![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের যে কজন লেখক সাহিত্যিকদের ভাল লাগে তাদের মধ্যে প্রথমেই আছেন আহমদ ছফা।তার মত সাহিত্যিক এদেশে আর এসেছেন কিনা জানা নেই।এখানে আহমদ ছফার জীবনের কিছু ঘটনা তুলে ধরা হল সাথে আছে বিভিন্ন স্থান থেকে সংগৃহীত কিছু ছবি।
আহমদ ছফা
১
আনুপূর্বিক তসলিমা এবং অন্যান্য স্পর্শকাতর প্রসঙ্গ বইটি পড়ে খালেদা জিয়া আহমদ ছফা সম্পর্কে জেনেছিলেন এবং তাঁকে ফোন করে দাওয়াতও করেছিলেন। তবে ছফা যাননি। তিনি বেগম জিয়াকে বলেছিলেন, যেতে পারি এক শর্তে। আমাকে নিজের হাতে রান্না করে খাওয়াতে হবে। শেখ হাসিনার কাছে গিয়েছিলাম। তিনি আমাকে রান্না করে খাইয়েছিলেন। খালেদা জিয়ার রান্না করার সময়ও হয়নি, ছফা ও যেতে পারেননি।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছফা র আরেকবার ফোনালাপ হয়েছিল। উপলক্ষ ছিল এনজিও ব্যুরো থেকে ‘বাংলা-জার্মান সম্পীতি’র রেজিস্ট্রেশনের ব্যাপারে। ছফা ই বেগম জিয়াকে ফোন করেছিলেন। ফোনটি ধরেছিলেন তাঁর পিএস। ছফা বিনয়ের সঙ্গে পিএসকে বলেছিলেন, ম্যাডামকে কি একটু দেয়া যাবে? আমি তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চাই।
পিএস সাহেব জানতে চাইলেন, আপনি কে?
ছফার জবাব, আমি আহমদ ছফা।
পিএস সাহেব ফের জানতে চাইলেন, কোন আহমদ ছফা?
পিএস-এর কথায় ছফা কচ ভয়ানক রকম খেপে গিয়েছিলেন। তিনি রাগলে সচরাচর যে গালটি তাঁর মুখ দিয়ে বা’র হত সেটি বেরিয়ে গিয়েছিল। তারপর তিনি কোন রকম ভূমিকা না করে বললেন, বাংলাদেশে আহমদ ছফা দু’জন আছে নাকি?
ছফা কথা না বাড়িয়ে রিসিভারটি ধপাস করে রেখে দিয়েছিলেন।
পিএস সাহেব ছফার এ অশোভন আচরণের কথা বেগম জিয়াকে জানিয়েছিলেন কিনা জানা যায়নি। কিছুক্ষণ পরে বেগম জিয়া ফোন করেছিলেন। ছফা র কথার ঝাল তখনও থেকে গিয়েছিল। ফোন পেয়ে তিনি বেগম জিয়াকে বিরক্ত কণ্ঠে বলেছিলেন, ম্যাডাম, কী সব অশিক্ষিত পিএস টিএস রাখেন আহমদ ছফার নাম জানে না।
ছফা র কথায় বেগম জিয়া হেসে জবাব দিয়েছিলেন, আমি নিজে অশিক্ষিত; শিক্ষিত মানুষ পাব কোথায়। আপনারা কেউ তো এগিয়ে আসছেন না?
