![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লন্ডনে সেনা হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে একটি মসজিদ পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। নর্থ লন্ডনের মাসওয়েল হিল এলাকায় বুধবার গভীর রাতে অগ্নিকান্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে একটি মসজিদ। মসজিদের অভ্যন্তরে একটি দেয়ালে স্প্রে দিয়ে ‘ইডিএল’ (ইংলিশ ডিফেন্স লীগ) লেখা পাওয়া গেছে। সম্প্রতি উলউইচ এলাকায় সেনা সদস্য লি রাগবি হত্যার প্রতিশোধ হিসাবে এই অগ্নিকান্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ। তবে ইডিএল বিষয়টি অস্বীকার করেছে। মেট্রোপলিটন পুলিশের সন্ত্রাস বিরোধী ইউনিট ঘটনাটি তদন্ত করছে।
স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড অগ্নিকান্ডের ঘটনাটিকে প্রাথমিকভাবে ‘সন্দেহজনক’ বলে বর্ণনা করেছে। অগ্নিকান্ডে কেউ হতাহত হয়নি তবে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ায় অ্যাম্বুলেন্স কর্মীরা প্রতিবেশী এক মহিলাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন। বুধবার রাত সোয়া তিনটার দিকে স্থানীয় কপেট রোডে অবস্থিত সোমালি ব্রাভানিজ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন থেকে অগ্নি নির্বাপক দলকে খবর দেয়া হয়। ছয়টি ফায়ার ইঞ্জিন ও ৩৫ জন দমকল কর্মী ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দেড় ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু ততক্ষণে আল-রহমা ইসলামিক সেন্টার এন্ড মসজিদের দু’তলা ভবন আগুনে পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। প্রতিবেশীরা রাত তিনটা থেকে চারটার মধ্যে যে কোনো একটি সময়ে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনেছেন বলে জানিয়েছেন ।
স্থানীয় সোমালি কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা এ ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় সকলকে ‘শান্তি’ বজায় রাখার আহবান জানিয়েছেন। সোমালি কমিউনিটির মুখপাত্র আবু বকর আলী বিবিসি-কে বলেছেন, সোমালি কমিউনিটি ভীত ও সন্ত্রস্ত। বিরাজমান পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর। এই ঘটনায় আমরা সবাই শোকাহত। ইসলামিক সেন্টারটির উপর হামলার ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা প্রকাশ করছি। স্থানীয় এমপি তেরেসা ভিলিয়ার্স এই ধরণের হেইট ক্রাইমকে অত্যন্ত গর্হিত উল্লেখ করে বলেন, এই হামলা কেবল মুসলিম কমিউনিটির উপর হামলা নয়, এই হামলা আমাদের সকলের উপর এবং আমাদের মূল্যবোধের উপর। লন্ডন মেয়র বরিস জনসন বলেছেন, লন্ডনের মতো একটি উন্মুক্ত, সহনশীল এবং বহুমাত্রিক শহরে ঘৃণা ছড়ানো, নিজস্ব সংস্কার প্রতিষ্ঠা কিংবা সন্ত্রাসের কোনো স্থান নেই। তিনি এই ঘটনায় স্থানীয় মুসলিম কমিউনিটির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন। পুলিশের বারা চীফ আদ্রিয়ানো অশার বলেছেন, সকল কমিউনিটি আমাদের সহযোগিতা পাবেন। প্রয়োজনে যে কেউ ব্যাক্তিগতভাবেও আমার সাথে সাহায্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন।
এদিকে, ডিফেন্স লীগের এক নেতা টমি রবিনসন বলেছেন, মসজিদ পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় আমরা দু:খিত। তিনি বলেন, মসজিদের দেয়ালে ইডিএল লেখা থাকার জন্য আমাদেরকে দোষ দেওয়া যায় না। এই ঘটনা অন্য কেউও ঘটিয়ে থাকতে পারে। উল্লেখ্য, ফেইট মেটার্স এর তথ্য মতে গত দুই সপ্তাহ আগে বৃটিশ সেনা লি রাগবি নিহত হবার পর বৃটেনে ২২২ টি মুসলিম বিদ্বেষী ঘটনা ও ১২ টি মসজিদে হামলা চালানো হয়েছে।
©somewhere in net ltd.