প্রতিটি দিনের শুরু হোক পবিত্র কোরআনের তেলাওয়াতের মাধ্যমে

২৯ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৫

রাতের আঁধার পেছনে ফেলে ধরায় নামে সোনালী ভোর। স্নিগ্ধ, সৌম্য,শান্ত, নীরব-নিথর প্রকৃতি পাপড়ি মেলে আর ক্ষণেক্ষণে মহান রবের মহিমা ঘোষণা করে।দূর মসজিদ থেকে কাপা-কাঁপা মধুর সূরে ভেসে আসে আযানের ধ্বনি। সুমিষ্ট এই আহ্বান কর্ণে প্রবেশ করা মাত্র আরাম-আয়েশের বিছানা ছেড়ে পাক সাফ হয়ে মসজিদ পানে ছুটে আল্লাহ প্রেমী মানুষ। ভিতর বাড়ি জেগে উঠে সহাস্য। বৃদ্ধা , যুবতী এমনকি শিশু পর্যন্ত ঐশী আহ্বানে জড়ো হয় জায়নামাজে। সৃষ্টিকর্তার পায়ে নিজের সর্বস্ব বিলীন করার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মেতে উঠে সবাই । ভোরের আলো তাঁর রহমতের বার্তা নিয়ে আসার সাথে সাথে কুরআনের সুমধুর ধ্বনি ভেসে আসতে শুরু করে ইথারে । যেন এই ডাকের অপেক্ষায় থাকে গাছ-গাছালি , পাখ-পাখালি সবাই। সুমধুর এই কলতানে আনন্দে মেতে উঠে পৃথিবী একসাথে । ভোরের নির্মল শীতল ঠান্ডা হাওয়ার মত প্রকৃতিতে নতুন ছোঁয়া দিয়ে যায় তেলাওয়াতে কোরআন। তেলাওয়াতের মাধুর্যতা, স্বাদ আর রসে মাতাল হয় সকল কোরআন প্রেমী। ভোরের নতুন সুর্যের মত আমাদের জীবনের প্রতিটা নতুন ভোর ভরে উঠবে কোরানের আলোয় আলোকময় এটা কোরানের আহ্বান। ভোরের পাখি, নদীর ঢেউ, বিহঙ্গের ঘুম ভাঙবে সম্মিলিত কোরআনের আহ্বানে। প্রতিটি মানবের দিনের শুরু হবে কোরআনের মধুময় তেলাওয়াতের মাধ্যমে। যার জন্য প্রয়োজন উত্তম রূপে তেলাওয়াত শিক্ষা। পবিত্র কোরআন খুব ভালোভাবে সুন্দর ও শুদ্ধ উচ্চারণে তেলাওয়াত করা শিখতে হবে। পাশাপাশি কোরআনের আয়াতুগলোর অর্থ ভালোভাবে বুঝতে ও হৃদয়ঙ্গম করতে হবে এবং পবিত্র কোরআনের হাফেজ হওয়াও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পবিত্র কোরআনের হাফেজ হলে বার বার আয়াতগুলো তেলাওয়াতের মাধ্যমে এ ঐশী মহাগ্রন্থের সাথে প্রেম ও ভালবাসা স্থায়িত্ব পাবে।মসজিদে , মক্তব মাদ্রাসায় বাড়ীতে বাড়ীতে সবাই যখন মেতে উঠবে তেলাওয়াতে তখন শিশু কিশোরের জন্য ভোর হয়ে উঠবে আলোকময় জীবনের পাথেয় । তেলাওয়াত কারী পাবে মনের সীমাহীন প্রফুল্লতা ও নির্মল আনন্দ। আল্লাহর কাছে পাবে অফুরন্ত নেকী ও নেয়ামত । প্রতিদিন আমাদের দিনের সূর্য উদিত হোক তেলাওয়াতে কোরআনের মাধ্যমে । এজন্য প্রয়োজন সুনিদৃষ্ট পরিকল্পনা, দৃঢ় সংকল্প, আল্লাহর দরবারে রোনাজারি। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে অধিকহারে কোরআন তেলাওয়াত করে দোজাহানের কামিয়াবি হাসিল করার তাওফিক দান করুন। আমীন।

০ টি +০/-০