‘বাংলা-জার্মান সম্প্রীতি’ থেকে বাসায় লোকজন এলে বেগম জিয়ার সঙ্গে কথোপকথনের বিষয়টি সবিস্তারে বয়ান করেছিলেন। তিনি বেগম জিয়ার ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে বারবার বলে যাচ্ছিলেন, ভদ্রমহিলার তারিফ না করে পারা যায় না। তিনি আশ্চর্য রকম বিনয়ী।
২
আহমদ ছফা ডঃ আহমদ শরীফের সাথে
“একবার দুই মেরুর দুই ‘জাতি’কে অর্থাৎ বুদ্ধিজীবী ও আলেমসমাজকে একটি প্ল্যাটফর্মে দাঁড় করাবার উদ্দেশ্যে ‘ইনসানিয়াত সেন্টার বাংলাদেশে’র ব্যানারে তাঁর উদ্যোগে শিশু একাডেমিতে দুই বিপরীত সত্তার ব্যক্তিবর্গকে আলোচক হিসেবে উপস্থিত রেখে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন হাফেজ্জী হুজুর। ‘সাম্রাজ্যবাদ ও মুসলিম বিশ্ব’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন লিবিয়ান রাষ্ট্রদূত জনাব হাসান আল আইব, বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি জনাব কে. এম. সা’দউদ্দীন, প্রফেসর এমাজউদ্দীন ও ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা কমিউনিস্ট লীগের আবদুল মতিন সাহেব। কমিউনিস্ট আবদুল মতিন সাহেবকে কেন দাওয়াত করা হবে এ বিষয় নিয়ে লিবিয়ান রাষ্ট্রদূত আপত্তি করলে পর ছফা ভাই ভীষণ খেপে যান এবং বলেন, আমাদের সমাজ বিপ্লব কাকে নিয়ে কীভাবে করতে হবে তা আমরাই ভাল জানি, আপনি নন। আমাদের কাছে পয়সা নেই বলে আপনাদের মুসলমান ভাইদের পয়সা দিয়ে কাজগুলো করতে চাই। তাই বলে এ ব্যাপারে পলিসি আপনাদের হবে না, হবে আমাদের। রাষ্ট্রদূত ক্ষমা চেয়ে তখন থেমে যান।” (ছফা, স্মা., পৃ. ১৯০ ইসহাক ওবায়দী)
৩
শেখ মুজিবের সঙ্গে যখন তাঁর সাক্ষাৎ হয়েছিল তিনি তাঁকে ‘স্যার’ সম্বোধন করেছিলেন। শেখ মুজিব নাকি তাঁকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন, ছফা, তুমি আমাকে ভাই বলে ডেকো। ওইদিন ছফা কে শেখ মুজিবুর রহমান একটি কম্বল উপহার দিয়েছিলেন। কম্বলটি ছিল কমলা রঙের এবং খুব হালকা। মাপলে এক কেজিও হবে না। ছফা যতদিন বেঁচেছিলেন ওটি জড়িয়ে ঘুমোতেন।। তিনি একই কাপড়-চোপড় বেশিদিন ব্যবহার করতেন না। কিন্তু কম্বলটি হাতছাড়া হবার ভয়ে শীতের শেষে লন্ড্রি থেকে ধোলাই করে এনে তালা বদ্ধ করে রাখতেন।
৪
আহমদ ছফা শিল্পী এস এম সুলতানের সাথে
"শেখ মুজিবর রহমান প্রথমে আমাকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, রাষ্ট্রদূত হওয়ার জন্য। কিন্ত তিনি যখন বললেন, শর্ত আছে।
আমি (ছফা) বলেছিলাম, শর্ত ছফার জন্য নয়, আপনি অন্য কাউকে দেখুন।
শেখ মুজিবর রহমান আমার উপর প্রচন্ড রুষ্ট হয়েছিলেন। কিন্ত জেলে দেয়ার সাহস পাননি। পরে শেখ মুজিবর রহমান আমাকে অনুরোধ করেছিলেন, শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা হওয়ার জন্য জন্য।
আমি (ছফা): বলেছিলাম সম্ভব নয়। আমাকে ধারণ করার মতো শক্তি আপনার সরকার বা আপনার প্রশাসনের নেই।
এরপর আবুল ফজলকে এই অফার দিলে তিনি আনন্দের সঙ্গে রাজি হন। আবুল ফজল শেখ সাহেবের কেনা গোলাম হয়ে যান। উপদেষ্টা হওয়ার পর শেখ সাহেবকে খুশী করা ছাড়া তাঁর আর কোন পথ অবশিষ্ট ছিল না।
আমীন জানতে চান: আচ্ছা, আপনি শেখ মুজিবকে বঙ্গবন্ধু বলেন না কেন?
