নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দৃষ্টির সীমানায় (মুস্তাফিজুর রহমান)

দৃষ্টির সীমানায়

দৃষ্টির সীমানায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিছু উত্তর খুজঁতে হয়না।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:০৩



নীল পাঞ্জাবী পরে দাঁড়িয়েছি চত্তরের সামনে অনেক সময় ধরে,
গোলাপের পাপড়িগুলো রোদে শুটকি হয়ে যাচ্ছিলো বলে পকেটে স্বযত্নে রাখলাম।
কোন ভাবেই নষ্ট হতে দেয়া যাবে না।
এটা দিয়েই আজ প্রপোজ করতে যাচ্ছি মেঘাকে।
কিছুটা আনমনা আমি,যথেষ্ট দূর্ভাবনার চিহ্ন গম্ভীর মুখে।
মিনিট দশেক পর গুটিগুটি পায়ে তার হেঁটে আসা দেখে আনন্দিত হলেও, বাহিরে প্রকাশ করলাম না।
গম্ভীরতা ধরে রাখার বৃথাই চেষ্টা করে বললাম,
আয়।
পার্ক ক্যান্টিনে মুখোমুখি বসলাম,
কিছু জিজ্ঞাস না করতেই মুখ খুলে গেল তার।
চক্ষু বিস্ফারিত বলল,
এতো উদাসী কেন?
-নাতো?
আসলেই?
দ্বিধান্বিত হয়ে গেলাম,আসলেই কি উদাসী ছিলাম!!
এমনই হচ্ছে ইদানীংকাল।
কোন প্রশ্ন দ্বিতীয়বার বললে গুলিয়ে ফেলি,সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত হয়ে যাই।
ভুলু রোগে ভুগছি।
এ রোগ সব ভুলিয়ে দেয়,মাঝেমধ্যে নিজেকেই ভুলিয়ে দেয়।
নিজের অস্তিত্ব, নিজের চিন্তা অথবা নিজের লক্ষ সব।
তখন লক্ষহীন কোন কিছুর জন্য অস্থিরতা চলে আসে,
অস্থিরতার কারণ থাকে অজানা।
অস্থিরসংকল্প কিছু সময় এসেই আবার উধাও হয়ে যায়,
তখন অস্থিরসংকল্পর জন্য দ্বিধান্বিত হতে হয়।
সৃষ্টি হয় দোদুল্যমান অবস্থা, এটাই বিপদজনক।
দূরদর্শিতা অথবা স্বপ্ন দেখার ক্ষমতা না থাকলে এখানেই সব কিছু থামিয়ে দেয় এই রোগ।
ফলাফল কোন মৃত্যুর পথ বেছে নেয়া।

সত্য করে বলতো কি হয়েছে তোর?চোখে কালধারা।
অনিয়মিতভাবে শ্বাস প্রশ্বাস অনেক কিছুই বুঝায়।
এবারও গম্ভীরস্বর রেখেই বললাম,
-ঠিক আছি।
আমার উত্তর তাকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি,মুখ দেখেই বুঝে গেলাম।
নিশ্চুপ তার দিকে তাকিয়ে বলে উঠলাম,
আসলে....
আমার পথ হারিয়ে গেছে,
কোন এক মাঠ চিরে তৈরি পথে।
হতাশা যেখানটায় অবস্থান করে।
যেখানে আলোতে অন্ধকার দেখা যায় কিন্তু অন্ধকারে কখনোই আলো দেখা দেয় না।
-কি বলছিস? মাথামুন্ডুহীন!!
অনেক কিছু ভাবছি এলোমেলো,
নিজের অজানাতেই।
প্রতিটা পদক্ষেপ এর আগেই আমাদের ভাবতে হয়।
এই পদক্ষেপ স্থান কি নিরাপদ,
নাকি তলিয়ে নিয়ে যাবে অথৈ গভীরখাদে।
যেখানে বাইরের চিৎকার শুনা যায়,কিন্তু ভিতরের হাজার আহাজারি চিৎকার বেরিয়ে আসে না।

উফ!!!
আর পারা যায় না,অসহ্য কিছু বললে বল না হয় উঠালাম আমি।
বলেই উঠে দাড়াঁল সে।
আমিও উঠে দাড়াঁলাম গোলাপটা পকেট থেকে আর বের করা হলো না।
পথে এসে বললাম হতাশার পথে এক সাথে হাটি কিছু সময়?
কিছু বলল না,
লাজুকলতার মত হাত ধরে একটু হাসি দিল।
হাসির অর্থ বুঝলাম না।
কি দরকার!!
সব কিছু বুঝতেও হয় না।
কিছু উত্তর খুঁজতে হয় না। কিছু সময় ভাবতে হয় না।
কিছু সময় অন্ধর মতই চলতে হয়।
শুধুই স্বপ্নে বিশ্বাস রেখে,স্বপ্ন জিইয়ে রেখে।
....
ছবি : সংগ্রহীত

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:৪৭

কল্লোল পথিক বলেছেন: কিছু স্বপ্ন এভাবেই চাপা পড়ে রয়।
চমৎকার লিখেছেন।
শুভ কামনা জানবেন।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৫

দৃষ্টির সীমানায় বলেছেন: স্রোতের অনুকূলে চলা আর কি,
ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.