নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুহাম্মদ মুশফিকুর রহমান

মুহাম্মদ মুশফিকুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাপ মোচন

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:২০

আমাদের সমাজটাকে কোন নির্দিষ্ট শিরোনাম দেয়া যায় না। আপনি আমি অনেক ভেবেচিন্তে একটা শিরোনাম দাড় করালে দেখা যাবে কালই এর যথার্থতা হারিয়ে গেছে। আমাদের সবার, মানে ব্যাক্তি এবং সমাজের ক্ষেত্রে রিভার্স শব্দটি বেশ যুতসই। যে বিষয়টি চর্চার ক্ষেত্রে আমরা প্রতিযোগিতা করি তা হলো পোল্টিবাজি। একটা কথা খুব যায় আমাদের সঙ্গে, নিজের মেয়ে তো রাজরানী আর পরের মেয়ে চাকরাণী। অন্য দের কথা না হয় বাদই দিলাম, আমাদের পূর্বাপর জ্ঞানী ব্যাক্তিদের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ কি নজরুল বলেন, বাঙালি জাতিকে তুলোধুনো করেছেন সবাই। বাঙ্গাল বলে তো আমরা নিজেরাই নিজেদের গালি দেই। পৃথিবীর ছোটবড় সব জাতী গোষ্ঠী নিজেদের জাত নিয়ে গর্ববোধ করে থাকে। আর আমরা একটা গান্ধা জাতী! কি নিয়ে গর্ববোধ করি আমরা? কিছু দিবস? কোন দিবস সার্থক বলতে পারবেন? থাক এই দিকে আর কথা না বাড়াই। শেষে পান্ডিত্য দেখাতে গিয়ে রাজদ্রোহী আখ্যা পাবার সম্ভাবনা আছে।
কিছু দক্ষতাও আছে আমাদের। দোষারোপ করার অতিমাত্রার দক্ষতা। সরকারকে দোষারোপ করাতো শুধু মুহুর্তের ব্যাপার মাত্র। মালয়েশিয়ার উন্নতির জন্য আমরা পুরো ক্রেডিট ড. মাহাথির মোহাম্মদকে দিয়ে দিই। আর আফসোস করি কেন সৃস্টিকর্তা আমাদেরও একজন ফেরেশতা পাঠান না দেশ পরিচালনার জন্য। অথচ মাহাথির উন্নতির একটাই প্রধান কারন চিহ্নিত করেন-প্রাইভেট সেক্টর অর্থাৎ ব্যাক্তিগত উদ্যোগ। অথচ চাকুরিই আমাদের একমাত্র জন্মগত ডিজায়ার। সবাই সরকারি চাকুরে হবেন। সরকারি কর্তা/কর্মচারী হবেন। তাহলে প্রজা হবেন কে? নোংরা রাজনীতিকে দায়ি করি উন্নতির ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা হিসেবে। দেখুন প্রথমত রাজনীতিকে বলি নোংরা। আসলেই কি রাজনীতি নোংরা? না কি আমরাই নোংরা। আমি আপনি কি ট্রিকি নই? আমাদের ছোটখাটো দাবী পুরন করতে আমরা কি মিথ্যা কিংবা অসততার আশ্রয় নেই না। মূলত যতসব প্রতিবন্ধকতার দোহাই আমরা দিয়ে থাকি, ঐ সবকিছুই আমাদের অভ্যাস আর আচরণের সমষ্টি। একটা একটা কারখানা যেমন টোটাল দূষণের সমষ্টি। ঠিক তেমনি আমাদের কোটি মানুষের আপাতদৃষ্টিতে ছোট-ছোট নানাবিধ অবৈধ কাজ, অসচেতনতার বিষবাষ্পে এই সব প্রতিবন্ধকতা নামক নিয়মিত অনিয়মিত দুর্যোগের সৃষ্টি। ভালো খারাপ যেকোনো কাজের প্রভাব নির্দিষ্ট সাইকেলে আবর্তিত হয়।
আসুন থুতু উপরে না ছুড়ে নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলি। নিজেদের নুতন করে গড়ি। আচরণ, দৃষ্টিভঙ্গিতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন ঘটাই। উদ্যোগী হই। পরিবর্তনশীলতার মাত্রা শুন্যের কোঠায় নামাতে চেষ্টা করি প্রতিটি ক্ষেত্রে। নোংরা অপ্রয়োজনীয় আড্ডাবাজী না করে অন্যান্য উন্নত জাতির মতো পড়ুয়া জাতি হই। প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে চা, সিগারেট, ডেট, কিংবা পার্টি না দিয়ে ঐ টাকায় বরং বই কিনি। নিজে পড়ি, অপরকে পড়াই। জোর করে হলেও পড়াই। জানি আপনার আমার বেশ কষ্ট হবে শুরুতে। ইংরেজরা বাংঙালিদের মতো পেটুকদেরও কিন্তু চায়ের মতো অতি অল্প পানিয়তে তুষ্ট করতে পেরেছে, আসক্ত করতে পেরেছে। বই পড়ার আসক্তিতো আরও প্রবল। হোকনা একটা প্রেমের উপন্যাস। তাও তরুনদের সেটা পড়তে দিন। বয়স্কদের ভ্রমন কিংবা হাই থটিক বই পড়তে দিন। বই পড়ার অভ্যাস হওয়া দিয়ে কথা। ভালো কাজে ট্রিকি হতে সমস্যা নেই। কেন শোনেননি? যুদ্ধ আর প্রেমের কোনো রুল নেই! দেখবেন ফেসবুকে বিখ্যাত সব উদ্ধৃতির কিংবা কোনো গল্প উপন্যাস, বইয়ের কথা নিয়ে স্ট্যাটাসের ছড়াছড়ি। মা বোনেরা সন্ধার পরে আর সিরিয়াল দেখার সময়ই পান না। কারণ পাশের বাসার ভাবিটা শুনেছি বইটা কবেই পড়ে ফেলেছেন।
আসুন সততা, স্পষ্টবাদিতা, ক্ষমাশীলতা, আনুগত্য, দায়িত্ব - কর্তব্যবোধ, ব্যাক্তিত্ব, কর্ম, জবাবদিহিতা, সচেতনতা, সহনশীলতার সমন্বয়ে আমি আপনি সবাই মিলে একটা সত্যিকারের শক্তিশালী জাতী হিসেবে মাথা উচু করে দাড়াই।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:২০

দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: । অন্য দের কথা না হয় বাদই দিলাম, আমাদের পূর্বাপর জ্ঞানী ব্যাক্তিদের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ কি নজরুল বলেন, বাঙালি জাতিকে তুলোধুনো করেছেন সবাই। বাঙ্গাল বলে তো আমরা নিজেরাই নিজেদের গালি দেই। পৃথিবীর ছোটবড় সব জাতী গোষ্ঠী নিজেদের জাত নিয়ে গর্ববোধ করে থাকে। আর আমরা একটা গান্ধা জাতী! কি নিয়ে গর্ববোধ করি আমরা? কিছু দিবস? কোন দিবস সার্থক বলতে পারবেন? থাক এই দিকে আর কথা না বাড়াই। শেষে পান্ডিত্য দেখাতে গিয়ে রাজদ্রোহী আখ্যা পাবার সম্ভাবনা আছে।

এ জায়গাটি তে হয়ত একটু খটকা আছে।তবে পুরো লেখা বাস্তবতার উপর ভিত্তি করে।ধন্যবাদ,
আপনার এই লেখায় প্রমথ চৌধুরীর ছাপ রয়েছে।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:০৯

মুহাম্মদ মুশফিকুর রহমান বলেছেন: অসংখ ধন্যবাদ এমন ইনসপায়ারিং মন্তব্যের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.