![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মেয়ের আকিকার খবর শুনে এলাকার কসাই আসলেন খাসির ব্যবস্থা করার জন্য। সেই সাথে আশ্বস্ত করলেন, মাংস বানানো ভাগ বাটোয়ারা নিয়েও আমাকে ভাবতে হবেনা। আমি কিছুটা নিশ্চিন্ত। দীর্ঘ প্রবাস জীবনের সংসার বিহীন দিনপাতের কারনে দেশের বাজার ঘাটের দায়িত্ব এলে ঝামেলা মনে হয়, মাথা ব্যাথা শুরু হয়। বাজার থেকে ফিরলেই নিজের বোকামীর প্রমাণ উন্মুক্ত হয়। কিন্ত অধিকাংশ দোকানদার যদি কাস্টমার ঠোকানর আয়োজন করে বসে থাকেন তাহলে সেটাতো আমার বোকামি হতে পারে না। হতে পারে মানুষের প্রতি সরল বিশ্বাস। আর দীর্ঘ দিনের অভ্যাসেই এই বিশ্বাসের জন্ম।
যাই হোক কসাইয়ের সেই প্রস্তাবে গিন্নি বাধ সাধলো। নভেম্বরের মাঝামাঝি তাই বাইরে তেমন গরম নেই। রবিবারের বড় হাট বাড়ি থেকে বেশী দূরে নয়। শালা বাবু সাথে থাকবে এবং আকিকার আগপর্যন্ত খাসি আমার শশুরালয়েই ঘাস লতা পাতা খেয়ে জামাই আদরে দিনপাত করবে। আর সবচেয়ে বড় কথা হাটে অনেক খাসি দেখে পছন্দ মত একটি কেনা যাবে। অকাট্য যুক্তি। আমি আর না করতে পারলাম না।
সকালের নরম রোদে দুটো গরম ভাত খেয়ে হাটের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। অনেক বছর পর এমন কোলাহল হট্টগলের হাটে এসে খুব খারাপ লাগছে না। ছোট বেলায় অনেকবার এসেছি, এসেছি বাবার হাত ধরে। বাবা তাঁর পরিচিত দোকানে বসিয়ে রেখে বাজার সারতেন। যেন হাটের ভিড়ে হারিয়ে না যাই। বাবা দেখে যেতে পারেনি, তাঁর ছেলে এখন শুধু হাটের নয়, পৃথিবীর ভীড়েও হারায় না অথবা আকাশের তারা হয়ে তিনি আমার উপর ঠিকই নজর রাখেন যেন হারিয়ে না যাই!
ছাগলের বাজারে গিয়ে কোন ছাগল কিনবো বুঝতে পারছিনা। চুপচাপ দাঁড়িয়ে এদিক ওদিক তাকাচ্ছি। আসে পাশে চলছে দালালদের আনাগোনা- দরকষাকষি। পাশেই দেখলাম একজন দুটো খাসি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। একটি খাসি বেশ স্বাস্থ্যবান বড়সড়। খাসির মালিক বললেন এটা তার বাড়িতে পোষা খাসি। আমি তাকে বিশ্বাস করে অল্প কথায় খাসিটি কিনে শ্যালকের হাতে দিয়ে বাড়িতে ফিরলাম। গিন্নী ছাগলের ছবি দেখে ভীষণ খুশি। ভাবলাম এবার তাহলে ঠকায়নি।
সাতসকালে শশুর বাড়ির ফোন। বাড়িতে নেবার পর থেকে ছাগল নাকি কিছুই খায়নি। সেই চনমনে ভাবও নেই, একটু পর পর শুধু প্রসাব করছে। অনেকটা নেতিয়ে পড়েছে। তাড়াতাড়ি ডাক্তার দেখানো হলো। ডাক্তার বললেন, ভয়ের কিছু নেই। একটু বেশী দাম পাবার লোভে জোর করে পাইপ দিয়ে ছাগলের পেটে পানি ঢোকানো হয়েছে, এখন সেই পানিই বের হচ্ছে। সামান্য কিছু টাকার লোভে পাইপ দিয়ে ছাগলের পেটে পানি ঢোকানো হয়েছে, পানি ঢোকানর সময় ছাগলটি নিশ্চয় অনেক চিৎকার করেছে, লাফালাফি করেছে, কষ্ট পেয়েছে। বিষয়টি আমি নিতে পারছিলাম না। যে এমন জঘন্য কাজ করে সে আর যাই হোক সৃষ্টির সেরা জীব হতে পারেনা।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৯
পথিক মুরাদ বলেছেন: জি ভাই, ঠিক বলেছেন। এটাই এখন দেশের দৃশ্য। কংক্রিটের দেয়াল বাড়ছে কিন্তু মনুষ্যত্বের দেয়াল ভাংছে । ধন্যবাদ
২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২০
