![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রশ্ন (১) ঃ মাযহাবী আলিমগণ বলেন যে, আমরা মাযহাবকে ধর্ম অর্থে ব্যবহার করি না বরং মতামত অর্থে ব্যবহার করে থাকি। যেমন, উযুর বিষয়ে ইমাম আবু হানিফার মত অর্থাৎ মাযহাব হচ্ছে উযুর ফরজ চারটি।
উত্তর ঃ যদি মাযহাবকে মতামত অর্থে ব্যবহার করা হয় তাহলে মাযহাব চারটির মধ্যে সীমাবদ্ধ কেন? পূর্ববর্তী ইমাম কি চারজন? না, অনেক ইমাম রয়েছেন। যেমন- (১) ইমাম আওযায়ী (২) ইমাম মালেক (৩) ইমাম শাফেয়ী (৪) ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (৫) ইমাম বুখারী (৬) ইমাম মুসলিম (৭) ইমাম তিরমিযী (৮) ইমাম নাসায়ী (৯) ইমাম বায়হাকী (১০) ইমাম ইবনে হাজর (১১) ইমাম যুহুরী (১২) ইমাম আযযাহাবী (১৩) ইমাম ইবনে তাইমিয়া (১৪) ইমাম ইবনুল কাইয়ুম (১৫) ইমাম ইবনে কাসীর (১৬) ইমাম কুরতুবী (১৭) ইমাম হাকেম (১৮) ইমাম ইবনে জারীর (১৯) ইমাম শওকানী প্রমূখ। এই সকল ইমামগণ ইসলামের বিভিন্ন হুকুমের েেত্র একেক জন একেক মতামত দিয়েছেন। তাই মাযহাবকে মতামত অর্থে ব্যবহার করলে একথাও স্বীকার করতে হবে যে, শতাধিক মাযহাব (মতামত) রয়েছে।
এেেত্র আমি বলতে চাই যে, নিঃসন্দেহে মাযহাবী আলেমগণ জনসাধারণকে ধোঁকা দেয়ার জন্যই মাযহাবের অর্থ মতামত করেছে। মোটেই তারা মাযহাবকে মতামত অর্থে ব্যবহার করে না। যদি তাই হত তাহলে তারা বলত না মাযহাব চারটির মধ্যে সীমাবদ্ধ। যে কোন এক মাযহাবের অনুসরণ ওয়াজীব।
এই সকল মাযহাবীগণ মাযহাবকে চারটির মধ্যে সীমাবদ্ধ করে অবশিষ্ট সকল ইমামগণের মাযহাবকে অস্বীকার করেছে।
প্রশ্ন (২) ঃ ইমাম বুখারী, নাসাঈ, মুসলিম, তিরমিযি, আওযায়ী, যুহরী, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ্ প্রমূখ ইমামগণ সকলেই চার মাযহাবের কোন এক মাযহাবে ছিলেন। এসকল ইমামগণের পে চার মাযহাবের বাইরে গিয়ে কোন ফাতওয়া দেয়া সম্ভব ছিলো না।
উত্তর ঃ এ কথাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। কারণ, ভারত বর্ষের হানাফী আলেমগণের শিরোমনি শাহ্ ওয়ালিউল্লাহ্ মুহাদ্দিসে দেহ্লভী তাঁর রচিত “আল-ইনসাফ ফী বায়ানি আসবাবিল ইখতিলাফ” (বাংলায় অনূদিত মতবিরোধপূর্ণ বিষয়ে সঠিক পন্থা অবলম্বনের উপায়) গ্রন্থে অধ্যায় ঃ ৯, তাকলীদ-এ উল্লেখ করেছেন- “প্রথম ২০০ হিজরীর আগে নির্দিষ্ট কোন মাযহাবের তাক্বলীদ করার প্রচলন ছিল না। বরং এসব ফিক্বহী গ্রন্থাবলী পরে রচিত হয়েছে” এবং তাঁর রচিত হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ্ গ্রন্থে লিখেছেন ৪০০ হিজরীর আগে নির্দিষ্ট কোন মাযহাবের তাক্বলীদ করা হত না। আর এ সকল ইমামগণ ৪০০হিজরীর আগেই মারা গিয়েছেন। তাহলে কিভাবে সম্ভব তাদের এই চার মাযহাবের অনুসরণ করা ? অতএব বুঝা গেল যে, এ সকল ইমামদের নামে মাযহাব অনুসরণের দাবী করা তাঁদের প্রতি মিথ্যা অপবাদ ছাড়া অন্য কিছু নয়।
©somewhere in net ltd.