নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাকিব মুসতানসির

সাকিব মুসতানসির

সাকিব মুসতানসির › বিস্তারিত পোস্টঃ

সম্পদের বরকত বিনষ্ট করে লোভ

৩০ শে মে, ২০১৭ সকাল ৮:৪৭



মানুষের খারাপ প্রবৃতি সমূহের অন্যতম লোভ-লালসা। অন্তরের সবচে ভয়ানক ও ক্ষতিকর ব্যাধি । নিজের অবস্থান নিয়ে অতৃপ্তি ও অন্যের সহায়-সম্পত্তি ও সম্মানের প্রতি হিংসা থেকেই মূলত লোভের জন্ম। লোভ-লালসা হারাম, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন লোভ করা থেকে বেচে থেকতে নির্দেশ দিয়েছেন । কোরআনে এরশাদ হচ্ছে ‘যা দ্বারা আল্লাহ তোমাদের কাউকে অপর কারও ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন, তোমরা তার লালসা করো না’। লোভ মানুষকে হিতাহিত জ্ঞানশুণ্য করে ফেলে যার জন্য মানুষ এমন কোন হীন কাজ নেই যা করে না। লালসাগ্রস্থ ব্যাক্তির হালাল হারাম বিবেচনা বোধের ক্ষমতা লোপ পায়, এরা সম্পদ সম্মান লাভের জন্য হিংস্র পশুর মত হতেও পিছপা হয়না। লোভের কারণে মানুষ্যবৃত্তির মৃত্যু হয়ে জন্ম নেয় অনমনীয়, অবিবেচক পশুবৃত্তি। লোভের বশর্বতী হয়ে নৈরাজ্য, খুন-জখম নিত্য নৈমত্বিক ঘটনা। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, জবরদখল, ঘুষ-দুর্নীতি, মারামারি, হানাহানি, সন্ত্রাস, বোমাবাজি, অপহরণ, গুম, খুনখারাবিসহ অধিকাংশ সামাজিক অনাচার বা বিপর্যয়ের পেছনে লোভ-লালসাই অন্যতম নিয়ামক। রাসুলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেন তোমরা লোভ-লালসা থেকে বেঁচে থাকো, কেননা এ জিনিসই তোমাদের পূর্ববর্তীদের ধ্বংস করেছে এবং পরস্পরকে রক্তপাত ঘটানোর ব্যাপারে উসকিয়ে দিয়েছে। লোভ-লালসার কারণেই তারা হারামকে হালাল সাব্যস্ত করেছে।’ লোভ অতৃপ্তি আর বরকতহীনতাকে তরান্বিত করে। হাকীম বিন হিযাম রা. বলেন, আমি নবীজি সা. এর কাছে সুওয়াল করলাম, তিনি আমাকে দিলেন। আবার চাইলাম, তিনি দিলেন। আবার চাইলাম, তিনি দিলেন। আবার চাইলাম, তিনি দিলেন। আবার চাইলাম, তিনি দিলেন। তারপর বললেন: হাকীম! এই সম্পদ হলো সুমিষ্ট সজীব বস্তু! যে এটাকে (নির্লোভ ) উদারচিত্তে গ্রহণ করবে, তাতে বরকত দেয়া হবে। আর যদি কেউ সম্পদকে লোভী হয়ে, পীড়াপীড়ি করে অর্জন করে তার অবস্থা হবে, এমন ব্যক্তির মতো যে, খেয়েই চলছে,কিন্তু তৃপ্তি আসছে না (মুত্তাফাক)। লালসাগ্রস্থ মানুষ স্বাভাবিক জীবন যাপনে আপারগ হয়। লোভের প্রভাবে এদের মনে অতৃপ্তি, দুশ্চিন্তা, অধৈর্য ও অশান্তির স্থায়ী দাগ পরে যায় যা এদের স্বাভাবিক জীবিনাচারকে কুঁকড়ে ফেলে। মনে সার্বক্ষনিক অস্থিরতা আর পেরেশানি লেগেই থাকে যা তাদের এবং তাদের চারপাশকে আক্রান্ত করে সার্বক্ষনিক যন্ত্রণাময় করেতুলে। লোভি মানুষ নিজেরা অসুখী হয় এবং সেচ্ছায় বা অনিচ্ছায় নিজেদের অসুখ ছড়িয়ে দিতে চেষ্টা করে। লোভ থেকে বাচার উপায় হচ্ছে নিজের অবস্থান নিয়ে সন্তুষ্ট হয়ে বেশি বেশি প্রাপ্য নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা এবং দানের হাত প্রশস্ত করা। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে লোভ থেকে বাঁচিয়ে রাখুন, আমিন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.