![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অফিসে যেতে লেট হয়ে গেছে, তাড়াহুড়া করে প্রায় দৌড়ে যাচ্ছেন এমন সময় গাছের আড়াল থেকে কেও একজন আপনার গায়ে একবালতি পানি ছিটিয়ে দিলো! আপনি রেগে যখন ফেটে পরছেন তখন পানি নিক্ষেপকারী হাসিহাসি মুখে জানালো সরি স্যার এটা প্রাংক ছিল। এইযে দেখুন ভিডিও করা হচ্ছে !!! কিংবা আপনার স্ত্রী, বোন, মা কে নিয়ে বা আপনারা দুই তিন বান্ধবী কোথাও ঘুরতে বেরিয়েছেন , রাস্তায় হেটে যাচ্ছেন এমন সময় সামনে এসে কেও লুঙ্গী খুলে ফেললো !! যখন রেগে তেড়ে যাচ্ছেন তখন ছেলেটি জানালো এটা প্রাংক ছিল !! সরি মজা করলাম! কিংবা বললো আপু আমি আপনাকে একটা চুমু খেতে চাই ! কিংবা আপনার গায়ে নকল বা নির্বিষ নিরিহ আসল সাপ বা মাকড়শা নিক্ষেপ করলো ! ..........
‘Prank’ প্রাংক শব্দটা আমাদের কাছে একেবারেই নতুন। যারা একটু নেট ঘাটাঘাটি করেন বিশেষ করে ইউটিউবের ফানি ভিডিও গুলো দেখে থাকেন তাঁদের কাছে হয়তো শব্দটা চেনা। গুগলে সার্চ দিলাম Prank শব্দের মানে জানতে চেয়ে। গুগল জানালো শব্দটার অর্থ তামাশা বা কৌতুক করা, কারো জন্যে দুষ্টুমি করে মজার কোন ফাঁদ বানিয়ে রাখা। এককথায় বলা যায় মানুষকে ধোকা দিয়ে ভয় দেখিয়ে বা বিব্রত করার মাধ্যমে আনন্দ পাওয়ার পৈশাচিক প্রকৃয়াই ‘প্রাংক’ । পুরু সিনটি একটু দূর বা আড়াল থেকে ভিডিও করা হয় পড়ে তা নিজস্ব চ্যানেলে আপলোড করা হয়। ইউটিউব বা ফেসবুকে সেলিব্রেটি হওয়ার খায়েশ থেকেই মূলত তরুণ ছেলেরা আস্তে আস্তে এসব কাজে আগ্রহী হয়ে উঠছে। এঁদের শিকার হচ্ছেন সাধারণ জনগণ বিশেষ করে স্কুল কলেজের মেয়েরা। খুব অল্প পরিমাণ মেয়েও পাওয়া যায় যারা প্রাংক করছেন।
ছেলেরা প্রাংকে কেন আগ্রহী হয়ে উঠছে ?
• নৈতিক শিক্ষা ও ধর্মিয় মূল্যবোধের অভাব।
• পারিবারিক অশান্তি ।
• দ্রুত নিজেকে ফেমাস দেখার ইচ্ছা।
• হিরোইজম সিকনেস।
• নিয়ন্ত্রনহীন জীবনযাপন।
• সামাজিক অস্থিরতা।
• ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অসচেতনতা।
.............................
বন্ধুদের যারা প্রাংকে আগ্রহী তারা নিচের হাদিসটা একবার পড়ুন-
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
‘‘যে ব্যক্তি মানুষ হাসানোর জন্য মিথ্যা বলে তার জন্য ধ্বংস! তার জন্য ধ্বংস! তার জন্য ধ্বংস!’’
[তিরমিযী, আস-সুনান ৪/৫৫৭; হাদীস নং ২৩১৫; আবূ দাউদ, আস-সুনান ৪/২৯৭; হাদীস নং ৪৯৯০]
আউযুবিল্লাহি মিন যালিক।
আল্লাহর রাসুল সা. যার জন্য তিন তিনবার ধ্বংসের কথা বলেছেন সে কতইনা দূর্ভাগা ! আমরা আল্লাহ তায়ালার কাছে এর থেকে পানাহ চাই।মিথ্যা , ধোঁকাবাজি , তামাশা ও কৌতুক নিয়ে এমন আরো অসংখ্য হাদিস বিভিন্ন হাদিসের কিতাবে আছে।এবার আপনিই সিদ্ধান্ত নিন । স্বয়ং রাসুলুল্লাহ সা. যাঁদের জন্য ধ্বংশ কামনা করেছেন আপনি তাঁদের মাঝে থাকবেন না যাঁদের জন্য উপহারের জিম্মাদারি নিয়েছেন তাঁদের মাঝে একজন হবেন ? আসুন নিচে আরেকটা হাদিস পড়ি-
অন্য হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
‘‘যে ব্যক্তি সর্বদা মিথ্যা বর্জন করে, মস্করা বা কৌতুক করতেও মিথ্যা বলে না, তার জন্য জান্নাতের মধ্যদেশে একটি বাড়ির জন্য আমি দায়িত্ব গ্রহণ করলাম।’’
[আবূ দাউদ, আস-সুনান ৪/২৫৩; হাদীস নং ৪৮০০]
সুবাহানাল্লাহ।
আসুন আমরা সকলেই মিথ্যা, ধোকাবাজি থেকে বেঁচে থাকি আর সব সময় আসতাগফার পড়তে থাকি। মানুষকে সম্মান করি। আল্লাহ আমাদের তাওফিক বাড়িয়ে দিন।
২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:২৬
সাকিব মুসতানসির বলেছেন: ধন্যবাদ স্যার।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৪
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ, খুব সুন্দর এবং মানসম্পন্ন পোষ্ট দিয়েছেন। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন-আমিন।