ছফা: আমি তোমার বাবাকে বাবা ডাকতে যাব কোন দুঃখে? তোমার বাবাকে পৃথিবীর সমস্ত লোক বাবা ডাকলেও আমি ডাকবো না, তাঁকে অনেকে জাতির পিতা বলে থাকেন, আমি বলি না, একই কারণ। মুক্তিযুদ্ধ আমার মা।
আমীন: তা হলে পিতা কে?
ছফা: সময়। সময়ের দাবি এবং পাকিস্তানীদের কার্যকলাপ। ৪৭ এর পর হতে দেশের উদরে জন্ম যন্ত্রণা শুরু হয়েছে, যা ১৯৭১ এর মার্চে প্রসব বেদনায় প্রদীপ্ত হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটিয়েছে।"
{ 'আহমদ ছফার চোখে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী', লেখক: মোহাম্মদ আমীন }
৫
বাংলা একাডেমীর একুশে বইমেলায় কলকাতার বই আসত।আহমদ ছফা এর বিরোধীতায় নামেন। তার বিরোধীতার ফলে কলকাতার বই আসা বন্ধ হয়। ছফা কাজটা করেছিলেন দেশের লেখকদের কল্যানের জন্য কিন্তু এদশেরই লেখক শওকত ওসমান তাকে বাজে লোক বলে মন্তব্য করেন। ছফা তাকে নিয়ে নিউমার্কেটের বইয়ের দোকানে দোকানে নিয়ে যান।গিয়ে জিজ্ঞেস করেন শওকত ওসমানের কোন বই আছে কিনা।কেউ লেখক কেই চিনতে পারল না।তখন কলকাতার একজন সাধারন মানের লেখকের নাম বলতেই অনেকগুলো বই বের করে দিল। আহমদ ছফা তখন শওকত ওসমানকে জিজ্ঞেস করলেন,
"" দেশটা আমরা বাল ছেঁড়ার জন্যে স্বাধীন করেছি?""
৬
ডানহামের সাথে আহমদ ছফা
সাক্ষাতকারের একটা অংশঃ
রাইসু: যৌনতা এই ঈশ্বরত্বকে নষ্ট করে না?
ছফা: যৌনতা দিয়ে মানুষ একটা কাজই করে, বংশবিস্তার করে।
রাইসু: না।
ছফা: না, আমাকে বলতে দাও। মানুষের আরো ফ্যাকাল্টি আছে, সমস্ত ফ্যাকাল্টিগুলি যৌনতার অধীন নয়। ইয়ুং এই জায়গায়ই ডিফার করে ফ্রয়েডের সঙ্গে। মানুষের জীবন হচ্ছে সাইকো সোমাটিক ফোর্স। শারীরিক, মনোদৈহিক একটা ব্যাপার।
আশীষ: ইলেক্ট্রনিক বায়োলজিক্যাল সাইকো ফিজিক্যাল ফোর্স।
ছফা: এবং এরই মধ্যে যেগুলি আছে, যেমন রিলিজিয়াস এক্সপিরিয়েন্স, আধ্যাত্মিক এক্সপিরিয়েন্স এগুলি এক ধরনের…যেমন বাউলরা প্রেমভাজা খায়, প্রেমভাজা মানে দুইজনের পায়খানা খায়। ফরহাদ তো এগুলি বলে না। এগুলিকে তারা বলে আধ্যাত্মিক এক্সপিরিয়েন্স। কিন্তু এখন বাস্তব জীবনে যেটা দেখা যায়, ফিজিক্সে যদি যাও, তো বস্তু আর ভাবের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব পাবে না। হায়ার ফিজিক্সে। বাউলরা যে জীবন যাপন করে, জীবনযাপনটা তারা একটা ধর্ম মনে করে।
রাইসু: আমার মনে হয় ছফা ভাই, এইখানে বাউলরা হইছে সবচেয়ে বড় এলিট।
ছফা: এলিটিজম হচ্ছে একটা জিনিস, যখন একটা অংশে নিজেদের আইডেনটিটি এসার্ট করতে করতে তারা মনে করে যে দে আর স্টে ফর সামথিং। বাউলদের এই যে সেকল্যুড মানসিকতা, এইটা আমি খুব অপছন্দ করি। দেখো, জৈনরা মনে করে সমস্ত বস্তুসত্তার মধ্যে প্রাণ আছে। এই কাঠটার মধ্যেও প্রাণ আছে। প্রাণের যে ভেরিয়েশন, সেটা হচ্ছে ডিগ্রি এবং স্টেজের। সেজন্য উর্দুতে একটা শের আছে : “সে মুক্তাতেও নেই, সে পাথরেও নেই, সে নানা বর্ণে দীপ্ত।”
