে পারে। খুব কম গাড়ি। একটা–দুটো। মাঝেমধ্যে। রাস্তার কারণেই কারও বাড়াবাড়ি নেই। সবাই যেন মন্ত্রমুগ্ধের মতো ধীরলয়ে উপভোগ করছে সবকিছু। এও কি মোহিত করা রাজ্যের আরেক রূপ?

লস আলামোসের পথে


চলতে চলতে তুষারপাত বন্ধ হয়ে গেল। তবে গুমোট ভাবটা রয়েই গেল। লস আলামোসের সড়কচিহ্ন দেখা যাচ্ছে। আরও কিছুটা বাকি। পথ এখানে একটাই। এটা ধরে এগিয়ে গেলেই লস আলামোস। এটা পাজারিতো প্লাটুতে অবস্থিত। যে কারণে দূর আর উঁচু থেকে দেখতে একে দারুণ লাগে। চারদিকটা উঁচু, মাঝে প্রায় সমতল একটা জায়গা। এই পাজারিতো প্লাটু ট্রেকিংয়ের জন্য বেশ জনপ্রিয়। বেশ কিছু ট্রেকিং রুট আছে। শীতকালে স্কি করার বন্দোবস্তও আছে। আছে ব্যান্ডলিয়ার জাতীয় উদ্যান আর ভালেস জাতীয় সংরক্ষণাগার। আমরাও থেমেছিলাম নিছক ছবি তোলার জন্য। আমাদের গন্তব্য লস আলামোস, বিশেষত ওপেনহাইমার সাহেবের বাড়ি দেখা।

লস আলামোস

সেনাবাহিনীর চৌকিতে পরিচয়পত্র দেখাতে হলো। তারা এও বলে দিলেন কোথাও যেন ছবি তোলা না হয়। সেনাবাহিনীর চৌকি পার হওয়ার অভিজ্ঞতা আগে ছিল না। পুলিশের চৌকি আর এর মধ্যে পার্থক্য হলো—গা ছমছমে ভাব।



পৃথিবীর সর্ববৃহৎ এবং সর্বোত্তম বিজ্ঞানপ্রতিষ্ঠানগুলোর একটি লস আলামোসের এই গবেষণাকেন্দ্র। ম্যানহাটান প্রকল্পের জন্য লস আলামোসকে নির্বাচিত করা হয়েছিল। লস আলামোসে পারমাণবিক বোমা এবং হাইড্রোজেন বোমাসহ বিভিন্ন পারমাণবিক অস্ত্রের উন্নয়ন হয়েছিল। বিখ্যাত ম্যানহাটান প্রকল্পের কেন্দ্রীয় ভূমিকা এবং পরমাণু গবেষণা ও উন্নয়নে এর অবদান অপরিসীম। এখানেই প্রথম পারমাণবিক বোমা তৈরি হয়েছিল আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যা ব্যবহৃত হয়েছিল। এই ম্যানহাটান প্রকল্পেরই বৈজ্ঞানিক পরিচালক ছিলেন রবার্ট ওপেনহেইমার। দূরদর্শী বিজ্ঞানীর পাশাপাশি তিনি ছিলেন দক্ষ এক প্রশাসক।

যদি ভাবেন লস আলামোসের গুরুত্ব কমে গেছে, তাহলে ভুল করবেন। এই বিজ্ঞানাগার এখনো চালু আছে। গবেষকেরা সৌর এবং পরমাণু শক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণা পরিচালনা করে যাচ্ছে। তাবৎ আমেরিকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাগার বলে এখানে পুলিশি চৌকির বদলে সেনাচৌকি বিদ্যমান। এটা আমার ধারণামাত্র। সত্য–মিথ্যা জানি না।