প্রামানিক বলেছেন: হাঁস-মুরগী, কবুতর ও ছাগল-গরুর বেপারীরা লাভের জন্য পশু-পাখিদের পানি খাইয়ে বলের মত ফুলিয়ে থাকে, পশু-পাখিদের উপর অত্যাচারের এটা তারই একটি নমুনা মাত্র।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১২
পথিক মুরাদ বলেছেন: প্রবাসে থাকার জন্য আপডেট ছিলাম না। ছাগলের এই অভিজ্ঞতার পর যা শুনলাম তা রিতিমত আঁতকে ওঠার মত। ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই। আমি আপনার সহজ সরল ছড়ার একজন ভক্ত। ভালো থাকবেন।
৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২২
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: মানুষের বিবেক লোপ পাইছে।
যেভাবে আছেন সেভাবে ভালো থাকার চেষ্টা করেন।
না হয় আপনার বাবার মত তারা হয়ে গেলে কিছুই করার থাকবেনা, মনে কষ্ট পেলে মাফ করবেন।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৫
পথিক মুরাদ বলেছেন: না রে ভাই কষ্ট পাবার কিছু নেই। কিন্তু তারা হবার আগে আমি লিখে অন্তত আমার অন্তরের প্রতিবাদ টুকু করলাম। ধন্যবাদ।
৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৪
এই আমি রবীন বলেছেন: বিবর্তনের ধারায় আমরা পশু হচ্ছি...., না পশুও এমন করবে না।
........বর্বররাও এমনটি করেনি।
........আমি মর্মাহত।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৯
পথিক মুরাদ বলেছেন: ঠিক বলেছেন। কিন্তু আমরা মিলেই তো সমাজ এবং দেশ। আমরা যদি নিজেরা নিজেদের মনুষ্যত্ব বিবর্জন না দেই এবং প্রতিবাদ করতে শিখি, হয়তো একদিন পরিবর্তন আসবে।
ভালো থাকবেন।
৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭
আশফাক ওশান বলেছেন: অমানবিক
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২১
পথিক মুরাদ বলেছেন: এদের শাস্তি হওয়া দরকার। এবং মিডিয়ায় সচেতনতা বাড়াতে হবে। তাহলে হয়তো অন্যরা এটা করতে ভয় পাবে। ধন্যবাদ
৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:২১
খোলা মনের কথা বলেছেন: পশুর থেকে বর্বর হয়ে যাচ্ছি আমরা.....
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৪
পথিক মুরাদ বলেছেন: পশুরা নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য এতটা নিচে নামে না। আসলেই আমরা মানুষ নামের অমানুষ। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০৯
ধ্রুবক আলো বলেছেন: সমস্যা টা হলো মানুষের মনুষত্ব এখন দূর্লোভ হতে চলেছে! না হলে সামান্য দুটো টাকা বেশি পাওয়ার আশায় মানুষ কত রকম ভেজাল মেশায় খাদ্যে! তবে আপনি যেই ঘটনা টা বর্ননা করলেন তা খুবই পাশবিক, একই ঘটনা ঘটে কুরবানির জন্য গরু বেচা হয় তখন!
কি যে হবে এই দেশ ও জাতির ভাবতেই অবাক লাগে!!!
৮| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৪
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: বেশী টাকার লোভে মানুষ কতকিছুই করছে ভাবতেই অবাক লাগে
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৫
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: এটা হাটের দৃশ্য নয়। দেশের দৃশ্য
লজ্জার ঘটনা