রাইসু: এটারই উল্টা করে রবীন্দ্রনাথ বলতেছেন, তোমারই স্পর্শে পান্না হলো সবুজ।
ছফা: রবীন্দ্রনাথ এটা গ্যেটের সেকেন্ড পার্ট থেকে চুরি করেছে।
রাইসু: রবীন্দ্রনাথ তো তাইলে তো অত বড় মাপের কিছু ছিল না।
ছফা: এগজাক্টলি, এই যে বিভিন্ন জায়গা থেকে নিয়ে, তালি দেওয়ার যে ক্ষমতা এটাই মানুষকে বড় করে।
রাইসু: এইটা তো দামি কথা বললেন, ছফা ভাই।
ছফা: দামি কথা তো বলি, কিন্তু কারো মাথায় তো সান্ধায় না। আমরা একটা গিভেন পয়েন্ট অফ টাইমে বাস করছি। আজকে যে মানুষের জীবন, পাঁচ হাজার বছর আগের কোনো ইতিহাস নেই। পাঁচ হাজার বছর পরেও কোনো ইতিহাস থাকবে না।
{সাক্ষাৎকার নিয়েছেন: আশীষ খন্দকার, ব্রাত্য রাইসু, শাহ্রীয়ার রাসেল}
আহমদ ছফার লেখা পড়া অত্যন্ত জরুরী।বিশেষ করে তার রাজনৈতিক প্রবন্ধ গুলো অসাধারন।
যেমনঃ বাঙ্গালী মুসলমানের মন,মুজিব হত্যার নীল নক্সাঃ আমি যতটুকু জানি,ফারাক্কা ষড়যন্ত্রের নানা মাত্রা,মাদ্রাসা শিক্ষার কথা,বাংলাদেশের হিন্দু ও ইত্যাকার প্রসঙ্গ,শতবর্ষের ফেরারিঃ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ইত্যাদি।
তার লেখা পুষ্প বৃক্ষ বিহঙ্গ পুরাণ,যদ্যপি আমার গুরু,গাভী বিত্তান্ত,ওঙ্কার ইত্যাদি প্রায় তিরিশের অধিক।গ্যোতের ফাউস্ট কাব্যনাট্যের অনুবাদ তার অমর কীর্তি।
২০০১ সালের ২৮ শে জুলাই এই মহান ব্যাক্তিত্ব ঢাকায় মৃত্যুবরন করেন।তার জন্ম ৩০ শে জুন ১৯৪৩ চট্টগ্রামে।ছফা পরপারে চলে গেছেন কিন্তু নতুন সাহিত্যিকদের এক অনুসরনীয় দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন।আহমদ ছফার ব্যাপারে সবার আরো জানা উচিত।এরকম মানুষ বছরে বছরে জন্মায় না।হয়ত শত সহস্র বছর অপেক্ষা করতে হয় এক এক জন আহমদ ছফার জন্য।
সংযুক্তিঃ
অন্তর্জালে আহমদ ছফার এবং ছফাকে নিয়ে সব লেখার সংগ্রহ।
২৭ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৩:৩৫
মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ ।
২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৩:৪১
এস বাসার বলেছেন: পুষ্প বৃক্ষ বিহঙ্গ পুরাণ
আমার পড়া সেরাদের সেরা।
চমৎকার পোস্ট টি শোকেজে ঢুকে গেলো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২৭ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৩:৪৩
মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও।
৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৩:৪৪
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: অনেক কিছু জানার বাকী আছে। জানুম্নে!
