নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাকিব মুসতানসির

সাকিব মুসতানসির

সাকিব মুসতানসির › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে !!

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৩০


[বিশেষ দ্রষ্টব্য- ইহা একটি নারী বিদ্বেষী পোস্ট ! নারীরা না পড়লেই ভালো]

সংসারে সুখী হওয়ার সব দায় রমণীর ঘাড়ে চাপিয়ে দিলে হয় !! আমি আপনি পতি প্রবরদের কোন গুণ থাকার দরকার নেই ?

সংসার দুইচাকার গাড়ির মতো। যখন একসাথে সমান এক্টিভ থাকবে তখন সমান গতিতে নিরাপদে সামনে আগাবে। যখনই একটা চাকায় ঝামেলা শুরু হবে তখনই চলার গতি ব্যহত হবে। গতি কমে যাবে। চলাফেরা এলোমেলো হয়ে যাবে। এবং ঘটে যেতে পারে মহাএক্সিডেন্ট ।


দৈনন্দিন সংসারে নারীর কাজই বেশি। পুরুষের অফিস ৯ টা ৫ টা আর নারীকে কাজ করতে হয় ঘুম থেকে উঠা শুরু করে রাতে ঘুমুতে যাওয়া পর্যন্ত। নারীকে কতটা কাজ করতে হয় তা যাঁদের ছোট বাচ্চা আছে তাঁরা একদিন বাচ্চা সামলে দেখতে পারেন । বা যারা বড় পরিবার নিয়ে বসবাস করেন তাঁরা একদিন পরিবারের সব কাজের দায়িত্ব নিয়ে দেখতে পারেন। আমি নিশ্চিত আপনি একদিন সামলাতে পারবেন না।


সমঝোতা, সহমর্মিতা, সাহায্য, মূল্যায়ন, সহিষ্ণুতা, আস্থা ও ভালোবাসা এসবই সুখী সংসারের চাবিকাঠি। আপনি যতবেশি এসবের এপ্লাই সংসারে করবেন ততবেশি সংসার আনন্দময় হয়ে উঠবে।


সংসারে সুখী হতে প্রচুর ভান করতে হয়। আপনি অভিনয়ে পাকা হোন সংসারে সুখী হবেন। মানুষ মাত্রই ভুল করে। আপনি ভুল শুধরাতে রাগ নয় বুদ্ধির প্রয়োগ করুন। সময়ের অপেক্ষা করুন। সাপ মারতে গিয়ে লাঠি ভেঙ্গে ফেললে হবেনা সেটা আপনাকে মনে রাখতে হবে।নিজের ভুলগুলো মনে রাখুন। মেনে নিন। নিজেকে পতি নয় সঙ্গীর জায়গায় দেখুন।


আপনি কি জানেন সবচেয়ে বেশি ডিভোর্সের ঘটনার সূত্রপাত হয় মশারি টানানো/ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার, তরকারিতে লবণ/ঝাল কম বেশি ও নাকডাকার মতো মতো সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে !অসহিষ্ণুতাই এরজন্য দায়ী।

বাসায় আসার সাথে সাথে স্ত্রী সারাদিনের কাজকামের, পরিশ্রমের ফিরিস্তি শুনাচ্ছে গেলেন রেগে! বলে বসলেন আমরা বাইরে গিয়ে কি আঙুল চুষি !! আরো দুই কথা শুনিয়ে দিলেন !! কি করলেইন ভাই !সবতো খেয়ে দিচ্ছেন। থামুন ! স্ত্রীর কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন।সহমর্মিতা জানান। উৎসাহ মূলক দুইটা কথা বলুন। খেদমতের মহত্য তোলে ধরুন। একটুপর দেখবেন সে নিজেই এসে আপনার কপালের ঘাম মুছে দিচ্ছে। পা দাবিয়ে দিচ্ছে । আপনার পরিশ্রান্ত অবস্থায় মনোযোগ না দেয়ায় লজ্জিত হচ্ছে।সহিষ্ণু হোন । হুটহাট রেগে যাওয়া, প্রতিক্রিয়া দেখানো উঠিত নয়।


মেয়েদের স্বভাবজাত কিছু ত্রুটি আছে।কাজের বড়াই করা ও চাহিদা তাঁদের অন্যতম। মেয়েরা প্রশংসা শুনতে পছন্দ করে। আদিখ্যেতা করতে ও পেতে পছন্দ করে। প্রশংসা ও আদিখ্যেতার মাত্রা বাড়িয়ে দিন দেখবেন চাহিদা কমে যাচ্ছে।চাহিদা কমেগেলে আস্থা বেড়ে যাবে । বড়াই করার সময় আন্তরিক হোক। কাজের স্বীকৃতি দিন। সহমর্মিতা দেখান দেখবেন হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে বড়াই ।বড়াই না থাকলে সমঝোতা বাড়বে। বাড়বে আপনার কথা ও কাজের গুরুত্ব । বাড়বে বিশ্বাস।


আপনি যেমন কেয়ারিং চান মেয়েরাও তাই চাই । ছুটির দিনগুলোতে সর্বোচ্চ সময় দিন। কাপড় কাঁচা/ ঘর পরিষ্কার / বাচ্চাকে সময় দেয়া/ রান্নাবান্নার কাজে সাহায্য করা ইত্যাদি করতে পারেন। এগুলো সুখী সংসারের জন্য টনিকের মতো কাজ করে ।আসলে আমরা পুরুষরা সুন্নাহ থেকে দূরে যাওয়ার ফলেই সংসার থেকেও সুখ দূরে সরে যাচ্ছে । ঘরকন্যার কাজে রাসুল সা. এর অংশগ্রহণ দেখলে বিস্মিত হতে হয় !

