![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রবাসে মাঝে মাঝে মাতৃভাষায় কথা বলার মজা আছে। আশে পাশে কোন বাংলাদেশী বা বাঙ্গালী নেই, তাই মুখে যা আসে ইচ্ছে মত বলে ফেল, লজ্জা পাবার কিছু নেই।
ফিলিপাইনে বাংলাদেশীদের সংখ্যা খুব কম। তাই নিয়মিত বাংলা বলার সুযোগ না থাকায় কোন বাংলাদেশী বন্ধুকে পেলে মাঝে মাঝেই আমরা এমন লাগামহিন বাংলায় মেতে উঠি। মজার ব্যাপার হল, দীর্ঘদিন পুরো ইংরেজিতে কথা বললেও আমরা তখন শতভাগ বাংলা বলি যেন অন্যরা কিছু বুঝতে না পারে। একবার দেশে যাবার সময় এক বাংলাদেশী সহকর্মী বন্ধু ছিল সহযাত্রী। শুরুথেকেই দুজনের চলছিল নানা ননভেজ বাংলা আলাপ। সেই সাথে কারও গাধামোতে বিরক্ত হয়ে হাঁসি মুখে বাংলায় গাধা বলছি, গাধাও হাসছে, হাসিমুখ দেখে ভাবছে খুশি হয়ে কিছু বলছি।
এই সুবিধার যে কি অসুবিধা সেটা বুঝলাম একটু পরে। ম্যানিলা এয়ারপোর্টের ডিপারচার লাইঞ্জে আমাদের পাশেই বসেছেন এক সুন্দরি মহিলা। পোশাকে অতি আধুনিক। ছোট শর্টস আর গেঞ্জি। সাথে ফূটফুটে এক মেয়ে। কয়েকবার তাকিয়েও বুঝতে পারছিলাম না উনি কোন দেশের নাগরিক। তবে চেহারা আর পোশাক আশাক দেখে যেটা মনে হচ্ছে আর যেদেশেরই হোক বাংলাদেশী নয়। তাই আমি আর আমার বন্ধু মিলে মনের সুখে চালিয়ে যাচ্ছিলাম আমাদের ননভেজ কথাবার্তা। সেই সুন্দরিকে নিয়েও দুএকটি টিপ্পনি চলছে। এর মধ্যে বিমানের দরজা খুলে গেল। সুন্দরি মহিলার আসন পড়েছে আমাদের অনেক পেছনে। তাই আমাদের আলোচনার বিষয় থেকে তিনি হারিয়ে গেলেন। মাঝ খানে বেশ কয়েকটা ঘন্টা পার হয়ে গেছে। এর মধ্যে আমরা নেমেছি সিঙ্গাপুর এয়ারপোর্টে। আমাদের যাত্রা বিরতি শেষে দাঁড়িয়েছি বাংলাদেশগামি বিমানের ডিপারচার লাউঞ্জে। একি, সেই সুন্দরিতো আমাদের সামনে! তবে এখন তিনি শর্টস ছেড়ে জিন্স পরেছেন আর গেঞ্জির সাথে এক টুকরো ওড়না জড়িয়েছেন। আমি আর আমার বন্ধু দ্বিধার সাগরে ভাসছি। এই মহিলাই কি সেই মহিলা! না হবার তো কোন কারন নেই, সাথের মেয়েটিতো সেই মেয়েই। তাহলে কি তিনি আমাদের সব কথা বুঝেছেন? মনের মধ্যে শুধু একটাই ভরসা, উনি বাংলাদেশে যাচ্ছেন কিন্তু হয়তো বাংলা বোঝেন না। তাই আমাদের আলাপের শব্দ গুলো নতুন মাত্রা পেল এবং তিনি শুনতে পেলে সমস্যা নেই এই ভেবে বেশ শব্দ করেই কথা বলছি। এই আলাপের মাঝেই আমার বন্ধু আমাকে বলছে, হয়তো তিনি বাংলাদেশী নয়, বাংলাদেশ হয়ে ভারতে যাবেন। মহিলা এবার আমাদের দিকে মুখ ফিরিয়ে ঠোঁটে হাঁসি ফুটিয়ে বললেন “ না ভাই আমি ভারতে যাচ্ছিনা। আমি বাংলাদেশী এবং বাংলাই আমার মাতৃভাষা।“
২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:১৯
পথিক মুরাদ বলেছেন: মজার তবে বেআক্কেলের আক্কেল ফিরেছে___, ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৪১
প্রামানিক বলেছেন: “ না ভাই আমি ভারতে যাচ্ছিনা। আমি বাংলাদেশী এবং বাংলাই আমার মাতৃভাষা।“
চমৎকার বর্ননা।
২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:২০
পথিক মুরাদ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই। ভালো থাকবেন।
৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:২৬
ভিটামিন সি বলেছেন: হেতিরে বাংলা ছবি "স্বামী কেন আসামী" গানের সুরে সুরে কইলেন না কেরে, "এ শরীর কেন এত পোষাক বদলায়?? কখনো শর্টস আর গেঞ্জি, কখনো জিন্স আর ওড়না, কখনো আরো কত কি দিয়ে নিজে কে জড়ায়"।
২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:২৪
পথিক মুরাদ বলেছেন: দুঃখিত ভিটামিন সি, সেই সিনেমাটি আমার দেখা হয়নি। এবার দেখবো এবং হেতিরে পাইলে কইবো। তবে সুর করে নয়, ফিসফিস করে। সুর আমারে ডরায়। ধন্যবাদ পরামর্ষের জন্য।
৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৩০
ধূসরছায়া বলেছেন: একদম ভালো হইসে, উচিৎ শিক্ষা!
২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:২৫
পথিক মুরাদ বলেছেন: জি আমি ও একমত, উচিৎ শিক্ষা পাইছি।
৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:০৩
কিচ বলেছেন: মেয়েটা কোন অড্ ড্রেস পরে থাকুক বা কিছুই না পরে থাকুক, ওর দিকে তাকানোটাই বেআইনি হইছে....
প্লেনটিতে বা এয়ারপোর্টে র্যাব থাকলে বুঝতেন এই অপরাধের সাজাটা কেমুন..... বাইচ্চা গেছেন, মাজারে বাত্তি দিয়েন....
২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:২৮
পথিক মুরাদ বলেছেন: অবশ্যই বাক স্বাধীনতা থাকলে, পোশাক স্বাধীনতাও থাকা উচিৎ। দেখি মাজার কোন খানে পাওয়া যায়, বাত্তি জালামু।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:০৩
সুমন কর বলেছেন: মজার অভিজ্ঞতা !!