Click This Link
২৭ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৩:৫০
মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: ক্লিক করলাম।
৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৪:০৭
সত্তা বলেছেন: বেশ ভালো লাগলো। দুঃখ হয় কারন আহমদ ছফা'র খবর রাখে এমন মানুষ খুব বেশি নাই। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে সমরেশ মজুমদার এর খবর যতজন রাখে তার সিকি ভাগ ও ছফা কে চেনে না
২৭ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৪:২২
মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: কথা সত্য।
৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৪:০৯
শিমুল আহমেদ বলেছেন: আহমদ ছফার নক্ষত্রের মৃত্যু বইটা পড়েছি ভাল লেগেছিল খুব। আহমদ ছফাকে আরো জানা হল। ধন্যবাদ পোস্টটির জন্য।
২৭ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৪:২৩
মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: নিহত নক্ষত্র। ধন্যবাদ আপনাকেও।
৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৪:১৪
পথ দার্শনিক বলেছেন: নেট থেকে বই ডাউনলোড করার লিনক দেন।
৩০ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৫:৫০
মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: নেটে আমি এখনো কোন লিঙ্ক পাইনি।
৭| ২৭ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৪:২০
অন্ধকার বলেছেন: চমৎকার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
সাথে দুষ্প্রাপ্য ছবির জন্য বিশেষ কৃতজ্ঞতা।
ওনার লেখা দুইটি বই ও ওনার উপর লেখা একটি বই জাগৃতি প্রকাশনী থেকে বেরিয়েছে।
১. রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক প্রবন্ধ
২. গো-হাকিম
৩. আহমদ ছফার চোখে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবি- মোহাম্মদ আমীন
২৭ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৪:২৫
মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: ছবিগুলো নেট থেকে সংগৃহীত।ধন্যবাদ যারা এগুলো তুলেছেন তাদের।
৮| ২৭ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৪:৪৯
েরজা , বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম
২৭ শে আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১১
মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ
৯| ২৭ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৫:৫৮
কাউসার রুশো বলেছেন: দুর্দান্ত পোস্ট , প্রিয়তে
২৭ শে আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৩
মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ।
১০| ২৭ শে আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০০
কাউসার রুশো বলেছেন: সময় পেলে একটু ক্লিকাইয়েন
শতবর্ষী মহান বিপ্লবী বিনোদ বিহারী চৌধুরী : একটি ইতিহাস বা গল্পের নায়ক
২৭ শে আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৪
মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: অবশ্যই। লিঙ্কের জন্য ধইন্যা।
১১| ২৭ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:২১
জিগ স বলেছেন: পথ দার্শনিক বলেছেন: নেট থেকে বই ডাউনলোড করার লিনক দেন।
২৭ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:২৯
মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: খুজে দেখি পাই কি না।
১২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:২৫
কবির চৌধুরী বলেছেন: "" দেশটা আমরা বাল ছেঁড়ার জন্যে স্বাধীন করেছি?""
২৭ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:২৭
মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: আমাদের হাজারটা হুমায়ুন আহমেদ,ইমদাদুল হক মিলন দরকার নেই।একজন আহমদ ছফা দরকার।
১৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:২৮
মাইক্রো বলেছেন: ধন্যবাদ
২৭ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:৩০
মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: আপনাকেও।
১৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:৩৪
কবির চৌধুরী বলেছেন: ভন্ডামী ছাড়া মানুষ ছিলেন
২৮ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১:৫৪
মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: হ্যা। সব লেখকদেরই তার মত হওয়া উচিত।
১৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১২:৫১
অগ্নিলা বলেছেন: পড়ে খুব ভাল লাগল।
নীলা নাকি সবার সয় না, এটাই হয়তো কারন আমরা এই লোকটাকে ধারন করতে পারি নাই!