গুগল ম্যাপ অনুসরণ করে অবশেষে ওপেনহাইমারের বাড়ির সামনে পৌঁছানো গেল। কাঠের একতলা বাড়ি। এতটা অনাড়ম্বর হবে ভাবিনি। ক্রিমসন রেড বা গাঢ় রক্তাভ রং কালের ধুলায় মলিন। বিশাল গাছগুলোয় সময় আটকে গেছে। শুরুর দিকে গাছগুলো যে এই রং ছিল না, তা ঢের ধরতে পারা যায়। কিন্তু কোথাও লেখা নেই যে এটাই ওপেনহাইমারের বাড়ি বা এখানেই ওপেনহাইমার সাহেব থাকতেন। গুগলে জানতে চাওয়া হলো। ঝিরি ঝিরি বৃষ্টিতে গাছের আড়ালের বাড়িটাকে ঠিক দেখার যোগ্য মনে বলে মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। দেখা বলতে কেবল বাইরে থেকেই দেখা। ভেতরে প্রবেশের কোনো উপায় নেই। বাড়ির একপাশে সবুজ ঘাসে মোড়া একচিলতে জায়গা। তাতেই গাছগুলো। বেশ আগলে রাখার মতো। কিন্তু কোথাও কোনো নামফলক পেলাম না। সন্দিহান হয়ে এদিক-ওদিক করে দু-একজনকে জিজ্ঞেস করা হলো। তাঁরাও এটাই দেখিয়ে দিলেন। তার মানে আমরা ঠিক জায়গাতেই এসেছি। আশাহত হলাম বৈকি। ভেবেছিলাম কত কিছু দেখব। হলো কই।


অগত্যা ইন্টারনেট ঘেঁটে বুঝতে পারলাম নিরাপত্তাজনিত বিষয়ে ওপেনহাইমার সাহেব ঠিক কোথায় থাকতেন, কী ধরনের কাজ করতেন, এসব গোপন রাখা হতো। সে জন্য তাঁর বাড়িটাকে একদমই সাধারণ অন্য বাড়িগুলোর মতো করেই করা এবং রাখা হয়েছিল। আর কখনোই বা এখনো বলা হয় না যে এটাই তাঁর বাড়ি। এই রহস্য বহাল তবিয়তে আছে। আছে কিন্তু আবার এইটাই যে আসলে তাঁর বাড়ি, সেটাও বলা হচ্ছে না।

লস আলামোস নিজেই একটা শহর। যে শহরে পিএইচডি ডিগ্রিধারীর ঘনত্ব পৃথিবীর যেকোনো জায়গার থেকে নাকি বেশি। এখানে বাংলাদেশিরাও কাজ করেন। জাদুঘর থেকে বের হওয়ার সময় তেমনই এক বাংলাদেশি পরিবারের সঙ্গে দেখা। অনেক দিন ধরে এখানে আছেন। আমার বোনের পরিবারের পূর্বপরিচিত। কাকতালীয়ভাবে দেখা হলো। দেখা যেহেতু হলোই তাই তাঁর কাছ থেকে ঝালিয়ে নেওয়া হলো যে ওপেনহাইমার সাহেবের বাড়ি সম্পর্কে ইন্টারনেট যা বলছে, তা সত্যি কি না। তিনি সরাসরি কোনো উত্তরে গেলেন না।

‘হাইলি ক্লাসিফায়েড,’ বলে হেসে দিলেন।

প্রকাশিত ঃ Click This Link

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুন, ২০২৪ দুপুর ১:২২

জনারণ্যে একজন বলেছেন: @ মুনতাসির, সিরিয়াসলি আপনি এখানে এসেছিলেন?

আহারে, আসলে একটু বলে-কয়ে আসতে তো হয়.....কে জানে হয়তো দেখা হলেও হয়ে যেতে পারতো!

২২ শে জুন, ২০২৪ দুপুর ২:১০

মুনতাসির বলেছেন: জী আমি এসেছিলাম। ২ সপ্তাহ ছিলাম। আপনি কি ওখানে থাকেন?

২| ২২ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:৪৪

করুণাধারা বলেছেন: সকালে প্রথম আলোতে পড়েছি। ভালো লেগেছে।

৩| ২৩ শে জুন, ২০২৪ রাত ১:২১

জনারণ্যে একজন বলেছেন: @ মুনতাসির, আপনি এই ছোট্ট শহরে এসেছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। নানাবিধ কারণে সবার যেমন সুযোগ'ও হয়না এখানে আসার আবার ঠিক তেমনি আসলে তেমন দরকারও পড়েনা। তবে মুভিটা রিলিজড হওয়ার পর টুরিস্ট বেশ বেড়ে গেছিলো এখানে। আর হ্যাঁ, ওই শব্দের উচ্চারণ 'পাজাড়িতো' নয় - 'পাহাড়িতো'।

