নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সর্বদা সত্যের পথে, ন্যায়বান পথিকের সাথে।

Mynul Islam

student

Mynul Islam › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোট্ট ছেলে আফনান কেন পথের ভিক্ষারী

১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৬


আফনান, সুন্দর একটি নামের অধীকারি ছেলেটি, চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্র, বাবা-মা আর একটি অষ্টম শ্রেনীতে অধ্যায়নরত বোনকে নিয়ে ওদের ছোট পরিবার, গ্রামের একটি ছোট্ট দুইচালা টিনের ঘরে ওদের বসবাস....।।।
-
শহরে রাজ মিস্ত্রীর কাজ করেন আফনানের বাবা, মাসে মাসে কিছু টাকা পাঠান, খেয়ে দেয়ে ভালই চলে তাদের পরিবার, কিছু দিন যাবত টাকা দিচ্ছেন না, এমনকি নিচ্ছেন না ওদের খবরও...।।।
-
অপরের কাছ থেকে ধার করে আর কতদিন চলা যায়, আর কত সম্ভব না খেয়ে দিন জাপন করা, বন্ধ হয়ে গেল আফনানের বোনের স্কুলে যাওয়া, কাজ করার জন্য দেয়া হল একই গ্রামের এক প্রভাবশালী অনেক ধন সম্পত্তির মালিক জমিদার মুনছুরের বাসায়, এই ভেবে যে খেয়ে-দেয়ে ভালই থাকবে, কিন্তু মেয়েটি অত্যাচারিত হচ্ছে পদে পদে, কি করার পেটের দায়ে থাকতে হচ্ছে অত্যাচারিদের কাছেই...।।।
-
গুলিস্থান নামক স্থানে কোন এক জায়গায় স্বামি থাকেন এতুটুকুই জানেন আফনানের মা, মেয়েকে প্রভাব শালীর বাসায় রেখেই চলেই এলেন আফনানকে নিয়ে ঢাকার, গুলিস্থান পৌছার কিছু সময়ের মধ্যেই বন্ধবস্ত হয়ে গেল কোন এক বস্তির একজন গরিবের কুটিরে যার কেউ নাই শুধু কুজো বুড়ো , আবার বুড়ো লোকটি কিনা মেয়ে বলেও ডাকা শুরু করলেন, এবার আরো একটি চিন্তার বৃদ্ধি ঘটলো অসহায় মহান মহিলার মাথায়, বৃদ্ধকে লালন-পালন করার মত কেউ যে নাই...!!!
-
শুরু হলো তাদের তিন জনের সংসার, আফনানের মা কোন এক বাসায় কাজও পেয়ে গেলেন, সেখান থেকে সামান্য খাবার এনেই খেয়ে দিন কাটাতো তিন জন, বাসায় কাজের ফাকে চলছে স্বামির খোজ...!!!
-
হঠাৎ একদিন হোচট খেয়ে পরে গেল আফনানের মা, কোমরে প্রচন্ড আঘাত পেল উঠে দাড়ানোর শক্তি নাই তার, কাজ করতে না যাওয়ায় কাজ থেকে বিরতি দিলেন বাড়ির মালিক, ও দিকে বৃদ্ধ লোকটি পরে আছে পাশের বিছানায়.....!!
-
আর কেউ রইলো না রোজগার করার মত, আফনানের মা এবার আফনানকে বস্তিরে কুটিরে থাকা সিলভারের থালাটা হাতে দিয়ে বললো বাবা রাস্তার জ্যামে দাড়ানো গাড়ি গুলোতে আরোহন করা মহান মানুষগুলোর কাছে কিছু সাহায্য চেয়ে দেখ, আমি যেন ডাক্তারের কাছ থেকে ঔষধ নিতে পারি, আফনান সেটাই করতেছে রাস্তার বাহনের জ্যামে গাড়ির গেটে দাড়িয়ে....!!
-
কিন্তু মানুষ সাহায্য নয় কেউ কেউ দু-এক টাকা ভিক্ষা দেয়, যা দিয়ে কেবল দুবেলা ভাত ছাড়া ঔষধ জুটে না...!!!
-
