নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

We need to be a Perfect Muslim.

মুসলিম উম্মাহ

একজন মুসলিম

মুসলিম উম্মাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাফির বলার শর্তসমূহ .......................

২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৮

কাফির বলার শর্তসমূহ .......................

এই বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আবু হুরাইরাহ্ (রা.) হতে বর্ণিত,

“রসূল (দ.) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন লোককে কাফির অথবা আল্লাহর শত্র“ বলবে অথচ সে তা নয়, তাহলে বিষয়টি তার দিকে ফিরে যাবে (অর্থাৎ যে ব্যক্তি বলেছে সে ব্যক্তিই কাফির বা আল্লাহর শত্র“ হবে)।” -বুখারী, অধ্যায় ঃ ৭৮, কিতাবুল আদাব, অনুচ্ছেদ ঃ ৭৩, কেউ তার মুসলিম ভাইকে অকারণে কাফির বললে সে নিজেই তা যা সে বলেছে, হাদিস # ৬১০৩।

তাই কাফির বলার কিছু শর্ত রয়েছে। এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, “তোমার রব কোন জনপদ ধ্বংস করেন না, রসূল না পাঠানো পর্যন্ত।” -সূরা কাসাস (২৮), ৫৯।

আল্লাহ আরও বলেন- “আল্লাহ কাউকে শাস্তি দেন না, রসূল না পাঠানো পর্যন্ত।” -সূরা বনী ইসরাঈল (১৭), ১৫

“এটা এজন্য যে, তোমার রব কোন জনপদ ধ্বংস করেন না অন্যায় ভাবে, যখন তার অধিবাসীরা বে-খবর।” -সূরা আনআম (৬), ১৩১।

“আমি কোন জনপদই ধ্বংস করিনি যার জন্যে সতর্ককারী ছিল না।” -সূরা আশ-শুয়ারা (২৬), ২০৮

চারটি আয়াত থেকে যা বুঝা গেল, মহান আল্লাহ কোন এলাকা ধ্বংস করার এবং কোন ব্যক্তিকে শাস্তি দেয়ার শর্ত হিসেবে বলেছেন যে, তাদের কাছে আগে রসূল পাঠিয়ে সর্তক করবেন।

তাহলে বুঝা গেল কোন ব্যক্তি না জেনে কোন কুফরী কাজও করে থাকে আল্লাহ শাস্তি দিবেন না। এই কথা থেকে আরও বুঝা গেল যে, যদি ঐ ব্যক্তিকে শাস্তি না দেওয়া হয় তাহলে তাকে কাফিরও বলা যাবে না। কারণ কাফিরের শাস্তি হবেই।
আবু হুরাইরাহ্ হতে বর্ণিত,

“রসূলুল্লাহ্ (দ.) বলেছেন, ঐ সত্ত্বার শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ রয়েছে এই উম্মাতের কোন ইয়াহুদী বা নাসারা আমার কথা শুনে আমার আনীত বিষয়সমূহের প্রতি ঈমান না এনে মৃত্যু বরণ করলে সে জাহান্নামের অধিবাসী হবে।” -মুসলিম, অধ্যায়, ঃ ১, কিতাবুল ঈমান, অনুচ্ছেদ ঃ ৭০, সকল মানুষের জন্য আমাদের নাবী মুহাম্মাদ (দ.) প্রেরিত হয়েছেন এবং অন্যান্য সকল দ্বীন তাঁর দ্বীনের মাধ্যমে রহিত হয়ে গেছে এ কথার উপর বিশ্বাস করা ওয়াজিব, হাদিস # ২৪০/১৫৩।

এই হাদিসটির প্রতি গভীরভাবে লক্ষ্য করুন। যদি কোন ইয়াহুদী, নাসারা নাবী (দ.)-এর কথা শুনল অতঃপর ঈমান আনলো না তাহলে সে জাহান্নামী। অর্থাৎ জাহান্নামী হওয়ার শর্ত হচ্ছে, সত্য খবরটি পৌঁছতে হবে। হাদিসটি থেকে একথাও বুঝা যাচ্ছে যে, যার কাছে সত্য পৌঁছাবে না তাকে আল্লাহ শাস্তি দিবেন না। মহান আল্লাহ বলেন,

“....তোমার রব কারও প্রতি যুলুম করেন না।” -সূরা কাহাফ (১৮), ৪৯।

এখন যদি কারও কাছে সত্য না পৌঁছানোর পরও তাকে শাস্তি দেওয়া হয় তাহলে অবশ্যই যুলুম হবে। অতএব, কেউ না জেনে, ভুলক্রমে শিরক্ অথবা কুফুরি করলে গুনাহ্গার হবে না।

বিঃ দ্রঃ এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে লেখকের রচিত “কাফির বলার প্রয়োজনীয়তা ও নিয়ম” বইটি পাঠ করুন।

শিক্ষাঃ
(১) কাফির বলার কিছু শর্ত রয়েছে।
(২) কোন ব্যক্তি না জেনে কোন অন্যায় করলে তাকে অপরাধী বলা যাবে না, যদিও সে অন্যায়টি কুফরি হয়।
(৩) যে ব্যক্তির কাছে সত্য পৌঁছানোর পরও তা অস্বীকার করবে সে কাফির।

বইয়ের নাম: আমাদের মাযহাব কি বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত
লেখক: মুহাম্মাদ ইকবাল বিন ফাখরুল ইসলাম
ডাউনলোড করতে ভিজিট করুন : http://www.downloadquransoftware.com

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৮

খেলাঘর বলেছেন:

আপনার লেখানুসার আপনাকে কাফির মনে হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.