নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংগাল মানব

বাংগাল মানব › বিস্তারিত পোস্টঃ

রামপালের পরিবেশগত হুমকি আর নাস্তিকদের প্রতিবাদ!!

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:১২

সবার মধ্যে দেশপ্রেমের একটা প্রতিযোগিতা দেখা যাচ্ছে। রামপালের বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে কে কার আগে স্ট্যাটাস দিবে বা ব্লগ লিখবে বা নোট লিখবে এটা নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেলে। মনে হল দেশের সব মানুষই অনেক সচেতন দেশের স্বার্থ নিয়ে। তবে দেশপ্রেমের আড়ালে যে অনেকে এন্টি গভর্নমেন্ট এলিমেন্টস লালন করছেন সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। যাই হোক না কেন, এই দেশপ্রেম আর চেতনা অব্যাহত থাকুক এটাই সবার চাওয়া।



দেশে তিন ধরনের লোক আছে বলে আমার ধারনা। এক- আশে পাশে কোনো ঘটনা ঘটতে দেখলে এরা অতি সতর্কতা বশত দৌড়ে নিরাপদ দূরত্বে পালায়। দুই- এরা পালায় না তবে পাশে দাঁড়াইয়া দাঁড়াইয়া দেখে দেখে মজা নেয়। তিন-এরা ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট হয়। আর এই তৃতীয় ধারার লোকদের আমরা প্রতিক্রিয়াশীল বলে থাকি। এই প্রতিক্রিয়াশীলদের মধ্যে কেউ আছে প্রথাগতভাবেই সরকার বিরোধী অবস্থান নেয়। আবার কেউ আছে সবসময়ই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যাপারে সোচ্চার (রিয়েল দেশপ্রেমিক) আবার কেউ আছে এইরকম বিষয়ে কিছু লিখতে হবে না লিখলে আমার লেইঞ্জা বের হয়ে যাবে।



প্রশ্নাতীতভাবেই এই ইস্যুটা দল-মতের উরধে। এখানে দলাদলি থাকা উচিৎ নয়। তবে এই ইস্যুতে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর অতি আস্ফালন চোখে পড়ার মতো। তবে এখানে এন্টি গভর্নমেন্ট এলিমেন্টস না থাকলে এটাকেও হয়ত আস্তিক-নাস্তিক দ্বান্দিক সম্পর্কের দোলাচলে ফেলা হতো।



রামপালে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিবেশগত হুমকি ও এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে অনেক নাস্তিক সরব থাকবে। মিছিল করবে, স্লোগান ধরবে, নেতৃত্ব দিবে। তখন কি তারা বলবে এটা নাস্তিকদের প্রতিবাদ?



মজার ব্যাপার হল দেশের প্রধান বিরোধী দল বা তাদের সহযোগীদের মধ্যে এই ব্যাপারে স্বভাবতই কোন পতিক্রিয়া দেখা গেলো না। তাদের ব্যস্ত তাদের ক্ষমতার মসনদ ফিরে পাওয়ার লড়াই নিয়ে। আরে ভাই দেশে কিছু না থাকলে বা দেশ না থাকলে ক্ষমতা দিয়া কি হবে আর সম্পদ মাইরা খাবি কোত্থেকে? তবে তাদের অনেক সমর্থকের এই ব্যাপারে সচেতন অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে এরা কেউই সরাসরি রাজনীতির সাথে সংযুক্ত নয়।



সরকার মহোদয় তো বেলা শেষের গান গাওয়া নিয়ে ব্যস্ত। আরও ব্যস্ত নিজেদের নিজেদের নিরাপদ ভবিষ্যতের চিন্তায়। নিজের স্বার্থের কাছে দেশপ্রেম বা দেশের স্বার্থ তুচ্ছ। ক্ষমতায় থাকার কাল কিভাবে বৃদ্ধি করা যায় সেটা নিয়ে কৌশল নির্ণয়ে ব্যস্ত তারা। তাদের চাটুকারদের আস্তে আস্তে পক্ষ ত্যাগের পাঁয়তারা করতে ও ভবিষ্যৎ ক্ষমতার উৎসের সন্ধান করতে দেখা যাচ্ছে। একটি কার্যকর বিরোধী দলের অভাব এখানে চরমভাবে অনুভূত হয়।



সরকার বা বিরোধী দল দুই দলের একদল গণতন্ত্র সুসংহত করতে চায় আর আরেকদল গণতন্ত্র বাচাতে চায় শুধু এক নির্বাচন দিয়ে । তাদের কাছে গনতন্তের সংজ্ঞা মাত্রই একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। নির্বাচনের পরে কয়েকবছর দুই দলই গনতন্ত্রের সংজ্ঞা ভুলে যান। নির্বাচনের কিছুদিন পূর্বে দুইদল আবার গণতন্ত্রকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করে।



রামপাল নিয়া অনেক কথাবার্তা হইতেছে। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কিছু কেজুয়াল্টিজ সবসময় থাকে বা থাকবে। আমাদের মত উন্নয়ন শীল দেশে আরও বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক। তাই বলে যে সুন্দরবনকে নিউ সেভেন ওয়ান্ডারস বানানোর জন্য সবাই আমরা এতো কিছু করলাম। যে সুন্দরবনের সিডরের মতো ঝড়ের ক্ষতি কয়েকগুণ কমে গেছিলো। সেই সুন্দরবনের ক্ষতি কইরা রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র করার পক্ষপাতি আমি না। দেখে শুনে কম জনগণের এলাকাকে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য নির্বাচন করা উচিৎ।



আরেকটা বিষয় লক্ষণীয় যে, গ্যাস বিদ্যুৎ ব্যাতিত কুইক রেন্টাল বা ফার্নেস অয়েল ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কোনটাই সরকারের জন্য সুখকর না। অন্য বিকল্প গুলোর মধ্যে পরমানু বা কোল ভিত্তিক বিদ্যুৎ আমাদের মতো ঘনবসতি পূর্ণ দেশের জন্য উপযুক্ত নয় বলে বিবেচিত। বাংলাদেশের বিদ্যুতের উৎস হিসেবে নবায়ন যোগ্য শক্তির অবস্থা এতোটা আশাব্যাঞ্জক না বলেই আমার মনে হয়। সেক্ষেত্রে গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুতই আমাদের ভরসা। সে জন্য গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানোর কথাই জোরেশোরে ভাবতে হবে।



পজিটিভ বিষয় হল যে কারনেই হোক সবার মধ্যে দেশপ্রেম-দেশপ্রেম ভাব দেখা যায়! আসল আর নকল! এই নকলটাও আমাদের রাজনৈতিক দল গুলোর মধ্যে দেখা গেলো না।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২৭

চলনবিল বলেছেন: বাংলা ব্লগে স্বাগতম :)

পোস্টে প্লাস +++++++++++++++++++

তবে দেশপ্রেমের আড়ালে যে অনেকে এন্টি গভর্নমেন্ট এলিমেন্টস লালন করছেন সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। যাই হোক না কেন, এই দেশপ্রেম আর চেতনা অব্যাহত থাকুক এটাই সবার চাওয়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.