![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কোরআনে আল্লাহ ইবাদত সমাপ্ত হওয়ার পর রিজিকের সন্ধানে জমিনে ছড়িয়ে পরার কথা বলেছেন। হালাল উপার্যন অনুসন্ধান করা আল্লাহর নির্দেশ ও সকল নবীদের সুন্নত। আল্লাহর রাসুল বলেন যে দেহে হারাম উৎপন্ন গোশত রয়েছে তা জান্নাতে প্রবেশ করবেনা, হালাল অনুসন্ধান করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ। তিনি আরো বলেন "নিশ্চই আল্লাহ পবিত্র ও পবিত্র বস্তুকেই কবুল করেন" । অপবিত্র উপার্যন বরকতকে দূরীভূত করে দেয় ফলে জীবনে দুনিয়াবি নানা রোগ-বালাই, সমস্যা পেরেশানি লেগে থাকে। অতৃপ্তি জীবনকে গ্রাস করে ফেলে এতে করে ইবাদতে আকর্ষণ কমে যায়। ইসলাম অলসতা, অকর্মণ্যতাকে ঘৃণা করে। ঘৃণা করে অসত্যকে। সততা, পরিশ্রম ইসলামের স্বকীয় সৌন্দর্য। কাজের কোন ছোট বড় নেই। হালাল উপার্যনের জন্য যে কোন কাজই ইসলামে দামি বলে বিবেচিত হয়। উপার্যন হালাল হওয়ার প্রথম শর্ত হলো কাজ হালাল হওয়া। ইসলাম অসমর্থিত কোন কাজে জরিত হয়ে হালাল উপার্জনের আশা করা নিজেকে প্রতারণা করার শামিল। অনৈতিক অন্যায় ও অসৎ পন্থানুসরণের কারনে অনেক সময় হালাল কাজের উপার্যনও হারাম হয়ে যায়। হারাম উপার্যনে বরকতের আশা করা বোকামি। আল্লাহ কোর'আনে এরশাদ করেন " হে মানব মন্ডলি তোমরা খাও পৃথিবীতে যাকিছু হালাল ও পবিত্র খাদ্য রয়েছে। এবং তোমরা শয়তানের অনুসরণ করো না। নিঃসন্দেহে সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। যে উপার্যনে বরকত থাকবেনা, আল্লাহ রাসুলের রেজামন্দি ও দেখানো শেখানো পথ ও পদ্ধতিতে হবেনা সেই উপার্যন কখনই জীবনের জন্য কল্যাণকর বিবেচিত হবেনা। নবীজি সা. বলেছেন:যে ব্যক্তি হকপন্থায় সম্পদ অর্জন করবে, তার মধ্যে বরকত দেয়া হবে। আর যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে সম্পদ অর্জন করলো, তার দৃষ্টান্ত হলো: এমন ব্যক্তির মতো, যে শুধু খেতেই থাকে, কিন্তু পরিতৃপ্তি আসে না । উপার্যন সামান্য হলেও তা যেনো হালাল হয় তার দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখা জরুরি। উপার্যন হালাল হলে তাতে আল্লাহ রব্বুল আলামিন সীমাহীন বরকত দিয়ে দিবেন যা আমাদেরকে পরিতৃপ্ত করবে এবং দুনিয়াবি জীবন সহজ ও আনন্দময় হয়ে উঠবে পাশাপাশি আখেরাতে উত্তম প্রতিদান নিশ্চিত করবে।
©somewhere in net ltd.