আজও পাওয়া হলো না আফনানের বাবাকে, দেখা হলো না ছেলে মেয়েদের নিয়ে আশার আলো, বস্তির কুটিরে দিন কাটাচ্ছে প্রায় শেষ হওয়া তিনটি জীবন, কষ্টে আছে জমিদারের বাড়িতে মেয়েছি, আফনান চালিয়ে যাচ্ছে বাহনের জ্যামের মধ্যে গাড়ির গেটের সামনে দাড়িয়ে মায়ের দেখানো কাজ, হয়তো সুখে আছে আফনানের বাবা নয়তো আর নেই এ ধরায় তাই হয়তো পাওয়া যাচ্ছে না...!!!!আফনান, সুন্দর একটি নামের অধীকারি ছেলেটি, চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্র, বাবা-মা আর একটি অষ্টম শ্রেনীতে অধ্যায়নরত বোনকে নিয়ে ওদের ছোট পরিবার, গ্রামের একটি ছোট্ট দুইচালা টিনের ঘরে ওদের বসবাস....।।।
-
শহরে রাজ মিস্ত্রীর কাজ করেন আফনানের বাবা, মাসে মাসে কিছু টাকা পাঠান, খেয়ে দেয়ে ভালই চলে তাদের পরিবার, কিছু দিন যাবত টাকা দিচ্ছেন না, এমনকি নিচ্ছেন না ওদের খবরও...।।।
-
অপরের কাছ থেকে ধার করে আর কতদিন চলা যায়, আর কত সম্ভব না খেয়ে দিন জাপন করা, বন্ধ হয়ে গেল আফনানের বোনের স্কুলে যাওয়া, কাজ করার জন্য দেয়া হল একই গ্রামের এক প্রভাবশালী অনেক ধন সম্পত্তির মালিক জমিদার মুনছুরের বাসায়, এই ভেবে যে খেয়ে-দেয়ে ভালই থাকবে, কিন্তু মেয়েটি অত্যাচারিত হচ্ছে পদে পদে, কি করার পেটের দায়ে থাকতে হচ্ছে অত্যাচারিদের কাছেই...।।।
-
গুলিস্থান নামক স্থানে কোন এক জায়গায় স্বামি থাকেন এতুটুকুই জানেন আফনানের মা, মেয়েকে প্রভাব শালীর বাসায় রেখেই চলেই এলেন আফনানকে নিয়ে ঢাকার, গুলিস্থান পৌছার কিছু সময়ের মধ্যেই বন্ধবস্ত হয়ে গেল কোন এক বস্তির একজন গরিবের কুটিরে যার কেউ নাই শুধু কুজো বুড়ো , আবার বুড়ো লোকটি কিনা মেয়ে বলেও ডাকা শুরু করলেন, এবার আরো একটি চিন্তার বৃদ্ধি ঘটলো অসহায় মহান মহিলার মাথায়, বৃদ্ধকে লালন-পালন করার মত কেউ যে নাই...!!!
-
শুরু হলো তাদের তিন জনের সংসার, আফনানের মা কোন এক বাসায় কাজও পেয়ে গেলেন, সেখান থেকে সামান্য খাবার এনেই খেয়ে দিন কাটাতো তিন জন, বাসায় কাজের ফাকে চলছে স্বামির খোজ...!!!
-
হঠাৎ একদিন হোচট খেয়ে পরে গেল আফনানের মা, কোমরে প্রচন্ড আঘাত পেল উঠে দাড়ানোর শক্তি নাই তার, কাজ করতে না যাওয়ায় কাজ থেকে বিরতি দিলেন বাড়ির মালিক, ও দিকে বৃদ্ধ লোকটি পরে আছে পাশের বিছানায়.....!!
-
আর কেউ রইলো না রোজগার করার মত, আফনানের মা এবার আফনানকে বস্তিরে কুটিরে থাকা সিলভারের থালাটা হাতে দিয়ে বললো বাবা রাস্তার জ্যামে দাড়ানো গাড়ি গুলোতে আরোহন করা মহান মানুষগুলোর কাছে কিছু সাহায্য চেয়ে দেখ, আমি যেন ডাক্তারের কাছ থেকে ঔষধ নিতে পারি, আফনান সেটাই করতেছে রাস্তার বাহনের জ্যামে গাড়ির গেটে দাড়িয়ে....!!
-
কিন্তু মানুষ সাহায্য নয় কেউ কেউ দু-এক টাকা ভিক্ষা দেয়, যা দিয়ে কেবল দুবেলা ভাত ছাড়া ঔষধ জুটে না...!!!
-
আজও পাওয়া হলো না আফনানের বাবাকে, দেখা হলো না ছেলে মেয়েদের নিয়ে আশার আলো, বস্তির কুটিরে দিন কাটাচ্ছে প্রায় শেষ হওয়া তিনটি জীবন, কষ্টে আছে জমিদারের বাড়িতে মেয়েছি, আফনান চালিয়ে যাচ্ছে বাহনের জ্যামের মধ্যে গাড়ির গেটের সামনে দাড়িয়ে মায়ের দেখানো কাজ, হয়তো সুখে আছে আফনানের বাবা নয়তো আর নেই এ ধরায় তাই হয়তো পাওয়া যাচ্ছে না...!!!!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.