২৮ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১:৫৫
মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
১৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১:১৫
আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন:
আহমদ ছফা বসদের বস , লেখকদের লেখক !
শ্রদ্ধা ।
২৮ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১:৫৫
মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
১৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ২:০৫
হমপগ্র বলেছেন: ওঙ্কার পড়ছেন কেউ...
মারাত্মক, মারাত্মক, মারাত্মক একটা উপন্যাসরে ভাই। একটানে শেষ করছিলাম।
২৮ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ২:১৩
মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: ওঙ্কার দিয়ে চলচ্চিত্র ও হয়েছে।।
১৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ৩:৪৫
ডলুপূত্র বলেছেন: জীবনে আহমদ ছফার সঙ্গে দুইবার কথা হয়েছে। তার কফিন বহনের সুযোগ হয়েছে। এটা আমার জীবনের বড় ও গুরুত্বপূর্ণ সঞ্চয়।
ওঙ্কার পড়ে মনে হয়েছিল- কত বিশাল আইডিয়া লুকিয়ে আছে এ প্রতীকবাদী উপন্যাসে।
পুষ্প বৃক্ষ বিহঙ্গ পুরাণ পড়ে মনে হয়েছিল- আত্মজৈবনিক ঘটনাকে কিভাবে অসাধারণ উপন্যাসে রূপ দেয়া যায়। দূর্ভাগ্য এখনও সলিমুল্লাহ খান অনুদিত এর ইংরেজি অনুবাদটি প্রকাশ পায়নি।
একজন আলী কেনানের উত্থান, গাভী বৃত্তান্ত, অলাতচক্র কোনটি রেখে কোনটি সেরা বলব?
ছফাই পারেন সিপাহী বিপ্লবকে উদ্ধার করতে, বলবান চিত্রকলাকে উন্মোচন করতে।
বুদ্ধি বৃত্তির নতুন বিন্যাস ও সাম্প্রতিক বিবেচনা ও বাঙালী মুসলমানের মন লেখার জন্যই ছফার জন্ম হয়েছিল।
২৮ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ৩:৫৫
মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: আপনি অনেক ভাগ্যবান।
"ছফাই পারেন সিপাহী বিপ্লবকে উদ্ধার করতে, বলবান চিত্রকলাকে উন্মোচন করতে।"
১৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০১০ ভোর ৪:১৮
সৈয়দ মবনু বলেছেন:
আহমদ ছফা: যার কলমে ছিলো অকমনীয় বিধ্বংসী আগুন
বাকী অংশ পড়তে ক্লিক করুন
Click This Link
২৮ শে আগস্ট, ২০১০ ভোর ৪:২১
মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: ক্লিকাইতেছি। ধন্যবাদ আপনাকে।
২০| ২৮ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১২:৩৪
জনৈক আরাফাত বলেছেন: সিম্পলি সুপার্ব!
২৮ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ২:৪০
মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ।
২১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১০ সকাল ১০:০৫
নুভান বলেছেন: প্রিয়তে +++
২৯ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৪:১১
মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ।
২২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১০ সকাল ১০:২৫
এস বাসার বলেছেন: আগে ও একবার কমেন্ট করেছিলাম, আবার আসলাম......
