নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৈয়দ মূসা রেজা

সৈয়দ মূসা রেজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'লালা-ফুল সম দাগ-খাওয়া দিল...\'

১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৫৬






ইরানে বসন্তের ফুল টিউলিপ। নানা রঙের এ ফুলকে ফার্সিতে বলা হয় ‘গোলে ললে’ (گل لاله)। গানে একে ‘গুলে লালা’ বলেছেন নজরুল। তিনি লিখেছেন, ‘সাহারাতে ফুটল রে রঙিন গুলে লালা
সেই ফুলেরি খোশবুতে আজ দুনিয়া মাতোয়ালা।'

এ প্রেম সংগীতে 'গুলে লালা' বলতে নবীজিকে বুঝিয়েছেন – সে কথা গানের পরের পঙক্তিগুলোতে ব্যক্ত হয়েছে।
এ ছাড়া ‘বার্ষিক সওগাত’ কবিতায়ও গুলে 'লালা'র কথা বলা হয়েছে। নজরুল লিখেছেন,

‘লালা-ফুল সম দাগ-খাওয়া দিল, নার্গিস-ফুলি আঁখ,
ইস্পাহানির হেনা-মাখা হাত, পাতলি কাঁখ!’

'লালা-ফুল সম দাগ-খাওয়া দিল' বলতে কি নজরুল প্রেম কাতর হৃদয়ের প্রতি ইংগিত করেছেন! এ দিকে, কাব্যের প্রয়োজনে ওমর খৈয়ামের ভূমি নিশাপুরকে একই ভাবে 'নৈশাপুর' লিখতে দ্বিধা করেন নি নজরুল। একই কবিতায় তিনি লিখেছেন,

‘নৈশাপুরের গুলবদনির চিবুক গালের টোল,
রাঙা লেড়কির ভাঙা ভাঙা হাসি, শিরীন শিরীন বোল।
সুরমা-কাজল স্তাম্বুলি চোখ, বসোরা গুলের লালি,
নব বোগাদাদি আলিফ-লায়লা, শাজাদি জুলফ-ওয়ালি।’

আরও কবিতায় হয়ত নজরুল 'গুলে লালা'র কথা বলছেন। তবে আপাতত মনে পড়ছে না।

বসন্তের তেহরানের অনেক জায়গায়ই দেখা যায় নজরুলের 'গুলে লালা' বা টিউলিপের বর্ণময় সমারোহ। বাসার কাছের একটা পার্কে কয়েক বছর আগে টিউলিপ বোনা হয়েছিল। গোটা পার্ক হেসে উঠেছিল ফুলের শোভায়।

অনেক দূর থেকে লোকজন সপরিবারে এসেছেন ফুলের সৌন্দর্য-মুখরিত পার্ক দেখতে। অনেকেই ফুলের পাশে দাঁড়িয়ে পরিবার পরিজন বা প্রিয়জনকে নিয়ে সেলফি তুলেছেন। কেউ কেউ ছবি তুলেছেন।

এক শুক্রবার সকালে আমি ফুলের কিছু ছবি তুলি। অপেক্ষার সময়কে সহনীয় করার জন্য তুলছিলাম ছবি । অপেক্ষায় ছিলাম একটা গুরুত্বপূর্ণ খবরের। পার্কে আমার সঙ্গে ছিল বড় ছেলে রাইয়ান।

আজ হঠাৎ পুরানো একটা হার্ড ড্রাইভে দেখা মিলল এ ছবির।

(যন্ত্র:নাইকন ডি ৫২০০, আইএসও: ৪০০, স্পিড:১/১২৫, এফ: ১৩, লেন্স: ৫৫-২০০)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.