ওভারলুক হোয়াইট রক'এ। প্রথমবার উপর থেকে নিচে তাকিয়ে ভয় পেয়েছিলাম। পরে ওই ভয় পুষিয়ে নিয়েছিলাম হাইক করে নিচে রিও গ্রান্ডে পর্যন্ত নেমে এবং আবার উপরে উঠে।

২৩ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৩২

মুনতাসির বলেছেন: জেনেরাখলাম। পরেরবার ঠিক করে নিব। আমার নিউ মেক্সিকো দারুণ লেগেছে। মনে হইয়েছে মেক্সিকো এর কোন গ্রাম এ চলে আসলাম। ছোট শহর তাই আর ভাল লেগেছিল।

৪| ২৩ শে জুন, ২০২৪ রাত ১:২৩

জনারণ্যে একজন বলেছেন: বুঝলাম, আপনি হেমেজ স্প্রিং হয়ে এখানে এসেছিলেন। একটু রিস্কি কিন্তু খুব সুন্দর আর সিনিক ড্রাইভ ওটা। মাঝে মাঝেই ওই পথে যাই, একটু ঘুরপথ হলেও। রৌদ্রকরোজ্জ্বল কোনোএক বিকেলে যদি কখনো ওখানে যান, দেখবেন পর্বতের চূড়োয় আগুন লেগে গেছে।

একটা ছবি দিলাম এখানে।

আমার অতি প্রিয় ভ্যালির পাশ দিয়েই ড্রাইভ করে এসেছেন, খুব সম্ভবতঃ ওখানে ঢুকেন নি আপনি। গেট বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা তখন। ভালো লাগতো ওখানে গেলে। ছবি দিলাম ওই প্রিয় জায়গাটার। তেমন কিছুই নেই ওখানে, তবে ভালো লাগে আমার, ঠিক জানিনা কেন। হয়তো খুব নিঃসঙ্গ একটা ভাব আছে জায়গাটার, এজন্য।

৫| ২৩ শে জুন, ২০২৪ রাত ১:২৬

জনারণ্যে একজন বলেছেন: [img]https://i.imgur.com/eeOioLVh.jpg
[img]https://i.imgur.com/uB4tuL9h.jpg
[img]https://i.imgur.com/yiK2J3kh.jpg

২৩ শে জুন, ২০২৪ সকাল ৮:০২

মুনতাসির বলেছেন: লিনক গুলো দেখা যাচ্ছে না। আমাকে যদি মেইল করে দেন তবে আমি হইত জুড়ে দিতে পারব। আমার ইমেইল হল - (আমার নাম) অ্যাট জিমেইল ডট কম

৬| ২৩ শে জুন, ২০২৪ রাত ১:২৭

জনারণ্যে একজন বলেছেন: [link|[img]https://i.imgur.com/eeOioLVh.jpg

[img]https://i.imgur.com/uB4tuL9h.jpg

[img]https://i.imgur.com/yiK2J3kh.jpg|view this link]

৭| ২৩ শে জুন, ২০২৪ সকাল ৮:৫৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: অসাধারণ আপনার এই ভ্রমণবৃত্তান্ত। এমন সুলিখিত পোস্ট ইদানিং ব্লগে কমে গেছে।

রকি পর্বতমালার সর্বদক্ষিণ অংশটি যে নিউ ম্যাক্সিকো পর্যন্ত বিস্তৃত, এই তথ্যটি জানা ছিল। আপনার লেখা পড়তে পড়তে বুঝতে পারছিলাম যে আপনি রকির নিকটবর্তী হচ্ছেন, কিন্তু এর এত কাছে যে এমন মরুময় এক শহর আছে, সেটা জানা ছিল না।

তবে লেখা টার শেষের দিকে এসে একটু হতাশ হলাম এটা দেখে যে আপনি রকি পাহাড় না দেখে ওপেনহাইমারের বাড়ি দেখতে গিয়েছিলেন। আপনি পোস্টে ম্যানহাটন প্রজেক্টের কিছু বর্ণনা দিয়েছেন। যে আনবিক বোমা জাপানের দুটি শহরে এক লক্ষের বেশি মানুষ মেরে ফেলেছে, সেই বোমা প্রজেক্টের পরিচালকের বাড়ি সম্পর্কে বাঙালির সন্তানের কি কারণে আগ্রহ থাকতে পারে, তা কৌতূহলের বিষয় বটে!