জানি না কে কি ভাবে, তবে আমি মনে করি এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সেরা লেখক আহমদ ছফা , শুধু লেখক বলছি কেন , অন্যতম সেরা দার্শনিক। তার বইয়ের প্রতিটি লাইন অনেক ভাবনার খোরাক জোগায়।
যদিও ওয়ান টাইম বলপেন লেখকদেরকে নিয়ে কত হইচই, কিন্তু সত্যিকার মানুষটির নামই হয়তো অনেকে জানেনা।
আমার ও জানার কথা ছিলোনা, কলেজে হুমায়ুন-টুমায়ুন নিয়েই পড়ে থাকতাম , একদিন পেপারে তাঁর একটা ইন্টারভিউ পড়লাম, ইন্টারভিউটাকেই আমার একটা উপন্যাস মনে হলো......... তরাপর তার কিছু বই পড়লাম, এখনো সব পড়া হইনি, আসলে সব বই কোথাও একসাথে পাওয়াই যায় না। অথচ আলতু-ফালতুদের বইয়ে লাইব্রেরী ঠাসা থাকে।
২৯ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৪:১৩
মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: আমি আপনার সাথে একমত। আহমদ ছফার মত সাহিত্যিক দরকার।
২৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৫২
রিজভী! বলেছেন: এই যে বিভিন্ন জায়গা থেকে নিয়ে, তালি দেওয়ার যে ক্ষমতা এটাই মানুষকে বড় করে।[/si
এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৩৭
মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ।
২৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ ভোর ৪:৩৭
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন: প্রিয়ায়িত! ছফা আমার খুব প্রিয়!
উনার আপোষ হীন চরিত্রটা বেশি প্রিয়!
ভালো থাকুন
ধন্যবাদ
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:২৭
মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনি ও ভাল থাকুন।
২৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:৩৬
মহাকালর্ষি বলেছেন: অশেষ কৃতজ্ঞতার সাথে প্রিয়তে!
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:২১
মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ।।
২৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:৩৯
মহাকালর্ষি বলেছেন: অশেষ কৃতজ্ঞতার সাথে প্রিয়তে!
২৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৪:৩০
সুমন অহেমদ বলেছেন: আহমদ সফার নিহত নক্ষত্রের কথা বললেন না!
নিহত নক্ষত্র পড়ে বারবার একটা নক্ষত্রের কথাই মনে পড়েছে এবং সেই নক্ষত্রটাই হচ্ছে "আহমদ সফা" নিজেই
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:২২
মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: ঠিক।।
২৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:৪৪
লিলি বিন্তে সো্লায়মান বলেছেন: পড়েছি 'যদ্যপি আমার গুরু'..। অসাধারণ...
পোষ্ট প্রিয়তে...
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:২৩
মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: যদ্যপি আমার গুরু সহ ছফার সব লেখাই অসাধারন পর্যায়ের।
২৯| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:২৯
বিপ্লবী স্বপ্ন বলেছেন: প্রিয়তে...
চুম্মা সহকারে পিলাছ…
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:২৪
মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: চুম্মা সহকারে ধইন্যবাদ।
৩০| ২০ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৫৭
আলোর মিছিল বলেছেন: দারুন লিখেছেন ভাই। আহমদ ছফার কথা অনেক শুনেছি। কিন্তু পড়া হয়নি। এইবার পড়ব ইনশাল্লাহ।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:২৫
মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: পড়লে ভাল লাগবে।
৩১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৫০
পুরাতাত্ত্বিকেরকলম বলেছেন: কয়েকটা লেখা ভাল তবে বাকিগুলো বিরক্তিকর।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:০৬
মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: আমার বিরক্তিকর মনে হয় নি।
৩২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৫৬
শুভ রহমান বলেছেন: আহমদ ছফা ... আহ ...
আমি ক্রমাগত ছফাসক্ত হয়ে যাচ্ছি। আমাদের হাজারটা হুমায়ুন দরকার নাই, একজন ছফাই যথেষ্ট...
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:০৭
মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: নতুন প্রজন্মের ছফাকে জানার ও বুঝার দরকার আছে।
৩৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১৬
ধ্রুবআলো বলেছেন: ভাল লিখেছেন
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৩:৩৩
রাজসোহান বলেছেন: দুর্দান্ত পোস্ট , প্রিয়তে