স্বামী স্ত্রীর মধ্যে লজ্জা জিনিষটা বেশ ভয়াবহ ! সঙ্কোচ ঝেড়ে ফেলুন।স্ত্রীর সাথে স্বাভাবিক সম্পর্কে একটু বেশিই বেহায়া হোন। আল্লাহ রসুল সা. উনার বিবি নিয়ে একই গোসল খানায়, একই বালতি থেকে পানি নিয়ে একসাথে গোসল করতে পারলে আপনি কী এমন বুজুর্গ হয়ে গেছেন যে একসাথে গোসল করতে পারবেন না !! আপনি কি জানেন অধিকাংশ (৯৫%) নারীই পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নির্লজ্ব স্বামী পছন্দ করেন !!! এতো লজ্জা থাকলে বিয়ে করার দরকার নেই, রোজা রাখুন।

অধিকাংশ পুরুষ বাহিরে সময় কাটাতে পছন্দ করেন অথচ নবী সা. দৈনন্দিন তিনভাগের দুইভাগ সময়ই ঘরে কাটাতেন ! আপনার বাইরের কাজ শেষ ! বাইরে আড্ডা দেয়ার কোন দরকার নেই।গল্পগুজব ঘরে বসে বিবি সাহেবার সাথে করুন।পরিবারকে সময় দিন। আপনার মোবাইল দেখলে বা ফেসবুক দেখলে রেগে যাবেন কেন ? গোপন গোপন খেলাই সংশয়ের বীজ বুনে দেয় । আর সংশয় থেকে সন্দেহ । সন্দেহ থেকে অনাস্থা । অনাস্থা থেকে ঝগড়া ফ্যাসাদ ডিভোর্স তালাক ।



অভিমান নারীর অলংকার । ভুল বুঝবেন না । অভিমানকে গুরুত্ব দিন। যা করলে অভিমান ভাঙ্গে তার আয়োজন করুন। সীমার ভেতরে রাগ হোন। বেশি রাগ হলে চোপ হয়ে যান। মানুষ রাগে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে যাতা করে বসে। ঘরের বাইরে যাবেন না। ঘরেই থাকুন।

আমাদের সমাজে বলে ‘বাইল দেয়া’ ( ভুলিয়ে ভালিয়ে কাজ আদায় করা) । সব কাজ আদায় করতে নির্দেশ দেয়ার প্রয়োজন নেই। বাইল দিয়ে ডাইল খাওয়ান। দেখবেন আপনার স্ত্রী হাসিমুখে আপনি যা যা চান সব করছে। জোর করবেন ভেঙ্গে যাবে।

আপনার মতই আপনার স্ত্রীর কাছেও তার বাবা-মা ভাই বোনদের দরদ। আপনি যতটুকু চান ততটুকু তাদেরও দিন। কোনদিন ভুলের শ্বশুরবাড়ির নামে অভিযোগ করবেন না। আপনার অভিযোগ সত্য মিথ্যা যাই হোক কোন মেয়েই এটা নিতে পারবেনা। আপনার উপর থেকে শ্রদ্ধা কমে যাবে। আপনাকে স্বার্থপর মনে করবে।

আপনার স্ত্রী যখন আপনার পছন্দের খাবার আগ্রহ নিয়ে বানায় তখন বুঝবেন সব ঠিক আছে। যখন দেখবেন এরদিকে মনোযোগ নেই তখনই বুঝবেন সামথিং রং ! দ্রুত সমস্যা আইডেন্টিফাই করুন ও সমাধান করুন। আপনি আপনার স্ত্রীর প্রতি কতটা গুরুত্ব দিচ্ছেন এটা থেকেই বুঝতে পারবেন সহজেই। আপনার স্ত্রী আপনার পছন্দের খাবার বানাচ্ছে কিনা যদি এটা ধরতে না পারেন বা আপনার চোখে না পড়ে তখন বুঝে নিবেন আপনাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে।

আল্লাহর রাসুল সা. এর আম্মাজান খাদিজা রা. এর বান্ধবীদের বাড়িতে খাসী জবেহ করে গোশত পাঠানোর মধ্যে আমাদের জন্য শিক্ষার কিছু নাই ? নিজের বন্ধু বান্ধব বাসায় এনে মৌজ মাস্তি করে খাওয়াতে পছন্দ করেন অথচ কয়দিন স্ত্রীর বান্ধবী বাসায় এলে সদয় আচরণ করেছেন ভেবে দেখুন ! কয়দিন স্ত্রীকে উৎসাহ দিয়েছেন তার সুহৃদদের দাওয়াত করে খাওয়াতে !!

আপনি কামাই করেন বলেই আপনার অর্জিত সব কিছুর উপর আপনার একারই হক। যা খুশি করবেন । স্ত্রীর কিছুই করার ধরার ছুঁয়ার অধিকার নাই এই চিন্তাই সংসার ধ্বংসস্তূপে পরিণত করতে যথেষ্ট।শুধু কামাই করাতেই হক প্রতিষ্ঠা হয় না।

আসুন ভালোবাসা চর্চা করি ও সংসার সুখময় করে তুলি। পরিপূর্ণ সুন্নাহ অনুস্বারে সংসার পরিচালনা করতে পারলে দুনিয়ার সংসারে জান্নাত নেমে আসবে ইনশাআল্লাহ।


[নারীরা পড়েই ফেলেছেন ! কি আর করা ? পরবর্তি পর্বে বুলেট আসছে নারীদের জন্য তাই তাঁদের খুশি হওয়ার কিছু নেই, এই পোস্ট থেকে আপনাদের জন্যও অনেক শিক্ষণীয় আছে ]

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.