২৩ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১১:০১

মুনতাসির বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। কথা সত্য, কেনই বা কেউ যাবে তার বাড়ি দেখতে? এখানে ব্যাক্তিগত প্রধান্য চলে আসে। আমারও তাই। আমার এটাই দেখার ইচ্ছা ছিল। তার কারণও আছে। আমি উত্তর আমেরিকাসহ অনেক দেশের পর্বতমালা/ পাহাড় দেখতে গিয়েছি। তাও অনেক কাছ থেকে, বলতে পারেন চড়ার জন্য। যেমন ওয়াশিংটন, ওয়াইওমিং এর কন্টিনেন্টাল ডিভাইড আমি সাইকেলে অতিক্রম করেছি। গ্রেন্ড টিটন দেখেছি তাবু জানালা দিয়ে। লেকের পানিতে সাতার কেটেছি টিটন দেখতে দেখতে। জ্যকসনে আদিবাসি আমেরিকানদের আতিথিয়তা নিয়েছি। এ্যপেলেচিয়ান অতিক্রম করেছি সাইকেলে। আবার আলাস্কা থেকে ইউকন, ইউকন থেকে বি,সি, এ্যবার্টা থেকে ওন্টারিও, আমার সাইকেল থেকে দেখা। আইফিল্ড পার্কওয়ে থেকে হীমবাহ দেখা হয়েছে কফি মগে চুমুক দিতে দিতে, তাবুতে বসে - শুয়ে। এতো গেল উত্তর, দক্ষিনের প্যাসিফিক এ্যপাইন ট্রাইঙ্গেলে লর্ড অব দি রিংগস এর পাহাড় দেখেছি সেই সাইকেলেই। হিমালয় বাদ যাবে কেন? তাও তো কত কত বার গেলাম। তাই রকি তে যাওয়া হয়নি। যদিও আমার ভাই থাকতেন এক সময়। এটা যদি পাতাগনিয়া হতো, তবে হয়তো ভিক্টরিয়া ওকাপেম্পার বাড়ি না দেখে সে দিকে যেতাম। মানুষ মাত্রই পক্ষপাতিক। আমিও তাই। পাহাড় দারুন লাগে, তবে ঠিক গাড়ি থেকে, এক দুই দিনের জন্যে ভাল লাগে না।

লুম্বিনিতে বুদ্ধের খোজে, ফাইয়ুম মরুভুমিতে ফাতেমার খোজে, অকল্যান্ডে এডমন্ড হিলারির দেহ ভস্ম খুজতে যাওয়া হয়েছে। কেন? উত্তর একটাই, মন চেয়েছে।

ওপেনহাইমার, ফাইনম্যানে আমি ব্যক্তিগত ভাবে পক্ষপাত দুষ্ট। এভাবে স্বীকার কেউ করে না যেভাবে ওপেনহাইমার করে গেছেন।

নাউ আই বিকাম ডেথ, দি ডেস্ট্রয়ার অফ ওয়াডর্স।

৮| ২৩ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১১:০৮

অপু তানভীর বলেছেন: চমৎকার বর্ণনা । অনেক দিন পরে সামুতে এতো চমৎকার লেখা পড়লাম ।

২৩ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

মুনতাসির বলেছেন: আমার তো দারুণ লাগল আপনার মন্তব্য পড়ে। ধন্যবাদ।

৯| ২৩ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৩৫

মুনতাসির বলেছেন: Click This Link

১০| ২৩ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:০৪

জনারণ্যে একজন বলেছেন: দুঃখিত, মুনতাসির - ইমেইল করা যাবে না, এজন্য। আবার আপলোডের ট্রাই হয়তো করা যায়, কিন্তু থাকে না, কি দরকার।

গো-মূর্খ শব্দটার সাথে পরিচয় ছিল আগেই, একজনের মন্তব্য পড়ে মনে পড়ে গেলো আবারো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.